নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিভিন্ন ধারার সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় স্তরে পথিকৃত 'ব্লু চিপ' কোম্পানির বিধাননগর ২ নম্বর শাখায় শনিবার, ২৯শে জুলাই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পঞ্চম বর্ষের গ্রাহক সম্মেলন। এই উপলক্ষে রঙিন বেলুন দিয়ে গেট ও অফিসটিকে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছিল।
শাখা অফিসে সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই গ্রাহক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক গ্রাহক। আলোচনায় মিউচুয়াল ফান্ডের বিভিন্ন দিক নিয়ে ও ব্যক্তিজীবনে সঞ্চয়ের অপরিসীম গুরুত্ব নিয়ে আলোকপাত করেন শাখা আধিকারিক দেবযানী বসু ও ক্ষেত্রিয় আধিকারিক অরূপ দে। 'ব্লু চিপ' সংস্থার তরফ থেকে প্রতি মাসে মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিয়ে ১৫ দিন অন্তর দুটি বুলেটিন বার করা হয়। একই ছাতার তলায় টার্ম ইন্সিউরেন্স, মেডিক্লেম, ইমিডিয়েট পেনশন, ডেফার্ড পেনশন, হাই রিটার্ন সহ টার্ম ইন্সিউরেন্স, ক্যাপিটাল গেন ট্যাক্স থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত স্কিম আছে। এছাড়া কোনো মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে এন.এফ.ও. ছাড়লে এখান থেকে কেনার ব্যবস্থাও আছে। একজন মানুষ ও তার পরিবারের যাবতীয় আর্থিক চাহিদার সমাধানের ব্যবস্থা 'ব্লু চিপ'-এর মাধ্যমে অনায়াসে করা যায়।
শাখা আধিকারিক দেবযানী বসু জানালেন মার্চ, ২০২৫-এর টার্গেট ৩.৫ কোটি টাকার ব্যবসা। ক্ষেত্রিয় আধিকারিক অরূপ দে জানান, কোলকাতার মোট ১৫টি শাখার ব্যবসার মোট লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে ৩০ কোটি টাকার। উপস্থিত গ্রাহক ও অভ্যাগতদের জন্য জলযোগ এবং মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন রাখা হয়েছিল। এদিনের অনুষ্ঠানকে সাফল্যমন্ডিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে প্রতিভা মন্ডল, চৈতালী রায়, দুষ্মন্ত মান্না ও সুদীপ আচার্য।
'ব্লু চিপ' কোম্পানির বিভিন্ন স্কিম বিশদে জানতে গেলে যোগাযোগ করুন নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে - সুদীপ আচার্য (+91 8926162974); দেবযানী বসু (+91 9748578985) ও অরূপ দে (+91 9437166522)।
উল্টোরথ উৎসব, ২০২৪
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ প্রভু জগন্নাথদেবের পুনর্যাত্রা উপলক্ষে 'সিকে ব্লক রথ কমিটি' ১৬ই জুলাই, ২০২৪, মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা নিয়ে তাদের পঞ্চম বর্ষের প্রভু জগন্নাথদেবের সেবা-পূজার আয়োজন করে।
ওঁকারেশ্বর নববৈষ্ণব সম্প্রদায় ভজন, কীর্তন করে আসর জমিয়ে দেয়। ভক্তরা কীর্তনের সঙ্গে উদ্বাহু হয়ে নৃত্য করতে থাকে। পূজা-পাঠ, আরতি সহ ভোগ-রাগ নিবেদন করা হয় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা ও বালগোপালের উদ্দেশ্যে। প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবীর পরণে ছিল নির্দিষ্ট পোষাক। ভক্তদের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয় 'কাশ্মীর ভবন'-এ। পাঁচ শতাধিক ভক্ত ঠাকুরের প্রসাদ গ্রহণ করে।
গতকাল থেকে যারা পূজা আয়োজন সহ যাবতীয় ব্যবস্থাপনায় যুক্ত ছিলেন তাঁদের অন্যতম সঞ্জয় দাস, বাদল বিশ্বাস, হৃষিকেশ জানা, পিন্টু বর্মন, বাচ্চু, মধু রায়চৌধুরী, নমিতা দাস, সুমিত্রা জানা, লতা বিশ্বাস, টুম্পা বর্মন, রীণা রায়চৌধুরী, শক্তিপদ মহাপাত্র, তপতী মহাপাত্র ও সম্পাদক বিজয় সাউ।
