কবিতা

আসক্তিজনিত



চিরঞ্জীব হালদার


নির্জনতম সংকটের চূড়ান্ত সমাধান এক কথায় লিখতে গিয়ে এক আইনজ্ঞ লিখে ফেলবেন আইনধারা ও তার ঝলমলে কালো পোশাক বনাম আত্মহত্যা।

যে লোকটা দূষিত খাদ্য গ্রহণ করেও স্বাস্থ্যবান। যার কোন সঙ্গিনী নেই যে কাউকে বিবমিষা সম্পর্কে দু'চারটে দরদী ভাষণ দিতে পারে। যার বিপরীতে অপেক্ষা করছে ফুলস্টপমন্ডিত রমণী, তাহলে সংকটের মানবিক সমাধানে কামারশালের বৃদ্ধ ও ঈশ্বরীকে ডাকতে পারেন।

তুমি হিজল গাছের কাছে ধার করতে পারো প্রতারণার ভাষ্য। আর অনৈতিক বন্ধুত্বের ভেতর দেখে যাও বৃষ্টিস্নাত শিলং। হয়তো তোমার নির্জন ভদ্রাসনে দাবার ঘুঁটি যাদু মন্ত্র শেখাতে শেখাতে অসফল ঘুম ডেকে আনবে। এই অবিচ্ছিন্ন একঘেয়েমীর নাম দেওয়া যেতে পারে আত্মহত্যা।

আজ সময় দ্বিপ্রহর। কৃপণ অ্যাম্বুলেন্সের উদাসীন চালক এক মনে দেহজ চুলকানি দাবড়ে চলেছে। আর ভাবতে থাকে সুন্দরী প্যাসেঞ্জার কখন অলংকার দোকান থেকে তার নাম ধরে ডেকে উঠবে। এখন দেখে যাও পাঠক রূপ আর অর্থের নিরভিমান বাদরামির ভেতর একটা ডোম কেমন সঙ্গহীন চুল্লির পাহারাদার।