স্থানীয় খবর
-
গুণীজন সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র উদ্যোগে 'শনিবারের আসর' এবং 'সমন্বয়' মাসিক ই-পত্রিকার বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ২৪শে ফেব্রুয়ারি, শনিবার, বিকাল ৫টা থেকে রবীন্দ্র-ওকাকুরা ভবনে বিশাল করে 'গুণীজন সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান'-এর আয়োজন করা হয়।
আমন্ত্রিত গুণীজনের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট কবি চিরঞ্জীব হালদার, গদ্যকার ইনাস উদ্দিন, ক্রীড়া সাংবাদিক দেবাশিস সেনগুপ্ত, সাংবাদিক বিশ্বজিত পন্ডা, আবৃত্তিকার ইলা রায় ও সংগীতশিল্পী ইন্দিরা বন্দোপাধ্যায়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সফল করার জন্য যে সমস্ত শিল্পী সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তাদের অন্যতম 'খোয়াই', 'রূপকথা কবিতায় অপেরা', 'নতুন দিশারী', 'গীতম', 'বিকেলে ভোরের ফুল' ও 'বিধাননগর তা-থৈ কালচারাল আকাদেমি'। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন অমিয়া চক্রবর্তী। সুচারুভাবে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন উত্তম চক্রবর্তী ও সঞ্জনা শীল।
প্রচুর মানুষের উপস্থিতিতে উদ্বোধন সংগীতের মাধ্যমে এ দিনের অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়। উদ্বোধন সংগীত পরিবেশন করেন নীলব্জা চ্যাটার্জী। তাঁর মধুর কণ্ঠের "মধুর ধ্বনি" গানটি শ্রোতাদের আবিষ্ট করে রাখে।
পাঁচ বছরের ঋতজা চ্যাটার্জী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'তালগাছ' কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনায়।
'নতুন দিশারী আর্ট এন্ড কালচার' নিবেদন করে ভাষা দিবসের ওপর একটি কবিতা কোলাজ "অমর একুশ"। বাংলাভাষা শহীদদের স্মরণে নিবেদিত উৎকৃষ্ট মানের এই অনুষ্ঠান সহজেই দর্শকমন জয় করে নেয়। অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন পার্থপ্রতিম শীল, সঞ্জনা শীল ও লোপামুদ্রা ঘোষ।
উদ্বোধনী সংগীতের পর আবৃত্তি করে শোনায় শিশুশিল্পী পরমাদৃত চ্যাটার্জি ও প্রবীণা আবৃত্তিকার ইলা রায়। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন স্মিতা আচার্য। শিশুশিল্পী রিসিমা গুহের গানের সঙ্গে ক্ষুদে শিল্পী রিদ্ধিমা সাহার নাচ দর্শকদের মুগ্ধ করে রাখে।
এরপর 'খোয়াই' সাংস্কৃতিক সংস্থা নিবেদন করে একটি মনোজ্ঞ নৃত্য-গীতি আলেখ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "প্রথম পূজা"। আবৃত্তিতে ছিলেন শুভময় মুখোপাধ্যায়, সংগীতে সৌগত শঙ্খ বনিক, উত্তম চক্রবর্তী ও অমিয়া চক্রবর্তী এবং নৃত্যে ছিলেন শ্রীজা মিত্র, সুস্মিতা চ্যাটার্জি, রূপাঞ্জনা চোঙ্গদার, জয়দ্রিজা দাস ও উৎসা রায়। কী-বোর্ডে ছিলেন প্রদ্যুত গাঙ্গুলী এবং তবলায় সন্দীপ রায়। এই অনুষ্ঠান দিনের সেরা বলে প্রতিভাত হয়।