'জি' ব্লকের খুঁটিপুজো
সংবাদদাতা - কে. এস. ব্লগার্সঃ ১৪ই জুলাই, ২০২৪, রবিবার, সকাল ৯:৩০টায় করুণাময়ীর 'জি' ব্লকের খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমে জি ব্লক প্রাঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করে এদিনের অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করা হয়।
উদ্বোধনী সংগীতের পর আড়াই ঘন্টা ধরে বিশিষ্ট শিল্পীদের নিয়ে জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, সঙ্গে ছিল পাড়ার শিশুশিল্পীদের নিয়ে মনকাড়া অনুষ্ঠান। এদিনের অনুষ্ঠানে ফরাসি কনসাল জেনারেল আসেন। সকলকে চমকে দিয়ে তিনি ঢাক বাজাতে থাকেন, শিশুশিল্পীরা তার তালে তালে নৃত্য প্রদর্শন করতে থাকে। পুজো শেষে ব্লকের আবালবৃদ্ধবনিতা খুঁটিটি কাঁধে নিয়ে পূজাপ্রাঙ্গণে পুঁতে দেয়। এই উপলক্ষে পূজা কমিটির পক্ষ থেকে সকলের জন্য জলযোগের ব্যবস্থা রাখা হয়।
বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন ব্লকের প্রতিনিধিরা, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা কাকলি সাহা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অগ্নিনির্বাপন ও জরুরী পরিষেবা দফতরের মন্ত্রী শ্রী সুজিত বোস।
রথযাত্রা ও রথ মেলা, ২০২৪
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিধাননগর 'শ্রীচৈতন্য ভাগবত সমাজ' আয়োজিত ৩৬তম রথযাত্রা ও রথ মেলা ২৮শে জুন থেকে ১৪ই জুলাই অবধি অনুষ্ঠিত হল বিধাননগর সেন্ট্রাল পার্কে। ১৮ দিনব্যাপী এই মহামেলার আয়োজক বিধাননগর 'শ্রীচৈতন্য ভাগবত সমাজ'। ৩৭ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত একটি ক্ষুদ্র সংগঠন কিভাবে আজ এতোবড় মহীরুহে পরিণত হয়েছে, তা স্বচক্ষে না দেখলে বোঝা যায় না। অসংখ্য মানুষের আনাগোনা, চারিধারে বিকিকিনি, উচ্ছল কলরোল, আলোয় ধাঁধানো মেলাপ্রাঙ্গণ - একটা মন ভালো করা অন্য অনুভূতি এনে দেয়। সাংস্কৃতিক মঞ্চের পাশে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার মন্দির, সেখানে নিত্যপূজা, ভোগ-রাগের ব্যবস্থা, অগণিত দর্শনার্থীর আনাগোনা - একটা পবিত্র মাধুর্য বয়ে আনে। এখানে না এলে, সেটা ঠিকভাবে উপলব্ধি করা যাবে না। মেলার মাঠের মধ্যে ছোট, বড়ো প্রায় ৩৫০টি বিপণি আছে, যার মধ্যে বাংলাদেশেরও দোকান আছে। বাইরে রাস্তাজুড়ে পসরা সাজিয়ে বসেছে অসংখ্য দোকান, মনে হয় জাঁকজমক অবিকল বিধাননগর মেলার মতো।
২৮শে জুন, ২০২৪ শুক্রবার রথের মেলার শুভ উদ্বোধন করেন বিধাননগর পুর নিগমের মাননীয়া মহানাগরিক কৃষ্ণা চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর 'শ্রীচৈতন্য ভাগবত সমাজ' পরিচালন কমিটির সকল সদস্য ও অগণিত ভক্তমন্ডলী। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী বল্লারী রায়। এরপর রতন রায়ের পরিচালনায় শুরু হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। সঞ্চালনায় ছিলেন নন্দিতা সিংহ।
মেলা কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রাখেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এছাড়া ৩০০ টাকার কুপনের বিনিময়ে ঠাকুরের ভোগ প্রসাদও বিতরণ করা হয়। ভোগ প্রসাদ বিতরণের এই প্রথা বিগত ১০-১১ বছর ধরে চলছে।
