সংবাদদাতা - পুপাই সরকারঃ আজ ১৭ জুলাই সল্টলেকে বিধাননগর পূর্ব থানাতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি সিসিটিভি ক্যামেরার দ্বারা নজরদারি পরিষেবা। মাঝেমধ্যেই বিধাননগরে দুষ্কৃতিদের দাপাদাপি এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করলে এতদিন তাদের বেশ বেগ পেতে হতো তদন্ত সম্পূর্ণ করতে, কারণ কিছু জায়গা ছাড়া অন্যান্য জায়গায় তেমনভাবে অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো না থাকায়। এই পুরো বিষয়টি বিধাননগরের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নজরে আসতেই তিনি তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা বিধাননগর পুলিশকে দেন, যাতে গুরুত্বপূর্ণ ও বাছাই কিছু জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো যেতে পারে।
বিধাননগরের নগরপাল গৌরব শর্মা (আইপিএস) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, পুলিশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ নজরদারি রাখা। আগের থেকে পুলিশের কাজ অত্যাধুনিক হয়ে গেছে, যার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও ব্যবহার করতে হয় পুলিশকে অপরাধী ধরার জন্য। এই পরিকল্পনার মধ্যে আপাতত সেক্টর ২-এর সাতটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, যার মধ্যে বুলেট ক্যামেরা, PTZ (পান , টিল্ট এবং জুম) ক্যামেরা, MNTR ক্যামেরা আছে যেটির মাধ্যমে কোনও গাড়ির নম্বর প্লেট অনায়াসে ক্যামেরার কাছে চলে আসবে। এই ক্যামেরাগুলি রাত্রিতেও সক্রিয় থাকবে কারণ এগুলিতে 'নাইট ভিসন মোড' সক্রিয় আছে।
মাননীয় নগরপাল আরও জানান, পুলিশের নজরদারির পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও নজরদারি এবং সচেতন হতে হবে। তারা যদি মনে করেন পুলিশকে সাহায্য করবেন, তাহলে নিজের বাড়ির সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে পারেন এবং দরকার পড়লে পুলিশের হাতে ফুটেজ তুলে দিয়ে সাহায্য করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ভূমিকাও প্রশংসনীয়। আগামীদিনে ভিআইপি রোডের সঙ্গে এয়ারপোর্ট এবং সেক্টর ১, সেক্টর ৩ এলাকা যাতে ক্যামেরা নজরদারির ভেতরে চলে আসে তার জন্য পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। পুরো নজরদারি প্রক্রিয়া আশা করা যাচ্ছে পুজোর আগেই শেষ হয়ে যাবে। এই নজরদারির ক্যামেরাগুলির বসানোর জন্য সহযোগিতা করছে ওয়েবেল এবং কানেক্টিভিটির জন্য সিটি কেবল এগিয়ে এসেছে সাহায্য করার জন্য। এইদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বোস, বিধাননগর পৌর নিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র অনিতা মন্ডল, চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত সহ অন্যান্য ব্লকের আবাসিকরা। সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানান এই প্রজেক্ট-এর জন্য তিনি ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তাঁর নিজের সাংসদ তহবিল থেকে এবং পরবর্তী সময়ে পুরো বিধাননগরের জন্য প্রয়োজনে আরও অর্থসাহায্য করবেন।
১লা জুলাই, চিকিৎসক দিবস
