মাঝরাস্তায় দু-দু'বার গাড়িটা বিগড়ে যাওয়ায় অযোধ্যা পাহাড় অঞ্চলে ঢুকতে সন্ধ্যে হয়ে গেল অংশুদের। রিসর্ট বেশ খানিকটা জঙ্গলের ভিতরে। হিসাব মতো পূর্ণিমা আগামী পরশু। সেই হিসাব করে বর্ণালী এই ট্যুর বানিয়েছিল। কিন্তু বিধি বাম। দুপুর থেকেই আকাশে মেঘ। দুপুরের খাবার খেতে খেতে গুগল থেকে ওয়েদার রিপোর্ট দেখে উৎসব বলল, "ব্যাড লাক আমাদের পিছু নিয়েছে। আজ রাত্তির থেকেই বৃষ্টি। পরশু সকাল থেকে রোদের মুখ দেখার একটা চান্স দেখাচ্ছে যদিও। তবু আমি আশাবাদী নই।"
বর্ণালী চিৎকার করে বলল, "এই তুই থাম তো। তোর মতো স্পেসিমিস্টকে আমাদের সঙ্গে আনাটাই ভুল হয়েছে।"
অংশু প্রথমে বেশ খানিকক্ষণ হো হো করে হাসল। তারপর বলল, "জঙ্গলে পূর্ণিমা ভোগ্য না বৃষ্টি তোদের কেউ জানিস? আমি একবার ডুয়ার্সে গিয়ে বৃষ্টি পেয়েছিলাম। সত্যি বলছি খুব এনজয় করেছিলাম।"
"কীরকম এনজয়?" উৎসব জিজ্ঞেস করল সিগারেট ধরাতে ধরাতে।
অংশু বলল, "আমরা কী জন্য জঙ্গলে যাই? মূলত বন্যপ্রাণী খুব কাছ থেকে দেখতে।..." মধুমিতা প্রটেস্ট করে বলল, "মোটেও না। গভীর জঙ্গলের মধ্যে নীরবতা অথবা অচেনা শব্দ দুটোই সমান উপভোগ্য।"
অংশু বলল, "দ্যটস রাইট। আমি ওই জায়গাতেই আসছিলাম। পাহাড়ের মতো জঙ্গলেরও রূপ খুব ঘন ঘন বদলায়। যত গভীরে থাকবি তত অনুভব করবি। তখন চাঁদের আলোয় মধুচন্দ্রিমা ভুলে যেতে বাধ্য হবে বর্ণালী। আর উৎসবও ওয়েদার রিপোর্ট ভুলে বর্ণালীকে নিয়ে এমন ব্যস্ত থাকবে যে আমি আর মধুমিতা নিজেদের উদাসীনতা নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপ করব আর কেন এই নির্জন অরণ্যে বেড়াতে এলাম তাই ভাবব।"
হেডলাইটের আলো কাঁচা রাস্তার উপর পড়ে পিছলে যাচ্ছিল দু'পাশের জঙ্গলের ছায়ায়। দেরি হয়ে গিয়েছিল বলে, অংশু একটু জোরেই গাড়িটা চালাচ্ছিল। হঠাৎ জোরে ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে গেল। রাস্তার বামদিক থেকে রাস্তা ক্রশ করে ডানদিকে ঢুকছে হাতির দল। হেডলাইট অফ করে চুপ করে গাড়ি দাঁড় করালো অংশু। মিনিট দু'য়েক সময় নিল হাতির দল রাস্তা ছেড়ে জঙ্গলে ঢুকতে। গাড়িটা স্টার্ট দিল অংশু। মিনিট তিনেকের মধ্যে মস্ত একটা লোহার গেটের সামনে দাঁড়াল গাড়ি। গুগল নেভিগেশন জানাল - ইয়োর ডেস্টিনেশন ইজ অন দ্য রাইট সাইড। গাড়ির আওয়াজ শুনে রিসোর্টের স্টাফ গেট খুলে বেরিয়ে এলো। গাড়ি থেকে নামতেই বৃষ্টির ফোঁটা মাথায় পড়ল সবার। উৎসব বলল, "দেখলি তো? বৃষ্টি শুরু হল!"
অংশু বলল, "তোদের হানিমুন মাটি করতে নয়, খাঁটি বানাতে।"
(২)
ভোরের আলো জানলা দিয়ে ঢুকতেই মধুমিতা অংশুকে ডাকাডাকি শুরু করে দিল। অংশু খুব চেষ্টা করল, মধুমিতাকে পাত্তা না দিয়ে ঘুমোনোর। কিন্তু অবশেষে কাতুকুতুর ভয়ে বিছানায় উঠে বসে বলল, "চা কই?"
