[একজন সৃষ্টিশীল মানুষ একদিন স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে যান। প্রাত্যহিক জীবনের দ্বিধা দ্বন্দ্বে জীর্ণ জীবনকে এক নতুন রসের ধারায় নিজেকে সিক্ত করতে তার এই স্বেচ্ছানির্বাসন নাকি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে তা তিনি নিজেও জানেন না। অথচ তার এই নির্বাসনকালে তার জীবন ও লেখা বাঁক নেয় এক নতুন পথে। নিজের সৃষ্টিকে নতুন করে তিনি কি গ্রহণ করতে পারবেন নাকি বিসর্জন দেবেন অবসাদের গভীর অন্ধকারে? এই টানাপোড়েন নিয়েই লেখা অভিজিৎ রায়ের এই নতুন উপন্যাস 'নিখোঁজ কবির ডায়েরি'।]
(দুই)
এরকম ঝুপ করে সন্ধ্যে নেমে আসবে ভাবতে পারেনি সৃজিত। দুপুরের খাবার পর মিনিট পঁয়তাল্লিশেক বিছানায় গড়িয়ে নিয়ে হোম-স্টে থেকে বেরিয়েছিল। ঘড়ি ঠিকমতো দেখেনি। কিন্তু তিনটের বেশি হবে না কিছুতেই। অরুময় গোস্বামীর একটা গদ্যের বই হাতে করে এনেছিল। জয়ন্তী নদীর উপর বেশ কিছু শুকনো গাছের গুঁড়ি পড়ে আছে। ভাঙা সাঁকোটা ওখান থেকে খুব ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল। ওখানে বসেই বইটা পড়ছিল। দু'চারজন পর্যটক গাড়ি নিয়ে এসেছে। এদের কেউই এখানে রাত্রিবাস করবে না তা কথাবার্তায় স্পষ্ট বুঝে ফেলেছিল সৃজিত। ফাঁকা জায়গায় প্রত্যেকটি কথাই খুব স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল। একটা দল অনেকক্ষণ ধরে ভাঙা সাঁকোটার চারপাশে ঘুরঘুর করছে। সকলেরই বয়স চল্লিশের ধারেকাছে বলে মনে হচ্ছিল। দুজন পুরুষ, দুজন মহিলা আর একটি বছর বারো-তেরোর বাচ্চা ছেলে। সৃজিত আড়চোখে দেখছিল মহিলা দুজন বারবার তার দিকে হাত দিয়ে কিছু একটা অস্ফুটস্বরে নিজেদের মধ্যে বলছিল। সৃজিতের এবার ভয় করছে। কেউ যদি এদের মধ্যে ওকে চিনে নেয়? কলকাতায় ফিরে যদি এরা কেউ বলে যে, তারা সৃজিত বসুকে জয়ন্তী নদীর ধারে দেখেছে? অরুময় গোস্বামীর মতো বড় কবি না হলেও সৃজিতকে তো কম লোক চেনে না। খবরের কাগজেও নিশ্চয় দু-একদিনের মধ্যে তার নিরুদ্দেশের খবর ছাপা হবে? শ্যামলালকে দিয়ে কাগজটা রোজ সকালে আনাতে হবে বাজার থেকে। এই ভাবতে ভাবতে গায়ের চাদরটা মাথা দিয়ে খুব ভালোভাবে মুড়ে সৃজিত গাছের গুঁড়ির উপর থেকে উঠে পড়ল। একটু হনহনিয়ে এগিয়ে যেতে থাকল তার নির্দিষ্ট হোম স্টে'র দিকে। একজন মহিলার কণ্ঠস্বর এবার বেশ স্পষ্ট শোনা গেল,
- আরে। উনি উঠে চলে গেলেন যে। তোমাদের কখন থেকে বলছি আমার মনে হচ্ছে উনি কবি সৃজিত বসু।
- উফ! তোমার কবি আর কবিতা। একটু থামো তো। ওরকম কত কবি কলকাতার রাস্তায় ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে বেড়ায়। কেউ পাত্তা দেয় না... - ভারী পুরুষ কণ্ঠ কানে এল সৃজিতের।
- চুপ চুপ। আচ্ছা বাদ দাও। আমার মনে হচ্ছিল তাই বললাম।
সৃজিত এখন পাথরগুলো পেরিয়ে নদীর পাড়ে চলে এসেছে। জয়ন্তী স্টেশনের দিকটায়। অবশ্য ট্রেন লাইন বা স্টেশন কিছুই অবশিষ্ট নেই। দুপুরেই শ্যামলালের সঙ্গে কথা হচ্ছিল তার। একবার ওই দলটার দিকে ফিরে তাকাল সৃজিত। উফ্ কী বাঁচাই না সে বেঁচেছে। এরকম ফ্যানের পাল্লায় পড়লেই তার এই স্বেচ্ছানির্বাসন প্রায় ভন্ডুল হতে বাধ্য। তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে পড়ে সৃজিত। নিচে দরজার মুখে শ্যামলাল দাঁড়িয়ে ছিল।
- সাহাব, চা খাবেন তো? চা আনি? সঙ্গে কী খাবেন বলুন?
