দাক্ষিণাত্যের মহিলারোপ্য নগরের রাজা অমরশক্তির তিন জড়ভরত পুত্রকে নীতিশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পন্ডিত বিষ্ণুশর্মা রচনা করেছিলেন 'পঞ্চতন্ত্র' নামে একটি নীতি শিক্ষামূলক গ্রন্থ। আবার ঈশপের 'ফেবলস্' বা নারায়ণ শর্মার 'হিতোপদেশ'ও নীতি শিক্ষামূলক গ্রন্থ। বাংলায় যাকে বলা হয় 'নীতিকথা', ইংরেজিতে তাকেই বলে 'ফেবলস্'। এই উপকথাগুলিতে উপদেশ বা নীতি সংযুক্ত থাকে, যাকে 'Moral' বলে। এই সকল গ্রন্থ রচনার মূল উদ্দেশ্য হল কৌতুকরস সৃষ্টি করা। কারণ শিশুরা মাত্রই গল্প শুনতে ভালোবাসে। তাছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি নীতিবোধ এবং চরিত্র গঠনেও সহায়তা করে এই সকল নীতিকথামূলক কাহিনীগুলি। এজন্য আধুনিককালে ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে অনেক দেশে 'Moral Education' বা 'নীতিশিক্ষা'-র পাঠ দেওয়া হয়।
এখন আমাদের মনে প্রশ্ন জাগবে 'Moral Education' বা 'নীতিশিক্ষা' আসলে কী? শিশুসহ প্রাপ্তবয়স্ক সকলকেই Moral Education দেওয়া যায়। মূলত তাদের কিছু মানবিক গুণাবলী শেখানো হয়, যেগুলো তাদের নৈতিক আচার-আচরণ পরিবর্তনে সহায়তা করে। আর এই নৈতিক আচার-আচরণের বোধ বা অনুভূতিটাকেই আমরা বলতে পারি 'নৈতিকতা' বা 'Morality'। বাংলাতে 'নীতি' শব্দটা থেকে যেমন 'নৈতিক' শব্দটা এসেছে, তেমনি ইংরেজিতে 'Moral' শব্দটা থেকেই 'Morality' শব্দটার উৎপত্তি হয়েছে। Moral Education-এর 'Moral' শব্দটা নিয়ে তো আমরা জানলাম, এবার আমাদের জানতে হবে 'Education' বা 'শিক্ষা' আসলে কী?
সংস্কৃত 'শাস্' ধাতু থেকে 'শিক্ষা' শব্দটির উৎপত্তি, যার অর্থ হল শাসন করা। আর ইংরেজি 'Education' শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ 'Educare' থেকে, যার অর্থ হর লালন পালন করা বা বের করে আনা। ভেতরের সুপ্ত প্রতিভাগুলি, সমস্ত সম্ভাবনাগুলিকে বাইরে বের করে আনা। এখন অবশ্য শিক্ষা শব্দটিকে ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করা হয়। বলা যেতে পারে তাই-ই শিক্ষা যা আচরণের পরিবর্তন করে। অর্থাৎ এই আচরণ অবশ্যই সদ্ আচরণসমূহ। সৌজন্য, সৎ ব্যবহার, সহনশীলতা, ভালোবাসা, স্নেহশীলতা, সহানুভূতিশীলতা, সহমর্মিতাবোধ, বিবেকবোধ, ইতিবাচক চিন্তন ইত্যাদি। শিক্ষালব্ধ হওয়ার পরও যদি এই আচরণগুলির পরিবর্তন না ঘটে তাহলে তাকে 'সুশিক্ষিত' বলা যাবে না। এম.এ. পাশ করা শিক্ষিত লোক রাস্তায় বেরিয়ে টোটোচালককে ডাকছে - এ্যাই টোটো অমুক জায়গায় যাবে?
আপনি কি বলতে পারবেন উনি সুশিক্ষিত?
