আজ থেকে
হাজার বর্ষা, শীত, বসন্তর আগে
যোগমায়া,
মনের গভীরে আজও জাগে,
কোনো এক বৃষ্টিঝরা ভাদরের রাতে
তোমার ভূমিষ্ঠ লগ্নে, কেঁদেছিলে কতবার।
জননী যশোদারানী ঘুমে ছিল অচেতন,
জীবনের স্বপ্ন দেখে দেখে
পুরুষ নির্দেশে জন্ম তবে হয়েছিল ঠিকই
উৎসব হয়নি কখনো।
কৃষ্ণের জীবন বাঁচাতে, প্রাণ দিলে,
তুমি কন্যাভ্রূণ।
পৃথিবীর জীবনের যৌবন উৎসবে
মৃত্যুকে কি মনে রাখে?
ভুলে যায় ছুটন্ত সময়।
আজও কত রূপ কানোয়ার,
কত শত আমিনার দল
বাসনার স্বপ্নচূর্ণ হাতে
মাথা কোটে কঠিন শিলাতে।
বার বার কত মেয়ে সরল কোমল,
জ্বলে পুড়ে মরেছে আগুনে,
অন্যের আয়ু কিনে কিনে।
জীবন পুড়েছে শুধু, কতটুকু দাম,
এ ধরার হাট থেকে চলো কিনে অনি,
অন্য জীবন মূল্যবান।
আকাশ কি মনে রাখে কত তারা হলো দ্যুতিহারা
কোন পাখি ভুলে গেছে গান।
এ সংসারে নেই তার স্থান।
আর কতকাল বলো ভুলে যাবে নিষ্ঠুর দুনিয়া,
পাথরের বুকে কত চূর্ণ হবে
শিশু যোগমায়া?
চিতার আগুন থেকে উঠবেনা?
উঠবেনা রূপ কানওয়ার?
অশ্রুর পথ বেয়ে, রক্তধারা মেখে,
যজ্ঞের সমিধে জন্ম নেবে প্রতিবাদ...
জননী, ঘরণী, কন্যা, অসমাপ্ত সাধ।