"না!
শুধু কে
বললেই প্রতিধ্বনি হোক
আমি যখন বলবো আমি
তখন আমিই"।
প্রচারময় এ জগতে তাঁর আমি আমিই ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তেমন কেউ শোনেনি। তাঁর নিজের কথায় - শুধু লিখেই আমি তৃপ্ত হই। ব্যবসায়িক হবার স্পৃহা নেই। চান্সও নিইনি কখনো। একবার এক প্রতিষ্ঠান-বিরোধী বাংলা ভাষা আন্দোলনে ঢুকে দেখি, সেখানেও আমি বিকশিত হতে পারবোনা। সরে দাঁড়াতেই বেশ কিছু গল্প লিখে ফেলেছিলাম। প্রচারবিমুখ হলেই দেখি আমি ঠিক থাকি।
ঝাড়খন্ডের বোকারো জেলার অন্তর্গত চন্দনকেয়ারির কবি রীনা ভৌমিক বলেন, হিমালয়ের প্রত্যন্তে বিরল প্রজাতির ফুলেরা যেমন জীবনের কাছে কিছু প্রত্যাশা না রেখেই ফোটে ও ঝরে যায়, কিছু সৃজনশীল মানুষও জীবনের প্রতি তেমন ধৈর্য দেখান আমৃত্যু। তবে তাঁদের কখন বিশ্ব তাঁদের জীবদ্দশায় উচিত মান্যতা পেলে তাঁরা আরো উন্নত লেখা আমাদের উপহার দিতে পারতেন।
এমনই এক বিরল শ্রেণীর গল্পকার ছিলেন সুবল দত্ত। বাংলা সাহিত্যের সুবিশাল পাঠককুলের অনেকেই তাঁর লেখা পড়েননি, কিন্তু পড়েছেন, পড়ছেন ও পড়বেন পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমের ছাত্র-ছাত্রীরা, কেননা সুবল দত্তের তিনটি গল্প গ্রন্থ - 'প্ল্যাগিয়ারিষ্ট', 'প্রদাহবোধ-১১' ও 'দাহ-প্রদাহ' উক্ত পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে - সুবল দত্তের ছোটগল্পে প্রান্তিক চরিত্রগুলির বিষয়ে আলোচনা কর।
হ্যাঁ, ঝাড়খন্ড ও পশ্চিমবঙ্গের প্রান্তিক মানুষদের সংস্কার-কুসংস্কার, সংস্কৃতি, অদ্ভুত পেশা, ওদের জীবনের ওপর শোষণ, ওদের বসবাস জঙ্গল থেকে তাড়িয়ে দিয়ে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া, জীবনযাপনের সরলতা, বননিধন, প্রাকৃতিক খনিজসম্পদের অবাধ লুটপাট ইত্যাদি সুবল দত্তের গল্পের অন্যতম প্রধান বিষয়। এইসব মানুষের প্রাত্যহিক জীবন ও সংগ্রামকে ঐকান্তিক বিশ্বাসের সঙ্গে ছোটগল্পে তুলে ধরেন সুবল। সমাজের বিবর্ণ, বঞ্চিত, অবহেলিত রক্তক্ষরিত, বিধ্বস্ত-বিপর্যস্ত, বিপন্ন মানুষের হাহাকার বারবার ফুটে উঠেছে তাঁর গল্পে। চোখে দেখা অভিজ্ঞতার সঙ্গে তাঁর নিজস্ব জীবনবোধ, ভাবনা, অনুভাবনা, সূক্ষ্ম কল্পনা, ক্ষুদ্র অনুভূতি ইত্যাদি মিশে সৃষ্ট হয়েছে এক অনন্য শিল্প - যা একান্তই সুবলীয়। সেই শিল্পের এক আলতো ছোঁয়া দেবো এবার -
১) মাটির ঘোড়ার নির্মাতা রজনী একটা সাপকে পিষে ধরেছে। ছোবল খাওয়ার পরেও সাপটার মুখ হাতের মুঠোয় ধরে ওটার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে। যেন সাপটা এই সমাজ ব্যবস্থারই প্রতিরূপ যার সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে ভূমিহীন, ব্যাঙ্ক-ডিফল্টার, ঋণের দায়ে জেল খাটা সর্বস্বান্ত রজনী যাকে ক্রমাগত শোষণ করে গ্রামের মুখিয়া, ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, অফিসের ক্লার্ক, বিপিএল কার্ড ইস্যু করা বাবু। গল্পের শেষে হাজার হাজার দলিত মানুষ হাতে কালি মাখিয়ে একটি পড়ে থাকা পাথরে নিস্ফল টিপছাপ রেখে যায়। (বিপিএল)