আমাকে ভুল বুঝবেন না পাঠক।
যেটা বাস্তব সেটাই বলেছি। টোটোচালক বলে তার কি সম্মান নেই। তিনিও তো কমবেশি শিক্ষিত। তাহলে তাকে 'এ্যাই টোটো' সম্বোধন না করে যদি বলা হত - দাদা বা কাকা অমুক জায়গায় যাবেন? কেমন লাগত শুনতে? কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। তাহলে যে আচরণের পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল তা বাস্তবে হল কি? তাহলে আমরা সুশিক্ষিত হতে পারলাম কই? আমাদের সেই বিদ্যা তাহলে পুঁথিগতই থেকে গেল। বাস্তবে তার প্রকাশ ঘটল না। তাই মনে হয় আজকের শিক্ষিত ব্যক্তিমাত্রেই সুশিক্ষিত নয়। এর একটা কারণ হতে পারে নৈতিক শিক্ষার অবনমন।
'নৈতিকতা' এমন একটি গুণ, যা মানুষ আর পশু উভয়ের মধ্যে তফাৎ সৃষ্টি করে। কারণ মানুষের মধ্যে নৈতিকতাবোধ, বিবেকবোধ ইত্যাদি সুগুণাবলী আছে কিন্তু পশুর মধ্যে তা নেই। বরং তার মধ্যে আছে এক পাশব প্রবৃত্তি। তাই মানুষ যাতে পশুর মত আচরণ না করে, যাতে তার মধ্যে পাশব প্রবৃত্তি না জন্মায়, তার জন্যই ছোটবেলা থেকেই তাকে নীতিশিক্ষার পাঠ দেওয়া জরুরি। নৈতিকতাবোধ সহজাত নয়, বরং তা অর্জিত। পরিবার, সমাজ, বিদ্যালয়, খেলার মাঠ ইত্যাদি প্রথাগত এবং অপ্রথাগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকা নৈতিকতা বোধ তৈরিতে সহায়তা করে। শিশু যখন সংবেদন সঞ্চালনমূলক স্তরে বিরাজ করে তখন তারা আত্মকেন্দ্রিক (Egocentric) হয়, নিজেকে ছাড়া শিশু আর কাউকে বোঝেনা। কিন্তু সে জানে না আত্মকেন্দ্রিকতার দোষটা কোথায়? তারপর শিশু যখন বড় হতে থাকে, আত্মকেন্দ্রিক ভাবটা কেটে যায়। সে বুঝতে শেখে আত্মকেন্দ্রিক হওয়া যাবে না। পরের দুঃখে কাতর হওয়া, নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সততা, সহনশীলতা, মর্যাদা, শ্রদ্ধা, মানবিকতা, অধ্যবসায় - এগুলো শিশু অনুকরণের মাধ্যমেই শেখে, শেখে পরিবারের মাধ্যমে, শেখে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকার কাছ থেকে, শেখে সমাজ থেকে, খেলার মাঠ থেকে। সৎ মানুষ তৈরিতে পরিবারের ভূমিকাটাও অনেকটা বেশি। শিশুর প্রাথমিক পাঠটা তো শিশুকে দেয় তার মা-ই। তাই নৈতিক গুণাবলী শিশু তার পরিবার থেকেই অর্জন করে।
"Home is the first school where the child learns his first lesson. He sees, hears and learns at home. It is home that builds his character. In a good home healthy and honest men are made."
গৃহই শিশুর চরিত্র নির্মাণে সহায়তা করে। তাই শিশু কেমন হবে তার অগ্রিম আভাস পাওয়া যায় তার পরিবারকে দেখে। বাসের বা ট্রেনের সিটে বসে বাবা-মা বই পড়ার নেশায় মশগুল থাকলে তাদের সন্তানটিও নিদেনপক্ষে একটা ছবির বই নিয়েও নাড়াচাড়া করবে এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। আর বাবা-মা যদি মোবাইলে গেমিং বা চ্যাটিং বা YouTube ভিডিওতে ব্যস্ত থাকে, শিশুটি নিশ্চয়ই ছড়ার বই বা গল্পের বই লুফে নেবে না!
