স্থানীয় খবর
-
'রিও'-র জন্মদিনে জঙ্গল সাফারি
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জঙ্গল সাফারি করতে হলো 'রিও'-র জন্মদিনে। রিও'র পোষাকি নাম রণিত চক্রবর্তী। তার চার বছর পূর্ণ বলে কথা? স্বাভাবিক যেতে হয়েছিল মানি স্কোয়ারে।
খোঁজ নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে যেতেই আলো-আঁধারিতে অভ্যর্থনা জানাল একটি প্রমান সাইজের হাতি ও একটি জিপ গাড়ি। সম্বিত ফিরে পেতেই দেখি গাছের ডাল ধরে ঝুলছে এক শিম্পাঞ্জী। কিংকর্তব্যবিমূঢ় আমাকে দেখে একজন প্রশ্ন করলো, আপনি কোথায় যাবেন? বললাম, রণিত চক্রবর্তীর জন্মদিনে এসেছি। উনি বললেন, তবে ডান দিকে যান। ডান দিকে যাব কী, বাঁদিকে দাঁড়িয়ে একটা সিংহ ও সিংহী। আলো অন্ধকার কিছুটা স্থিতু হতেই দেখি দূরে একটা বাঘ। পাশেই দাড়িয়ে আছে দেখি, একটা জিরাফ ও তার বাচ্চা। মাথার ওপরে দেখি এক আদিবাসী শিকারীর তীর- ধনুক তাক করে আছে দূরে গাছের ডালে বসা চিতা বাঘের দিকে। এদিকে ঝর্ণার জলের কাছের বাঘটি মাঝেমাঝে গর্জন করছে। ঝর্ণার জলের এপাশে একটি বক মাছ শিকারের অপেক্ষায় ওত পেতে আছে। গাছ থাকবে, পাখি থাকবে না, পাখির ডাক থাকবে না, তা কী হয়? পাখির ডাকও শোনা গেল।
রিও'র জন্মদিন বলে কথা, চমক না থাকলে চলবে? খাওয়া দাওয়াও ছিল এলাহি। রিও'র একটাই দুঃখ, ওর জন্মদিনে অস্ট্রেলিয়া থেকে ওর মা ও দিদি আসতে পারেনি। তবে রিও'র ঠাকুরদা, ঠাকুরমা, দাদু, দিদা, পিসি, পিসেমশাই, মামারা উপস্থিত ছিলেন। জমজমাট এই অনুষ্ঠান শেষ হতে রাত ১১টা বেজে যায়। এই দিনের অনুষ্ঠানের ব্যতিক্রমী পরিবেশ ও এত রকমের খাদ্যদ্রব্যের পরিবেশন, উপস্থিত অতিথি-অভ্যাগতদের অনেক দিন স্মরণে থাকবে বলে মনে হয়।
-
পত্রিকা প্রকাশনায় 'উদ্দীপন'
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উদ্দীপন সাহিত্য পত্রিকার উদ্যোগে নবম বর্ষের নবম সংখ্যা বিশেষ কবিতা সংখ্যা হিসেবে প্রকাশিত হয়। এই উপলক্ষে বিগত ৯ই জুন, রবিবার, ২০২৪, দুপুর ৩-৩০ মিনিটে মুন্সীরহাট সাধারণ পাঠাগারে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে পুস্তক প্রকাশনা ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সূচনায় উদ্বোধন সংগীত গেয়ে শোনান সৌহার্দ্য আদক ও মল্লিকা আদক। উদ্দীপন পত্রিকার তরফে স্বাগত ভাষণ দেন সম্পাদক প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী। বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি দিলীপ বসু, কাশীনাথ আদক ও স্বপন নন্দী।
নবম বর্ষের নবম সংখ্যা, যেটা কবিতা সংখ্যা হিসেবে প্রকাশিত, সেখানে ৬৭ জন কবির মোট ১৪৮টি কবিতা আছে। এই বইটির উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কবি দিলীপ বসু। সম্পাদক প্রদীপ কুমার চক্রবর্তীর ৮ম কাব্যগ্রন্থ লুণ্ঠিত জীবনকাব্য উদ্বোধন করেন লেখক কাশীনাথ আদক।
বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন বিকাশ মন্ডল, রেশমা খাতুন, তাপস ঘোষ, সৌমেন চক্রবর্তী, সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ দত্ত, আনন্দময় কর, অশোক কুমার চক্রবর্তী, অজিত ভড়, মহিনুর ইসলাম, গৌতম রায়, পলাশ দাস, দীননাথ চক্রবর্তী, সংহিতা ঘোষাল ও শুভাশিস মান্না।
আবৃত্তি করে শোনান স্থিতধী চ্যাটার্জী, ঐশী চ্যাটার্জী ও পৌর্য রায়। আধুনিক কবিতা ও সাম্প্রতিক কবিতার ওপর বিশদে আলোচনা করেন স্বপন নন্দী ও রেশমা খাতুন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অতিথি দিলীপ বসু ও কাশীনাথ আদক। সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন অর্পিতা সীট নন্দ ও শিল্পী ঘোষাল। ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্য রাখেন তুষার বসু। সমগ্র অনুষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনায় ছিলেন শুদ্ধশীল ঘোষ, কানাই আদক, সোনা মুন্সী ও সত্যব্রত চ্যাটার্জী।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে সল্টলেক রেনেসাঁর উদ্যোগে ৫ই জুন, ২০২৪, বুধবার, বেলা ৩টে থেকে ৩২ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন ৫০ জন শিশু ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বৃক্ষরোপন ও সংরক্ষণ কর্মসূচি।
করুণাময়ীর ৩নং গেটে ৫০ জন কচিকাঁচা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে একটাই সুর বাঁধা ছিল- আনন্দিত প্রাণের স্পন্দনে জাগুক এ শিশুবৃক্ষ।
"মহোৎসবে লহ এরে ডেকে, সৌভাগ্যদিনে ধরণীর বর্ষা অভিষেকে।" করুণাময়ী ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের যে সব বালক-বালিকারা পদযাত্রায় ও বৃক্ষরোপনে অংশ নিয়েছিল, তাদের নাম যথাক্রমে আয়ুশ্রী বিশ্বাস, আনিফা খাতুন, শিউলি মাহাতো, নন্দিতা দাস, পল্লবী মন্ডল, সুমিত্রা প্রধান, স্বপ্না মন্ডল, সোনালি ঘোষ, শ্রাবন্তী মাইতি, বেবী বিশ্বাস, চুমকি হালদার, দেবস্মিতা মিস্ত্রি, ত্রিনয়নী সরকার, টাপুর ঘোষ, ভূমিকা মন্ডল, জয়ী বড়ুয়া, কৃষ্ণা সরকার, সুইটি কাহার, পরমাদৃত চ্যাটার্জী, ইভানা বনিক, অভিরাজ দত্ত, রিতিশা ডি কেডিয়া, ভাবি ডি কেডিয়া, বিভান সরকার, সারা ইসলাম, আনুম ইসলাম, রায়ান মন্ডল, প্রিয়াশা মন্ডল, অদিত্রি বাসু, পার্থিব প্রামাণিক, শাহিন চক্রবর্তী, আকাশ মুখার্জী, চিত্রালী দত্তরায়, অদ্রিজা সান্যাল, শুভ্রদীপ সান্যাল, দেবাংশী চ্যাটার্জী, সুমন রাজ, সৌরনীল গুহ, সাক্যমৃত গুহ, রুদ্র চক্রবর্তী, সপ্তর্ষি সামন্ত, বৃহস্পতি সিং, অরিন দাস, রিদ্ধিমা সাহা।
পদযাত্রা সহযোগে বৃক্ষরোপন পর্ব চলে সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত। স্থানীয় বহুমানুষ এই শুভ কর্মযজ্ঞে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। পরিশেষে অংশগ্রহণকারী বালক বালিকারা করুণাময়ী খেলার মাঠে পরিবেশ সচেতনতার ওপর একটা পথনাটিকা পরিবেশন করে, যা উপস্থিত দর্শকদের মনোরঞ্জন করে।