এরপর অনুষ্ঠানের সঞ্চালক উত্তম চক্রবর্তী ভরা গলায় "আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি" গানটি গেয়ে শোনান।
পরের অনুষ্ঠান ছিল 'বিকেলে ভোরের ফুল'-এর শ্রুতিনাটক "বৌমার পাঁচালী"। বিধাননগর তা-থৈ আকাদেমি পরিবেশন করে নৃত্যানুষ্ঠান। এই দুটি অনুষ্ঠানও সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করে।
কবি শঙ্খ ঘোষের যমুনাবতী ও সলিল চৌধুরীর শপথ কবিতার ওপর আধারিত 'রূপকথা কবিতায় অপেরা' গোষ্ঠীর ইউরোপিয়ান অপেরার ঢঙে পরিবেশিত অনুষ্ঠান উপস্থিত শ্রোতৃমন্ডলীর মন কেড়ে নেয়। করতালি ধ্বনির উচ্ছ্বাসে তা প্রমাণ রেখে যায়। এই উৎকৃষ্ট মানের অনুষ্ঠানের কুশীলবেরা হলেন শুভময় মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রাণী মজুমদার, মৌসুমী মুখার্জী চ্যাটার্জি ও সায়ন্তন রায়।
পরিশেষে ছিল 'গীতম মিউজিক এন্ড ড্যান্স'-এর তরফে পরিচালিকা শ্রীমতী সুমিতার নিবেদন "আমার মুক্তি এই আকাশে"। নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন সায়নী ওঝা, প্রিয়ন্তী চক্রবর্তী ও শ্রীমতী সুমিতা। এই নৃত্যনাট্য উপস্থিত সকলের মন কেড়ে নেয়, করতালি ধ্বনিতে তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
পরিশেষে 'সমন্বয় সমিতি'র চেয়ারম্যান ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্যে সকল স্তরের মানুষের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রেঁনেসার উদ্যোগে আয়োজিত সরস্বতী পূজা ২০২৪ সালে তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করে। ১৩ই ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার পূজার উদ্বোধন তথা দ্বারোদ্ঘাটন হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় দমকল ও জরুরী পরিষেবা মন্ত্রী সুজিত বোস। তাঁর হাত দিয়েই পূজামন্ডপের দ্বারোদ্ঘাটন হয়। এছাড়া যে সমস্ত বিশিষ্ট অতিথিরা ওই দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তারা হলেন যথাক্রমে আইএফএ'র সম্পাদক অনির্বাণ দত্ত, মেয়র পারিষদ সদস্য তুলসী সিনহা রায়, বোরো চেয়ারম্যান রঞ্জন পোদ্দার এবং সমন্বয় ওয়েব ম্যাগাজিনের সম্পাদক সুদীপ ধর।
১৪ই ফেব্রুয়ারি, সরস্বতী পুজোর দিন সকাল ১১টায় শুরু হয়, ছোটদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। বয়স ভিত্তিক তিনটি বিভাগে মোট ৩৩ জন অংশগ্রহণ করে। সফল প্রতিযোগীদের ছবি আগামীদিনের সমন্বয় ই-পত্রিকায় প্রকাশিত হবে।
৫ থেকে ৮ বছর বিভাগে প্রথম- ধ্রুব চৌধুরী; দ্বিতীয়- তাভিস্কা খান্ডেলওয়াল; তৃতীয়- রুসিকা হোড়।
৯ থেকে ১২ বছর বিভাগে প্রথম- মহর্ষি রায়; দ্বিতীয়- আশির্বাণী বারুই; তৃতীয়- দীপাংশু জানা।