৭ই জুলাই, ২০২৪, রবিবার, দুপুর দুটো থেকে শুরু হয় রথযাত্রা। উদ্বোধন করেন আত্মবোধানন্দ মহারাজ, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী সুজিত বোস। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন বনানী গোস্বামী, সঞ্চালনায় ছিলেন নন্দিতা সিংহ। প্রচুর ভক্তের সমাগমে রথযাত্রা শুরু হয় সেন্ট্রাল পার্ক থেকে, জনাকীর্ণ এই রথযাত্রা বিধাননগরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে পুনরায় ফিরে আসে সেন্ট্রাল পার্কে।
১৫ই জুলাই ২০২৪, সোমবার, দুপুর ৩টায় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা সমারূঢ় সুসজ্জিত রথে পুনর্যাত্রা শুরু হয়। প্রথাগতভাবে সেই যাত্রা করুণাময়ী সহ বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমার পরে নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থল বিএফ-২০তে ফিরে যায়।
১৮ দিনব্যাপী এই মহাকর্মকান্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার দায়িত্বে আছে ২৯ জনের একটি শক্তিশালী কমিটি। বিধাননগর 'শ্রীচৈতন্য ভাগবত সমাজ'-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের মাননীয় বিচারপতি জি. এন. রায়। বর্তমান সভাপতি রমেন দাস, সহ সভাপতি গোপাল চন্দ্র দাস, দীপা কুন্ডু, তাপসকান্তি সেনগুপ্ত, রূপক সিনহা ও নিরঞ্জন দত্ত। সাধারণ সম্পাদক কুমার শংকর সাধু, উপ সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস রায়, যুগ্ম সম্পাদক গৌতম কুমার পাল, অভিজিৎ পোদ্দার ও কৌশিক রায়চৌধুরী। কোষাধ্যক্ষ অমিতাভ সিনহা। অত্যন্ত কার্যকরী এই সমিতি দক্ষতার সঙ্গে দিনের পর দিন যেভাবে রথযাত্রা ও মেলা নিপুণভাবে সংগঠিত করে চলেছে, তার সুনাম শুধু বিধাননগর নয়, সংলগ্ন জেলাগুলিতেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
কুমার শঙ্কর সাধু (সাধারন সম্পাদক)
সূচনা পর্ব
সংবাদদাতা - সুশোভন মুখোপাধ্যায়ঃ প্রভু জগন্নাথদেবের রথযাত্রার পুণ্যদিনে অর্থাৎ বিগত রবিবার ৭ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যে ৬:৩০টায় 'আইবি' ব্লকের মাঠে শারদ উৎসবের শুভ সূচনা হয় পবিত্র খুঁটিপুজোর মাধ্যমে।
'আইবি' ব্লকে খেলার মাঠ জুড়ে প্যান্ডেল করা হয়। মাঠে ঢোকার মুখে মা দুর্গার মূর্তি মনে শারদোৎসবের আমেজ নিয়ে আসে। একপাশে একই ধরনের রঙিন পোষাকে পুরুষ ঢাকির দল, অন্য পাশে মহিলা ঢাকির দল। ভেতরে ঢুকতেই উচ্চৈস্বরে মন্ত্রোচ্চারণ কর্ণকুহরে প্রবেশ করে মনে প্রশান্তি এনে দেয়। আরও কিছুটা এগোলে আরেকটি প্যান্ডেলে ঢুকতেই দেখা যায় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার শ্রীমূর্তির সামনে পূজারীরা উচ্চকণ্ঠে পূজাপাঠ করছেন। মণ্ডপের সামনে শায়িত আছে সুন্দর করে ফুল, পাতা দিয়ে সাজানো পবিত্র খুঁটিটি। এতদঞ্চলের নারী-পুরুষেরা চেয়ারে বসে পূজা, হোম-যজ্ঞ ইত্যাদি উপভোগ করছেন।
মাঠের মাঝে সুবিশাল মঞ্চে বিশিষ্ট অতিথিদের উত্তরীয়, স্মারক ও চারা গাছ দিয়ে সম্বর্ধনার আয়োজন করা হয়। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন অঞ্জলি জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ, জনপ্রতিনিধি তুলসী সিনহা রায় (মেয়র পারিষদ সদস্য), সায়নী ঘোষ (সাংসদ), সুজিত বোস (মন্ত্রী), 'আইবি ব্লক ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন'-এর সভাপতি শক্তিপদ মজুমদার, সম্পাদক সুভাষ মুখার্জী আর ছিল এই পুজোর মস্তিষ্ক রঞ্জন পোদ্দার (বোরো চেয়ারম্যান)। মাঠভর্তি নিমন্ত্রিতদের উদ্দেশ্যে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে প্রথমে বক্তব্য রাখেন তুলসী সিনহা রায়, সায়নী ঘোষ ও পরে মন্ত্রী সুজিত বোস। সায়নীর মনকাড়া বক্তব্যের ঝাঁজে বোঝা যায়, যুবসমাজ কেন ওঁনার পেছনে মন্ত্রমুগ্ধের মতো ছোটে?
