এত খিদে নিয়ে তুমি মলয় বাতাস
রূপকথার বাগানে চলে গেলে বুঝি?
তোমার পায়ের নখ কাটার সঙ্গিনী
সেখানে পাবে কি পাবে না
রবীন্দ্রনাথ তা লিখে যেতে পারেননি।
জীবনানন্দ জানেন না, জানার চেষ্টাও করেননি
রবীন্দ্রনাথের পায়ের নখ
কখনও ওকাম্পো কেটে দিয়েছিলেন কি না।
তোমার শব্দের খিদে নিয়ে আজ কোনও কথা নয়।
নীরবে তোমাকে দেখি স্বর্গের উদ্যানে।
অপ্সরাদের ভিড়ে তুমি ক্ষুধার্ত নখ, জিভ আর দাঁত
বের করে বসে আছ
পরিস্কার করে নিতে। আর, ঈশ্বর তার লাইব্রেরি থেকে
রবীন্দ্র রচনাবলী নামিয়ে পড়ে শোনাচ্ছেন শয়তানকে।
শয়তান তার নখ কাটার লোক খুঁজতে খুঁজতে
অপ্সরাদের অপহরণ করার থ্রিলার লিখে ফেলে।
খিদে আর খিদে নিয়ে কোনও কথা
বাতাসে নেই। মলয় বাতাসে উড়ে বেড়ায়
অপ্সরাদের গায়ের সুগন্ধ আর আমরা
শব্দের ভিতর সেই যৌনতার স্বাদ নিতে ডুব দিই গোপনে।
তোমার শব্দের কোনও আড়াল ছিল না; শুধু নখ
আঁচড়ে, কামড়ে নিজের রক্ত নিজের চোখের সামনে এনে
মজা দেখতে শিখেছিল বহুকষ্টে।