২) এমন এক গাঁ যেখানে প্রায় প্রতিটি ঘরেই একটা করে পোলিও। অথচ টেম্পোয় মাইক লাগিয়ে দু'কলি গানের ফাঁকে-ফাঁকে সরকারি প্রচার আমাদের দেশ এখন নাকি পোলিও মুক্ত। এমনই হতকুৎসিত দারিদ্র্য এ অঞ্চলে যে পোয়াতি নারী পুরুষটি (ভুকল মাহাতো - ভুকলা) কামনা করে যে তার বউ যেন ছেল্যাই বিয়ায় এবং সে ছেল্যা সুস্থ না হয়ে যেন পোলিওর রুগী হয়, তব্যেই তো সে বিকলাঙ্গ ভাতা পাবে, যেমন পাত্রছে তার আট বছরের বড় বিটা, যার মরদেহ নিয়ে শ্মশানে চলেছে ভুকল; যাবার আগে বিকলাঙ্গ ভাতা ফর্মে মড়া ছেলের টিপছাপ নিতে ভোলেনি। শ্মশানে যখন এক পুত্র প্রসব করে ভুকলের স্ত্রী নবজাত শিশুটির একটি পা দুমড়ে মুচড়ে দেয় তার নিজের বাপ ভবিষ্যতে বিকলাঙ্গ ভাতা পাওয়ার জন্য। (বিকলাঙ্গদের কথা)
তবে সুবল দত্তকে শুধু হাহাকার, দু:স্থতা বা দারিদ্রের গল্পকার বলে দেগে দেওয়া ঠিক হবেনা। তাঁর গল্পে থাকে রহস্য, রোমাঞ্চ, যৌনতা কিন্তু চলতি ধারায় নয়। তাঁর গল্প গ্রন্থে পাওয়া যাবে কল্পবিজ্ঞানও।
সুবল শুধু ছোট গল্পকার নন। তিনি কবি, তিনি ঔপন্যাসিক, তিনি প্রাবন্ধিক। তাঁর 'ট্রান্সফর্মার' উপন্যাসটি বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক ভাবনার এক চমৎকার সংমিশ্রণ। পুরুলিয়ায় জন্ম হলেও তাঁর জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় ঝাড়খন্ডে কাটানোয় এ মাটির প্রতি তাঁর অসীম মায়া। তাই পৃথিবীতে একমাত্র দামোদর নদীর পাড়ে কোনো গুরমা পাহাড়ের বিশেষ এক স্থানে নিউট্রো কণার ঘন বর্ষণ তাঁকে বিমূঢ় করেছে। এই উপন্যাসে ওঁ তত্ত্ব, বিজ্ঞানীর দৃষ্টিতে বেদ বেদান্তের আলোচনা ভারতীয় সাহিত্যে এক অভিনব সংযোজন।
রামপ্রসাদের ভক্তিগীতিতে আশ্চর্যরকম বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি আবিষ্কার করেন প্রাবন্ধিক সুবল। অসাধারণ পরিশ্রম ও নিষ্ঠায় তিনি নির্মাণ করেন 'কাব্যগীতা', শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার বাংলা অনুবাদ। গীতার আঠারোটি অধ্যায়কে এত সরল বাংলা ছন্দে ও গদ্যে উপস্থাপন করেছেন সুবল যা যে কোনো বাঙালি পাঠক অনায়াসে আত্মস্থ করতে পারবেন এই মহান দৰ্শন।
লেখায় যেমন, তেমন রেখায়ও দারুন স্বচ্ছন্দ সুবল দত্ত। তাঁর নিজস্ব ভাবনাকে অজস্র স্কেচে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি যা প্রত্যক্ষ করেছেন তাঁর ফেসবুক বন্ধু ও ঘনিষ্ঠজনেরা। এই ঘনিষ্ঠজনরা আরও দেখেছেন তাঁর ছেনি ও বাটালির সাহায্যে কাঠ বা পাথরের টুকরোকে প্রাণবন্ত করে তোলা, শুনেছেন তাঁর সুরেলা গুনগুনানি। অসুস্থ শরীরেও তিনি হামেশাই মেতে থেকেছেন সৃষ্টির সাধনায়।
সুবল দত্তের জন্ম ১২ জুলাই, ১৯৫৫ পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার মানবাজারে। মধ্যবিত্ত পরিবারে অষ্টম গর্ভের সন্তান। তখনকার দিনে মহিলাদের পড়াশুনোর তেমন চল ছিলনা, কিন্তু সুবলের মা রোহিনীবালা দেবী শিক্ষিত ছিলেন। রামায়ণ, মহাভারত পড়তেন। বিশেষ পটু ছিলেন নানারকম হাতের কাজে। সুবলের বাবা মাখনলাল দত্ত পেশায় ছিলেন সোনার কারিগর। যাত্রাপালায় নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন। ভালোবাসতেন