সম্পাদকীয়

 

নির্বাচন ও আমরা

ভারতবর্ষ স্বাধীন, গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে শাসক নির্বাচিত হয়। বিগত সত্তর বছরের বেশি সময় ধরে ভারতের গণতন্ত্র নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় সফলভাবে উত্তীর্ণ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তা প্রবলভাবে স্বীকৃত। মাঝখানে তা একবার হোঁচট খেয়েছিল ১৯৭৫ সালে। তবে তা মাত্র দু'বছরের জন্য। তার জন্য নিদারুন খেসারত দিতে হয়েছিল শাসকদলকে। ১৯৭৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের ১৩৯ আসনের একটিতেও জিততে পারেনি শাসকদল কংগ্রেস। বড় শিক্ষা পেয়েছিল শাসক ও অন্যান্য বিরোধী দল। বুঝেছিল ভারতবর্ষের মতো এতো বড় দেশে, যেখানে বহু ভাষা, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, সেখানে একনায়কতন্ত্র কোনওভাবেই চলতে পারে না। ভারতে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনই শেষ কথা।

আমরা যারা ভোটদাতা অর্থাৎ নির্বাচক দীর্ঘদিনের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে নিতে বুঝেছি কারা আমাদের মিত্র, কারা নয়। বিশেষ করে গরীব মানুষেরা যারা সংখ্যায় প্রায় ১০০ কোটি তারা জীবন দিয়ে বোঝে কারা তাদের শত্রু, আর কারাই বা মিত্র। এখন অভিজ্ঞ, পরিণত ভারতের গণতন্ত্রের অভিমুখ হয়েছে জনকল্যানমুখী রাষ্ট্র, উদ্দেশ্য মূলত গরীব মানুষের পাশে সর্বতোভাবে থাকা ও নিরন্তর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। তা নাহলে কোনো দল ২৩৫ থেকে দ্রুত শূন্য হয়ে যাবে অথবা ৩০ থেকে ২৩০ হয়ে যাবে।

অতএব শাসক সাবধান, অপেক্ষায় জনতা জনার্দন!


১৫ নভেম্বর, ২০২৪