মধুমিতা বলল, "রান্নাঘরে হচ্ছে। আমরা মর্নিংওয়াক থেকে ফিরলেই দেবে।" অংশু হাসল। মধুমিতা বলল, "মনে রেখো আমরা বেড়াতে এসেছি। ছুটি কাটাতে নয়, হানিমুনেও নয়। রাতে ঘুমে ডিস্টার্ব নয়, দিনে বেড়ানোয় আলসেমি নয়।"
অংশু হাসতে হাসতে বলল, "আমাদের বিয়ে তো চার বছর হল। এবার আমরা ভাইবোন।"
মধুমিতা পিঠে একটা ঘুষি মেরে বলল, "সূর্য উঠে গেলে আমি কিন্তু আর যাব না।"
প্রতিটি কটেজের সামনে বেতের চেয়ার টেবিল পাতা সুন্দর বারান্দা। চায়ের ট্রে সাজানো আছে বর্ণালী আর উৎসবের সামনে। উৎসব বলল, "গুডমর্নিং। তোদের মর্নিং-টি এখানেই দিতে বলি?" উত্তরের অপেক্ষা না করেই রিসর্টের ছেলেটাকে ডেকে অর্ডার দিয়ে দিল। মধুমিতা উৎসবকে বলল, "চাঁদ দেখা হল রাতে? নাকি মেঘে ঢাকা তারাতেই রাত কাবার?"
চায়ের কাপে চিনির চামচ ঘোরাতে ঘোরাতে উৎসব হেসে প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিতে চাইলে অংশু হাসতে হাসতে বলল, "দেখ ভাই আমাদের বিয়ে চার বছর হবার কারণে আমরা এখন ভাইবোন হয়ে গেছি কিন্তু তোরা চার সপ্তাহে এরকম হতে চাইলে হতে দেব না কিছুতেই।"
রুম সার্ভিসের ছেলেটা অংশুর সামনে এসে দাঁড়াল। বলল, "সাব, আপনাদের আইডেনটিটি কার্ডগুলো একটু অফিসে জমা দিয়ে আসতে বললেন ম্যানেজারবাবু।" অংশু উঠতে যাচ্ছিল মধুমিতা থামাল। বলল, "তুমি দাঁড়াও। আধার কার্ডগুলো আমার ব্যাগে আছে। আমি গিয়ে দিয়ে আসছি। আমার কার্ড থেকেই না হয় বাকিটা পেমেন্ট করে দেব।"
অংশু হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। বলল, "উফ, বাঁচালে। যা হাঁটিয়েছ আজ। আর, ভাল লাগছিল না। থ্যাঙ্ক ইউ।" মধুমিতা চায়ের কাপ রেখে হাঁটা দিল নিজেদের কটেজের দিকে।
(৩)
"আরে! বিকাশ! তুমি এখানে?" রিসেপসনে দাঁড়িয়ে থাকা ম্যানেজারের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে মধুমিতা। ম্যানেজার ছেলেটি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে মধুমিতার দিকে। তার চাহনিতে এক অদ্ভুত অস্বস্তি। খানিকক্ষণ সময় নিয়ে বিকাশ বলল, "এখন এই রিসর্ট আমারই দায়িত্বে চলে। বছর সাতেক হল এটা তৈরি হয়েছে। তখন থেকেই আমি আছি এটার দায়িত্বে।" কথাগুলো বলতে বলতে হাত বাড়ায়, "আধার কার্ডগুলো?"
মধুমিতা এগিয়ে দেয়। কার্ডগুলো জেরক্স করতে করতে বিকাশ জিজ্ঞেস করে "কে কে এসেছ?" মধুমিতা এটিএম কার্ড বাড়িয়ে দিতে দিতে বলে, "আমি, আমার হ্যাজব্যান্ড, ওর বন্ধু এবং তার বৌ"।
"ওকে হ্যাভ এ গুড হলিডে ম্যাডাম, সরি মধুমিতা।" আধার কার্ডগুলো ফিরিয়ে দিতে দিতে বলে বিকাশ। মধুমিতা এটিএম কার্ড ভরতে ভরতে বলে, "তোমার এই প্রফেশনাল আউটলুক আমার বেশ ভাল লাগল। তুমি কতটা উন্নতি করেছ জানি না তবে ভবিষ্যতে আরও উন্নতির সুযোগ আছে তোমার।"
বিকাশ হাসে। তারপর বলে, "সে সবই তোমার দান মধুমিতা। তোমার প্রত্যাখ্যান আমার জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। আর, একটা কথা। আমি এই রিসোর্টের ম্যানেজার নই। সিকি আনার পার্টনার। তোমার এই অবদানের জন্য আমার তরফ থেকে আজকের ডিনার। তোমার বরকে বোলো।"
কথা না বাড়িয়ে মধুমিতা রিসেপশন থেকে বেরিয়ে আসে। নিজেদের কটেজের দরজা খুলে ঢোকার সময় অংশুদের চেঁচিয়ে বলে, "সব্বাইকে এক ঘন্টার মধ্যে রেডি হতে হবে কিন্তু। আমি স্নানে গেলাম।"
বাথরুম থেকে বেরিয়ে মধুমিতা দেখল অংশু খাটের উপর বসে খবরের কাগজ ওল্টাচ্ছে। বিকাশের ব্যাপারটা মনের মধ্যে তোলপাড় করছে তার। অংশুকে কী বলবে সে বিকাশ সম্বন্ধে? কী বলবে আজকের রাতের ডিনার পার্টি নিয়ে? বিকাশ যখন খাওয়াচ্ছে তখন তো ওকেও ডাকতে হবে। তখন অংশু, বিকাশ মুখোমুখি হলে সে কী বলবে? ভাবতে ভাবতে নিজের মধ্যে একটা গল্প সাজিয়ে নিল মধুমিতা। তোয়ালে দিয়ে চুল ঝাড়তে ঝাড়তে সে বলল, "তোমাদের জন্য একটা দারুণ খবর। আজকের ডিনার রিসর্টের পার্টনারের তরফে ফ্রি।" অংশু অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল, "কেন? তোমার রূপে ফিদা হয়ে গেছে নাকি সে?"
