কথা হচ্ছিল সুপুরুষ উইলির সঙ্গে। আপাদমস্তক সাহেবি, সুটেড বুটেড ভদ্রলোকের হাতে ধরা অত্যাধুনিক সেলফোন - ঘন ঘন মেসেজ আর ফোনকলে ব্যস্ত। বাম পাশের সঙ্গীটিরও অনুরূপ পোশাক তবে হাবভাবে অপেক্ষাকৃত উদাসীন। সেদিন এই দুই 'রঙিন' ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত বিনম্রভাবে কী সৌজন্যতাই না দেখালেন, সেকথা আজও ভুলতে পারিনি। সে কথায় পরে আসছি।
বঙ্গললনার জীবনে এই প্রথম সাউথ আফ্রিকা ভ্রমণ। সেই কোন কাকডাকা ভোরে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম শহর সানসিটি থেকে জোহানেসবার্গ ঘন্টাখানেক বাসে, তারপর কোনওক্রমে ঢুলতে ঢুলতে জোহানেসবার্গের ট্যাম্বো এয়ারপোর্ট ভায়া কেপটাউনে প্লেনে প্রায় ঘন্টা দুয়েক জার্নির পর পৌঁছতে না পৌঁছতেই হিরের দোকান 'সিম্যানস্কি'তে ঢুঁ মেরে কোনওরকমে ভারতীয় রেস্তোরাঁ 'জুয়েল ইন্ডিয়া'তে লাঞ্চ সেরে অবশেষে গন্তব্য হোটেল কেপসান-এ পৌঁছলাম। তা ভেতো বাঙালির এতো ঝক্কি কী ধাতে সয়! তাই আমাদের নিজস্ব গ্রুপের ছেলে বুড়ো মিলিয়ে আটটি নিরীহ জীব যখন হাঁফাতে হাঁফাতে গন্তব্যে এসে পৌঁছেছি তখন তো প্রায় আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে ওঠার জোগাড়! ওহ হরি এখানে তো মানুষে মানুষে ছয়লাপ, একটাও জায়গা নেই বসবার।ঠিক সেই সময়ে উইলি (পূর্বে উল্লিখিত) ও তাঁর সঙ্গী ভদ্রলোকটি উঠে দাঁড়িয়ে তাঁদের আসনটি ছেড়ে দিলেন। কী অদ্ভুত শিষ্টাচার এঁদের, শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে গেল।
ইতিমধ্যেই চোখ চলে গেছে বিশাল হলঘরটির (পড়ুন রিসেপশন) দিকে। মাথার ওপরে অনবদ্য ঝাড়, রাজকীয় আসবাব, পিয়ানোর টুংটাং আর সদ্য আনা সুস্বাদু ওয়েলকাম ড্রিংকস-এর সহবাসে মনোরম মুহূর্তটি হয়ে উঠল চিরস্মরণীয়।
লক্ষ্য করলাম, ঘটনাস্থলে শ্বেতাঙ্গদের সংখ্যা গুটিকয়েক। কৃষ্ণাঙ্গ উইলির সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে জানতে পারলাম, এঁরা আসলে জংলী আদিবাসী জুলু সম্প্রদায়ের উত্তরপুরুষ। অনাথ উইলির পড়াশোনায় আগ্রহ দেখে আফ্রিকান সরকার তাঁকে পি.এইচ.ডি. করিয়ে উচ্চ শিক্ষার্থে দিল্লি পাঠান।
পরেরদিন আমরা গেলাম 'আফ্রিকান ট্রাইবস এন্ড কালচারাল শো' দেখতে। এখানে দেখলাম গ্রামের আদলে তৈরি করা একটা মিনিয়েচার গ্রামের মধ্যে হরেক কিসিমের উপজাতিদের নানাবিধ কার্যকলাপের নমুনা।
সবসুদ্ধ আটটি ঘর, যেখানে ভেন্ডা, পেডি, বাসোথো, জুলু, নিবেলে, হোসা, সাংগান, সোয়ানা উপজাতিরা সপ্রতিভ ইংরেজি ভাষায় ভ্রমণার্থীদের বুঝিয়ে চলেছে তাদের ভাষাশৈলী, পোশাক আশাক, জীবনযাত্রার ধরণ, সংস্কার সম্পর্কিত নানান অজানা তথ্য। ওঁদের দেওয়া তথ্য থেকেই জানতে পারলাম একদা প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলাও সে সময়ের। বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমবেকিও নাকি হোসা সম্প্রদায়ভুক্ত।