তাই কথায় বলে - "উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায়।"
সন্তান কেমন 'মানুষ' হবে তার ছোটবেলাতেই তার আভাস পাওয়া যায়। যেহেতু ছাত্রজীবন ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির পর্যায়, তাই এই সময়েই সন্তানকে উপযুক্ত 'মানুষ' হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। নৈতিক গুণাবলী তার মধ্যে বীজমন্ত্রের মতো ঢুকিয়ে দিতে হবে, যাতে পরবর্তীকালে তা পত্রে-পুষ্পে-সুপক্ব ফলে পরিনত হতে সাহায্য করে।
নৈতিক শিক্ষার উদ্দেশ্য -
শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশঃ
শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নৈতিক শিক্ষাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার স্বাস্থ্য, মন, স্মৃতিশক্তি, কল্পনাশক্তি, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ইত্যাদি তৈরিতে Moral Education বা নীতিশিক্ষা খুবই সহায়ক।
চরিত্র গঠনঃ
নৈতিক শিক্ষা শিশুর চরিত্র গঠনে সাহায্য করে। সহনশীলতা, ঐকান্তিকতা, অধ্যবসায়, শৃঙ্খলাবোধ, সততা, মর্যাদা, শ্রদ্ধা, নিয়মানুবর্তিতা, সময়ানুবর্তিতা, মানবতা ইত্যাদি মানব জীবনের সু-অভ্যাসসমূহ তৈরি করতেও নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজন। এই সকল গুনাবলী শিশুর চরিত্র গঠনে সাহায্য করে। ভবিষ্যৎ জীবনে শিশুর চলার পথ যাতে মসৃণ হয়, সমাজে একজন ভালো আদর্শ 'মানুষ' হিসেবে যেন পরিচিতি পায়, তা গড়ে দেয় এই নৈতিক শিক্ষা।
সহনশীলতাঃ
সহনশীলতা (Tolerance) বা সহ্যশক্তি মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। কিন্তু আজকের শিশু বোধহয় এই সহনশীলতা হারাতে বসেছে। একটুতেই উত্তেজিত হয়ে পড়া, জেদের বশে খারাপ কিছু করে বসা, আত্মহনন ইত্যাদির মতো কাজ হচ্ছে আকছার। অভিভাবক-অভিভাবিকাদের এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তাদের কাজকর্ম, বাচ্চার প্রতি ব্যবহার, আচরণ ইত্যাদির মাধ্যমে এই প্রক্ষোভকে (Emotion) নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
শৃঙ্খলাবোধ, নিয়মানুবর্তিতা ও সময়ানুবর্তিতাঃ
এরপর আসা যাক শৃঙ্খলাবোধ, নিয়মানুবর্তিতা ও সময়ানুবর্তিতা প্রসঙ্গে। খেলার মাঠ ও বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ এই নৈতিক গুণাবলী বিকাশের উপযুক্ত ক্ষেত্র। এই দুই জায়গায় শৃঙ্খলা বজায় রাখা, নিয়মের বাঁধনে থেকে সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করা এগুলি শিশুকে শেখানো বাবা-মার কর্তব্য।
শিশুর যুক্তিশীলতার বিকাশঃ
শিশুর যুক্তিশক্তির বিকাশে নৈতিক শিক্ষাদান খুব জরুরি। কোন কাজটা করা খারাপ, কোনটা করা ভালো শিশু তখনই জানবে, যখন তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশে ভালো কাজগুলির সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং ভালো কাজ করলেই তার পুরস্কার মিলবে। তখন খারাপ কাজগুলির সংখ্যাও কমতে থাকবে। একসময় শিশু Positive Logic খাটিয়ে সমস্ত অবযুক্তিগুলিকে নস্যাৎ করে দিতে পারবে। তার মনে চিন্তা ভাবনার উদয় হবে যে কোন কাজটা করতে হবে আর কোন কাজটা করা যাবে না। এটাই নৈতিকতা। কোনো কাজকে যুক্তি দিয়ে শিশু বিচার করতে তখনই শিখবে যখন তার মধ্যে নৈতিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটবে।
শিশুর সার্বিক বিকাশঃ
নৈতিক শিক্ষা শিশুর সার্বিক বিকাশে সহায়তা করে। শুধুমাত্র পরীক্ষায় ১০০-তে ১০০ পেলেই শিশুর সার্বিক শিক্ষার পূর্ণতা প্রাপ্তি ঘটে না। জ্ঞানমূলক বিকাশের (Cognitive Development) পাশাপাশি তার নৈতিক, মানবিক, শারীরিক, মানসিক, প্রাক্ষোভিক ইত্যাদি গুণাবলীরও বিকাশ ঘটা প্রয়োজন। এগুলির বিকাশ ঘটলেই বলা যায় শিশুর 'Holisic Development' বা 'All Round Development' বা সার্বিক বিকাশ হয়েছে।
