আমি নৈঃশব্দকে বলতে চেয়েছিলাম তোমার কথা
সে না বুঝে এঁকে দিল ছায়াপথ
জাগিয়ে তুললো অনন্ত নক্ষত্র বীথি
আকাশের বুকে জ্বলে উঠলো আলো
ভেসে আসলো নগ্ন অন্তর্দগ্ধ এক স্তব্ধতা।
যা ছিল আমার অব্যক্ত,
যা ছিল আমার সঞ্চিত বেদনা
তাদের থামিয়ে দিয়ে আমি চিৎকার করে বললাম
হে অনন্ত নক্ষত্র বীথি তোমরা একটু দাঁড়াও
আমি আগে তাঁর দেখা পাই...
কুয়াশার বৃষ্টিতে স্বপ্নকে পোড়াতে পোড়াতে আমি হেঁটে চললাম তাঁর সন্ধানে
খুঁজতে চাইলাম বিষাদ আর সুন্দরের মধ্যে ফুলিঙ্গের অক্ষর ধ্বনি -
চিনতে চাইলাম নতুন করে ভালবাসাকে
হৃদয় থেকে তখন একটু একটু করে চুঁইয়ে পড়ছে রক্ত নদী
সময় গড়িয়ে পড়ছে ফোঁটা ফোঁটা
সমস্ত দেওয়াল জুড়ে রক্ত পাথর হয়ে জমে আছে - শূন্যতার প্রহরে।
আমি ভাঙতে চাইলাম সেই পাথরের নৈঃশব্দ...
তুমি গোধূলী পেরিয়ে রাতের স্বপ্ন হয়ে উঠে এলে
বললে - আমিই তোমার সেই প্রেমিক
আমিই তোমার সেই চিরন্তন সত্য,
তুমি চোখ খোলো, আত্মদীপ জ্বালাও...
অন্ধকারে জ্বলছো তুমি -
যেন মরুভূমি পেরিয়ে লেলিহান অগ্নিশিখা
কুয়াশায় ঢাকা তোমার মুখ - নতমুখী ব্যথা
অলৌকিক সেতুর মাঝে দুলছে জ্যোৎস্নার আলো
শিশিরে জ্বলছে আগুন সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ছে...
তোমাকে স্পর্শ করবার আগে ভয় কেন জাগে
রাত্রি কেন ছেঁড়ে - তার নাভি
তুমি কি সত্যিই জান
কি ভাবে স্বপ্নের রঙ হয় নীল।
তবে কেন তুমি একা - রাত শেষ
কোন দরজা খুলেছো তুমি আজ
আমি যে খুঁজছি তোমায় বহুদিন বহুরাত
কুয়াশার ভিড়ে আজো কেন তুমি নিথর নিঃস্তব্ধ প্রাণহীন...
স্তব্ধ নৈঃশব্দের চরণে দাঁড়িয়ে তুমি আমার দুয়ারে,
দূরে অনন্তের ছায়াপথ
বিচ্ছেদের অন্ধকার পেরিয়ে আমি যে আজও সুন্দরের প্রতীক্ষায়।
চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।