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ১লা জুলাই বিশ্বখ্যাত চিকিৎসক ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের শুভ জন্মদিন। ঘটনাচক্রে ওইদিন ওঁনার মৃত্যুদিনও। সারা ভারতে এই দিনটি 'চিকিৎসক দিবস' হিসেবে পালিত হয়। বিধাননগর পুর নিগমের তরফ থেকে ও ১১৬ বিধাননগর বিধানসভা কেন্দ্রের তরফ থেকে বিধাননগরে বিধান চন্দ্র রায়ের পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে মাল্যদান করে, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
এই বিশ্ববন্দিত চিকিৎসক শুধু ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর চিকিৎসাই করেননি, বিদেশের রাষ্ট্রপতি কেনেডি, ক্রুশ্চেভেরও চিকিৎসা করে তাঁদের সুস্থ করেছেন। এককথায় যাঁকে 'ধন্বন্তরি' বলা হয়।
আরেকদিক দিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের রূপকার। তিনি বিধাননগর তৈরি করেছেন, কল্যানী তৈরি করেছেন, তৈরি করেছেন দুর্গাপুর। স্থাপন করেছেন দুর্গাপুর স্টীল প্ল্যান্ট, এ্যলয় স্টীল প্ল্যান্ট, মাইনিং এন্ড এ্যালায়েড মেশিনারি কর্পোরেশন, পাওয়ার প্ল্যান্ট, ডিভিসি, হরিণঘাটা দুগ্ধ প্রকল্প, স্টেট ট্রান্সপোর্ট, ভারতের বৃহত্তম গাড়ির কারখানা হিন্দমোটর। এছাড়া দেশভাগের ফলে ছিন্নমূল উদ্বাস্তুদের জোয়ারের মতো স্রোতকে সুষ্ঠুভাবে পুনর্বাসন দেওয়ার গুরুদায়িত্ব অকল্পনীয় দক্ষতার সঙ্গে সমাধান করেছেন। তিনি চেয়েছিলেন উদ্বাস্তুদের একটা অংশ আন্দামানে বসতি গড়ুক। উনি দূরদর্শী ছিলেন, বিরোধীরা সহযোগিতা করলে, আজ আন্দামান ত্রিপুরার মতো বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতো।
ওঁনার রাজনৈতিক দর্শনের সামগ্রিক অভিমুখ ছিল শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাণিজ্য। এখানেই উনি অন্য সব রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে ব্যতিক্রমী ছিলেন। আজকে তাঁর শুভ জন্মদিনে 'সমন্বয়' ওয়েব ম্যাগাজিনের তরফ থেকে এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষকে জানাই শতকোটি প্রণাম।
চিকিৎসক দিবসে রক্তদান শিবির
সংবাদদাতা - সুদীপ ধরঃ ১লা জুলাই, শনিবার, সকাল ১০টা থেকে সিবি ব্লক সমাজকক্ষে বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিনে পালিত হয় 'চিকিৎসক দিবস' এবং আয়োজন করা হয় এক বড়মাপের রক্তদান শিবির। উদ্যোক্তা বিধাননগর পুর নিগমের জনপ্রিয় মেয়র পারিষদ সদস্য রাজেশ চিরিমার, সহযোগিতায় শ্রী কুলোদয়া দুর্গা সেবা ট্রাস্ট কলকাতা, সিদ্ধার্থশংকর রায় ফাউন্ডেশন, সুরেশ কুমার চিরিমার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও রোটারী ক্লাব অব ক্যালকাটা, মেগাসিটি।
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিরাট মঞ্চ, প্যান্ডেলে বহু মানুষের উপস্থিতিতে শুরু হয় চিকিৎসক সম্বর্ধনা, সঙ্গে থাকে জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বিশিষ্টজনদের সম্বর্ধনা। অন্যদিকে সমাজকক্ষের একতলায়, দোতলায় ও বাতানুকূল গাড়িতে রক্তদানের ব্যবস্থা রাখা হয়।
প্রথমে মাননীয় অগ্নিনির্বাপন ও জরুরী পরিষেবা মন্ত্রী সুজিত বোস প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করেন। পরে ৪০ জনের বেশি জনপ্রতিনিধিদের সংবর্ধিত করা হয় যাঁদের মধ্যে অন্যতম মন্ত্রী সুজিত বোস, মন্ত্রী রথীন ঘোষ, উপ-মুখ্য সচেতন তাপস রায়, ডাঃ রাণা চ্যাটার্জি, মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র অনিতা মন্ডল, আরত্রিকা ভট্টাচার্য, রহিমা বিবি মন্ডল, রঞ্জন পোদ্দার, বিধাননগরের মহকুমা শাসক বিশ্বজিত পান্ডা প্রমুখ। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের সুপার পার্থপ্রতিম গুহ সহ মোট ৬২ জন ডাক্তারকে আজকের পুণ্য চিকিৎসক দিবসে সম্বর্ধিত করা হয়। মাননীয় মন্ত্রী সুজিত বোসের হাত দিয়ে বিধাননগর হাসপাতালের জন্য ডাঃ পার্থপ্রতিম গুহের হাতে ডায়াথার্মি মেসিন তুলে দেওয়া হয়।
