কবিতা

ছিন্নমূল



কেতকী প্রসাদ রায়


মাঝে মাঝে খরবায়ুর মত ঝটিকা সফরে ঘুরে আসি
ধুলো-কাদায় বেড়ে ওঠা আমার জন্মগ্রামে,
বড়শিতে মাছ ধারা পুকুরের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে -
বুকের মধ্যে বেজে ওঠে অতীত আবেগের মুহূর্ত গুলো।
এখনও মরসুমি ফলের বাগানে কৈশোর ছুটে বেড়ায়,
খেলার মাঠ চিত্‍কার করে ডাকে... গোল চাই, গোল।

অথচ দ্যাখো, রক্তের আত্মজন কেমন শীত ঘুমে আচ্ছন্ন;
মায়ের অন্তিম কাজের পর সুতো ছিঁড়ে গেলে -
স্বর্গীয় পিতার উত্তরাধিকার থেকে ছিন্নমূলের মত দেশান্তরে চলে যাই।

রাজসিংহাসনের কাছে আত্মজন বলে কিচ্ছু হয় নাকি!
এখানে আবেগপ্রবণ মূল্যের কোনো দৃষ্টান্ত স্থাপন হয় না;
অথচ ভূমিপুত্রের মাটির টান এ জন্মে ভুলি কি করে!

কখনও কখনও জন্মস্থানের আবেগঘন মাটির টান অনুভব করলে,
শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গপ্রত্যঙ্গে বেজে ওঠে যুদ্ধের দামামা;
আর ঠিক তখনই উৎসের সন্ধানে খনন করি প্রাগৈতিহাসিক হরপ্পা মহেঞ্জোদরো।