"গেছে নয়, গিয়েছিল। এখন স্নানে যাও। পরে বলব।"
(৪)
সারাদিন ধরে ঘুরে, চড়িদা গ্রাম থেকে বেশ কিছু মুখোশ কিনে রিসোর্টে ঢুকল অংশুরা। উৎসবদের কটেজটা আগে পড়ায় ওটার বারান্দায় রাখা চেয়ারে গা এলিয়ে দিল অংশু। বর্ণালী দরজা খুলতে খুলতে বলল, "তোমার খুবই চাপ যাচ্ছে বুঝতে পারছি। উৎসব যদি ড্রাইভিংটা শিখে নিত এতদিনে তাহলে একটু চাপ কমতো তোমার।"
"তা হয়তো হতো। কিন্তু আজ তেমন চাপ হয়নি। কালকের ক্লান্তিটাই এখনও কাটেনি। তাই হয়তো..."
মধুমিতার একটা চিৎকার শুনতে পেয়ে দৌড় লাগাল অংশু। ঘরে ঢুকে হাঁফাতে হাঁফাতে জিজ্ঞেস করল, "কী হয়েছে কি?" দেখল মধুমিতা হাঁ করে তাকিয়ে আছে বিছানার দিকে। রক্তবর্ণের পলাশ ফুল দিয়ে বিছানার সাদা চাদরের উপর একটা বিশাল লাভ সাইন আঁকা আছে। উৎসব আর বর্ণালীও অংশুর পিছন পিছন দৌড়ে এসেছে। অংশু বর্ণালীর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল, "এই দেখে এমন চিৎকার কেউ করতে পারে? তোদের বিছানাও কি এমনভাবে সাজানো আছে?"
উৎসব বলল, "ঐ যে তুই সকালে বলছিলি না! ভাইবোন হয়ে গেছিস! তাই তোদের প্রেম বাড়িয়ে তুলতে এতসব ভাস্কর্য। আমাদের ঘরে শুধু পলাশ ফুল ছড়ানো আছে। সত্যি, এদের রসবোধ আছে।"
অংশু জিনসের পকেট থেকে সিগারেট আর দেশলাই বের করে ধরায়। তারপর ওগুলো এগিয়ে দেয় উৎসবের দিকে। মধুমিতার দিকে তাকিয়ে বলে, "তুমি কি পাগল নাকি? এর জন্য কি কেউ এমন করে?"
মধুমিতা নিজের বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে বলে, আমি তো শুধু 'ওয়াও' বলেছিলাম। অংশু ঘাড় নাড়তে নাড়তে ঘরে থেকে বেরিয়ে রুম সার্ভিসের ছেলেটাকে দেখতে পেয়ে বলল, "চারটে কফি নিয়ে আয় তো। সঙ্গে চিকেন আর পনির পকোড়া এক প্লেট করে।" নিজেদের বারান্দার চেয়ারে গা এলিয়ে অংশু ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে থাকে। বর্ণালীকে ইশারায় উৎসবকে ডেকে নিয়ে নিজেদের ঘরের দিকে যেতে দেখে অংশু একবার হালকা স্বরে বলে, আরে তোদের কফি বললাম যে!
মধুমিতা পাশে এসে বলে। অংশু মধুমিতাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করে "তোমার ওই ডিনারের গল্পটা এবার বল তো? কে তোমার প্রেমে পড়েছিল?"