১৩ থেকে ১৬ বছর বিভাগে প্রথম- রুদ্র চক্রবর্তী; দ্বিতীয়- শ্রেয়াংশ লাখমাভ; তৃতীয়- সুমন রাজ।
সকল সফল প্রতিযোগীদের যথাযথভাবে পুরস্কৃত করা হয়।
ত্রুটিহীন পূজা আয়োজনে রেঁনেসার সদস্যরা ও স্থানীয় ভক্তমন্ডলী ব্রতী হয়। অত্যন্ত ভাবগম্ভীর পরিবেশে পূজাকার্য সম্পন্ন হয়। পূজা শেষে পাঁচ শতাধিক ভক্ত প্রসাদ গ্রহণ করে।
সন্ধ্যে ৬-৩০ মিঃ থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথমে ইন্দিরা বন্দোপাধ্যায়ের পরিচালনায় পরিবেশিত হয় একক ও সমবেত সঙ্গীত। এরপর বনত্রী মন্ডল পরিবেশন করে আবৃত্তি ও গান। শ্রেয়া মন্ডল আবৃত্তি, রীতায়ন মন্ডল ও সম্পূর্ণা গুহ গান গেয়ে শোনায়। এরপর সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে দেখায় চেতনা, শ্রেয়া, ভাবী, ঋতিশা, ভীর, করণ, জশিত, তেজস ও ঈশান। তারপর কল্লোল ঘোষের সংলাপ গোষ্ঠী পরিবেশন করে শ্রুতি নাটক। তাছাড়া কুহেলী সাহা, ভীর, রোহন, প্রিভা হাজরা, সৃষ্টি, করণ, অর্চিষ্মান কর যথাক্রমে নাচ, তবলা, বাঁশি, গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করে। পরিশেষে থাকে "দ্রুত সরস্বতী লেখার প্রতিযোগিতা"। প্রতিটি পর্ব দর্শক ও শ্রোতাদের আগ্রহ সঞ্চার করতে সক্ষম হয়।
সরস্বতী পুজোর পরের দিন ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট, বরিষ্ঠ নাগরিকদের ফ্যাশন শো। অনেক প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম হয় জাহানারা মন্ডল, দ্বিতীয় বিনোদ কাপুর ও পুষ্পা কাপুর, তৃতীয় মিতা সরকার। এক মিনিটে সরস্বতী লেখার প্রতিযোগিতায় প্রথম তন্ময় দাস, দ্বিতীয় পুষ্পা কাপুর। শেষ ইভেন্ট শঙ্খবাদন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় রূপা পাল, দ্বিতীয় সাধন পাল।
রেঁনেসা আয়োজিত এই সর্বাঙ্গসুন্দর সরস্বতী পুজো, যেখানে দেখোয়া নেই, আছে পরিপূর্ণ আন্তরিকতা, তা এই অঞ্চলের স্থানীয় মানুষদের হৃদয়-মন জয় করে নেয়। একই সঙ্গে এটাও ঠিক পুজো কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব, কর্তব্য বেড়ে গেলো, আগামীদিনে আরও সুন্দর, উপভোগ্য পুজো উপহার দেওয়ার শর্তে।
-
পূর্ণেন্দু পত্রীর স্মরণসভা
প্রেরিত সংবাদঃ বহুমুখী প্রতিভার অনন্য ব্যক্তিত্ব বাংলার বরেণ্য কবি, শিল্পী, চলচ্চিত্র পরিচালক পূর্ণেন্দু পত্রীর স্মৃতি স্মরণে হাওড়া জেলার শ্যামপুর থানার অন্তর্গত ধান্দালী অঞ্চলে গড়ে উঠেছে পূর্ণেন্দু স্মৃতি শিল্পগ্রাম। 'ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়' সেই গ্রাম পূর্ণেন্দু স্মৃতি ধন্য। আছে পূর্ণেন্দু স্মৃতি তোরণ, পূর্ণেন্দু স্মৃতি শিশু-শিক্ষা নিকেতন, পূর্ণেন্দু স্মৃতি মুক্ত মঞ্চ, পূর্ণেন্দু স্মৃতি শিল্প প্রদর্শনশালা, আঁকডুম ছবি আঁকার আসর, স্মৃতি মন্দির, স্বপ্ন দেখার ঘর, সবেতেই- সব সৃষ্টির মধ্যেই প্রয়াত পত্রীর অদৃশ্য উপস্থিতি, পূর্ণেন্দু ভাবনার সফল সার্থক প্রয়াস।
