[১৯২৬ সালের জানুয়ারির ৩ তারিখে কবি সপরিবার কৃষ্ণনগর এসেছিলেন, এনেছিলেন হেমন্তকুমার সরকার। কবিকে কেন এনেছিলেন তিনি? শুধুই বন্ধু বলে? প্রতিভাবান কবি বলে? মাস ছয়-সাতেক গোলাপট্টিতে থেকে কবি গ্রেস কটেজে আসেন। ঠিক কবে আসেন তিনি? জুলাই, নাকি আগস্ট? কেনই বা এলেন এই বাড়িতে? ভীষণ দারিদ্র্যের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে নির্জন এক প্রান্তে? অনেক কিছুই আমরা জানি না, জানাও যায় না। এখান-ওখান থেকে জোগাড় করা তথ্য আর তার সাথে খানিক অনুমান মিশিয়ে টুকরো কথার কিছু দৃশ্য সাজিয়ে তোলার চেষ্টা এই কাহিনীতে।]
পর্ব - ১৪
গুপ্তনিবাস - কৃষ্ণনগরে আসার প্রথম দিনেই একঝলক দেখিয়েছিলেন হেমন্তদা। বিশাল ফটকের সামনে এসে মুগ্ধ হয়ে গেলেন নজরুল। সুরকি ঢালা লম্বা পথ, উপরে সরু সরু পাথরের কুচি ছড়ানো। বাঁদিকে অ্যাটেনশনের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে একই মাপের সুসজ্জিত দেবদারুর সারি। ডাইনে ঠিক একই ভঙ্গিতে সারিবদ্ধ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে বিলিতি তালগাছ - যেন কোনো রাজপুরুষকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য স্যালুটের কায়দায় দণ্ডায়মান এক সামরিক বাহিনী।
কোর্টের পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে নেদেরপাড়ার ভিতর দিয়ে আসার সময় বিজয়লাল শোনাচ্ছিলেন রাজার শহরে বিচিত্র সব পাড়ার কথা। চাষাপাড়া, মালোপাড়া, কাঠুরিয়া পাড়া, নলুয়াপাড়া, রায়পাড়া, খোড়োপাড়া, নেদেরপাড়া ইত্যাদি আরো পাড়া শহরে ছড়িয়ে আছে। এ পাড়ার লোকেরা নাকি খাজনা দিত না, তাই নাম হয়েছে না দেওয়ার পাড়া - ক্রমশ নেদেরপাড়া। প্রাণতোষ মজা পাচ্ছিলেন বেশ। অঞ্জনার সাঁকোটা পার হয়েই ঘনবসতিটা হঠাৎ কেমন নির্জন হয়ে এলো। গাছপালা বাগানে ঢাকা গুপ্তনিবাসের সুরকিঢালা পথে হাঁটতে হাঁটতে মনে হলো যেন সম্পূর্ণ অন্য এক জগত।
বাড়ির মুখে পৌঁছানোর আগেই ভিতর থেকে দু'জন সৌম্যকান্তি ভদ্রলোক বেরিয়ে এসেছেন। দুইজনেই ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবিতে সুবেশিত। বিজয়লাল বললেন - কাকু, এই নিন, আপনার কাজী সাহেবকে ধরে নিয়ে এসেছি!
