গল্প ও অণুগল্প

চৈত্রসেল [অণুগল্প]



ভারতী পাল


পূর্বপরিচিত প্রৌঢ় দম্পতীকে দেখে দোকানী একগাল হেসে এগিয়ে এলেন, "আসুন, আসুন। গতবছর আসেননি। এবার কিন্তু অনেক কেনাকাটা করতে হবে। এবারের সেলে আমরা ফিফটি পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দিচ্ছি শাড়িতে।"

দুজনে প্রায় একসঙ্গেই বলে ওঠেন, গত দুবছর তো করোনার ভয়ে বেরোনোই হয়নি। যাক্, দুই মায়ের জন্য শাড়ি দেখান।

ডিসপ্লে করা একটা শাড়ির দিকে চোখ পড়ে বিপ্লববাবুর। বলেন, এটাই আমার মায়ের জন্য নেবো।

এরপর বিপ্লববাবু যে শাড়িই শাশুড়ির জন্য পছন্দ করেন অনিমাদেবীর কিছুতে পছন্দ হয় না। কর্মচারীদের জিজ্ঞাসা করেন, এই শাড়িটার মতো হবে না?

বিপ্লববাবু বলেন, নাও, তাড়াতাড়ি করো, একটা শাড়ি বাছতে এতো সময়!

অনিমাদেবী মুখিয়ে ওঠেন, নিজের মায়ের জন্য ভালো শাড়িটা তো আগেই পছন্দ করে নিয়েছ।

- "তুমি তাহলে এই শাড়িটা তোমার মায়ের জন্যই নিয়ে নাও। আমার মায়ের জন্য যাহোক একটা নিলেই হবে।"

অনিমাদেবী কটমট করে স্বামীর দিকে তাকিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে গেলেন গজগজ করতে করতে।

স্ত্রীকে সামাল দিতে আর লজ্জায় মুখ ঢাকতে উনিও পিছু ধরলেন। মালিক হতবাক, এই রে! সেলের বাজারে এমন ভালো কাস্টমারটা হাতছাড়া হয়ে গেল!