স্থানীয় খবর

  • বর্ষবরণ

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র উদ্যোগে ও সমতা কো-অপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহযোগিতায় করুণাময়ীর বুকে আয়োজিত হয়ে গেল ১৪৩১-এর বর্ষবরণ উৎসব। ১লা বৈশাখের শুভসকালে ধূপ, দীপ, পুষ্প ও শঙ্খবাদনের মাধ্যমে শুরু যায় নববর্ষের আবাহন।

ভাবগম্ভীর পরিবেশে ১৪ই এপ্রিল সকাল ৮টায় প্রথম অনুষ্ঠান ছিল ইন্দিরা বন্দোপাধ্যায়ের পরিচালনয় সুকুমার রায়ের 'আবোল-তাবোল' গ্রন্থের শতবর্ষ স্মরণে শিশুশিল্পীদের নিয়ে একটি কবিতা কোলাজ। এই অনুষ্ঠানের সকলেই ভূয়সী প্রশংসা করে। অংশগ্রহণে ছিল ঋতায়ন মন্ডল, শ্রীয়া সিনহা, বনত্রী মন্ডল ও সম্পূর্ণা গুহ। এরপর স্বাতী ভট্টাচার্য আবৃত্তি করে শোনায়। পরবর্তীতে শ্রুতিনাটক পরিবেশন করে 'সংলাপ'-এর প্রতিষ্ঠিত বাচিক শিল্পী কল্লোল ঘোষ। এই অনুষ্ঠান দর্শকদের সাধুবাদ কুড়োয়। এরপর আসেন গুণী সংগীতশিল্পী উত্তরা নিয়োগী ও সুদীপ্তা দোলুই। ওঁনাদের গান সকলের মনোরঞ্জনে সমর্থ হয়। তারপরে সত্য হালদার নির্দেশিত রবীন্দ্র-নৃত্য পরিবেশন করে সৃষ্টি সরকার। এই মনকাড়া অনুষ্ঠান সকলের সাধুবাদ অর্জনে সফল হয়। এরপর ইন্দিরা বন্দোপাধ্যায়ের পরিচালনায় 'আনন্দম' গোষ্ঠী সঙ্গীত পরিবেশন করেন। পরিশীলিত উচ্চমানের এই অনুষ্ঠান দর্শকদের মনোরঞ্জনে সমর্থ হয়। সবশেষে সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে 'প্যাশন' সঙ্গীত গোষ্ঠী। এই অনুষ্ঠানও শ্রোতাদের হৃদয়গ্রাহী হয়, সেটা বোঝা যায় উচ্চগ্রামের করতালি ধ্বনিতে।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী সঞ্জনা শীল। তবলায় সহযোগিতা করেন সন্দীপ রায়।


  • মিলন মেলা উৎসব

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মনের মিলন ও সিবি ব্লক ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে তৃতীয় বর্ষের 'মিলন মেলা' উৎসব ২৯শে মার্চ থেকে ৩১শে মার্চ, ২০২৪; শুক্র, শনি ও রবিবার আয়োজিত হয়ে গেল সিবি ব্লক সমাজ কক্ষে। এই তিনদিন ব্যাপী মনোগ্রাহী অনুষ্ঠানে ছিল চিত্রকলা প্রদর্শনী, হস্তশিল্প প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফুড ষ্টলের বিরাট আয়োজন।

২৯শে মার্চ বিকেল ৫টায় এই মেলার শুভসূচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঃবঙ্গ সরকারের মাননীয় দমকল ও জরুরী পরিষেবা মন্ত্রী সুজিত বোস। বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিধাননগর পুর নিগমের মহানাগরিক কৃষ্ণা চক্রবর্তী, মেয়র পারিষদ সদস্য তুলসী সিনহা রায়, পৌরমাতা রত্না ভৌমিক ও কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী স্বাগতালক্ষী দাশগুপ্ত। প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ও চিত্র সমালোচক দেবব্রত চক্রবর্তী, গৌতম দে, আইসিসিআর এর প্রাক্তন ডিরেক্টর শিল্পী বাদল পাল, বিশিষ্ট শিল্পী রঞ্জিত কুমার রাউত ও সমন্বয় ওয়েব ম্যাগাজিনের সম্পাদক সুদীপ ধর।

২৯শে মার্চ, শুক্রবার, দুপুর ২টো থেকে আয়োজিত হয় চিত্র কর্মশালা। সরকারী আর্ট কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিল্পীরা লাইভ ছবি আঁকায় অংশগ্রহণ করেন। সেগুলি ছবি প্রদর্শনীতে স্থান পায়। এরপর একটা বিরাট ক্যানভাসে (৫'×১৫') বহুশিল্পী মিলে ছবি আঁকেন, সেখানে বিশিষ্ট অতিথিরা নাম স্বাক্ষর করেন। লাইভ ছবি আঁকার সঙ্গে অতি বড় ক্যানভাসে সম্মিলিত ছবি আঁকার ব্যবস্থা এ দিনের অনুষ্ঠানের বড় চমক ছিল। আর একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হাওড়া থেকে এসেছিলেন রঞ্জন কুর্মি, যিনি হাত না থাকায়, পা দিয়ে অসাধারণ জল রঙের ছবি এঁকে উপস্থিত অভ্যাগতদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন।

