ধর্মকলের বাতাসে একটি ছায়াব্রত আশ্রয় ধুকধুকে জ্বলে।
জড়ানো রহস্যবীজ সেই তাপে পোড়ে না,
পুঁতে রাখা পবিত্র ভ্রূণের উষ্ণতায় নিজে পোড়ে,
মাটির শরীরে স্পর্শের সম্পর্কে আহরণ জাগে।
বীজ আগে না অঙ্কুর
ভরণে যাপনে মানুষ জন্মে, চাঁদ তারা জোছনায়,গাছে ডালে পাখি,
মেঘ ভাঙা জল সয়ে একদিন, কোনদিন চকিত চাতুরীহীন যেন
সাজঘর খুলে দেখা বিস্ময় চেনামুখ, শৃঙ্গারে বিছানো বেদ বেলা,
সাদা গায়ে বিষন্ন ছিট ছিট, ফুটে ওঠে ক্লেদ -,
নামাবলী কলে বেজে ওঠে সূর্যাস্তের ভাঙা আসর।
ধর্ম ছুটি চায় অবশেষে, নিশ্চিন্ত নিবাস চেয়ে
একদা আদিম যে ফিরে আসতে চেয়ে ছটাক জমিতে সেচ করে,
অন্নপ্রাণে জুড়াবে খিদেমাখা মস্তিষ্ক,
তিল তিল শরীরী ধ্বনি থেকে
লালন পালনে, ছবিমুখো কুলুপের তলে নিহত রক্তমাস,
অতল কব্জার খেলা খোলামেলা পথে,
গায়ে-মাসে নাম পড়া উল্কি টানে বিবশ শব্দেরা।
দ্বিতীয় মানুষ সে,
মলাটে ক্ষয় রক্ত পিপাসার দাগ, চোখে তার রি রি অপ্রীত বন্যতা।
ছল কায়দার ষোলকলা বিস্ময় সে,
জারিজুরি ফলায় তার আস্তিনে আস্ফালনে।
তড়িৎ চালিত সে, আবাসি স্নায়ুকক্ষে,
গা বেয়ে উঠে আসে, হীরেকাটা ছবির মতো ঠিকরে নামতে থাকে।
ঝরতে থাকে, জ্বলে ওঠে রক্তজাল শাখাময়।
অচেনা বন্যতা যে কতো সে অন্তস্রাবী
অজানা পায়ের শব্দে সে চলে,
কালো মেঘজামা ঢাকা ধর্মকলের
অলীক আঙুলে ঘোরে ঘন কুয়াশার চাবি।
চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।