কবিতা

মহেঞ্জোদারোর নারী



রমেশ কর্মকার


মাঝে মাঝে সবার থেকে দূরে
একটা নির্জন পাহাড়ে আশ্রয় নেই আমি।
সুযোগ পেলে চাঁদের বুকের ওপর হেটে বেড়াই,
আমাবস্যার রাতে।
বেওয়ারিশ কলঙ্ক গুলো সাজিয়ে নেই
আদিম গয়নার মত।
পরিয়ে দেই এক মহেঞ্জোদারো যুবতীকে।
সেই প্রকৃতির মত বিবসনা নারীর পাশে
আমি উন্মুখ বসে থাকি অনন্তকাল।
এরপর জন কোলাহল জেগে উঠলে,
সে নারী মিলিয়ে যায় বাতাসের বুকের দীর্ঘশ্বাসে।

মাঝে মাঝে সবার থেকে দূরে
আমি সাঁতার কাটি পক প্রণালীতে।
সেখানে দু চারটি মাছের সাথে, সাপের সাথে
আমার গল্প হয় ভার্জিন সমাচার নিয়ে। মহেঞ্জোদারোর নারী এসে দাঁড়ায় পাশে,
মুক্তা তুলে আনতে ডুব দেই সমুদ্রের গভীরে।
সে তার কাচুলি উপহার দেয় আমাকে,
তাতে তার বুকের গন্ধ লেগে থাকে।
সে গন্ধে জন্ম জন্মান্তর নিমজ্জিত থাকি।
তৎপরতা ঘিরে ধরলে চারিধার।
সে সমুদ্রের নোনা জলে মিলিয়ে যায়।

মাঝে মাঝে সবার থেকে দূরে
আমি বসে থাকি সিন্ধু নদীর তীরে,
মৃত্যু স্তূপ মহেঞ্জোদার বুকে।
শুনেছি, এইখানে সেই নারী স্নান করেছিল,
কত সহস্র বছর আগে;
নদী ধুয়ে দিয়েছিল তার সমস্ত ক্লেদ।
কিন্তু এখানে আমার কাছে সে আসেনি কখনো,
আসেনি কোনোদিন।