কবিতা

চারটি কবিতা



চিরঞ্জীব হালদার


(১)

চোখ

চৌকিদারের পোক্ত লাঠি
লাঠি নয় সে নজরকাঠি।

চৌকিদারের হালুম ছানা
বাবু দেখলে আস্ত কানা।

চশমা চৌকিদারের কালো
আগুন জ্বালো আগুন জ্বালো।

ধর্ষকের কাটছে নেশা
চৌকিদারের ঘুমই পেশা।

চৌকিদার চৌকিদার
হিটলারীতে হারবে জার।

এখন তাহার চারটে চোখ
চোখ বুজিয়ে খাচ্ছে কোক।


(২)

রাষ্ট্র

সম্পকের্র ডিস্টোপিয়ার কথা ভাবো।

একটা গাছ নড়ে উঠলে রাষ্ট্র
বিশুদ্ধ অক্সিজেন পায়।
সুলভ কমপ্লেক্সে নোনা জল ভরে উঠলে
রাষ্ট্রিয় ডোম তাকে পরিস্কার করে।
কোথায় যায় সামাজিক সন্তুষ্টির চাঁদ
যখন রাষ্ট্র নাকে সরষের তেল দিয়ে বাঁশি বাজায়।

যুযুধান তুমি ও রাষ্ট্র।
যুযুধান অসাম্য ও ক্ষুধামথিত ক্ষোভ।
তোমার হাত কারা কেটে নিয়ে গেছে
থানেদার জানেনা।
তোমার যোনিতে কারা লাইটার ঢুকিয়ে
ডিসেক্সান টেবিলে রাখে রাষ্ট্র জানেনা।

তুমি বড়জোর কৌতুহলী মোম ঘিরে
কি ভাবে হাততালি দেবে জেনে নাও।


(৩)

রাষ্ট্র এক

কোন রাষ্ট্র তোমার জন্য
কোন রাষ্ট্র মাদী
কোন রাষ্ট্র জন্ম থেকে
শিকলে বাঁধে বাঁদী।

রাষ্ট্র মানে লোচন শর্মা
রাষ্ট্র মানে খিল
তুমি কারো খাদ্য হবে
জুটবে না এক তিল।

তুমি জানো কে শাসক আর
খুল্লাম খুল্লা
চাঁদনী রাতে গর্দান দেয়
সিরাজউদৌলা।

নিমক হারেম কাশেম শেখের
সঙ্গে জগৎ শেঠ
রাষ্ট্রের-মান বিশ্লেষনে
কিঞ্চিৎ হয় লেট।


(৪)

নষ্ট লিমেরিক

।। ক ।।
তুমি নিরো
তুমি দাম্ভিক।
জলহীন নদী
করে চিক্ চিক্।

।। খ ।।
তুমি তন্ত্রের
কতটা জানো।
অস্নানাগার
করবে স্নানও।

।। গ ।।
খোলা নেই।
খেলা বাহান্ন।
তুমি কালিদাস
তুমি কাহ্ন।

।। ঘ ।।
নিচে ভীড়
উপর হাল্কা।
পারিস তো
 দু'পেগ মাল খা।

।। ঙ ।।
ভগ্ন রাজ্য
লগ্ন হীনা।
কোথায় নিরো
দেখি। দেখিনা।