গত ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ শুক্রবার পূর্ণেন্দু স্মৃতি শিল্পগ্রাম সমিতির উদ্যোগে উদযাপিত হলো তাঁর ২৬তম বর্ষ স্মৃতি স্মরণ ও ৯৩তম বর্ষ জন্মতিথি অনুষ্ঠানে পূর্ণেন্দু অনুরাগী হিসেবে আমন্ত্রিত বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঙ্গালপুর মহিলা বিকাশ কেন্দ্রের প্রাণপুরুষ, প্রতিষ্ঠাতা মান্যবর গোপাল ঘোষ, মনের মিলন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সম্পাদিক- স্রষ্টা শ্যামা দাস, বিশিষ্ট শিল্পী মলয় দাস, স্বপন পোল্যে, প্রাক্তন অধ্যাপক আক্রাম হোসেন মোল্লা, সঞ্জীব দাস, পরিবেশ বন্ধু জয়িতা কুন্ডু, নাট্যব্যক্তিত্ব শ্যামল দত্ত, শিক্ষাবিদ কবি বেনু ব্যানার্জি, শিল্প-সংস্কৃতি চর্চায় নিবেদিত প্রাণ অজিত মিত্র, বিশ্বদীপ চক্রবর্তী, ছিলেন পূর্ণেন্দুর 'শিল্প ও সাহিত্য ভাবনা' বিষয়ে আলোচক শিক্ষাবিদ-কবি মনিরুল ইসলাম। প্রতি বৎসরের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের অতিথি সম্মাননার সঙ্গে জেলার দুই প্রাজ্ঞ ব্যক্তিত্ব, সৃজন শিল্পের অনন্য রূপকার সম্বিত গোলুই এবং রাজশ্রী গোলুইকে বিশেষ পূর্ণেন্দু স্মৃতি স্মারক সম্মানে সম্মানিত করা হয়।
আমন্ত্রিত অতিথি বর্গের সুচিন্তিত মনোজ্ঞ আলোচনা, শিল্পগ্রামের সম্পাদক রূপকার শিল্পী-কবি রণজিৎ কুমার রাউতের তাৎপর্যপূর্ণ অভিভাষণ এবং নিয়ন্ত্রিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সভার কাজের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জাদুকর শ্যামল কুমার সম্প্রতি বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানে ম্যাজিক দেখালেন। বিশেষকরে ৪ দিন ধরে কলকাতায় আইস স্কেটিং রিংকে অনুষ্ঠিত kid's fair এ নতুন নতুন খেলা দেখিয়ে ছোট বড় সবার মন জয় করে আলোড়ন ফেলে দিলেন।
এছাড়া দূরদর্শনের পর্দায় (ডিডি বাংলায়) প্রত্যেক শনিবার একক অনুষ্ঠানে তার ম্যাজিক গুণীজনের ভূয়সী প্রশংসা ও স্বীকৃতি আদায় করে নেয়।
টাটা মেডিক্যাল সেন্টার, নিউটাউনে প্রেমাশ্রয়-এর প্রেক্ষাগৃহ কানায় কানায় ভর্তি ছিল শ্যামল কুমার এর একক অনুষ্ঠান দেখার জন্য।
করুণাময়ী সমন্বয় সমিতির সদস্য শ্যামল কুমারের একটা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার অভিনব উদ্যোগকে দলমত নির্বিশেষে করুণাময়ী ও সংলগ্ন অঞ্চলের অধিবাসীরা অকুণ্ঠ সাধুবাদ জানায়।
সংবাদদাতা - মমতা বিশ্বাসঃ 'সুরজিৎ ও বন্ধুরা কবিতা ক্লাব' ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১০০ শব্দে গল্প ও বার্তা লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সপ্তম পর্ব, ফেব্রুয়ারি, ২০২৪। এটি ছিল শনিবার স্পেশাল। গল্প ও বার্তা জমা পড়ে ২০০টি। নির্বাচিত হয় কুড়িটি গল্প ও বার্তা। সেরার সেরা নির্বাচিত হন পাঁচ জন।
