বাংলাদেশ ও আমরা
বাংলা আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা। এই ভাষার মানুষেরা আমাদের প্রিয়জন। এই বাংলা, সোনার বাংলা। এই বাংলাকে আমরা ভালোবাসি। বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি খুবই উন্নত। আমরা সাহিত্য, শিল্প, দর্শন, অর্থনীতি, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানে পথিকৃৎ। ভারতবর্ষের নবজাগরণে, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জনে সবচেয়ে বেশি আত্মত্যাগ, সবচেয়ে বেশি বলিদান বাঙালি করেছে। বাঙালি হিসেবে এই অস্মিতা আমাদের আছে, আমাদের থাকবে।
ভারতের জাতীয় রাজনীতি তার নিজস্ব প্রয়োজনে বাংলাকে দুর্বল করার জন্য ধর্মের ভিত্তিতে বাংলাকে দ্বিখন্ডিত করে দিয়েছে। আমাদের ভাষা, সংস্কৃতিকে ভাগ করবে কে? কার আছে সেই হিম্মত? আমরা এক আছি, এক থাকবো। বাংলাদেশ আমাদের আত্মজ। আত্মজর সঙ্গে যে সুগভীর সম্পর্ক থাকে, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সেই সম্পর্ক। যেটা আমাদের বোধের মধ্যে কাজ করে, সেটা অন্যদের, বিশেষকরে অবাঙালিদের বোঝা দুঃসাধ্য। তাই ওদের চোখে এখন বাঙালি মাত্রই একজন বাংলাদেশি। ওদের বোঝাবে কে?
আমরা একটা ম্যাগাজিন চালাই। সমন্বয় ই মাসিক পত্রিকা। এই ম্যাগাজিনে এই বাংলার লোক যেমন লেখা দেন, ওপার বাংলার লেখকও তেমন লেখা দেন। বাংলাদেশের লেখকদের অন্যতম হুমায়ুন কবীর, মৌসুমী মৌ, অমিত হাসান সৃজন, নাজমিন নাহার লাবনী, সৈয়দ আল মামুদ সিদ্দিক, নজমুল হেলাল, যাবিহা মুসতাবশারা জান্নাত, আবু নাসিফ খলিল, মুন্সি কবির, নিয়ামুল কবীর রাজু ও তামান্না সাদী। ওঁনাদের লেখা আমাদের মনে, প্রাণে রাশি রাশি আনন্দ ছড়িয়ে দেয়, গভীর ভালোলাগা অন্তরে চিরতরে স্থিত হয়ে যায়, এই অমোঘ সম্পর্ককে কে কেড়ে নেবে? প্রতিবেশী দুটি রাষ্ট্রের শাসক বদলে এই অনুভূতি কোনোভাবেই অভিহত হবে না অথবা এই অনুভূতির কোনো ব্যত্যয় হবে না।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