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা হলেন সুদীপ ধর, সম্পাদক, সমন্বয় ওয়েব ম্যাগাজিন; অনুসোমা দাস, কর্ণধার, কাহন ও রাজর্ষি দত্তরায়, কর্ণধার, চিত্রালী স্কুল অফ আর্টস। সল্টলেক রেনেসাঁর সম্পাদক রামানুজ চ্যাটার্জী বলেন, সারা বছর ধরে তাদের ক্লাব বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত থাকেন। আগামীদিনে আরো বৃহত্তর আকারে বৃক্ষরোপন ও সংরক্ষণ অনুষ্ঠান আয়োজন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ আধিকারিকেরা এই উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। বৃক্ষরোপন যাত্রা অনুষ্ঠানের স্পনসররা হলেন ডি'ক্যাথলান, সল্টলেক; সৃজন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও রান এন্ড ফান, হাওড়া। ডি'ক্যাথলানের তরফ থেকে প্রতিটি অংশগ্রহণকারী বালক-বালিকাদের সার্টিফিকেট ও মেডেল প্রদান করা হয়।
-
"মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই,/ নহে কিছু মহীয়ান"
সংবাদদাতা - ইনাস উদ্দীনঃ কৃষ্ণনগরে বিদ্রোহী কবির স্মৃতি বিজড়িত হেরিটেজ ভবন গ্রেস কটেজে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী।
১৯২৬ সাল থেকে ১৯২৮, প্রায় আড়াই বছর কবি সপরিবার এই ভবনে বসবাস করেন। এখানেই জন্ম হয় কবির প্রিয় পুত্র বুলবুলের, রচিত হয় 'দারিদ্র্য' 'খালেদ' প্রভৃতি বিখ্যাত কবিতা, 'মৃত্যুক্ষুধা' উপন্যাস, সূচনা হয় বাংলায় গজল গানের। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ দপ্তরের এলাকাধীন থাকা প্রায় ধ্বংস হতে থাকা বাড়িটি 'সুজন বাসর' নামের একটি সাংস্কৃতিক সংস্থার উদ্যোগে ২০১২ সালে হেরিটেজ ঘোষিত হয়। সরকারি উদ্যোগে বহু ব্যয়ে ভবনটির সংস্কার করা হয়। বর্তমানে বাড়িটিতে নজরুল চর্চা এবং একটি সংগ্রহশালা গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে।
বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে মে মাস জুড়ে গ্রেস কটেজে নজরুল- কেন্দ্রিক বসে আঁকো, সঙ্গীত, আবৃত্তি এবং প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তিনশতাধিক কচিকাঁচা সেখানে অংশগ্রহণ করে। গত শনিবার (২৫ মে, ২০২৪) সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা একের পর এক আসতে থাকেন। ছন্দভূমি নৃত্যসংস্থা, গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ, বিশ্ব মৈত্রী পরিষদ প্রভৃতি সংগঠনের প্রতিনিধিগণ ভবনে রক্ষিত কবির আবক্ষ মূর্তিতে মাল্য অর্পণ এবং কবিতা ও নৃত্যগীত সহকারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সকাল ৯-০০ টায় গ্রেস কটেজ কেন্দ্রিক সুজন পাঠাগার ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে 'দুর্গম গিরি কান্তার মরু' সমবেত সংগীত সহযোগে সংক্ষিপ্ত পথ পরিক্রমার মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।
সূচনায় অনুষ্ঠানে অভ্যাগত সকলকে স্বাগত জানান সুজন পাঠাগারের অন্যতম কর্মকর্তা রতন কুমার নাথ। প্রশিক্ষক শঙ্খশুভ্র সরকারের নেতৃত্বে গ্রেস কটেজে সংগীত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের সমবেত 'নম নম নম, বাংলাদেশ মম' পরিবেশন দিয়ে অনুষ্ঠানের উদবোধন হয়।