জুলুরা একাধিক বিবাহে অভ্যস্ত এবং বিবাহ ইচ্ছুক পুরুষ রীতিমতো হরণ করে নিয়ে আসে তার দয়িতাকে। সম্মতি না থাকলেও মেয়েদের এই পুরুষ আধিপত্য নাকি স্বীকার করতেই হয়।
আরও জানলাম প্রথম 'গোবর' ব্যবহারের প্রচলন করে সোয়ানা সম্প্রদায়।
নারীবাদীরা আরেকটি তথ্য জানলে খুশি হবেন যে পেডি সম্প্রদায়ের দলনেতা সবসময় একজন নারীই হন। এঁদের গোটা সমাজটাই মহিলা দ্বারা পরিচালিত।
এরকম হরেক তথ্যের ভাব বিনিময়ের শেষে শুরু হলো অপূর্ব দেহভঙ্গিমায় উপজাতিদের সমবেত নাচাগানার অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষে উটপাখির মাংস ও শরবত খাইয়ে অতিথি সৎকার করল তারা। শুধু তাই নয় মহিলাদের হাতে বাঁধলো কাঠ ও পুঁতির রিস্টব্যান্ড ও পুরুষরা উপহারস্বরূপ পেল চাবির রিং।
সানসিটি থেকে আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো 'পিলনেসবার্গ রিসার্ভ ফরেস্ট'। আমরা ছিলাম ওরই কাছাকাছি প্রিমন্ট হোটেলে।
এমনিতেই এ দেশে সূর্য ওঠে সকাল সাড়ে সাতটার পর, আমরা আর একটু বেলায় ৯টা নাগাদ রওনা দিলাম জঙ্গলের উদ্দেশ্যে।
'বিগ ফাইভ' অর্থাৎ সিংহ, চিতা, হাতি, সাদা ও কালো রাইনো, বাফেলো-কে স্বচক্ষে দেখাই ছিল উদ্দেশ্য। পাঁচটির মধ্যে দুটির দেখা মিলল সেদিন, অ্যান্টিলোপ, বুনো শুয়োর, বুনো হাঁস, জেব্রাও দেখলাম। ডোরাকাটা জেব্রার সারিগুলি দেখে কখনও কখনও আমাদের র্যাম্পেহাঁটা জিরো ফিগারের সপ্রতিভ সুন্দরীদের কথা মনে পড়ছিল। আর বিগ ফাইভের অন্যতম সিংহদুটির শিষ্টাচারিতার তো কোনও তুলনাই নেই।
সবেমাত্র বাইসনটিকে মেরে বেচারীরা খাওয়ার তোড়জোড় করছিল, এমন সময় মগজধারী মানুষের দল কী যেন এক যন্ত্রযানে চেপে এই মুহূর্তটা ক্যামেরাবন্দী করার জন্য এমন আদেখলেপনা শুরু করে দিল যে বেচারীদের ভোজ নিমেষে চৌপাট। মনে মনে ভাবছিলাম, এমন দুর্গতি যদি একজন মানুষের ক্ষেত্রেও হতো তাহলে কিই না হতো। কিন্তু জীবকুল তুলনায় অনেকই সভ্য। তারা বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ না করে ধীরেসুস্থে ঘটনাস্থল থেকে বিদায় নিল। এ এক শিক্ষণীয় বিষয় বটে।
এ দেশে এসে আরেকটি অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার না করে পারছি না, তা হলো 'ক্রোকোডাইল স্যাংচুয়ারি' পরিদর্শন। মাত্র ফুটখানেক নিচে পায়ের তলায় জলাশয় সেখানে প্রায় লক্ষাধিক কুমিরদের বসতি। কখনও তারা শিকারের উদ্দেশ্যে তৎপর, কেউ বা সিমেন্ট বাঁধানো বেদির ওপর শুয়ে অবসরে সানবাথ নিচ্ছে।
এরপরে গেলাম আটলান্টিকের ধারে ঘর বাঁধা পেঙ্গুইনদের পরিবারগুলি প্রত্যক্ষ করতে। সেখানেও জীবজগতের একরকম সিনসিয়ারিটি নজর কাড়ল। ভ্রমণার্থীদের যাবতীয় 'অসভ্যতা' অগ্রাহ্য করে কিই না অসম্ভব ম্যাচিওরড বুদ্ধিমত্তায় তারা যে যার আপন কাজে তখন মনোনিবেশ করতেই ব্যস্ত। বুঝলাম মানব সভ্যতায় এরই অপর নাম 'জাস্ট ইগনোর' করা।