'আইবি ব্লক ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন'-এর ৩৮তম বর্ষের দুর্গাপূজার শুভ সূচনা উপলক্ষে নিমন্ত্রিতদের জন্য ছিল ঢালাও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা। শুরুতে আমপান্না ও কফি। পরে রাতের খাওয়ারের দেদার বন্দোবস্ত।
প্রশ্ন জাগে সূচনা পর্ব যদি এই হয়, শেষটায় না জানি কতখানি চোখধাঁধানো আড়ম্বরপূর্ণ দুর্গাপূজা হবে?
সম্পাদকের জন্মদিন পালন
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ 'সমন্বয়' মাসিক ই-পত্রিকা-র সম্পাদক সুদীপ কুমার ধরের জন্মদিন বিগত ৪ঠা জুলাই, ২০২৪ পালিত হয় অনাড়ম্বরভাবে। ওইদিন উনি ৮০ বছর অতিক্রম করে ৮১ বছরে পদার্পণ করলেন।
৪ঠা জুলাই সকালবেলা অফিস যাওয়ার সময় ছেলে বাবাকে বলে, "ড্রাইভারকে দিয়ে মিষ্টি পাঠিয়ে দিচ্ছি, ঠাকুরকে দেবে, আজ তোমার জন্মদিন। আর সন্ধ্যেবেলায় তোমাকে নিয়ে 'মান্যবর'-এ যাবো, তোমার জন্য পায়জামা-পাঞ্জাবী কিনব।" এদিকে সম্পাদকমশাই হতচকিত, নিজের জন্মদিন, নিজেরই মনে নেই। উত্তরে বললেন, "এত টাকা দিয়ে জামাকাপড় কেনার কোনও দরকার নেই, যথেষ্ট জামাকাপড় আছে। তাছাড়া আজ সন্ধ্যায় শ্যামা দাশের ওখানে সবুজায়নের কর্মসূচি ও বর্ষাবরণ অনুষ্ঠান আছে।"
ছেলে শোনার পাত্র হলে তো! অফিস থেকে সরাসরি শ্যামা দাসের অনুষ্ঠানে এসে উপস্থিত হয়। সেখানে বাবা প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে। বাবা ও ছেলে উভয়ে সেখানে বক্তব্য রাখে, শ্যামা দাস উভয়কে সংবর্ধিত করেন। এরপর ছেলে বাবাকে নিয়ে 'মান্যবর'-এ চলে যায়।
তার আগে বিকেল ৪টার সময় 'ব্লু চীপ' প্রতিষ্ঠানের সল্টলেক শাখা আধিকারিক দেবযানী বসু ও সুদীপ আচার্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য কেক নিয়ে বাড়িতে এসে হাজির হন। সেই সময় 'কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক'-এর অদিতিও এসে উপস্থিত, ওঁনাদের সান্নিধ্যে জন্মদিন পর্বটা সম্পাদকের মহাশয়ের ভালোই কাটে।
কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরে এসে, কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে জন্মদিনের যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, সেখানে যোগ দেন। সেই অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন রাণা হালদার, অঞ্জন পোদ্দার, তপন রায়, রফিক, সজল কুন্ডু, দেবাশিস ঘোষ, তপন নায়ক, সিন্টু মন্ডল প্রমুখ। কেক কাটা, হৈচৈ, খাওয়াদাওয়া ও আড্ডায় দ্রুত সময় কেটে যায়। বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত ১২টা বেজে যায়। সকলেই সম্পাদক মহাশয়ের সুদীর্ঘ জীবন কামনা করেন।
'মনের মিলন'-এর অনুষ্ঠান
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ 'মনের মিলন' সংস্থার উদ্যোগে ও শ্যামা দাসের পরিচালনায় বিগত ৪ঠা জুলাই, ২০২৪ বৃহস্পতিবার, বিকেল ৫:৩০টা থেকে বিদ্যাসাগর আবাসনের সমাজকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে সবুজায়ন ও বর্ষাবরণ উৎসব।
প্রারম্ভিক বক্তব্যে পরিচালিকা শ্যামা দাস সবুজায়নের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন এবং প্রকৃতিকে সবুজ ও সতেজ রাখার শ্রেষ্ঠ ঋতু যে বর্ষা, তাকে বরণ করার উদ্যোগ নেন বৃক্ষচারা বিতরণের মাধ্যমে।