কচিকাঁচাদের পুরস্কার বিতরণী পর্বে প্রতিযোগিতায় স্থানাধিকারীদের হাতে একটি সুদৃশ্য শংসাপত্রসহ নজরুল বিষয়ক একটি পুস্তক তুলে দেওয়া হয়। কথা কবিতা ও গানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুস্তকের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটে। নজরুল সাহিত্যের প্রায় সত্তর শতাংশ ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন গিয়াসুদ্দিন দালাল। কলকাতার সাংস্কৃতিক সংস্থা 'আলিয়া সংস্কৃতি সংসদ'এর উদ্যোগে কবির 'অগ্নিবীণা' কাব্যের অনুবাদ 'Harp of Fire' গ্রন্থটির এদিন গ্রেস কটেজে আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটে। প্রমীলা নজরুলের ভগিনী অঞ্জলি সেনগুপ্তের পুত্র বর্ষীয়ান অশোক কুমার সেনগুপ্ত ফুলের পাপড়ি সরিয়ে পুস্তকের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটান, উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিজনদের হাতে তুলে দেন। আলিয়া সংস্কৃতি সংসদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সাইফুল্লা, অধ্যাপক মীর রেজাউল করিম এবং অধ্যাপক আফসার আলী। অনুবাদক গিয়াসুদ্দিন দালাল চিকিৎসার কারণে বাঙ্গালোরে থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন নি।
গ্রেস কটেজে এইদিন আরেকটি মূল্যবান সংকলনগ্রন্থ 'কাজী নজরুল ইসলামঃ একশো পঁচিশে' প্রকাশিত হয়। কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কিত প্রকাশিত বিভিন্ন প্রবন্ধ, তথ্যপঞ্জী, চিঠিপত্র ইত্যাদি সম্বলিত প্রায় বারোশো পৃষ্ঠার বিশালায়তনের এই বইটি সম্পাদনা করেছেন দীপাঞ্জন দে, প্রকাশক গোবরডাঙার গেটওয়ে পাব্লিকেশন। ফুলের আবরণ সরিয়ে পুস্তকটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটান বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠক মণিমোহন ধর।
অন্যান্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে এদিন উপস্থিত ছিলেন প্রাবন্ধিক আরফান আলি বিশ্বাস, তিনি কবির প্রতিবেশী আকবর উদ্দিনের পরিবারের সদস্যও বটে। তিনি তাঁর রচিত কিছু পুস্তক গ্রেস কটেজে'র জন্য সভাপতি দীপংকর দাসের হাতে তুলে দেন। ছিলেন সঙ্গীত প্রতিযোগিতার বিচারক শিল্পী শাহাবুদ্দিন বেতার, আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিচারক সুজিত কুমার বিশ্বাস, সম্পদ নারায়ণ ধর, দেবনারায়ণ মোদক, রবি বিশ্বাস প্রমুখ। এছাড়াও ছিলেন বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী পীতম ভট্টাচার্য, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, জিয়াগঞ্জ থেকে এসেছিলেন সাদেরুল আমিন, কলকাতা থেকে আরও এসেছিলেন দীপক মৃধা প্রমুখ। বিশিষ্ট অতিথিদের হাতে একটি পোড়ামাটির গ্রেস কটেজ স্মারক উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। সেটি প্রস্তুত করেছেন শিল্পী বাপী দাস।