গানবাজনা ও বই। বাংলা ও বিশ্ব সাহিত্যের অনেক ক্ল্যাসিক মজুত ছিল ঘরে। সুতরাং সুবল দত্তের ভিত খুব একটা অনুর্বর ছিলনা। তাঁর শিল্পসত্ত্বার বিস্ফোরণ ঘটতে শুরু করে চাইবাসায়, যেখানে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ফিজিক্স অনার্সের ছাত্র আর সে অঞ্চলের বাঙালি সংস্কৃতির এক চর্চিত নাম। সাহিত্য পোকাটি তখনই কামড়াতে শুরু করে তাঁকে এবং তিনি একটি পত্রিকা প্রকাশ করা মনস্থ করেন। সঙ্গে জুটে যান আরো দুই পাগলা তরুণ - সুব্রত চ্যাটার্জি ও মনোজিৎ চ্যাটার্জি। সে সময়েই চাইবাসায় আসেন সমীর রায়চৌধুরী। তিনিই পত্রিকার নামকরণ করেন 'উইঢিবি'। সম্পাদক - সুবল দত্ত। প্রচ্ছদও তাঁর। উইঢিবির প্রথম প্রকাশ ১৯৭৫-এ। সে সময় জামশেদপুর থেকে লিটল ম্যাগাজিন দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দেওয়া 'কৌরব' বার করছেন কমল চক্রবর্তী। ঐ জামশেদপুর থেকেই 'কালিমাটি' বের করছেন কাজল সেন। নির্মল হালদার ও সৈকত রক্ষিত কাগজ করছেন পুরুলিয়া থেকে। 'উইঢিবি'ও প্রথম সংখ্যা থেকেই সাড়া ফেলল। সে সময়ে সাহিত্যিকদের তীর্থক্ষেত্র চাইবাসা। শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়রা আসেন, 'উইঢিবি'র তরুণ তুর্কিদের সঙ্গে আড্ডা হয়, সন্তোষ কুমার ঘোষ 'উইঢিবি'র প্রশংসা করে সম্পাদককে চিঠি লেখেন।
১৯৭৭-এ স্টেট ব্যাঙ্কে চাকরি পেয়ে ধানবাদ চলে আসেন সুবল। 'উইঢিবি' ভেঙে যায়, কিন্তু সুবল থেমে থাকেননা। ধানবাদ থেকে বার করেন 'বিটুমিনাস'। তা-ও ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু তাঁর কবিতা, গল্প, নাটক, ছবি চলতে থাকে ডায়েরীর পাতায়। ১৯৮৮ নাগাদ অন্যতম স্তম্ভ হয়ে পড়েন ধানবাদের চর্চিত পত্রিকা 'অশ্বমেধ'-এর। এরপর তাঁর বদলি বোকারোয়। সেখানেও তাঁর হাত থেকে বেরোয় 'ঘুণপোকা'। এবং এক সময় সেটাও ছেড়ে দিয়ে নিভৃত এক কলমচাষী হয়ে পড়েন তিনি। চাকরিসূত্রে ঝাড়খন্ড ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত অঞ্চলের মানুষ ও প্রকৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত হতে থাকেন। তাদের ভালবাসেন। তাদের যন্ত্রণার শরিক হন। সেই ভালবাসা ও যন্ত্রণার সঙ্গে তাঁর তীক্ষ্ণ কল্পনা মিশিয়ে বাংলা সাহিত্যকে উপহার দিতে থাকেন একের পর এক অমূল্য সৃষ্টি।
কিন্তু এই সৃজনশীল ও আদ্যন্ত ভালো মানুষটিকে ঈশ্বরও বড় ভালোবেসে ফেলেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে ৩০ জুলাই, ২০২৩ ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালে ঈশ্বরের ডাকে সাড়া দিতেই হয় তাঁকে।
তবে রোগ যন্ত্রণাও তাঁর সৃষ্টিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। রোগশয্যায় শুয়েও তিনি লিখে রাখেন -
"এক অনভিজ্ঞ ট্যুরিস্টের মতো দেখছি অনিন্দ্য স্পট, বিচিত্র সাইট
আকাশে অগুন্তি বিষন্ন ক্যাথিটার থেকে ফোঁটা ফোঁটা ঝরছে জীবন"।
"সেই যে ঘড়িটা আমার অসময়ে মৃত্যু ঘোষণা করেছে,
তার জন্য খুলে দিলাম আকাশের একটি দরোজা"।
"ভেবেছিলাম পাখি তোকে মাথায় করে রাখবো
কতো যে সুর শোনাতিস... কবিতার ভাব দিতিস...
