কবিতা

শরৎ এলে



রবিন কুমার দাস


পুজো মানে রোদ, বৃষ্টি সব সরিয়ে রাখা
পুজো মানে শরৎ আকাশ তার গায়েতে আঁকা,
পুজো মানে নতুন খাবার, নিত্যনতুন সাজ
পুজো মানে হইহুল্লোড় ঠাকুর দেখা কাজ।

শরৎ এলেই পুজো আসে, বনে ফোটে কাশ
শরৎ‌ এলেই শিউলি ফোটে গাছেতে একরাশ,
শরৎ এলেই মনের ভেতর বদল ঘটে যায়
শরৎ এলেই মহালয়া সবাই শুনতে চায়।

শরৎ মানে বদল আনে মহোৎসবের টান
শরৎ মানে সবাই শোনে শারদীয়ার গান,
শরৎ মানে ঘাসের ডগায় শিশিরবিন্দু ঝরে
শরৎ মনে তখন আমার মা-কে মনে পড়ে।

শরৎ এলেই ঘরে ছুটি, কাজকে রাখি দূরে
শরৎ এলেই দেখব ঠাকুর চারিধারে ঘুরে,
শরৎ এলেই মান অভিমান সেসব রাখি তুলে
শরৎ এলেই ঢাকের বোলে আজও উঠি দুলে।