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানাধিকারীদের মধ্যে সঙ্গীত পরিবেশন করে তিথি ঘোষ, উৎসা বিশ্বাস, অপ্রাজিত বিশ্বাস এবং শুভ্র ব্যানার্জী। অনুরূপ আবৃত্তিতে প্রথমদের মধ্যে কবিতা শোনায় মৃত্তিকা মোস্তাফা, ময়ুখ বিশ্বাস ও দিশারী মজুমদার। প্রশিক্ষক তিলক বিশ্বাসের পরিচালনায় কল্পনা আবৃত্তি চর্চাকেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে 'ফরিয়াদ' কবিতার একটি কোলাজ। অনুষ্ঠানে গান গেয়ে শোনান বীথিকা মল্লিক, প্রীতিকণা জোয়ারদার, সুবীর দত্ত, মণীষা সরকার, জয়দেব মন্ডল, গার্গী সেনগুপ্ত, সীমা বড়াল, দীপংকর দাস, ইনাস উদ্দীন প্রমুখ। কবিতা শোনান সুকৃতি ঘোষ, গোপা দেবনাথ, চৈতালী বড়াল, বিকাশ বিশ্বাস, সন্টু ঘোষ, স্বরাজ বক্সী, সন্ধ্যারানী সেনগুপ্ত, পাপড়ি দাস, মুকুল পাল প্রমুখ। সামগ্রিক ভাবে অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন দীপংকর দাস। সঞ্চালনা করেন ইনাস উদ্দীন। অবশ্য সঞ্চালনার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ নেপথ্যে জুগিয়ে গিয়েছেন বীথিকা মল্লিক, সুকৃতি ঘোষ, রাজিফা খাতুন, শোভনা দাস, রোহিত শেখ, বাপ্পা এবং অবশ্যই দীপাঞ্জন, রতনদা ও বাপী দাস। পরিশেষে যার কথা না বললেই নয়, তিনি হলেন অমৃতাভ দে। সমস্ত সার্টিফিকেট প্রিন্ট এবং লিখে রেডি করে দিয়ে, তিনি লাদাখ বেড়াতে চলে গিয়েছেন।
সংবাদদাতা - রূপায়ণ চৌধুরীঃ কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গ সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনে বিচরণ করা শান্তিপুরের সর্বজন স্বীকৃত একমাত্র প্রতিষ্ঠান শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনী বিগত ২৫শে মে, শনিবার, ২০২৪ সকাল থেকে সাড়ম্বরে বাংলাদেশের জনপ্রিয় কবির জন্মদিনটি সুচারুভাবে পালন করে।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং উভয়বঙ্গের হৃদয়ের মণি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি নাচ, গান, কবিতার মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পূর্ণিমা মিলনীর শিল্পীরা।
মালঞ্চ মাঠ যথাযথ ভাবে সাজানো ও কবির মূর্তিতে মাল্যদানের পর, কবিমূর্তির পদতলে আয়োজিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এই অঞ্চলের পৌরমাতা বুলা করিগর, প্রাক্তন পৌরপিতা সাজাহান শেখ, ক্লাব সভাপতি পঙ্কজ সান্যাল, সহ সভাপতি পার্থ প্রামাণিক, বিশিষ্ট অতিথি দেব কুমার মিত্র, চন্দ্রণা মুখার্জী ও সৌম্য খাঁ। সংযোজনায় ছিলেন বাচিক শিল্পী কাবেরী দাস ভদ্র। সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনায় ছিলেন সম্পাদক রূপায়ণ চৌধুরী।
বহুমানুষের উপস্থিতিতে প্রতিটি অনুষ্ঠান দর্শকদের মনোরঞ্জনে সমর্থ হয়। এলাকাবাসী মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করেন, মালঞ্চে এতো সুন্দর অনুষ্ঠান এর আগে আর কখনো হয়নি। এখানেই উদ্যোক্তাদের এতো দিনের পরিশ্রম সার্থকতা লাভ করবে এবং আগামীদিনে আরো সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজন করার অনুপ্রেরণা জোগাবে।