কিন্তু এখন মারক তুই...
কুট কুট আয়ু কেন খাস"?
"আমাকে তোমার প্রয়োজন? লিখে রাখো স্মৃতির খাতায়..."
স্মৃতির খাতায় আপনি চির উজ্জ্বল থাকবেন সুবল দত্ত।
* * *
কাব্য -
● 'মুখোশের চোখের ছেঁদায়'; শহর, ধানবাদ, বইমেলা ২০০৫, ১৮ টাকা।
● 'দাহ্য পৃথিবী'; প্রান্তর, দুর্গাপুর, আগস্ট ২০১৬, ১০০ টাকা।
● 'এক এক মুগ্ধতার ছটা'; ত্রিষ্টুপ, দুর্গাপুর, বৈশাখ ১৪২৭, ১০০ টাকা।
● 'হে মহাজীবন'; ঘুণপোকা, বোকারো।
গল্প সংকলন -
● 'প্ল্যাগিয়ারিস্ট'; প্রান্তর, দুর্গাপুর, জানুয়ারি ২০১৪, ১০০ টাকা।
● 'প্রদাহরোধ ১১'; দুর্বাসা, কলকাতা, রথযাত্রা, ২০১৬, ১৫০ টাকা।
● 'দাহ-প্রদাহ'; স্রোত, ত্রিপুরা, এপ্রিল ২০২২, ২৫০ টাকা।
উপন্যাস -
● 'প্রতিস্রোত'; ডানা, কলকাতা।
● 'ট্রান্সফরমেশন'; বাংলা কবিতা অকাদেমি, কলকাতা, ২০২০, ২০০ টাকা।
প্রবন্ধ -
● 'নিঃসঙ্গতা তার'; ঋতবাক, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৭, ২৫০ টাকা।
অনুবাদ -
● 'কাব্যগীতা'; প্রান্তর, দুর্গাপুর, বৈশাখ ১৪২৩ (২০১৬), ১৫০ টাকা।
পুরস্কার/সম্মান -
● 'কেতাবি প্রকাশনা' থেকে 'ঝুরো গল্পের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার', কলকাতা বইমেলা ২০২৩।
● 'ঋতবাক' কলকাতা থেকে ২০১৮ সালে 'গল্পকার পুরস্কার'।
● বাজকুল মহাবিদ্যালয় মেদিনীপুর থেকে "বহির্বঙ্গে বাংলা সাহিত্য"র উপর আলোচনা সভার বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে সম্মাননা।
● 'মধ্যবলয়' ভিলাই আয়োজিত অনুগল্প প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার বিজয়ী, ২ এপ্রিল, ২০২৩।
● 'বঙ্গভূমি নিউজ' পুরুলিয়া কর্তৃক 'বঙ্গসন্তান সম্মান ২০২২', জুন।
● দুর্গাদাস মিদ্যা সম্পাদিত 'আরাত্রিক' পত্রিকা থেকে 'আরাত্রিক সম্মাননা ২০২৩'।
● বাপী চক্রবর্তী সম্পাদিত কানপুরের 'দূরের খেয়া' পত্রিকা থেকে 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর পুরস্কার (আগামী ডিসেম্বর ২০২৩)।
ঋণস্বীকারঃ
● 'সুবল দত্তঃ দীপ্ত বলয়ের বিভা', সম্পাদনাঃ ড: দীপক কুমার সেন।
● 'প্রকাশনা-শিল্পে অনন্যা', ধানবাদ (ঝাড়খন্ড)।
● 'মুখাবয়ব', আগরতলা (ত্রিপুরা)।
চিত্রঃ লেখকের ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে প্রাপ্ত।