ভুলে যাচ্ছি ক্রমশ প্রত্যেকের ব্যক্তিগত সীমানা
কৌণিক বা ভৌগলিক কিছু দুরত্বে
একসময় পৃথক দরোজার গৃহস্থ নামকরণ করেছিল।
জানালার পর্দা বা জলাধার উপচে জল
পায়ের অভ্যস্ত ছাপ অথবা নারকেল ঝাঁটার কোরা দাগ,
সুবাস নয়, কোনো রান্নার বাসও ছিলনা, সাহসী বেড়া টপকাতে
চৌকাঠের বাইরে আসেনি কেউ।
কাছাকাছি থেকে বহুদূরের কিছু ভাববার অভ্যাস কেটে গেছে
গলা শুনে বা হাঁটা চলা দেখে কাউকেই আর চেনা যায় না,
মিছিলে হাঁটলে পা মেলেনা, শ্লোগান থেকে শব্দগুলো রাস্তায় মরতে মরতে বাঁচে
ইমারতগুলো দাঁড়িয়ে থাকে লম্বমান।
মহল্লার দেওয়ালগুলোর কেমন যেন নিকট আত্মীয়তা,
তাদের মধ্যেকার আবহাওয়ার আদানপ্রদান
সমান্তরাল আয়োজনে নিরালা কথোপকথন
যেন অষ্টাদশ শতাব্দীর যৌথ পরিবার।
দেওয়ালে গায়ের রং এতটুকু চটে গেলে প্রথমে তো একে অপরকেই দেখায়
প্রতিটি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস পুরবাসীদের শাড়ি জামা শরীর ছাড়িয়ে
মিশে যায় অনিশ্চিত এক বিএইচকে'তে।
এরকম প্রতিটি চৌখুপি
একা এক নিউক্লিয়াস, একা একা সব জানালায় সাদা
রক্তহীন নর ও নারী
ক্যালেন্ডারের পাতা পাল্টায়
দরোজার তালা চাবি
অন্তর্বাস ও
চশমার কাঁচ
মিলে মিশে চলতে থাকে আড়ম্বরে আহ্নিক যাপন।
চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।