এরপর পরিচালিকা শ্যামা দাস মঞ্চে ডেকে নেন 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'-র চেয়ারম্যান ও 'সমন্বয়' ওয়েব ম্যাগাজিনের সম্পাদক সুদীপ ধর এবং দেবেশ রায়কে। এরপর সকলের উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুরু হয় এদিনের জমজমাট অনুষ্ঠান। সুদীপ ধর তাঁর বক্তব্যে তীব্র ভাষায় নির্বিচারে গাছ কাটার নিন্দা করেন ও প্রতিটি কেটে ফেলা গাছের পরিবর্তে ১০টি গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন, বিশেষ করে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের নামে একটি করে গাছ লাগানোর আবেদনও করেন।
শ্যামা দাসের বক্তব্যে জানা যায়, দিনেশ রাওয়াত নামে একজন বিশিষ্ট প্রকৃতি বন্ধু ৩৬ বিঘা জমির ওপর 'গ্রিন মল নার্সারি' স্থাপন করেছেন। সেখান থেকেই চারাগাছ বিক্রয় করা হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে নানা প্রকৃতিপ্রেমী সংস্থাকে বিনামূল্যে চারাগাছ বিতরণ করা হয়। প্রকৃতির রোষ থেকে সমাজকে বাঁচানোর এছাড়া আর অন্য কোনও পথ নেই।
বিকেল ৫:৩০টা থেকে রাত ৮:৩০ পর্যন্ত আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা উপস্থিত শ্রোতাদের সাধুবাদ অর্জনে সক্ষম হয়।
সঙ্গীত পরিবেশন করেন রীণা রায় ও সুব্রত ঘোষ, আবৃত্তি করেন শর্মিতা রায়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সুদীপ ধর, দেবেশ রায়, শ্রীধর যশ, তাপস সরকার, সুব্রত দাস, স্বপন ঘোষ, সন্ধ্যা বিশ্বাস, অমিতা দত্ত, শুভ্রা ঘোষ, সৌরভ বসু, শ্যামল নাথ, প্রবীর চ্যাটার্জি, অদিতি দত্ত, সুজয় ধর, ইন্দ্রজিত চক্রবর্তী, বাবলু রায় ও মলয় দাস।
অনুষ্ঠান শেষে এই ধরনের মনকাড়া অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য সকলেই ব্যক্তিগতভাবে শ্যামা দাসকে ধন্যবাদ জানান। সকলের হাতে চারাগাছ দিয়ে ও মিষ্টিমুখের মাধ্যমে এদিনের অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
গুণীজন সম্বর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'-র উদ্যোগে মাসিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান 'শনিবারের আসর' ও 'সমন্বয়' মাসিক ই-পত্রিকা-র বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিগত ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫টায় রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবন মঞ্চে আয়োজিত হয় গুণীজন সম্বর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এই বিষয়ে 'দি টেলিগ্রাফ' পত্রিকার তরফ থেকে বিগত ৬ই জুন, ২০২৪ যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, তা আমাদের প্রিয় পাঠকদের জ্ঞাতার্থে পুনরায় নিবেদন করছি।
Online to Stage
Tots to Senior citizens captured hearts with their performances for Karunamoyee based cultural group 'Samanwoy Samity', at Rabindra Okakura Bhavan. The group runs a monthly YouTube show for artists called 'Sanibarer Sandhyo Asor', that has gained popularity just not in Salt Lake but across Bengal and even Tripura and Bangladesh. This was the show's first anniversary.