এই দিনটাই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা বেড়াতে যাওয়ার শেষ দিন। অস্তায়মান সূর্যের লাল হলুদ আভায় যেন পেঙ্গুইন নয়, মিলিটারি প্যারেড করছে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পরা কিছু মানুষ, এমনই মালুম হয়।
এর আগে যতবার বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলাম সেখানে বাধ্যতামূলকভাবে সময় বা ঘড়ি আমাদের কন্ট্রোল করত। কিন্তু এটুকু বলতে পারি সাউথ আফ্রিকা ভ্রমণ যথেষ্ট রিল্যাক্সিং ও আরামপ্রদ।
ট্যুর কোম্পানি থেকে আয়োজিত মোট নয় দিনের এই ভ্রমণের খরচ মাথাপিছু আনুমানিক এক লাখের কিছু বেশি। এই খরচের মধ্যেই ধরা আছে যথাক্রমে জোহানেসবার্গ, সানসিটি ও কেপটাউনের বেশ কিছু দ্রষ্টব্য স্থান। যেমন - জোহানেসবার্গে 'গোল্ড রিফ সিটি', সানসিটিতে 'পিলানেসবার্গ জঙ্গল', কেপটাউনে 'সিল আইল্যান্ড', যেখানে গ্লাস বোটে করে মাঝসমুদ্রে সিলমাছ দেখানো হয়। এছাড়া কেবল কারে করে কেপ পয়েন্টে 'টেবিল মাউন্টেন' দেখানো হয়, যেখানে ভারত মহাসাগর ও আটলান্টিক একত্রে মিশেছে, পোশাকি নাম 'উত্তমাশা অন্তরীপ' বা 'কেপ অফ দ্য গুড হোপ'।
এরই সঙ্গে সঙ্গে সিটি ট্যুর, কেপটাউন মিউজিয়াম, কোম্পানির বাগান, কির্সটেনসবন্স ন্যাশনাল বোটানিক্যাল গার্ডেন এগুলিও আপনার নির্ধারিত দ্রষ্টব্য স্থানের মধ্যে পড়ে। সারি সারি জ্যাকারান্ডা গাছের মাঝখানে প্রিটোরিয়ায় যাওয়া... এও এক বাড়তি আকর্ষণ। তবে বাড়তি খরচ হিসেবে সানসিটিতে 'ক্রোকোডাইল স্যাংচুয়ারি', 'ভিলেজ এন্ড ট্রাইবাল শো' (যেগুলির সম্পর্কে আগেই বলেছি) সেগুলি আপনি পকেট খরচ করে অবশ্যই দেখতে পারেন। এছাড়া আপনি চাইলে ইচ্ছেমতো গ্লাইডিং, প্রিমন্ট হোটেল সংলগ্ন অ্যাকোয়াটিকায় বোট রাইডিং, হর্স রাইডিং, এলিফ্যান্ট রাইডিং-এর মতো অ্যাডভেঞ্চারও করতে পারেন।
কেপটাউন ছাড়া দুটি জায়গার হোটেল সংলগ্ন দুটি শপিং মল আছে। যেমন - জোহানেসবার্গে মন্ডিওর হোটেলের লাগোয়া শপিং মলটির নাম 'এম্পায়ারস প্যালেস'। অনেকটাই লাস ভেগাসের 'সিজার্স প্যালেস'-এর আদলে তৈরি এই মিনিয়েচার মলটি। লাস ভেগাসের মতোই এখানেও যেন ফুর্তির ছড়াছড়ি। বিশেষত জুয়ার বেশ রমরমা বাজার।
দক্ষিণ আফ্রিকার সহজ সরল জীবনযাত্রার পাশাপাশি এই নগরকেন্দ্রিক যান্ত্রিক উল্লাস ও অত্যাধুনিকতার চতুর দৌরাত্ম্য আমাদের চোখ ও মনকে বিন্দুমাত্র স্বস্তি তো দেয়ই না, পরিবর্তে মন বুঝি বলে ওঠে, হে দক্ষিণ আফ্রিকাবাসী, নিজের কৃষ্টিকে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করবার তাগিদে আদৌ কী এসব কৃত্রিমতার প্রয়োজন ছিল?