অপরদিকে সিবি ব্লকের সমাজকক্ষের দোতলায় ও বাতানুকূল গাড়িতে দুপুর ১-৩০ পর্যন্ত ২৬৮ জন রক্তদান করেন। বহু উৎসাহী রক্তদাতা তখনও দেখেছি সাগ্রহে অপেক্ষা করে আছে। রক্তদাতাদের এই স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তি একটা উৎসবের চেহারা নিয়েছে। আশা করি রক্তদাতার সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে ৩৫০-এর ঘরে পৌঁছবে।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন ললিত প্রহালকর, বিবেক প্রহালকর, রোটারী ক্লাব অব ক্যালকাটা, মেগাসিটির অর্নব চক্রবর্তী, ঝিলম রায়চৌধুরী, ফাদার জোসেফ পাওরিয়া, ফাদার আই. সি. জেকব প্রমুখ। ফাদার জোসেফের হাতে বিধায়ক ও ডাক্তার রাণা চ্যাটার্জি একটি ডায়াথার্মি মেসিন তুলে দেন। এ ছাড়াও এই অঞ্চলের ২৫ জন কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।
রাজেশজীর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়, আজকের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত হয়ে না এলে, ওঁনার সাংগঠনিক ক্ষমতা ও দক্ষতার এত বড়ো দৃষ্টান্ত, আমার অজানা থেকে যেত।
উপস্থিত ডাক্তারদের বক্তব্যে একটা জিনিস সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়েছে, "বাঙালি যেমন বহু বিষয়ে ভারতকে পথ দেখিয়েছে, স্বেছায় রক্তদানেও সে ভারতকে পথ দেখাচ্ছে"।
চিকিৎসকদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন ও বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ৪১ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা রত্না ভৌমিকের উদ্যোগে বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে ১লা জুলাই, শনিবার, সকাল ১০টায়, এবি ব্লক কমিউনিটি হলে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে আয়োজিত হয় বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির ও 'চিকিৎসক দিবসে' ডাক্তারদের সম্মাননা জ্ঞাপন।
প্রচুর মানুষের উপস্থিতিতে প্রধান পৃষ্ঠপোষক মাননীয় অগ্নিনির্বাপন ও জরুরী পরিষেবা মন্ত্রী সুজিত বোস এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে এসে এই শুভ প্রচেষ্টার সাফল্য কামনা করেন। বিধাননগর পুর নিগমের মহানাগরিক প্রধান অতিথির ভাষণে, এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন, বিশেষ করে রত্না ভৌমিকের সারা বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। উল্লেখযোগ্য জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন অনিতা মন্ডল, রহিমা বিবি মন্ডল, কাকলি সাহা, চামেলী নস্কর, রঞ্জন পোদ্দার প্রমুখ। এতদঅঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে চিকিৎসকদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন, আসলে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সামাজিক দায়িত্ব পালন। তাই এই অনুষ্ঠান শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভাবগম্ভীর পরিবেশের উঁচু তারে বাঁধা থাকে।
ছোটদের কবিপ্রণাম
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ৩০শে জুন শুক্রবার, সন্ধ্যা ৬টায়, রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে "ছোটদের কবিপ্রণাম" নামে একটা প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক উৎপল ঝা।