মধুমিতা প্রথমে হকচকিয়ে যায়। তারপর বলে, "হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন? বিকাশ। বিকাশ সেন। আমাদের কলেজে পড়তো। এক বছরের সিনিয়ার। আমাকে খুব পছন্দ করত। তখন খুব সাদামাটা, ক্যাবলাকান্ত চেহারা ছিল। আমার ভাল লাগেনি তাই এড়িয়ে গিয়েছিলাম। আজ সকালে রিসেপশনে গিয়ে দেখি সেই বিকাশ। আগ বাড়িয়ে ফ্রি ডিনারের প্রস্তাব দিল।"
"সেই পুরোনো প্রেম কি আজ মাথাচাড়া দেওয়াতেই এই পুষ্পভাস্কর্য?"
"ধুর। তাই হয় নাকি? এখানে লোকে পলাশে রঙিন হতে আসে। সেই সেন্টিমেন্ট কাজে লাগাতেই এইসব বাণিজ্যিক পদ্ধতি।"
"ওহ। তাও ভাল।"
কফি এসে পড়ায় কথা বন্ধ করে কফি বানাতে শুরু করল অংশু। রুম সার্ভিসের ছেলেটাকে ডেকে বলল, "এই... দু-কাপ কফি ওই ঘরে দিয়ে আয় তো।"
সমস্ত রিসর্ট জুড়ে ছোট ছোট অনেক এলইডি আলো জ্বলে উঠল। গুগলের ওয়েদার রিপোর্ট ভুল প্রমাণিত করে আকাশে চাঁদ উঠেছে। কফি কাপ হাতে নিয়ে গার্ডেনে হাঁটতে বের হল অংশু। মধুমিতা পূর্ণিমার চাঁদের কথা ভুলে অংশুকে নিয়ে ভাবছে। বিকাশের কথা এতদিন পর যদি সব জানে অংশু তাহলে কী হবে?
ডিনারের সময় বিকাশকে পাওয়া যায়নি। রিসর্টের স্টাফ জানাল যে বাবু, সন্ধেবেলা বাসায় চলে যায়। শহরে বিকাশবাবুর বাসা ভাড়া করা আছে। খাওয়া দাওয়া সেরে চারজন রিসর্টের বাগানে, মাঠে ঘুরে বেড়ালো কিছুক্ষণ। কেউ কিচ্ছু কথা বলছিল না। শুধু চাঁদের আলো আর দূর থেকে উড়ে আসা পলাশের গন্ধে নিজেদের নেশাগ্রস্ত করে তোলার চেষ্টায় ছিল।
রাতে বিছানায় অংশুকে নিজের শরীরে সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে খেলা করার সুযোগ দিল মধুমিতা। অংশুর কানে কামড় দিয়ে বলল, "ভাই, কেমন লাগছে?" অংশু মধুমিতার স্তনবৃন্তে একটু জোরেই কামড় দিল। সামান্য চিৎকার করে উঠল মধুমিতা। নিজেকে মধুমিতার শরীরে গেঁথে দিতে দিতে জিতে যাওয়ার উল্লাসধ্বনি শোনা গেল অংশুর গোঙানিতে।
ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়ল অংশু আর মধুমিতা চাঁদ দেখতে বেরিয়ে এলো বারান্দায়। তাদের হাতে পলাশ ফুল।
(৫)
শ্রাবস্তী ম্যাডাম আর অমল স্যারের নজর এড়িয়ে বিকাশ আর মধুমিতা বরন্তির হোটেলের একটা ঘর রাতের জন্য ম্যানেজ করেছে হোটেলেরই এক স্টাফকে পয়সা দিয়ে। মধুরিমা ঘরে ঢুকে অবাক ছেলেটাকে পয়সা দিয়ে দারুণভাবে বিছানা সাজিয়েছে বিকাশ। পলাশ ফুলের লাভ সাইনের উপর নিজেকে উন্মুক্ত করে বিকাশকে নিজের ভিতরে নিয়ে এক অদ্ভুত আনন্দে মিশে গেল মধুমিতা। সারা শরীরে পলাশ ফুলের গন্ধ নিয়ে নিজের রুমে ফিরেছিল মধুমিতা।
পূর্ণিমার চাঁদ ঢেকে দিচ্ছে মেঘ অথচ সেই পলাশ ফুলের গন্ধ শরীরে নিয়ে আজও মধুমিতা রাত জাগছে। নিজের গালে ঘাড়ে, গলায় পলাশ ফুল নিয়ে বোলাতে শুরু করল। ঘরে ঢুকল। অংশু খুব ক্লান্ত ঘুমোচ্ছে। ওকে জড়িয়ে শুয়ে থাকল মধুমিতা। পলাশ ফুলের গন্ধ যেন বিকাশের মতো অংশুকেও ছেড়ে যেতে না পারে।