ফিরে আসি কিছু কেনাকাটির কথায়। জোহানেসবার্গ থেকে রাজধানী প্রিটোরিয়ায় যাবার সময় 'Cambanoes and Son Curio Shop' পড়ে। সকলকে বলি, এই দোকানে অন্তত একবার ঢুঁ দিয়ে যান। পেতে পারেন পেনস্ট্যান্ড, চাবির রিং থেকে শুরু করে শো পিস, পাথরের গয়নাগাটি, পুতুল, হাতির দাঁতের ছিপি লাগানো পারফিউম, উটপাখির চামড়ার তৈরি ব্যাগ, বেল্ট, বই ইত্যাদি ইত্যাদি।
সবশেষে আসি জোহানেসবার্গের 'গোল্ড রিফ সিটি' প্রসঙ্গে। এ অঞ্চলে মূলত কৃষ্ণাঙ্গদের বাস। এখানে বর্ণবৈষম্যের চিরাচরিত ইতিহাস ভেঙেচুরে ম্যান্ডেলার কণ্ঠ যেন এখনও আকাশে বাতাসে উড়ে উড়ে বেড়ায়।
অত্যন্ত সংকীর্ণ, এক মানুষ উঁচু এই খনিগুহার মাত্র ওপরতলাটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ভেতরটা ঠান্ডা ও অস্বাভাবিক স্যাঁতসেতে। মাথায় হলুদ লোহার টুপি ও হাতে টর্চ নেওয়া মাস্ট।
কথা প্রসঙ্গে গাইড সাহেব বললেন, সোনার উৎস এই কঠিন পাথরটি মাত্র এক মিটার খানেক গর্ত করতেই নাকি লেগে যায় পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা। এছাড়া একটন কঠিন পাথর থেকে বেরোয় চারগ্রাম সোনা। এরপর সোনার মন্ডটি গলানো, তাকে শক্তপোক্ত করে পাতে পরিণত করার অস্বাভাবিক শ্রম তো আছেই।
মনে একটা প্রশ্ন এলো, এই শ্রমিকদের শ্রমমূল্য কত? এঁরা কী আদৌ সচ্ছল?
ভারতবাসী আমরা। অর্থবণ্টনে আমদের দেশ পক্ষপাতদুষ্ট। আমাদের মনে এ প্রশ্নের উদয় হয়তো স্বাভাবিক। কিন্তু...
সেই কিন্তুতেই ভাবনাটা আটকে গেল যখন শুনলাম ম্যান্ডেলা, এমবেকি বা উইলি... উপজাতি সম্প্রদায় হলেও তাঁরা সমাজ বা ব্যক্তিজীবনে যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত। এছাড়া ভারতের মতো এখানে রাস্তায় বসে থাকা ভিখারী বা হকার নেই। রাস্তাঘাট পরিষ্কার, বসবাসযোগ্য বাড়িঘর দেখে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান বোঝা যায় যথেষ্ট উন্নত।এসবই তো একটা দেশের জন্য বিদেশীদের মনে সদর্থক ভাবনার উন্মেষ ঘটায়।
'সকার স্টেডিয়াম'টি এই ভাবনাকেই বুঝি সত্যি রূপ দিল। জোহানেসবার্গের অদূরে অবস্থিত এই বিশাল স্টেডিয়ামটি সত্যিই অসাধারণ। সময়াভাবে অনেকটা সময় এখানে কাটানো সম্ভব হলো না। কিন্তু দূর থেকে এর স্থপতিকে নমস্কার না করে পারলাম না।
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ 'আফ্রিকা' কথাটি এসেছে 'Aprica' কথাটি থেকে, যার অর্থ রৌদ্রকরোজ্জ্বল। রোদ এখানে প্রখর কিন্তু মে মাস নাগাদ শীত পড়তে শুরু করে। এই সময় থেকে মোটামুটি সেপ্টেম্বর-অক্টোবর অবধি ভ্রমণ এখানে সুখকর।
হালকা শীতের পোশাক আশাক নিয়ে যাওয়া জরুরি। দামি পাথর বা সোনা হিরের গয়নাগাটি ভালো দোকান থেকেই কিনতে হবে নইলে ঠকবার প্রভূত সম্ভাবনা আছে।
যে কোনও জিনিস কিনলেই তার ভ্যাট (VAT)-টি এয়ারপোর্টে ফেরত পাবেন তাই জিনিসের বিলটি স্বদেশে ফেরত আসার সময় সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না।
কিভাবে যাবেনঃ কলকাতা থেকে মুম্বাই তিন ঘন্টার মতো, তারপর মুম্বাই থেকে জোহানেসবার্গ যেতে ঘন্টা পাঁচেক সময় লাগবে।
সফর শেষে কেপটাউন থেকে আবার জোহানেসবার্গ-এ ফিরে যেতে হবে। বাই এয়ার সময় লাগবে ঘন্টা দুই। তারপর জোহানেসবার্গ থেকে মুম্বাই ও মুম্বাই থেকে কলকাতা। কলকাতায় এসে আফ্রিকান Randগুলি ভাঙানো ভালো। আমাদের সাত টাকার সমান ওদের এক Rand। এদেশে আফ্রিকার Rand-এর চাহিদা যথেষ্ট।
আলোকচিত্রঃ লেখিকার কাছ থেকে প্রাপ্ত।