কবিতা

জ্যোৎস্নার রঙ



অচিন্ত্য সাহা


আমার কাছে নেই তোর রঙ
নেই কোনো উত্তাপ,
বৃথা প্রেম নিয়ে শোক কেন তোর
প্রেম করাটাই পাপ।
অবয়বহীন বক্ররেখা
যৌবন গেছে চলে,
সন্তান সব জঠর জ্বালায়
খাবারের কথা বলে।
সান্ত্বনা দিই জ্যোৎস্নার রঙে
ভরে না কারোর পেট,
দেহের বিকার বাড়ায় কেবল
করে দেয় মাথা হেঁট।
সূর্য আমার বড়োই আপন
বাষ্প বৃষ্টি আনে,
ক্ষুধা তেষ্টায় কাতর যখন
রসদ জোগায় প্রাণে।
প্রখর কিরণ সূর্যদেবের
পুড়ে খাক হয় কীট,
উত্তাপে তার উতল হাওয়া
কাঁপে পৃথ্বীর পিঠ।
মনের ভেতর আশার আলো
ফোঁটায় ফুলের ফাগুন,
বর্ষা প্রভাত ঢেকে দেয় সব
জ্যোৎস্না রঙের আগুন।
ভৈরব ডাকে কুমার আমার
গড়গড়ি যায় ভেসে,
আমার স্নেহের পাগলা চন্ডী
চলে মৃদু হেসে হেসে।
উদ্দাম তারি যৌবন বেগে
কৃষকের মন ভরে,
শরৎ কালের আনন্দ বেগ
সকলের ঘরে ঘরে।
জ্যোৎস্নার রঙে কান পাতে কে
বসন্ত না এলে,
এই বেলা শোন সবুজকে আন
অন্য সকল ফেলে।
আমি যদি বাঁচি বাঁচবিও তুই
বাঁচবে সকল ধরা,
সূর্যের রোদে পুড়ে খাক হয়
মানুষের ওঠাপড়া।