কবিতা

নৈকট্য



অরূপ পান্তী


এত প্রাচীন মদ শরীরে! নিজেকে ভাঙচুর মনে হয়
নৈঃশব্দের বাজনা বাজিয়ে শরীরে শরীরে এত সম্মোহন?
ফিসফাস কলহাস্যের ভিতর গড়ে ওঠে সম্পর্কের স্তম্ভ
মনে হয় যেন কোন পূর্বজন্ম থেকে যোগাযোগ
একে একে খসে পড়ে গিঁট ও পালক
উজ্জ্বলতর হয়ে ওঠে মেঘের মুখাবয়ব
আকাশ বুকে এই তো চেয়েছিলে তুমি?
এভাবে শীত সরে যায়, দুঃখ-বেদনা সরে যায়

ওই দেখো তোমার দেওয়া প্রথম গোলাপ
আজ সুগন্ধ ছড়ায় সারা ঘরময়
ভালোবাসা পেলে চাঁদ ও জোৎস্না ঢালে
মেঘ ও বৃষ্টি ছড়ায় একান্তে, গোপনে
চরাচর ভেসে যায় আকাঙ্ক্ষিত বর্ষায়,

মেঘ আজ অলৌকিক নদী প্রিয় ও প্রাণাধিক
ও এক পড়ন্ত বেলার আমলকি রোদ্দুর।