Those performing on stage had done so online earlier. The show began with a rendition of Tagore's "Madhuro Dhwani Baaje" by Nilabjwa Chatterjee, followed by dance and recitation. Four year old Ritaja Chatterjee confidently recited Tagore's poem 'Taalgachh' without a pause, that too impromptu.
"This child has come to watch the show with her grandmother and mother Nilabjwa, but seeing her zeal we announced her name as performer", smiled Amiya Chakraborty, a member of the group.
Nonagenarian Anindya Sen, of Karunamoyee recited Tagore's lengthy poem 'Dushsomoy' and received a standing ovation from the audience.
Chairman Sudip Dhar highlighted the group's successes over the last year, including launch of a monthly web magazine "Samanwoy" (www.samanwoy23.com). He lauded Chakraborty for managing the online show. "Many were apprehensive about its success initially, but the show gradually gained the momentum", Chakraborty said.
Dhar and Secretary Ranjan Podder then felicited special guests like Debasish Sengupta and Biswajit Panda, who contributed in various ways throughout the year. Indira Bandyopadhyay, a life member of the Samity known for her expertise in music and dance and for her association with 'Akashvani', Kolkata, was felicited for nurturing local talents.
Also honoured were writer Chiranjib Haldar for his contributions to their magazine and Innus Uddin, who writes a popular column titled 'Krishnanagare Kazi' about little known aspects of Kazi Nazrul Islam's life. "The rebel poet never had a permanent address and changed homes more than 35 times in his life. But he spent three years from 1926, at 'Grace Cottage' of Krishnanagar and I have taken up the challenge of highliting that phase through my writings", explained Innus Uddin.
Elderly elocutionist Ila Roy recited a poem and then it was over to several Karunamoyee based cultural groups. 'Khoai' led by Amiya Chakraborty, presented a dance drama based on Tagore's poem 'Pratham Puja'. 'Natun Dishari' presented a poetry collage to mark the 'International Mother Language Day', directed by Partha Pratim Seal.
'Rupkatha Kabitay Opera' presented a poetry collage in opera style. "We are trying to present Bengali poems in European opera style. We have already performed in over 100 shows in a year so people are embracing this new style", said group leader Subhomoy Mukhopadhay.
There was a dance recital title 'Amar Mukti Aloy Aloy' by 'Geetam' group as well as dance by AB Block based 'Ta-Thoi' group and audio drama by their senior citizens' wing 'Bikele Bhorer Phool'.
Columnist: Bharati Kanjilal.
