একটি বটগাছ, কৈশোর যৌবন পেরিয়ে,
অবশেষে বৃক্ষ।
ডালপালা ছড়িয়ে শিকড় ছড়িয়ে
বিস্তৃত সংসার।
চারিপাশে ঝুরি নামে নতুন গাছের জন্ম,
যেন তপোবন।
পাখপাখালির আনাগোনা, কোটরে কোটরে কাঠবিড়ালির বাসা।
দুরন্ত রোদে পথিকের আরাম,
রাখালিয়া বাঁশির সুর,
পশুপাখিদের বিশ্রামস্থল,
বৃদ্ধগণের বৈকালিক আড্ডা,
কোথাও কোথাও প্রেমিকযুগল,
মহীরুহ হয় বৃক্ষ -
তাকে ঘিরে খেলার মাঠ ফুলের বাগান -
সৌন্দর্যে ভরে ওঠে চারিধার।
সন্ধ্যা নামে একসময়
আঁধার আলোয় লুকোচুরি চলে।
লোভ লালসা বাড়ে দখলদারিও,
কুড়ুলের আঘাত ও চলে লুকিয়ে চুরিয়ে।
মাটি আলগা হয় শিকড় শুকায়,
অকালে বৃদ্ধ হয় মহীরুহ।
এখন আর নিজেকে ধরে রাখার শক্তি নেই।
চোখে জল আসে,
বৃদ্ধ মহীরুহ কাঁদে,
তার শরীরের সমস্ত রস জল হয়ে বেড়িয়ে আসে।
এখন সুনামী কিম্বা ভূমিকম্প - ভেসে যাবে না উপড়ে যাবে বোঝা যায় না।
আশ্চর্যের বিষয় এই যে,
মানুষ তার লোভের কুড়ালে ধার দিয়ে যায় অনবরত।