কবিতা

লাবণ্যময়ী



সঙ্ঘমিত্রা কুমার


আমাকে দ্রৌপদী বলতে দ্বিধা হবে, শুধুই পতিব্রতা।
কোনো অগ্নিকুণ্ড থেকে আমার জন্ম নয়।
আমি কৃষ্ণকলি।
কর্মঠ হাতের শিরায় আমার গৃহস্থ কাজের নৈপাট্য
সাধারণ তত্ত্বের নমুনা করে আমাকে সাধারণী বলতেই পারো।
কষ্টি পাথরে কুঁদে গড়া আমার শরীরের
লাবণ্য জয়ী হয় আধুনিক রূপটানের কাছে।
শ্রী আর বিশ্রীর মাঝে আমি এক পূর্ণ আরাধ্যা।
নামেরও বিলাস নেই কোনো;
পল্লী গ্রামের ইতিউতি চাহনির মাঝে স্বতন্ত্র তো বটেই।
হাত দুটো কাজে মুখর
'না' শব্দকে আসকারা দেবার স্পর্ধা করি না।
প্রারম্ভিক আর অন্তিম কথা দুটোর মাঝে 
আমি শব্দটা ছায়াকেও অতিক্রম করে।
বেলা-অবেলার মধ্যে আমি প্রাপ্তমনস্ক নারী
যাকে কোনো কাব্যে-মহাকাব্যে বা ইতিহাসের কোনো সভ্যতার পাতায়
ছবি করে রেখেছো।
যতটাই বাহুল্য ততটাই বাতুলতা;
প্রেমিক শব্দটার কোনো প্রতিফলন জানা নেই, আছে
এয়ো স্ত্রীর একজন স্বামী, যার কাছে
আগলের দড়িটা দিয়ে নিয়মে বাধা আছি;
ভালোবাসা কথাটা সেখানে পাশাপাশি বসা কটা অক্ষর মাত্র;
অমূলক। প্রকাশের ব্যঞ্জনা নেই।
ভালো-মন্দের অনুভূতি নিয়েই আমি
জবা, মায়া অথবা মালিনী।