কবিতা

অন্ধকারের দাম



অভিজিৎ রায়


আর কত দাম অন্ধকারের দেবে?
এবার না হয় আলোয় ফিরবে, চলো;
দূর থেকে বুঝি প্রতিশোধ তুলে নেবে?
অবুঝ পিতার বোধনের সম্বলও
কেড়ে নিল এই অসময়, তবু চুপ
থাকা মানুষের উৎসব জুড়ে আলো
আমাকে দেখায় অন্ধকারের স্তূপ;
আমি কি এখনও আমাকে বাসব ভালো!

বিস্ময় নিয়ে বিষ পান করে বাঁচি;
মৃত্যুর দিন গোনা শেষ হবে কবে?
এত জঘন্য পৃথিবীতে কেন আছি?
জঞ্জালহীন পৃথিবী কি বাস্তবে
পিতার হাতেই মুখাগ্নি নিতে মরে?
বয়সের কোন বিচারে ধর্ষকাম
শত শত যুগ খুঁজে যাবে অবসরে?
জন্মদাতাকে দিতে হবে কত দাম?

অভয়ার নাম হোক না তিলোত্তমা,
নির্ভয়া হলে কারও কিছু যায় আসে!
তথ্যসমূহ গোপনের দাঁড়ি কমা
অস্বীকার কি হারিয়ে যাবার ত্রাসে?
সন্তানহারা পিতৃপক্ষ জানে
নীরবে নিভৃতে বিচারের বাণী কাঁদে;
হোক কলরব ক্ষোভে আর অভিমানে,
আরাধনা হোক উৎসবহীন স্বাদে।

অন্ধকারের দাম দিতে জানে আলো,
অভয়ার পাশে সর্বজয়াকে জ্বালো।
জ্বেলে রাখো ক্ষোভ, ক্রোধ আর প্রতিবাদ
উন্নয়নের চূড়ার পাশেই খাদ।
মিথ্যের মুখে সত্যের জয়গান
শুনতে শুনতে জীবনের বলিদান
আর কত দেব? প্রশ্ন করতে শেখো
অন্ধকারের যে দাম দিয়েছ, লেখো।