কবিতা

ধর্মযুদ্ধ



স্বপ্না সেন


মহাভারতের অষ্টাদশ পর্ব শেষ হতে চলেছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শেষ।
অধর্মকে সরিয়ে ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে - এমনই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মন্ত্র।
তিনিই সারথি, তিনিই অনুঘটক।

পাণ্ডবদের পরিচালনা করেন তিনি, বাসুদেব, সবাই মন্ত্রমুগ্ধ; তিনি দ্রৌপদীর সখা।
হস্তিনাপুরের মহারাণী হবেন কৃষ্ণা।

অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি বসুন্ধরা হল ক্ষত্রিয়শূণ্য।
অসংখ্য রমণী ধর্মঅধর্মের জাঁতাকলে হলেন পতিহারা।
শোক হাহাকার বেদনা বিচ্ছেদে রক্তাক্ত ভারতভূমি।
তারই মাঝে চলে অভিষেক।
পুত্রহারা স্বজনহারা ক্ষত্রিয়হীন হস্তিনাপুর।

তাকে পরিচালনা করার জন্য রাশ ধরলেন হৃতবীর্য প্রৌঢ় পান্ডুপুত্রের দল।

এই কী ধর্মযুদ্ধের স্বরূপ?
এটাই কী কাম্য ছিল শ্রীকৃষ্ণ বাসুদেবের?