NHF মডেলঃ
নৈতিকতা তিনটি জিনিসের সঙ্গে সম্পর্কিত। যথা - স্বভাব (Nature), অভ্যাস (Habit), অনুভূতি (Feeling)। সংক্ষেপে একে 'NHF' বলে। নৈতিকতা শিশুর স্বভাব তৈরি করে, এর ফলে কতগুলি সু-অভ্যাস তৈরি হয় শিশুর মধ্যে। আর নৈতিকতা হল এমন একটা অনুভূতি যা তার মধ্যে পজেটিভ এনার্জির জন্ম দেয়, ভালো-খারাপের বোধ তৈরি করে। এজন্য এটাকে বলা হয় 'NHF মডেল'। তাই শিশুকাল থেকেই শিশুদের নৈতিক শিক্ষার পাঠ দেওয়া জরুরি।
আজ সমাজের রন্ধে রন্ধ্রে দুর্নীতি। অর্থনৈতিক দিক থেকে মানুষ অনেকটাই এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সামাজিক মূল্যবোধ, মানবিকতা ও মানবাধিকারের পতন ঘটছে। এই সম্পর্কগুলির উন্নতি আদৌ ঘটেনি। এখানেও নৈতিক শিক্ষার অভাব পরিলক্ষিত হয়। এখনকার ছেলেমেয়েরা ভালো বই পড়ে না, ভালো সিনেমা দেখে না, গল্পের বই পড়ে না। তবে নীতিশিক্ষার পাঠ নেবে কোথা থেকে? তাছাড়া সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের উদাসীনতা, ব্যস্ততা, অর্থ উপার্জনের ব্যস্ততা নৈতিক অবক্ষয়ের কারণ হতে পারে। একসময় বলা হত - "Spare the rod spoil the child" - কঠোর অনুশাসন-এর মধ্যে না রাখলে তারা পথভ্রষ্ট হয়ে পড়বে। তাই বাবা -মা ছেলে বা মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করে দিয়ে মাস্টারমশাইকে বলতেন - "এই নিন মাস্টারমশাই, আপনার ছাত্রকে তুলে দিলাম আপনার হাতে, তাকে কীভাবে মানুষ করবেন, আপনার ব্যাপার। হাড় আমার, মাস আপনার।" বাবা-মা তো নিশ্চিন্ত হতেন। যা টর্চার চলত তা তো আমাদের উপর। মাস্টারমশাইদের দেখে সকলে ভয়ে কাঁপত। মাস্টারমশাইকে রাস্তা দিয়ে আসতে দেখে যে যেমন পারত ছুটে পালাত। কিন্তু এখন না আছে শাসন, না চোখরাঙানি। শারীরিক নির্যাতন তো দূরের কথা চোখ রাঙানিটাও নাকি অফেন্স। আরটিই বলছে ওটাও এক ধরনের মানসিক টর্চার। কিন্তু এখন কোনো শাসন নেই, বকাঝকা নেই, না আছে গায়ে হাত তোলার অধিকার। এতে নৈতিকতার শিক্ষাটাও কোথাও যেন একটু ঠুনকো হয়ে পড়ছে। তাছাড়া অনেক বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মাঝে ঝগড়াঝাঁটি হয়, এছাড়াও পরিবারের সদস্যদের অসদাচরণ, মিথ্যাচার, দুর্নীতিপরায়নতা, ভারসাম্যহীনতাও শিশুদেরকে বিপথগামী করে তোলে। তাদের নৈতিক অধঃপতন হয়। তাই বলা হয় "আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখাও।" সন্তানকে নীতিশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হলে সর্বপ্রথম পরিবারের সদস্যদের নীতিশিক্ষার পাঠ নিতে হবে।
বড়দের সম্মান করা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি বিনম্র মনোভাব, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা মিশ্রিত ভয়, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সুসম্পর্ক, সহানুভূতি, সমানুভূতি, সহযোগিতাবোধ, নিজের হাতে নিজের কাজ ইত্যাদি বিষয়গুলি যেমন শিশুরা পরিবার থেকে শিখবে, তেমনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকারাও হাতে কলমে নানারকম কাজের মাধ্যমে তাদের শেখাবেন।
পরিশেষে একটা কথাই বলব আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারা যাতে সঠিক নীতিশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একজন পরিপূর্ণ আদর্শ মানুষ হয়ে উঠতে পারে সে দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমাদের।
চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।