- শুধু চা শ্যামলাল। রাতের খাবার খাব আটটায়। রুটি আর সবজি।
সৃজিতের কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। কাঠের সিঁড়ি বেয়ে তরতরিয়ে ওঠার সময় বুঝতে পারল কেউ তার পিছু নিয়েছে। ঘাড় বেঁকিয়ে দেখল। সেই সাদা কুকুরের বাচ্চাটা। শ্যামলালের গলা শুনতে পেল।
- পিকু, ইধার আও। জলদি। ইধার আও।
সৃজিত বুঝল কুকুরছানাটার নাম পিকু। আর সাথে সাথেই বুঝল যে পিকু তার লম্বা ঝুলের পাঞ্জাবি ধরে ঝুলে পড়েছে। অজ্ঞাতবাসে সৃজিতের নতুন ফ্যান জুটল। পিকু।
ব্যাগ থেকে বিস্কুটের প্যাকেট বের করে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পিকুকে খাওয়াচ্ছে সৃজিত। নিজেরই খুব অবাক লাগছে তার। নিজেকে কুকুরপ্রেমী বলে কোনোদিন চেনেনি সে। বরং বিয়ের পরপর অঞ্জনার বাড়িতে অনেকগুলো বেড়াল থাকায় তার খুব অসুবিধা হতো। রোজ সকালে সেগুলো গায়ের উপর চড়ে ঘুম ভাঙাত। কখনও কখনও আঁচড়েও দিত ভালোবেসে। অঞ্জনা মজা পেত কিন্তু সৃজিতের রাগ হতো। কী অদ্ভুত ব্যাপার! আজ সেই সৃজিতই যেন এই পিকুর প্রেমে পড়ে গেছে! এইসব কি শুধু অবসরের মায়া? সংসারের বিভিন্ন টেনশন কি তাকে এসবের মজা নিতে ভুলিয়ে দিয়েছিল? পিকুর বিস্কুট খাওয়া শেষ। আর কোনো শব্দ না করে সে সৃজিতের চেয়ারের পাশে চুপ করে বসে থাকে। সামনের দিকে দৃষ্টি সজাগ। কাঠের সিঁড়ি বেয়ে শ্যামলালের পায়ের শব্দে পিকু একবার ভুক... ভু...উ... করে ডেকে উঠল ঠিকই কিন্তু তারপর আবার চুপ। শ্যামলাল টেবিলের উপর চায়ের ট্রে নামিয়ে রেখে বলল,
- আলু গোবি সব্জি আর রুটি করছি সাহাব।
সৃজিত চায়ে চুমুক দিয়ে একটা তৃপ্তির আওয়াজ বের করল মুখ দিয়ে তারপর বলল,
- হ্যাঁ, ঠিক আছে। আটটা নাগাদ দিয়ে যেও।
শ্যামলাল পিকুর দিকে তাকিয়ে বলল, "কী রে? তুই কি সাহেবের সঙ্গেই থাকবি নাকি রে?" পিকু ঘাড় উঁচু করে শ্যামলালের দিকে তাকিয়ে লম্বা সুরে আবার ডেকে উঠে যেন শ্যামলালের কথারই সম্মতি জানাল। সিঁড়িতে পায়ের শব্দ মিলিয়ে যেতেই আবার পিকু চুপ করে সৃজিতের চেয়ারের পাশে শুয়ে পড়ল।
রাতের অন্ধকার জমাট বাঁধার সাথে সাথেই ঠাণ্ডাটা যেন চেপে ধরতে চাইছে সৃজিতকে। অনভ্যাসের অস্বস্তি যে সৃজিতের হচ্ছে না এমন নয় কিন্তু সৃজিত এই নিঃস্তব্ধতা উপভোগ করতে চাইছে। নিজের ভিতরে গেঁথে নিতে চাইছে নীরব হাওয়ার কলরব। বাড়িতে এটুকুরই বড় অভাব তার। অঞ্জনা আর সোহিনীর অভাব, অভিযোগ, দাবিদাওয়ার ফাঁসে পড়ে নিশ্ছিদ্র নীরবতার মধ্যে নিজের সঙ্গে নিজে থাকাটাই হয়ে ওঠে না সৃজিতের। কত বার অঞ্জনাকে এই ব্যাপারটা বোঝাতে চেয়েছে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে বোঝাতে। হয়ত এই সমস্ত অনুভূতি সমস্ত সাংসারিক মানুষের জন্য নয়। ছোট ছোট চাওয়া, পাওয়াগুলোর বাঁধনে বাঁধা পড়ে যেতে মানুষ নিজেকেই খুঁজতে ভুলে যায়। আর একসময়, খোঁজার ইচ্ছেটাকেই যেন সবচেয়ে বড় শত্রু মনে হয় তার।
