"প্রাণ ভরিয়ে,
তৃষা হরিয়ে",
যে অনন্ত
আনন্দ-উৎসার,
নয়ন মেলিয়া
দেখো আজ,
সে মাধুরীর
অশেষ সম্ভার!
তোমার মালঞ্চে আজ,
শাখে শাখে গাহে পাখী,
বহে মৃদুমন্দ দখিনা বাতাস,
অন্তরে বাহিরে তার
স্নিগ্ধ পরশে আজ
এ মন উদাস!
ফোটা, আধফোটা
ফুলে ফুলে ঢাকা,
এ মালঞ্চ যেন এক
নন্দনকানন,
সৃষ্টির রহস্য এ কি?
অফুরান সুন্দরের
অপরূপ আবাহন!
নিবিড় শ্যামল-ঘন
অটবীর গভীর ভাষায়,
এ পৃথ্বীর বাণী যেন
সুপ্ত থেকে যায়!
মহীরূহ উচ্চশির,
সদম্ভে সে চায় যেন
গগনেরে ছুঁতে,
স্তব্ধ ধরা চেয়ে রয়,
এ রহস্য
পারে না বুঝিতে।
সাগরের উত্তাল তরঙ্গ,
উদ্দাম, দুর্মদ,
দুগ্ধশুভ্র, সফেন,
শত রঙ্গভঙ্গে,
নৃত্যতালে,
উচ্ছল, উন্মাদ -
যেন বয়ে আনে
প্রলয়ের বাণী,
ভীষণ সৌন্দর্য্যমাঝে,
সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের
ধ্বনি!
এমনই অনন্ত
আনন্দধারা
বহে নিরন্তর -
সুখ-দুঃখ-বিষাদ-বেদনা
মাঝে,
মৃত্যুরে তুচ্ছ করি
যেথা অসীম, অনন্ত,
অমর্ত্ত্য রাজে।
চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।