মোট ২০টি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্যের মাধ্যমে নিবেদিত হয় কবিপ্রণাম। প্রত্যেকের জন্য নির্ধারিত সময় ছিল ১০ মিনিট। উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগী সাংস্কৃতিক সংস্থার নাম 'রিদম', 'অধরা মাধুরী', 'অদ্বিতীয়া', 'নৃত্য মন্দির', 'অর্পিতা ডান্স স্কুল', 'অন্য স্বপ্ন', 'অনির্বাণ', 'কথায় ও কবিতায়', 'নৃত্যাবৃত্তি', 'মোহনা', 'বিধাননগর ছন্দনীড়' প্রমুখ।
যেহেতু এই কবিপ্রণাম প্রতিযোগিতামূলক, তাই প্রতিটি সাংস্কৃতিক সংস্থা ভালোভাবে তৈরি হয়ে তাদের অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। সে কারণে প্রতিটি প্রোডাকশন দর্শকরা খুবই উপভোগ করেন।
'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র আজীবন সদস্য ও জি ব্লকের বাসিন্দা অনুসোমা দাসের নেতৃত্বে 'রিদম' নৃত্যগোষ্ঠী উল্লেখযোগ্য পারফরমেন্স করে, ফলে দর্শকদের করতালিতে রবীন্দ্র ওকাকুরা প্রেক্ষাগৃহ মুখরিত হয়ে ওঠে। এখানেই শিল্পীদের সাফল্য স্বীকৃত হয়ে যায়।
যে সমস্ত শিল্পীরা 'রিদম'-এর তরফ থেকে অংশগ্রহণ করে তারা হল - অঙ্কিতা ঘোষ, শ্রীজয়ী চৌধুরী, উজানী পাল, সুকন্যা দে, আদৃজা মিশ্র, ঋতুশ্রী মুখার্জি, দীপান্বিতা কর্মকার, তিয়াসা দেবনাথ, দেবস্মিতা সাহু ও নন্দিনী ঘোষ। কারিগরী সহায়তায় ছিলেন অভিরূপ রায়চৌধুরী, অর্ণক চক্রবর্তী, রাজন্য মন্ডল। মেক-আপ করেছে 'মিরর কেয়ার' (সত্য হালদার)। কস্টিউম ডিজাইন-এর দায়িত্ব সামলেছে 'রূপসজ্জা কুটির', শিয়ালদহ।
শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব
সংবাদদাতা - সুশোভন মুখার্জিঃ উল্টোরথের দিন, ২৮শে জুন, বুধবার, সকাল থেকে শুরু হয় শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব। আয়োজক 'রথযাত্রা পূজা কমিটি'। অনুষ্ঠানস্থল - সিকে-৯৫, সেক্টর-২, বিধাননগর, কোলকাতা-৭০০০৯১।
এই উৎসব শুরু হয়েছে ২০২১ সাল থেকে। প্রধান পৃষ্ঠপোষক অদিতি ঘোষ ও শোভনা ঘোষ। সমগ্র অনুষ্ঠান সুচারুভাবে আয়োজনের দায়িত্বে আছেন বিজয় সাউ, সঞ্জয় দাস, বাদল বিশ্বাস, শ্রীকান্ত বনিক, হৃষিকেশ জানা ও শক্তিপদ মহাপাত্র।
সকাল থেকে পূজা-পাঠ, ভোগ, কীর্তন ও রাগ চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। তারপর ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ হয়। এখানে বসে মহাপ্রসাদ খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। বিগত দু'বছর ৫০০-র মতো ভক্ত মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন। এ বছর সেই সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়।
সিকে মার্কেট, আনন্দলোক, বাস স্টান্ড, করুণাময়ী সহ এতদ অঞ্চলের বহু মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন। বিশিষ্টদের মধ্যে ছিলেন অদিতি ঘোষ, শোভনা ঘোষ, ৫ নং বোরোর চেয়ারম্যান রঞ্জন পোদ্দার, 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র চেয়ারম্যান, সুদীপ ধর প্রমুখ। প্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে সন্ধ্যা ৬টা বেজে যায়। ভক্তপ্রাণ মানুষেরা এত অল্প সময়ের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে এতবড় আয়োজন করার জন্য উদ্যোক্তাদের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন।
