একটা ছাদ চেয়েছিলাম -
যেটা শুধুমাত্র নির্ভরতার আশ্রয় নয়;
ভোরের সূর্য দেখা, রাতে তারাদের সঙ্গে চুপিচুপি কথা বলা,
আকাশের দিকে চেয়ে আকাশ-কুসুম ভাবনা-সবটাই।
ছাদের সঙ্গে বাগানও পেয়েছিলাম মনের মতো।
সে বাগানে ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, সূর্যমুখী, পিটুনিয়া, আরও কত কি!
প্রজাপতি আসত রং বেরঙের;
মধুপেরা এসে মধু আহরণ করত ঘুরে ঘুরে।
খাঁচায় বন্দী পাখিরাও ছিল সে ছাদে।
ওদের খাবার দিতাম, দেখতাম ওদের ভালোবাসার খুনসুটি,
ওরা 'তা' দিত ডিমে।
কিচিরমিচির কলতানে মুখর হতো নিষ্প্রাণ ছাদ।
নিজের ভুলে খাঁচা খুলে পাখিগুলো উড়ে গেল একদিন, স্বচ্ছন্দে স্বাধীন হবে বলে।
ফুলের টবগুলো যত্নের অভাবে শুধু মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকল।
প্রজাপতি আসে না আর।
দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেছে; ছাদটাও অদৃশ্য হয়ে গেল ক্রমশ।
ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল সম্পর্কের অটুট সুতোগুলো।
কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের কূট অভিসন্ধিতে
নিঝুম ছাদটার চারপাশে এখন চিল-শকুনের কাড়াকাড়ি।
খোলামেলা একটু পরিসর, আড্ডা, কিছু আনন্দ অনুষ্ঠানের স্মৃতি,
সবটাই বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেল অচিরেই।
সূক্ষ্ম অনুভবের টানাপোড়েনে ধ্বস্ত আমি।
ছাদ চেয়ে কি ভুল করেছিলাম?
চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।