সৃজিত ঘরে ঢুকে সিগারেটের প্যাকেট, দেশলাই আর অ্যাসট্রেটা সাথে নিয়ে বেরিয়ে আসে। ওর সঙ্গে সঙ্গে পিকু খুব দ্রুত ওকে অনুসরণ করে ঘরে ঢোকে। কিন্তু সৃজিত বেরিয়ে আসার সাথে সাথে পিকু ঘর থেকে বেরিয়ে আসে না। বারান্দায় বেরিয়ে সৃজিত লক্ষ্য করে পিকু ঘরের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। কোনো কিছুর গন্ধ কি ওকে আকর্ষণ করছে? নিজের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায় না সৃজিত। পিকুর সমস্ত মুভমেন্টের দিকে নজর রাখে সে। মানুষের চরিত্র বুঝতে না পারা ব্যর্থ এক কবি এখন কি তবে কুকুরের চরিত্র বোঝার চেষ্টা করছে? হেসে ফেলল সৃজিত। নিজেকে নিয়ে কত অদ্ভুত ভাবনা তার মধ্যে ঘুরপাক খায়! হয়ত সবারই এমন হয়। কিন্তু সবাই বোধহয় গুরুত্ব দেয় না। হোম-স্টে'র ব্যালকনিতে সিগারেট ধরিয়ে সামনের অন্ধকার সোজা দৃষ্টিপথে খুব ছোট ছোট ক'টা আলোর রেখা চোখে পড়ল সৃজিতের। শ্যামলালের নাম ধরে ডাকল। সঙ্গে সঙ্গে উত্তর এল, "যাই সাহাব"।
- ওগুলো কী শ্যামলাল? ওই আলোগুলো কীসের?
- নদীর ওপাড়টায় একটা ভুটানি বস্তি আছে সাহাব। ওখানেও দু'একটা হোম স্টে হয়েছে। ওগুলো সেই হোম স্টে'র আলো।
- বস্তির আলো নয় তা তুমি কেমন করে বুঝলে?
- বস্তিগুলো সব একতলা। ছোট ছোট। ওদের আলো এই গাছের ঝোপের আড়ালে এখান থেকে দেখা যাবার কথা নয় সাহাব।
- আরেক কাপ চা পাওয়া যাবে শ্যামলাল?
- আমি এক্ষুণি আনছি সাহাব।
- এত রাতে আর দুধ চা নয় শ্যামলাল। লাল চা, সম্ভব হলে একটু আদা দিয়ে।
- জী সাব।
দ্রুত নেমে যায় শ্যামলাল। স্বেচ্ছানির্বাসনের অন্ধকারে একা বসে সৃজিত নিজেকে খুঁজে বেড়ায়। পিকু হঠাৎ যেন ছটফট করে ওঠে। বারান্দার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে যায়। তারপর নদীর দিকে ঘাড় উঁচু কান খাড়া করে কীসে যেন মন দেয়। চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে সৃজিতও বারান্দার ওইদিকটাতে গিয়ে দাঁড়ায়। দিন দুয়েক হল পূর্ণিমা পার করে এসেছে জয়ন্তী। কুয়াশা কেটে যেতেই বরফের মতো ঝকঝক করতে লাগল সাদা সাদা নুড়িপাথরগুলো। পাহাড়ি সুরে বাঁশির আওয়াজে সে এক মন্ত্রমুগ্ধ পরিবেশ। সৃজিত লক্ষ্য করল নদীচরে একজন মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাঁশিটা হয়ত ওই লোকটিই বাজাচ্ছে। চায়ের কাপটা টেবিলে রেখে আস্তে আস্তে নিচে নেমে আসে সৃজিত। শ্যামলাল মূল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল।
- সাহাব, উপর থেকেই শোনেন। সামনে গেলে ও বাঁশি আর বাজাবে না।
- কে বাজাচ্ছে এত সুন্দর বাঁশি?