"আপনারে দীপ করি জ্বালো,/ আপনার যাত্রাপথে, আপনিই দিতে হবে আলো।"
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ অকালে চলে গেলেন রণজিৎ সিনহা। 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র সদস্য রণজিৎ সিনহা জীবন সংগ্রামের প্রতিটি স্তরে আলোকিত পথ পরিভ্রমন করেছেন এবং সেই সঙ্গে আত্মীয়স্বজন ও সঙ্গীসাথীদেরও আলোকিত করে গেছেন।
বাবা রামরঞ্জন সিনহা ও মা ছায়ারাণী সিনহার প্রথম পুত্র রণজিৎ সিনহার জন্ম হয় ৭ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৫১ সালে মালদহের অত্যন্ত বর্ধিষ্ণু পরিবারে। প্রচুর জমিজমা ও বিরাট আমবাগানের মালিক ওঁদের পরিবার। রণজিতের এক কাকা অজিত কুমার সিনহা দীর্ঘদিন 'মালদহ জেলা আম ব্যবসায়ী সমিতি'র সভাপতি ছিলেন। নিকট আত্মীয় বিমল দাশ দীর্ঘদিন মালদহের বিধায়ক ছিলেন।
পড়াশোনায় বরাবরই ভাল ছাত্র রণজিৎ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ও এলএলবি যোগ্যতার সঙ্গে পাশ করেন। অল্প বয়সে 'এজি বেঙ্গল'-এ চাকরি পাওয়ায় ও মাত্র ২৫ বছর বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় আরও ডিগ্রি লাভের উদ্দেশ্যে পড়াশোনায় ছেদ পড়ে যায়।
রণজিতের অন্যতম কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গুণ - অসম্ভব ভালো গাড়ি চালাতেন, জাত ক্রিকেটার ছিলেন, জেলাস্তরে ক্রিকেটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। স্থিতবুদ্ধি, স্পষ্টবক্তা, অন্যায়ের সঙ্গে কোনও আপোষ করতেন না। মৃদুভাষী, সদাহাস্যমুখ, বন্ধুবৎসল এই মানুষটির আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ছিল চিরমধুর সম্পর্ক। বেড়াতে অসম্ভব ভালোবাসতেন, বিশেষ করে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দল বেঁধে বেড়াতে বেশি পছন্দ করতেন। মানস সরোবর ছাড়াও ভারতের সর্বত্র একাধিকবার পরিভ্রমণ করেছেন। আমাদের এক কমন ফ্রেন্ড অভিজিৎ মিত্রের কাছে শুনেছি, বিভিন্ন ঋতুতে কাশ্মীরকে উপভোগ করার জন্য রণজিৎ ১১-১২ বার কাশ্মীর গিয়েছেন। ভাবা যায়!
অসম্ভব খেলাধূলাপ্রেমী ছিলেন, বিশেষ করে ক্রিকেট অন্ত ছিল তাঁর প্রাণ। পারিবারিক ক্ষেত্রে যে কোনো সমস্যায় তাঁর মতামত ছিল গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বজনগ্রাহ্য। অতি সংবেদনশীল রণজিৎ আত্মীয়স্বজনের মধ্যে যারা দুঃস্থ তাদের নিয়মিত আর্থিক সাহায্য করতেন।
'জি' ব্লকে আসার পর থেকে 'জি' ব্লক পরিচালন সমিতির কর্মকান্ডে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। এই প্রসঙ্গে ওঁনার প্রথম দিকের ছায়াসঙ্গী প্রয়াত রমেন রায়চৌধুরীর কথা বিশেষ করে মনে পড়ে। প্রায় ২৫ বছর রণজিৎ পরিচালন সমিতির ও দুর্গাপূজা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। যে দক্ষতা ও সততার সঙ্গে তিনি কার্যনির্বাহ করেছিলেন, তা আজকের দিনে সত্যিই বিরল ঘটনা।
পরিশেষে তাঁর একটি বিশেষ গুণের কথা উল্লেখ না করলেই নয়, তা হল, পরিচিতজন অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাদের পাশে দাঁড়ানো। কলকাতায় অনেকের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, আবার অনেককেই ভেলোরে নিয়ে গিয়ে সুস্থ করে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। তাদের অনেকেই আজ সুস্থভাবে বেঁচে আছেন, অথচ মাত্র ৭৩ বছর বয়সে রণজিৎ আর তাঁর প্রিয়জনদের মাঝে নেই। বড় দুঃখের এই অনুভূতি! যা কিছুতেই মানা যায় না!
"নয়ন ছেড়ে গেলে চলে, এলে সকল মাঝে -
তোমায় আমি হারাই যদি তুমি হারাও না যে...
শ্রবণে মোর নব নব শুনিয়েছিলে যে সুর তব
বীণা থেকে বিদায় নিল, চিত্তে আমার বাজে।"
‘সমন্বয়’ একটি উদ্যোগ একটি ভাবনা। যার জন্ম করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি-র ছত্রছায়ায়। এটি একটি মাসিক ওয়েব ম্যাগাজিন, যার উদ্দেশ্য আঞ্চলিক সুপ্ত ও অর্ধবিকশিত প্রতিভাকে সকলের মধ্যে তুলে ধরা।