(১)
ডাক হরকরা মেঘের ঠিকানায়
নিঝুম রাত্তিরে হৃদয়ের জনপদে প্রিয় শব্দধ্বনিগুলি মেঘের জানালা খুলে ভেসে এলে স্মৃতির ভিতরে জেগে ওঠে
সাদা ঘরবাড়ি, পুন্যিপুকুর পুষ্পমালা দুপুর, পুতুল খেলার দিন;
বালকবেলার প্ৰিয় শব্দধ্বনি আধো ঘুমের ভিতরে ফিরে এলে মনের উঠোনে ছড়িয়ে পড়ে আশ্বিনের শিউলি ফুলের সুবাস
শরতের রোদ্দুর চোখে মেখে আতা গাছে বসে থাকে জোড়া শালিক;
কিশোর বেলার প্ৰিয় শব্দধ্বনিগুলি হৃদয়পুরে উড়ে এলে বনজ জোছনায় রৌদ্র চন্দনের গন্ধ গায়ে মেখে চুপিচুপি অভিসারে আসে কিশোরী হরিণী
নিরালা ঘরের ভিতরে খেলা করে সমুদ্র ঢেউ;
কিশোর বেলার প্ৰিয় শব্দধ্বনিগুলি মুঠোমুঠো রামধনু স্বপ্ন নিয়ে অতীতচারী
আমাকে জাগাতে এলে ধুয়ে যায় মনখারাপের সমস্ত অসুখ
আর তখনই প্রথম ভালবাসার চিঠিগুলি পাঠিয়ে দিই ডাক-হরকরা মেঘের ঠিকানায়।
(২)
যারা ব্যর্থ
জানি না কিছুই এই ব্যর্থ জীবনের ভালবাসার সারাৎসার
নিঃশব্দেই চলে যাব অশ্রু মেঘের
গ্রামে;
যারা ব্যর্থ তাদের জন্য এই পৃথিবী
নয় আর।