- গোপাল। সরকারি গেস্ট হাউসের কেয়ারটেকারের ছেলে।
কথা না বাড়িয়ে সৃজিত উপরে উঠে আসে। নিচ থেকে বাঁশির আওয়াজটা তত স্পষ্ট নয়। কিন্তু উপরে উঠে এলেই খুব স্পষ্ট। পাহাড়ি নদীর কোলে হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে সুর। নিঃসঙ্গ প্রকৃতির কোলে এত আনন্দ কোথা থেকে পেল গোপাল? জানতে ইচ্ছে করে সৃজিতের। কাল দিনেরবেলা একবার সরকারি গেস্ট হাউসের দিকে হাঁটতে হাঁটতে যাবে। গোপালের সঙ্গে আলাপ করাটা খুব জরুরি মনে হল। পরক্ষণেই মনে হল, যদি কেউ তাকে চিনে ফেলে? আচ্ছা, তার নিরুদ্দেশের খবর কি কাগজ ছাপবে কাল?
- সাহাব, খাবার।
- শ্যামলাল, কাল সকালে বাজার থেকে খবরের কাগজ এনে দিও তো একখানা।
- জী সাব। এনে দেব। আর কিছু লাগলে বলবেন? বিনয়বাবু ফোন করেছিলেন। আপনার কোনো প্রব্লেম হবে না বাবু।
- বিনয়বাবু তোমাকে ফোন করেছিলেন? কেন?
- আপনার ফোন তো বন্ধ সাহাব। তাই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন। আপনি কেমন আছেন এইসব।
- ওহ। আচ্ছা। রাতের জন্য দু'বোতল জল দিয়ে যেও। আপাতত আর কিছু চাই না শ্যামলাল।
মাথা নাড়িয়ে শ্যামলাল নিচে নেমে গেল। কিছুক্ষণ পরে জলের বোতল দুটো ঘরে রেখে আবার বেরিয়েও গেল। কী অদ্ভুত ব্যাপার। পিকু এবার শ্যামলালের পিছু নিল। সৃজিত দেখল, পিকু একবারও তার দিকে তাকাল না। অতি সন্তর্পণে সিঁড়ি বেয়ে নেমে গেল শ্যামলালের সঙ্গে। পিকুকে কি রুটি না দেওয়ায় রাগ করল? সৃজিত নিজেকে প্রশ্ন করল। উত্তর পেল না। এগুলোই কি সৃজিতের উদাসীনতা? অঞ্জনা কি এই উদাসীনতারই অভিযোগ করে সবসময়? অঞ্জনা কী করছে? ওর কি ঘুম আসবে রাতে? এমনিতেই তো ইনসমনিয়ায় ঘুমোতে পারে না ঠিকমতো। ওকে এত দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলে দেওয়াটা বোধহয় ঠিক হল না। এই প্রথম একটা অস্বস্তি হচ্ছে সৃজিতের। অথচ, এসব নিয়ে ভাববে না ভেবেই বাড়ি ছেড়েছিল। অঞ্জনাকে নিয়ে এই যে সৃজিত ভাবছে সেটা কি তার ভালোবাসা নয়? ভালো না বাসলে কি অঞ্জনার দুশ্চিন্তা নিয়ে সে অস্বস্তিতে পড়ত?
- তোমার ওসব শখের দুশ্চিন্তার কথা ছেড়ে দাও তো। তিনদিন ধরে আমি পায়ের যন্ত্রণায় বিছানা থেকে নামতে পারছিলাম না। আর তুমি কবিসম্মেলন করতে হলদিয়ায় গিয়ে বসে থাকলে। একদিনও ফোনে জিজ্ঞেস করোনি পায়ের ব্যথার কথা। আর, আমাকে তুমি ভালোবাসার কথা শোনাচ্ছ? দুশ্চিন্তার গল্প শোনাচ্ছ?
অঞ্জনার এই সমস্ত অভিযোগের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে বড় অপরাধী মনে হতো সৃজিতের। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস একই অভিযোগের সামনে লড়াই করতে করতে, হারতে হারতে সৃজিতের ভালবাসার আত্মবিশ্বাসটাই হারিয়ে যেতে থাকল। মাঝে মধ্যেই সংশয় এসে তাকেই প্রশ্ন করত, "তুমি কি কাউকে ভালবাস নিজেকে ছাড়া?" অন্ধকারের মধ্যে বাঁশির সুরের সাথে এইসব প্রশ্ন হাওয়ায় ঘুরে বেড়ায়। সৃজিত নিজেকে হারিয়ে ফেলে গোপালের বাঁশির সুরে, অঞ্জনার অভিযোগে, পিকুর আদরের কামড়ে। রাত বাড়ে। বাঁশির সুর মিলিয়ে যায় জয়ন্তীর ভাঙা সাঁকোর নিচে হারিয়ে যাওয়া চাঁদের আলোয়।
(ক্রমশ)
চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।