পরিচয় দেবার আগেই নজরুল বুঝে গিয়েছেন - ইনিই গৃহকর্তা হেমচন্দ্র দত্তগুপ্ত। হাত বাড়িয়ে সাদরে অভ্যর্থনা জানালেন - আসুন আসুন। আপনার আগমনের জন্যই আমরা অপেক্ষমান। পাশের জনের সঙ্গে আলাপ করে দিয়ে বললেন - আকবরউদ্দীন, আমার প্রতিবেশী, খুব গুণী মানুষ।
- শুধু গুণী মানুষ নয়, নেতা মানুষও বটে! পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। বিজয়লাল সংযোজন করেন।
আকবরউদ্দীন একটু লাজুক হেসে বললেন - আসুন, ভিতরে সবাই অপেক্ষা করছেন।
সত্যিই তাই। বলতে গেলে চাঁদের হাট। বাহির বাড়ির চেহারায় যেমন একটা ইউরোপীয় ছায়া, অন্দরমহলেও একটা সাহেবিয়ানার ছাপ। বৈঠকখানাটি পরিপাটি করে গোছানো। কাচ লাগানো কালো কাঠের আলমারিতে সুশৃঙ্খল ভাবে পুস্তক সাজানো। মুখোমুখি গোল করে পাতা ভেলভেট লাগানো বেশ কয়েকটি বেতের চেয়ার এবং সোফায় আট-দশ জন মানুষ উপবিষ্ট। তার মধ্যে দুইজন ভদ্রমহিলাও আছেন। কলকাতাও নয়, কৃষ্ণনগরের মতো মফঃস্বল শুধু নয়, অতিমাত্রায় একটি রক্ষণশীল শহরে ঘরোয়া সাহিত্য সভায় মহিলাদের উপস্থিতি দেখে নজরুল যথেষ্টই বিস্মিত হলেন।
নজরুলকে নিয়ে হেমচন্দ্র প্রবেশ করতে সকলেই উঠে দাঁড়ালেন। আড়ষ্ট হওয়াটা নজরুলের ধাতে নেই, তবু কিছুটা যেন অস্বস্তি হচ্ছিল। গুপ্তনিবাসে সান্ধ্য আসর সম্পর্কে একটা শ্রদ্ধামিশ্রিত আকর্ষণ ছিল বটে, কিন্তু এরকম আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনার জন্য মানসিক প্রস্তুতি ছিল না।
'আমরা আনন্দিত যে দেশনন্দিত বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আমাদের মধ্যে পেয়েছি। বাংলা সাহিত্যে অন্য এক ধারার প্রবর্তন করেছেন তিনি। তার চেয়ে বড়ো কথা - দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মোচনের লক্ষ্যে বাংলার তরুণদলকে উদ্দীপিত করে চলেছেন তিনি। আমাদের সৌভাগ্য যে বর্তমানে তিনি আমাদের শহরেই বাস করছেন। এই শহরের সাহিত্য-সংস্কৃতির সুধীজনের পক্ষ থেকে আমরা তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি। তার সঙ্গে উপরি সংযোগ - হুগলি থেকে এসেছেন প্রাণতোষ চট্টোপাধ্যায়। কাজী সাহেবের অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং হুগলির মহলে যুব-জাগরণে তিনি অন্যতম অগ্রণী সাংস্কৃতিক কর্মী। তাঁকেও আমরা আজকের সান্ধ্য সাহিত্য-আসরে স্বাগত জানাচ্ছি'।
পরিশীলিত এবং ভাবগম্ভীর সম্ভাষণ দিয়ে কথা শুরু করলেন হেমচন্দ্র দত্তগুপ্ত। উপস্থিত সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। মহিলাদের পরিচয় পেয়ে নজরুল আরেকবার চমৎকৃত হলেন - প্রথমজন সরোজবাসিনী গুপ্তা এবং দ্বিতীয়জন নিরুপমা দেবী। তিনি বহরমপুর নিবাসী, সরোজবাসিনীর সঙ্গে প্রগাঢ় সখ্যতা, প্রায়শই এসে দু'চার দিন কাটিয়ে যান। উপাসনা এবং প্রবাসী পত্রিকার সুবাদে দু'জনেই যথেষ্ট পরিচিত লেখক।
নজরুল এরকম ভাবগম্ভীর পরিবেশে বেশিক্ষণ কাটাতে পারেন না। ইতিমধ্যে ঘরে চা এসে যাওয়ার ফলে আসরটা একটু হাল্কা হয়ে এলো। বিজয়লাল মজা করে বললেন - কাজীদার জন্য কিন্তু দুই কাপ!
আসরে একটা হাসির স্রোত বয়ে গেল। নজরুলও চায়ে চুমুক দিয়ে হাসতে হাসতে বললেন - বিজয়, সুধীজনের সভায় চা-খোর বলে তুমি যতই আমার নিন্দেমন্দ কিংবা বেইজ্জতি কর, এখানে প্রাণতোষ সাক্ষী আছে, এরকম সুস্বাদু চা পেলে দুই কাপ কেন - আমি চার কাপ খেতে প্রস্তুত!
