কবিতা

একটি ছড়া ও দু'টি কবিতা



চিরঞ্জীব হালদার


(এক)

রাগী ছড়া

মুটি মুটি মুটি
বড় শক্ত খুঁটি
খেতে ভালবাসে
ভাজা সরপুঁটি।

কোলা ব্যাঙ ডাকে
সকাল দুপুর তাকে
কে মেরেছে ঢিলটা
তাহার মধুর চাকে।

বড় রাগী মুটি
খায় দু'খানা রুটি।
রাগ কমাতে যাবে
দাক্ষিণাত্যের উটি।

উটিতে নেই উট
রাগ করে ঝুটমুট।
তাকে দেখলে পাগলেও
লেজ তুলিয়া ছুট।


(দুই)

মহাযান

বৃন্দাবন গাড়ি চালায়।
মহাকাশমুখী।
পিছনের সিটে পাঞ্চাল রাজ্য।
ধর্মরাজ। আত্রেয়ী নদী।
প্রিয় কুকুর।

চালকের আসনে বৃন্দাবন নয়।
তার দেহে অন্য কেহ।
পঞ্চভূত তার পোষাক ও প্রতিলিপি।
তার মহাকাশ ও মগজে আত্রেয়ী ঢুকে পড়া মাত্র
সিগন্যাল ও কাঁটা কম্পাস লাল।
তার গাড়িতে কেন লাল হর্ন নেই।

ব্লু বুক নেই।
পিছনের আসনে বীমার মহাকরনিক
নিদ্রার ভেতর হাতড়াতে থাকে
বৃন্দাবনের আত্মাকে।

পাঠক হ্রদ আর কত দূর।
বৃন্দাবনের বড় জলপিপাসা পেয়েছে।


(তিন)

লিখন সংক্রান্ত

মিথ্যেগুলোকে লিখতে শুরু করলে ভেবে নিন লুনাটিক শিল্পকর্মের আপনি একজন বরিষ্ঠ নাগরিক। হেসে ওঠা অর্ন্তবাস আপনাকে আক্রমণ করতেই পারে। নিরীহ বাঁশঝাড় থেকে নেমে আসতে পারে রূপ বদল করা পেত্নী। আপনার পিছু নিতে পারে কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা জাদুকরী অধর্ষিত ফ্রক।

সুপুরুষ হলেও আত্মপ্রতিকৃতিতে দেখা যাচ্ছে আপনি ষাঁড় অদল বদলের এক নিপুন দালাল। ধুতরো ফুল আপনাকে দেখে চমকে যেতে পারে। আপনি মিলিয়ে নিন আর্নিকা থার্টির শিশিতে পলাশ ফুলের প্ররোচনা অতি সস্তায় হাত বদল হতে পারলেই কেল্লাফতে। ড্রাইভার আর যাই করুন ভুল সিগন্যালে প্রেমিকাকে বলবেনা জল তেষ্টা পেয়েছে।

মিথ্যে ও তার লিখনশৈলী আপনাকে দিয়ে আঙুর ক্ষেতের পাহারাদার হতে বললে আপনি মঙ্গলবারের কাছে এক সজ্জন গোধূলি।

যার একমাত্র কাজ সেমিনারে সেমিনারে আতর বিক্রি করা। অবিকল সান্ধ্যঘন্টা মিথ্যের তাঁবুতে সমীহ কুশলে চাতক চাতক। বলো স্বভাব কোনদিকে যাবে।