কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, ঢাকা।
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি এক স্মৃতি শপথের গৌরব।
মাতৃভূমির জন্য প্রাণ বিসর্জন বিশ্বে বিরল নয়, কিন্তু মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দান ইতিহাসে তৃতীয় রহিত।
১৯৫২'র ২১শে ফেব্রুয়ারি আর ১৯৬১'র ১৯শে মে দু'বার ঘটেছে এমন আত্মদান। বাহান্নতে পূর্ব পাকিস্তানের, বর্তমানে বাংলাদেশের ঢাকায় আর অন্যটি ১৯৬১তে অসমের শিলচরে, যা পৃথিবীর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, গান্ধীবাগ, শিলচর।
ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দিয়েছে।
আমাদের মাতৃভাষা আমাদের ভাষা জননী। আমার মা, আমার ধাত্রী, জননী আমার, আমার দেশ। বাঙালি হিসেবে, বাংলাভাষী হিসেবে আজ আমরা যে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছি, কোন অবস্থায় তার অমর্যাদা হতে দেব না। আমৃত্যু ভাষা সরস্বতীর সাধনায় ব্যাপৃত থাকব। আমাদের কন্ঠ অবিরত গেয়ে উঠবে,
"আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি?"
১৯৫২ সালে ঢাকার ২১শে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনের শহীদেরা হলেন রফিক, জব্বার, শফিউর, সালাম ও বরকত। এঁদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা প্রাঙ্গণে নির্মিত হয় শহীদ মিনার। তেমনই ১৯৬১ সালের ১৯শে মে শিলচরের ভাষা আন্দোলনের ১১ জন শহীদেরা ছিলেন কমলা, তরণী, কানাইলাল, শচীন্দ্র, বীরেন্দ্র, সুনীল, কুমুদরঞ্জন, সত্যেন্দ্র, হিতেশ, চন্ডীচরণ ও সুকোমল। এঁদের স্মরণে শিলচর শহরের গান্ধীবাগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে।
তাই উচ্চকণ্ঠে বারবার বলতে চাই,
"শহীদের রক্ত
হবেনাকো ব্যর্থ;
শহীদের রক্ত
হয়নিকো ব্যর্থ।"
চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।