বিধাননগর রথের মেলায় 'কাহন'-এর অনুষ্ঠান
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২৭শে জুন, মঙ্গলবার, সন্ধ্যে ৭টায় বিধাননগর রথের মেলায় অনুসোমা দাসের পরিচালনায় প্রথমে 'কাহন' গোষ্ঠী দর্শকভরা মেলা প্রাঙ্গণে পরিবেশন করে 'শ্রীকৃষ্ণ বন্দনা'।
শুরুতে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে 'জগন্নাথ-বন্দনা' করা হয়। এরপর শ্রীকৃষ্ণ রাধার লীলাকে কেন্দ্র করে ভক্তিমূলক গানের ডালি সাজানো হয়। একটার পর একটা গান দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে, বিশেষ করে শেষের দিকে কীর্তনাঙ্গের গান হরেকৃষ্ণ, হরেকৃষ্ণ ধ্বনিতে অনুষ্ঠানস্থল মুখরিত হয়ে ওঠে। দর্শকরা উদ্বাহু হয়ে নাচতে থাকেন, গাইতে থাকেন। এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকেন মেলা কর্তৃপক্ষ।
দ্বিতীয় পর্বে অনুসোমা দাসের পরিচালনায় নিবেদিত হয় 'রিদম' গ্রুপের রবীন্দ্র নৃত্যআলেখ্য 'আনন্দধারায় এসো'। এখানে নৃত্যগীতের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করা হয়। প্রতিটি নাচে মনে হয় একজন অপরজনকে অতিক্রম করে যাচ্ছে। প্রতিটি নাচের শেষে দর্শকদের তুমুল করতালিতে অনুষ্ঠানস্থল মুখরিত হতে থাকে।
উপস্থিত দর্শক, শ্রোতারা অনুষ্ঠান দু'টির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। বিশেষ করে উদ্যোক্তা কুমার শঙ্কর সাধু, রমেন দাস ও পৌরমাতা রত্না ভৌমিক।
প্রথম পর্বে 'কাহন'-এর অনুষ্ঠানে যারা অংশ নিয়েছিলেন, যথাক্রমে তারা হলেন অনুসোমা দাস, শিউলি আদিত্য, মৌসুমী চক্রবর্তী, পিয়ালী দাস, সুস্মিতা সেন, ইন্দ্রানী পাঠক, অর্চণা বিশ্বাস ও অপর্ণা গোস্বামী।
দ্বিতীয় পর্বে 'রিদম'-এর তরফ থেকে যারা অংশগ্রহণ করে, তারা হলেন অঙ্কিতা ঘোষ, শ্রীজয়ী চৌধুরী, ঋতুশ্রী মুখার্জি, সুমেধা দত্ত, সুকন্যা দে, উজানী পাল ও আদৃজা মিশ্র।
যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন অর্পন রঞ্জন ভট্টাচার্য (কী বোর্ড), মিহির পোদ্দার (প্যাড ও পার্কারশন), সোমনাথ (গিটার), দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায় (তবলা ও খোল)।
বিধাননগর রথের মেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২৫শে জুন, রবিবার, সন্ধ্যায় বিধাননগর রথের মেলায় ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে 'আনন্দম' গোষ্ঠী ২৫ মিনিটের 'রবীন্দ্র-নজরুল প্রণাম' অনুষ্ঠান আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্যকলা সহযোগে পরিবেশন করেন।
সমগ্র অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এইচবি পার্কে মহা সমারোহে রক্তদান উৎসব পালিত
সংবাদদাতা - রাজর্ষি দত্তরায়ঃ মাননীয় মন্ত্রী সুজিত বোসের নির্দেশে ৩৪ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা ও ৫ নং বরোর চেয়ারম্যান রঞ্জন পোদ্দারের সুযোগ্য নেতৃত্বে ২৪শে জুন, শনিবার, সকাল ৯টা থেকে এইচবি পার্কে মহাসমারোহে পালিত হলো, রক্তদান উৎসব।
প্রচুর লোকের সমাগমে পার্কের একদিকে টেকনো গ্লোবাল মাল্টিস্পেশালিটি ও অঙ্কোলজি হাসপাতালের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন, মাঝে রক্তদাতাদের রক্তদানের ব্যবস্থাপনা আর অন্য প্রান্তে সুবিশাল মঞ্চে শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশন। প্রথমে খ্যাতনামা শিল্পী প্রসূন বাগচী ও তার কন্যা বৃষ্টি বাগচী পুরোনো দিনের গানের ডালি নিয়ে শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন। এরপর আসেন প্রখ্যাত লোকশিল্পী মৈনাক পালোধী। তাঁর জোরালো কণ্ঠের লোকগীতি, বিশেষ করে তাঁর গায়কী উপস্থিত দর্শক, শ্রোতাদের অভিভূত করে রাখে।
