রোদেলা দুপুরে গান বেঁধেছি
মেঘলা সাঁঝেতে ভরেছি সুর
হারাবার তানে মত্ত হয়েছি
বেড়িকে করেছি অনেক দূর।
বৈশাখী তাপ গিলেছে দেহ
ঝড়ের রুদ্রে শীতল আশ
রাগ রাগিনীর প্রহর জুড়ায়
নিভৃত হৃদয়ে বারোটা মাস।
জৈষ্ঠী গরমে সোঁদা গন্ধের
অছিলা হোক কেদার রাগে
প্রভাতী উষ্মা অরুন্ধুতী
অনুভূতিরা হৃদয়ে জাগে।
রাত্রি নিশীথে জোছনা আবেশে
বৃষ্টি বিহীন ভিজেছে মন
পাই নি তবুও পরিচিত হতে
হারিয়ে গেছি আমি যোজন।
পূরবী মাড়োয়া বিলাবল সাধি
ঋতুরা তবু অনাড়ম্বর
কোলাহল তবু আলাপ মানে না
বাইরে ভীষণ উচ্চস্বর!
ইমনে বেহাগে চলতে চলতে
কত শীত এসে গেছেও চলে
মাটির লবণ দুরন্ত তাপে
ভূমির বুকেতে পুড়েছে জ্বলে।
গোধূলির আলো যখনই দেখেছি
শব্দ খুঁজেছি সাজাবো বলে
টোড়ি কিমবা দুর্গা রাগের
চলনে রাগ গেছেই গলে।
আমাকে যখন খুঁজতে চেয়েছি
প্রভাতের সুর প্রহরে বাঁধে
সপ্তসুরে ওঠা-পড়া রাগ
কখনো চড়ায়, কখনো খাদে।
মন কথা দিয়ে যে গান সাজে
মানে না ঋতুর প্রকার ভেদ
খেদকে সব হাওয়াতে উড়িয়ে
ভালো থাকাটাই আমার জেদ।