৩০শে মার্চ, শনিবার, বেলা ১২টায় ছিল বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। ৫ বছরের নীচে প্রথম বিভাগ, ৬ বছর থেকে ১২ বছর দ্বিতীয় বিভাগ আর তৃতীয় বিভাগ ১৩ থেকে ১৬ বছর। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়, এই তিন বিভাগের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী 'বোধিপীঠ' ও 'বোধনা হোম' এর আবাসিকরা। কৃতী প্রতিযোগীদের সঙ্গে এদেরও বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হয়।

২৯ থেকে ৩১শে মার্চ সিবি ব্লকের বিশাল মঞ্চে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ছিল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর মনকাড়া অনুষ্ঠান। তাদের অন্যতম স্বাগতালক্ষী দাশগুপ্তের অশোক রেণু, বিশেষকরে তার স্বকণ্ঠে পরিবেশিত উদ্বোধন সংগীত- 'বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো...', নিমেষে দর্শক মন জয় করে নেয়। এছাড়া যারা এই তিনদিন ব্যাপী সান্ধ্য অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সিবি ব্লক ও এইচ এ ব্লক পরিচালন সমিতি, আনন্দম, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বাচিক সংস্থা, শিল্পী মলয় রায়, কবিতা কোলাজে শুদ্ধেশ্বর গ্রুপ, গানের তরী, ভঞ্জন পোদ্দার পরিচালিত উজানের লোকগান, ত্রিকাল ড্যান্স গ্রুপের নৃত্য প্রদর্শন। শ্রুতি নাটক পরিবেশন করে "সঙ্গীতায়ন"। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল নৃত্যশিল্পী অনুরেখা ঘোষের গুরু দুর্গা আয়ার আর্যের অনবদ্য নৃত্য প্রদর্শন। অতি উপভোগ্য এই নৃত্যশৈলী দর্শকদের অভিভূত করে দেয়।

চিত্রশিল্প প্রদর্শন, হস্তশিল্পের রকমারি সম্ভার নিয়ে আগত বিভিন্ন জেলার শিল্পীদের আগমন, বিভিন্ন স্টলের সুস্বাদু খাবার নিয়ে রসনা তৃপ্তির আয়োজন, সত্যিই মনের মিলনকে এই তিনদিনে মহামিলন ক্ষেত্রে রূপান্তরিত করে দিয়ে গেছে। শ্যামা দাশের সুযোগ্য নেতৃত্বে "মনের মিলন" শিল্প সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনে ও সামাজিক কার্যকলাপের বিভিন্ন পরিসরে যে কার্যকরী সদর্থক ভূমিকা নেবে, প্রতিনিয়ত তার প্রমান রেখে চলেছে।


  • দোল উৎসব

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিগত ২৫শে ফেব্রুয়ারি, সোমবার, সকাল ৮টায় 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র উদ্যোগে মর্যাদার সঙ্গে দোল উৎসব পালিত হয়। বসন্ত-বরণের গান দিয়ে অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলা হয়। এরপর ইন্দিরা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে 'আনন্দম' সংগীত সংস্থা দোলের গান গেয়ে দর্শক মন জয় করে নেয়। সঙ্গে চলতে থাকে আবীর খেলা ও মিস্টিমুখের ব্যবস্থা। এদিনের অনুষ্ঠানে যে সমস্ত শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন, তাঁদের অন্যতম শ্বেতা ঘোষ, শিউলি আদিত্য, স্বর্ণালী ভট্টাচার্য, রীতা বসু ও নিলীমা চ্যাটার্জি প্রমুখ।

করুণাময়ীর আবাসিকদের সক্রিয় সহযোগিতায় বসন্ত-বরণের অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিসমাপ্ত হয়।


  • 'জাদুকর দিবস'-এ জাদুসম্রাটের জন্মদিন পালন

নিজস্ব সংবাদাতাঃ জাদুসম্রাট পি. সি. সরকার (সিনিয়র)-এর ১১১তম জন্মদিনটি সারা দেশে 'জাদুকর দিবস' হিসেবে পালিত হয়। কলকাতায় প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে 'জাদুকর দিবস' পালন করা হল।

মল্লিকপুরে (দক্ষিণ ২৪ পরগণা) জাদুসম্রাটের পুত্র পি. সি. সরকার (জুনিয়র)-এর উপস্থিতিতে বহু জাদুকর ও জাদু অনুরাগীরা এই দিনটি পালন করেন।

সেখানে বিধাননগর থেকে জাদুকর শ্যামল কুমার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।