কবিতা

অলৌকিক



অচিন্ত্য সাহা


কুয়াশা জড়ানো প্রভাত সূর্য
মিশে গেছে অজানায়,
সূর্যকে ঢাকে যে মহাপ্রলয়
তাকে দেখে নিতে চায়।
সেই মহাবল আনো নিজ বুকে
নয় সে অলৌকিক,
তাকে ধরে রাখো অন্তর মাঝে
রাখতে জগৎ ঠিক।
অস্ত্র শস্ত্র সান্ত্রী যন্ত্রী
যতই আসুক কাছে,
সেই মহাবল বাঁচাবে তোমায়
যা তোমাতেই আছে।
অলৌকিকের বিশ্বাস নিয়ে
যদি তুমি শুধু বাঁচো,
জীবনটা শুধু হবে পয়মাল
শূন্যেতে তুমি আছো।
কুয়াশার বুকে নিজে ডুবে গিয়ে
যদি পেতে চাও ভাষা,
জানবে তখন জগতে তোমার
বৃথাই কেবল আসা।
কুয়াশার বাণী বশ করে যদি
পথ খুঁজে নিতে পারো,
মহাপ্রলয়ের সঙ্গী তখন
সঙ্গে পাবেই আরও।
মনটাকে বেধে সোজা পথ ধরে
চলবে যখন ঠিক,
বুঝবে তখন মানুষের বল
নয়তো অলৌকিক।
তাবিজ কবচ গলায় জড়িয়ে
যদি ভজ রাম নাম,
তেলপড়া আর জলপড়া দিয়ে
পোরে না মনস্কাম।
আপন লড়াই সকলেরে নিয়ে
লড়বে যখন ঠিক,
ঘুচে যাবে সব ব্যথা ও অসুখ
নয়তো অলৌকিক।
প্রভাত সূর্য উঠবে আকাশে
কুয়াশার বুক চিরে,
রঙিন আলোয় আলোকিত হয়ে
ফিরে যাবে নিজ নীড়ে।
অলৌকিকের বাঁধ কেটে দিয়ে
মাদুলিকে ফেলে জলে,
রাম রহিমেরে বৃথা ডেকে এনে
কী এমন ফল ফলে?
প্রশ্নের পরে প্রশ্ন করবে
যেটা মনে হবে ঠিক,
যুক্তির পরে যুক্তি সাজাবে
হবে না অলৌকিক।