কবিতা

আপেক্ষিক



মমতা বিশ্বাস


তুমি এখন আলাদা কিছু নও -
আর পাঁচজন পরিচিত মানুষের মতো।
পাশাপাশি হাঁটছি, দাঁড়াচ্ছি, কথা বলছি।
কোনো উত্তেজনা নেই, নেই ভয়-ভীতি জড়তা বা আড়ষ্টতা।
একসঙ্গে দায়িত্ব সামলানোর আগের রাত -
নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ি।
এখন পরীক্ষা দিই না, নিই।
নিষ্প্রাণ চোখের দিকে তাকাতে ইচ্ছে করে না।
অকস্মাৎ চোখ পড়ে গেলে আপনাআপনি সরে যায়।

কিন্তু একদিন ছিল; জানো?
স্বপ্ন জড়ানো চোখের তারায় আমার ছায়া দেখার
প্রবল বাসনায় ছটফট করতাম।
সাহসে কুলিয়ে উঠত না।
ভীরুতায় কেঁপে যেত।

দু'দিন দেখেছিলাম সেই মনোহরণ জাদুদৃষ্টি,
যা আমাকে উন্মাদ করে তুলেছিল।
দূর থেকে একবার দেখতে পেলেই -
ব্যাস!
পাখির পালকের মতো শরীর হাল্কা।
দেখা না পেলেই -
আষাঢ়ে মেঘের ঘনঘটা।

কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেই ধন্য -
দিনটা সার্থক।
না পেলেই -
বিপন্নতার পাহাড় বুকের উপর চেপে ব'সে।
কালের গর্ভে সবই বিলীন।

চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।