দুপুর ৩টে পর্যন্ত রক্তদানের ব্যবস্থা থাকে, এরপর রক্তদাতা যারা আসেন, তাদের ফিরে যেতে হয়। কুড়িজনের মতো রক্তদাতা ফিরে যান। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ১৭৬ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন। ২০০ জনের লক্ষ্যপূরণ না হওয়ায় উদ্যোক্তাদের একাংশ হতাশ হয়ে পড়েন।
মন্ত্রী সুজিত বোস ছাড়া আর যাঁরা এই প্রয়াসের সাফল্য কামনা করেন, তাঁরা হলেন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, পৌর প্রতিনিধি তুলসী সিনহা রায়, চামেলী নস্কর, রত্না ভৌমিক, রাজেশ চিরিমার প্রমুখ। দুপুরে সকলের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা থাকে। রক্তদাতা সহ উপস্থিত সকলে এই আয়োজনে সামিল হন এবং আনন্দঘন পরিবেশে আগামীদিনের ইতিকর্তব্য নির্ধারণ করেন। রঞ্জন পোদ্দারের প্রতিটি অনুষ্ঠানের মতো, এই অনুষ্ঠানও তার সুচারু সাংগঠনিক দক্ষতায় সর্বতোভাবে সফলতা লাভ করে।
৩২ নং ওয়ার্ড অফিসের সামনে রক্তদান উৎসব
সংবাদদাতা - সুশোভন মুখার্জিঃ ১১৬ বিধাননগর বিধানসভার বিধায়ক তথা মাননীয় অগ্নিনির্বাপন ও জরুরী পরিষেবা মন্ত্রী সুজিত বোসের আহ্বানে ও বিধাননগর পুর নিগমের ৩২ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা কাকলি সাহার উদ্যোগে ২৩শে জুন, শুক্রবার, সকাল ১০টায় ওয়ার্ড অফিসের সামনে বিরাট করে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।
ডিএল ব্লক, ইই ব্লক ও করুণাময়ীর বহু মানুষের উপস্থিতিতে ভালো সংখ্যায় রক্তদাতা রক্তদান করে এই মহতী উদ্যোগকে সাফল্যমন্ডিত করেন। অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য মাননীয় মন্ত্রী সুজিত বোস, পৌর প্রতিনিধি সহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। রক্তদান এক মহৎ প্রচেষ্টা, যা একজন মুমূর্ষু রোগীকে জীবন দিতে সাহায্য করে। উপস্থিত সুধী নাগরিকেরা এই ধরণের শুভ প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করেন।
উপস্থিত এতদ অঞ্চলের মানুষরা এই শুভ প্রয়াসের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন এবং আগামীদিনে এই ধরণের উদ্যোগে যুক্ত থাকার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।
সুষ্ঠুভাবে এই মহতী অনুষ্ঠানকে সম্পন্ন করার জন্য পৌরমাতা সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
কাশ্মীর ভবনে রক্তদান উৎসব
সংবাদদাতা - সুশোভন মুখার্জিঃ ১১৬ বিধাননগর বিধানসভার বিধায়ক তথা মাননীয় অগ্নিনির্বাপন ও জরুরী পরিষেবা মন্ত্রী সুজিত বোসের আহ্বানে ও ২৯ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা তথা বিধাননগর পুর নিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর উদ্যোগে ২১শে জুন, বুধবার, সন্ধ্যায়, কাশ্মীর ভবনে বিরাট করে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।
বহু মানুষের উপস্থিতিতে ভালো সংখ্যায় রক্তদাতা রক্তদান করে এই মহতী উদ্যোগকে সাফল্যমন্ডিত করেন। রক্তদাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য বহু জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। মাননীয় মন্ত্রী ছাড়াও যেসব পৌর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা হলেন তুলসী সিনহা রায়, চামেলী নস্কর, অনিতা মন্ডল, কাকলি সাহা, রহিমা বিবি, রঞ্জন পোদ্দার, বাণীব্রত ব্যানার্জি, রাজেশ চিরিমার প্রমুখ।
যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া এই অনুষ্ঠান সফলভাবে চালনা করা যেত না, তাঁদের অন্যতম শিবনাথ (শিবু) ঘোষ, 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র আজীবন সদস্য ও পরিচালন সমিতির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এই শুভ প্রয়াসের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন এবং আগামীদিনে এই ধরণের উদ্যোগে যুক্ত থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান।
প্রিয়দর্শিনী মিস বেঙ্গল, ২০২৩-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা
সংবাদদাতা - পুপাই সরকারঃ তিলোত্তমা কলকাতার বুকে গতকাল Soul The Sky Lounge-এ 'প্রিয়দর্শিনী মিস বেঙ্গল, ২০২৩' অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হলো। আগস্ট মাসের ২৩ তারিখ কলকাতার লেক ক্লাবে আয়োজিত হতে চলেছে বিউটি কনটেস্ট 'প্রিয়দর্শিনী মিস বেঙ্গল, ২০২৩'। বিউটি কনটেস্টের জন্য অডিশন হবে কলকাতা, শিলিগুড়ি ও দুর্গাপুরে। এখান থেকে মূল পর্বের জন্য বাছাই করা ১০ জনকে এবং তাদের মধ্য থেকে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় নির্ধারণ করা হবে। অডিশন শুরু হবে আগস্ট মাসের গোড়া থেকে। 'প্রিয়দর্শিনী' ম্যাগাজিনের কর্ণধার পুষ্পজিত ঘোষ জানান, এই প্রথমবার 'প্রিয়দর্শিনী' ম্যাগাজিনের তরফ থেকে 'প্রিয়দর্শিনী মিস বেঙ্গল, ২০২৩' আয়োজন করা হচ্ছে। এর আগে তারা একাধিক ফ্যাশন শো-এর আয়োজন করেছিলেন এবং প্রত্যেক বছর তারা নতুন মডেলদের দিয়ে ক্যালেন্ডার ফটোশ্যুট করান। ২৩শে আগস্ট সন্ধ্যেবেলা এই প্রতিযোগিতাটির ফাইনাল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লেক ক্লাবে।
প্রথম ১০ জনকে সিলেক্ট করার পর তাদের দিয়ে গ্রুমিং, ফটোশ্যুট, মেকওভার সব প্রশিক্ষণই দেওয়া হবে। বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার তেজাস গান্ধী জানান, বিভিন্ন শহর থেকে আমরা নতুন ট্যালেন্ট খুঁজে আনার চেষ্টা করছি কারণ আমরা যেটা চাইছি, কলকাতা থেকে এমন সব মডেল বেরিয়ে আসুক যাদেরকে দিয়ে আমরা ন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় রিপ্রেজেন্ট করতে পারি, কারণ সম্প্রতি বাংলা থেকে যে সমস্ত নতুন মডেলরা উঠছে, তারা দেখতে ভালো হলেও তাদের ভেতরে বাঙালিয়ানার ছাপ থেকে যাচ্ছে। যার জন্য ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় তারা সেরকম স্থান করে নিতে পারছেন না।
বাংলার সৌন্দর্যকে একটা অন্যরকম মডার্ন লুক দিতে চাইছেন ডিজাইনার তেজস গান্ধী। এইদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মডেল মাধবীলতা মিত্র, মডেল নিক রামপাল, ইউএসএ থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন হেমন্ত মারদা, সাংবাদিক দেবোপম সরকার, শুভাশিস সাহা, রানা রায়, অভিনেতা সুমন ব্যানার্জি, অভিনেত্রী সম্পূর্ণা লাহিড়ী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
‘সমন্বয়’ একটি উদ্যোগ একটি ভাবনা। যার জন্ম করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি-র ছত্রছায়ায়। এটি একটি মাসিক ওয়েব ম্যাগাজিন, যার উদ্দেশ্য আঞ্চলিক সুপ্ত ও অর্ধবিকশিত প্রতিভাকে সকলের মধ্যে তুলে ধরা।