শনিবারের স্পেশাল ২৪শে ফেব্রুয়ারি 'অক্সফোর্ড বুক স্টোর'-এ নির্বাচিত ও সেরার সেরাদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন 'সুরজিৎ ও বন্ধুরা (Surojit O Bondhura) কবিতা ক্লাব'-এর পক্ষ থেকে সুরজিৎ স্যার ও ক্লাবের অন্যান্য বন্ধুরা। কলকাতা, মেদিনীপুর, হুগলী, চব্বিশ পরগণা, নদিয়া, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে এসেছিলেন নির্বাচিত লেখকগণ। অনুষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের দশ মিনিট দেরিতে শুরু হয়। কবিতা ক্লাবের বন্ধুরা 'মাতৃভাষা' নিয়ে নাতিদীর্ঘ মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। মন ছুঁয়ে গেল ক্লাবের মধ্যমণি সুরজিতবাবুর বক্তব্যে। তাঁদের কর্মকাণ্ড চলছে ১০ বছর ধরে। কোনো এন্ট্রি ফি ছাড়াই এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য নির্মল আনন্দলাভ। 'অক্সফোর্ড বুক স্টোর'-এর সহযোগিতার কথাও তিনি উল্লেখ করলেন। সেরার সেরাদের গিফট ভাউচার প্রদান করে 'অক্সফোর্ট বুক স্টোর'। নিবেদিতা ঘোষ মার্জিত কিছু অমার্জিত কথ্যভাষার শব্দের উল্লেখ করে ব্যাখ্যা করলেন। বর্তমানের অশালীন শব্দের থেকে অনেকটায় মার্জিত। ক্লাবের আর একজন বিশিষ্ট সদস্যা ক্লাবের অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরলেন। স্বরচিত কবিতা পাঠ করলেন দুজন। নির্বাচিত এক সদস্য কবিতা ক্লাব নিয়ে রচিত কবিতা পাঠ করে শোনালেন। দুপুর ২টো দশ মিনিট থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত এই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে গ্রুপ ফটো তোলার মধ্য দিয়ে। শুধু আনন্দ নয়; আরও অনেক কিছু নিয়ে বাড়ি ফিরলেন সকলে। যার ওজন বা হিসেব কোনোটাই দেওয়া যায় না।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনীর সদস্যরা মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার্থে নিবেদিত প্রাণ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গজননীর বীর সন্তানদের স্মরণে প্রভাতে এক শোভাযাত্রা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে গানে-আলোচনায় অংশ নেন ও বক্তব্য রাখেন সংস্থার সম্পাদক রূপায়ণ চৌধুরী, সাজঘরের শমিত ব্যানার্জী, পৌরসভার সভাপতি সুব্রত ঘোষ, সহ-সভাপতি কৌশিক প্রামাণিক, অরুণ বসাক, উদয়ন মুখার্জী সহ বিশিষ্ট জনেরা। মাতৃভাষা চর্চা ও প্রসারের ওপর বেশি করে গুরুত্ব প্রদানের জন্য বক্তারা আবেদন করেন। রূপায়ণবাবু বলেন, কবি করুণানিধান ও কবি যতীন্দ্র সেনগুপ্তের পদচিহ্ন ধন্য শান্তিপুরের ভাষা সুমিষ্ট এবং স্বতন্ত্র। একে রক্ষা করতে আমাদের মাতৃভাষায় পড়া, শেখা ও শেখানো আরও জরুরি । নিজ ভাষার ওপর যত প্রাধান্য বাড়বে ততই অন্য ভাষা বোধগম্য হবে।