কবিতা

স্মৃতিঘর



অঙ্কিতা ঘোষ


স্কুল লাইফের ছোটাছুটির সময় যে হল শেষ,
মনে হচ্ছে যেন ছেড়ে যাচ্ছি নিজের চেনা দেশ।
কী করে শোধ করব তোমার এত অমূল্য স্মৃতির ঋণ?
সব ছেড়ে করতে হবে এক বিশাল পৃথিবীর সম্মুখীন।
রোজ সকালে দারোয়ানকাকুর ‘গুড মর্নিং’,
আর দশটা-পঁচিশে বাজা বেলের ‘ক্রিং ক্রিং’
আর যে পাব না এইসব কোনদিন শুনতে,
এ কথা চাইছে না যে মন মানতে।
স্যার ম্যাডামদের বকাবকির মাঝে,
লুকিয়ে থাকা স্নেহ খুঁজে পাই ভাঁজে ভাঁজে;
বন্ধুদের মারামারি আর ঝগড়াঝাটির পরে,
একে অপরের প্রতি তারাই আবার অনুরাগে ভরে পরে।
মাস্টারদের থেকে পাওয়া অগণিত সাজা,
এটাই তো হল স্কুল লাইফের মজা।
কোথাও কি পাব এমন মজা খুঁজে আর?
মন করছে এ প্রশ্ন বারবার।
কত যে রয়েছে আমাদের আঁকিবুকি বেঞ্চের ওপর,
ব্রেক টাইমে বসেছে কতই না আড্ডার আসর।
পড়াশোনাকে করে অবহেলা,
মাঠের মধ্যে দৌড়ে যেতাম করতে খেলাধুলা।
কতই না স্মৃতি বানিয়েছি স্কুলের এই পনেরোটা বছরে,
এ স্মৃতিঘর ছেড়ে যাওয়ার বেদনায়, সীমাহীন অশ্রুজল ঝরে।
সবকিছু ছেড়ে যেতে বড় কষ্ট পাচ্ছে এ হৃদয়ে,
না হয় সব স্মৃতিগুলো যত্নে রাখব মোর মণিকোঠায়।

স্কেচঃ ইনস্টিটিউশন, অঙ্কিতা ঘোষ।