ভাবগম্ভীর ব্যাপারটা কেটে গিয়ে পরিবেশটা মুহূর্তে যেন বদলে গেল। কাজীদাকে আড্ডায় আটকে রাখার অন্যতম উপায় হলো ঘন্টায় ঘন্টায় চায়ের সরবরাহ - এই সুযোগে প্রাণতোষও কিছু মন্তব্য সংযোজন করে আসরে প্রবেশ করে ফেললেন। আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা না করে নজরুল নিজেই বলা শুরু করে দিলেন।
'আপনারা যেভাবে আমাকে সম্ভাষণ এবং সম্মান জানালেন তাতে আমি আমি সত্যিই অভিভূত, কৃতজ্ঞও বটে। বিশেষতঃ এইরকম সুধীজনের উপস্থিতিতে, যেখানে সরোজবাসিনী গুপ্তা এবং নিরূপমা দেবীর মতো আমার শ্রদ্ধাভাজন গুণিজন উপস্থিত। তাঁরা শুধু সু-সাহিত্যিক নন, বর্তমান বাংলায় নারীজাতির সামনে এক আলোকবর্তিকা। এছাড়াও আমি রোমাঞ্চিত বোধ করছি যে আমরা সেই গুপ্ত-নিবাসে মিলিত হয়েছি, যে বাড়ির কথা আমরা নানাজনের কাছে নানা প্রসঙ্গে শুনে থাকি। এ বাড়িতে বিদ্যাসাগর আসতেন, ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র, মদনমোহন তর্কালংকার, রামতনু লাহিড়ী - বাংলার শ্রেষ্ঠ গুণিজনের আনাগোনা ছিল এই বাড়িতে। হেমন্তদার কাছে এবাড়ির কত কথা শুনেছি। সুভাষচন্দ্র কৃষ্ণনগরে এলে তাঁর সঙ্গে এই বাড়িতে রাত কাটানো, নবদ্বীপ, মুর্শিদাবাদ ঘুরে বেড়ানো, সন্ন্যাস নেবার উদ্দেশ্যে পালিয়ে দু'জনের হিমালয় ঘুরে বেড়িয়ে ফের ফিরে আসা - সব কাহিনীর ফাঁকে ফাঁকে উঠে আসে গুপ্ত-নিবাসের কথা। শ্রদ্ধেয় উমেশচন্দ্র দত্তগুপ্ত মহাশয়কে সাক্ষাৎ দর্শনের সৌভাগ্য হয়নি (দেওয়ালে শোভিত উমেশচন্দ্রের তৈলচিত্রের প্রতি হাতজোড় করে নমস্কার জানালেন)। হেমচন্দ্র মহাশয়ের নিকট আমি সত্যই খুব কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাকে এই আসরে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। তবে সবিনয়ে জানাই - এইখানে আমাকে এক বিশিষ্টজন হিসেবে সম্মান প্রদর্শন করলে আমার প্রতি একটা অবিচার করা হয়। আমি এখন এই নগরের নাগরিক, আপনাদের প্রতিবেশী। যতই বিশিষ্টজন হোক, প্রতিবেশীকে বেশি আদর-আপ্যায়ন জানালে সন্দেহ জাগে - প্রতিবেশী হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা বোধহয় আমি এখনো অর্জন করতে পারি নি। সর্বশেষ যেটি বিশেষ ভাবে বলবার - এইরকম স্বাদযুক্ত চা আরও এক-দুই কাপ পেলেই আমি অধিকতর সম্মানিত বোধ করব'।
এসব কথার পরে আসরের আনুষ্ঠানিক গাম্ভীর্য আর তেমন বজায় থাকে না। তার উপর সঙ্গে বিজয়লাল আছেন। যে কোনো সমাবেশকে সহজে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসায় তাঁর জুড়ি নেই। গান শোনাতে হবে, কবিতা শোনাতে হবে, নানারকম অনুরোধ।
'না, আমার গান নয়। আজকের আসরে আমাদের গুরুদেবের একটি গান শোনাতে ইচ্ছে করছে। সেইটি শোনাই' - এই বলে নজরুল শোনালেন 'আমার সকল রসের ধারা, তোমাতে আজ হোকনা হারা'। বিজয়লাল শোনালেন সাম্যবাদীর কবিতা - গাহি সাম্যের গান, যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা ব্যবধান!
দুইজন নামী লেখিকার উপস্থিতি স্বভাবতই বাড়তি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাঁর কোনো লেখা পড়েছেন কিনা নিরুপমা দেবী কৌতুহল প্রকাশ করলে নজরুল একপ্রকার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বললেন - নিরুপমা দেবীর 'দিদি' উপন্যাস পড়েন নি বাংলায় এরকম কোনো কবি-সাহিত্যিক আছে নাকি! বহরমপুরে এতোবার গিয়েছি, থেকেছি - কিন্তু আপনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ ঘটেনি। আপনার গল্প-উপন্যাসে গ্রাম বাংলার যে ভিতরের ছবি উঠে আসে, তা দেখে আমি মুগ্ধ হই। 'দিদি' কাহিনীর শুরুতেই নির্জন বাঁশবনের আড়াল থেকে বিরহী ঘুঘু পাখির ডাকে যে একাকীত্বের সুর ভেসে আসে - তা আমাকে অনেকক্ষণ আবিষ্ট করে রেখেছিল।
নিরুপমা দেবীর কন্ঠে বিস্ময় ঝরে পড়ে - আপনার মনেও আছে এতোসব! সেই কবেকার লেখা।
- এমনিতে হয়ত মনে থাকার কথা নয়। কিন্তু একথা তো বাস্তব যে এখনো বাংলা সাহিত্যজগতে মহিলাদের অংশগ্রহণ খুবই কম। সুতরাং তার মধ্যে আপনাদের মতো যাঁরা উচ্চমানের সাহিত্য রচনা করেন তাঁদের প্রকাশিত লেখার প্রতি সবার একটা নজর থাকাই স্বাভাবিক। সরোজবাসিনী দেবীর সঙ্গে এই প্রথম সাক্ষাৎ হচ্ছে। কিন্তু তাঁর কবিতা তো আমি আগ্রহ সহকারে পড়ি।
সরোজবাসিনী বিস্ময় প্রকাশ করলেন, তাই নাকি? সত্যি?
