বিবিধ

কেকের ইতিকথা



শিখা কুমার


কেক সম্বন্ধে কিছু কথা বলতে এই লেখা। হঠাৎ মাথায় এলো, কারন কেক এখন বাঙালির জন্মদিনের অপরিহার্য অঙ্গ। তাছাড়াও শীতকালে কেক খায়না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। বাংলার পিঠে-পুলিকে পিছনে ফেলে কেক এখন অনেক এগিয়ে। অবশ্য কেক ছাড়াও অনেক বিদেশী খাবার আমাদের খাবার ঘরে জায়গা করে নিয়েছে। কেক এখন আমাদের নানা অনুষ্ঠানের প্রধান অঙ্গ। আর বড়দিন মানেই তো কেক।

ব্রিটিশদের হাত ধরেই কেক ঢুকে পড়েছে আমাদের দেশে। তবে স্কটল্যান্ডকে কেকের দেশ হিসাবে মানা হয়। পুরোনো দিনে ওটমিলের কেকের জন্য বিখ্যাত ছিল স্কটল্যান্ড। শুধুমাএ এই দেশেই তখন ওটমিল দিয়ে কেক বেক করা হত। তার কারণ স্কটল্যান্ডের সবচেয়ে বিখ্যাত ফসল ছিল ওটস।

গ্ৰীকরা ডিম, দুধ, ময়দা, বাদাম ও মধু সহযোগে সাতুরা নামে কেক তৈরি করতো।

প্রাচীন মিশরীয়রাই প্রথম উন্নত মানের বেকিং পদ্ধতি শুরু করে। পুরাতন নর্স শব্দ কাকা থেকেই কেক নামের উৎপত্তি। মধ্যযুগে ইউরোপের বেকাররা ফ্রুটকেক ও জিঞ্জারব্রেড তৈরি করতেন। কেক নিয়ে অনেক কথাই হলো, এটা তৈরির একটা সহজ পদ্ধতি দেব না, তা হয়না। এই কেকটা বিস্কুট দিয়ে তৈরি তাই নাম দিয়েছি বিস্ককেক।

রেসিপিঃ

বিস্ককেক

উপকরণঃ

● দশ টাকার ৪টে 'ওরিও' চকোলেট বিস্কুটের প্যাকেট
● ১ চামচ বেকিং পাউডার
● ১ কাপ দুধ
● ২ টেবিল চামচ চিনি
● ২ চা চামচ মাখন
● সাজানোর জন্য কাঠবাদাম, কাজু, চেরি, কিসমিস ইত্যাদি।

প্রণালীঃ

প্রথমে পুরো বিস্কিট গুঁড়ো করে, বেকিং পাউডার ও চিনি দিয়ে আবার গুঁড়ো করতে হবে এবার দুধ ও মাখন মিশিয়ে ঘন ব্যাটার তৈরি করতে হবে। এবার ওভেন প্রুফ বাটিতে একটু সাদা তেল বা মাখন লাগিয়ে পুরো ব্যাটার ঢেলে পাঁচ মিনিট মাইক্রোওয়েভে বেক করে ভিতরে রাখতে হবে। একটু ঠান্ডা করে নিলেই কেক তৈরি। এবার নিজের মতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।