আরশোলা দেখলে আমি ভয় পাই।
ভয়ে ভয়ে চারদিকে তাকাই।
মিনিও সাবধান করে যায়
সেও যে আমার মত আরশোলাকে ভয় পায়।
আগে ওদের খুঁজে পেতাম শুধুই অন্ধকারের কোনায় কোনায়।
ঘাসে, মাঠে, সাহিত্য আসরে কিংবা বিবাহ বাসরে নয়
ওরা সার্কাস দেখতে যেত না কিংবা অ্যামিউজমেন্ট পার্কে
এখন ওরা হাইড্রেন্ট থেকে স্পেস স্টেশন পর্যন্ত দখল নিচ্ছে।
প্রাগৈতিহাসিক কয়লা খনির গভীর থেকে, নিশীতে হেঁটে দখল নেয়,
পঞ্চায়েত থেকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দপ্তর,
সব সব,
তারপর নিশ্চিন্তে ছড়িয়ে দেয় দুর্গন্ধ আর বিষ্ঠা।
যা কোন আপাত মেরুদন্ডীর পক্ষে সম্ভব না।
মিনি একমাত্র মেরুদন্ডী যে সব খবর রাখে,
প্রতিদিন সকালে আমাকে কাগজের হেডিং দেখিয়ে যায়,
কিভাবে ওরা কাপড় খুলে, ঘৃণা, ভয় ভুলে
একটু একটু করে গোটা পৃথিবীর দখল নিচ্ছে।
একদিন রাতের অন্ধকারে স্বপ্ন দেখি,
মেরুদন্ড খুলে টেবিলের নিচে অন্ধকারে লুকিয়ে রেখে,
আড়মোরা ভেঙে নিজেকে ভারমুক্ত ভাবছি।
হঠাৎ কোথা থেকে এক ঝাঁক আরশোলা এসে
মেরুদন্ডটাকে অবলীলায় তুলে নিয়ে গেল
এক বৈধ পতিতালয়ের পূজা বেদির দিকে।
সেখানে আমার মেরুদন্ডে এখন ছত্রাক গজিয়ে উঠছে।
অন্যদিকে...
ধীরে ধীরে আমার এক জোড়া বাদামি পাখনা গজিয়ে উঠছে,
যার নিচে থরে থরে সাজিয়ে রেখেছি চক্রান্তের ধারালো ছোরা।
আমার রং ঢঙ চলন বলন সবকিছু পাল্টে গিয়ে,
আমিও ধীরে ধীরে পুতি গন্ধ আরশোলা হয়ে উঠছি।
মেরুদণ্ডহীন আরশোলা।
এখন হয়তো তুমিও আমাকেও ভয় পাবে।