- শুধু সত্যি নয়, আপনার কবিতা থেকে রূপক চুরি করে আমার গান ও কবিতায় লাগিয়ে দেবার চেষ্টা করেছি!
নজরুলের বলার ভঙ্গিতে একটা কেমন চমক ছিল, সবারই উৎসুক দৃষ্টি। সরোজবাসিনী বললেন - এটা কিন্তু বাড়াবাড়ি হলো।
'মোটেই না', নজরুল বললেন।
'অত দূরে বসি চাঁদ, পাতিয়া রূপের ফাঁদ, নির্মল কিরণ ঢালি শুভ্র শুভ্রতর, হাসিছে মধুর হাসি কেন নিরন্তর - চাঁদের মনোহর রূপটা আসলে যে একটা ফাঁদ - এই রূপকের এতো সহজ সুন্দর ব্যবহার আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছিল। এখনো পূর্ণিমার জোছনা দেখলে এই লাইনগুলো চোখে সামনে ভেসে ওঠে।
বিস্ময়াবিষ্ট সরোজবাসিনী পাশে রাখা সূচীকর্মে শিল্পিত কাপড়ের ঝোলা থেকে একটি পুস্তক বার করে বললেন - আমার এই কবিতা পুস্তকটি আপনাকে উপহার দেবার জন্য এনেছিলাম। সেই পুস্তকের কবিতা আপনি ইতিপূর্বে পড়েছেন। শুধু পড়েন নি, মনেও রেখেছেন - আমার তো কেমন অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে! আপনি এতো ব্যস্ত মানুষ, কত ছোটাছুটি করেন - তার মধ্যে আমার মতো এক সাধারণের লেখা পড়বার সময় পান? আশ্চর্য!
বিজয়লালের তড়িৎ উত্তর - ও মাসি, অসাধারণ বলেই তোমার কবিতা পড়ার সময় পেয়েছে। নইলে আমিও ভেবে পাইনা - কাজীদার তো আড্ডা দিয়েই দিন কাটে, পড়ে কখন?
ইতিমধ্যে আরও দুই প্রস্থ চা এসেছে। উপস্থিত বিভিন্নজন স্বরচিত কবিতা পাঠ করেছেন, গান শুনিয়েছেন। সরোজবাসিনী তাঁর 'প্রীতিপুষ্পাঞ্জলি' কাব্য পুস্তক নজরুলের হাতে তুলে দিলেন। প্রতি পূর্ণিমায় তাঁর বাড়িতে সাহিত্যের আসর বসে। নজরুলকে আসার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়ে রাখলেন। দোল আসতে খুব বেশি দেরি নেই। ফাল্গুনী পূর্ণিমায় কলকাতা থেকে অনেকেই আসেন, বিশেষত উপাসনা পত্রিকা গোষ্ঠীর লোকজন। বহরমপুর থেকে নিরূপমাও আসবেন জানালেন।
নজরুলের উপস্থিতি মানেই সময়ের সীমারেখা থাকে না। রাত হচ্ছে। 'কাজীদার শরীর ভালো নয়, বৌদি বকবেন' - প্রাণতোষ বিজয়লালের কানের কাছে ফিসফিস করে শোনালেন। বিজয়লাল হেমচন্দ্রের উদ্দেশ্যে বললেন - কাকু, এবার তো উঠতে হয়। রাত হচ্ছে। তাছাড়া কাজীদা তো থাকছেনই, আবার বসা হবে।
আনুষ্ঠানিক বিদায় পর্ব শেষ হয়ে এলে আকবরউদ্দীন এসে করমর্দন করে বললেন - একদিন আসবেন আমার বাড়িতে। এই পাশেই। আমি গোলাপট্টিতে গিয়ে আপনাকে নিয়ে আসব।
(ক্রমশ)