স্থানীয় খবর
-
শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনীর নাট্যানুষ্ঠান ও রাখিবন্ধন উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্তমান এক প্রতিবাদী আবহাত্তয়ায় নদীয়া জেলার একটি অন্যতম প্রাচীন প্রতিষ্ঠান শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনী রাখি পূর্ণিমার চন্দ্রালোকে পাবলিক লাইব্রেরির মঞ্চে আয়োজন করেন তাদের নাট্যাভিনয়। উদ্বোধনে অনবদ্য প্রতিবাদী মূকাভিনয় ও নৃত্য সহযোগে আর জি কর হাসপাতালের ঘটনা তুলে ধরলেন ইশিতা দাস ও রূপায়ণ চৌধুরী। অত্যন্ত প্রশংসনীয় ছিল এই কোরিওগ্রাফি। এরপর হল ভর্তি দর্শক এক মিনিট মোবাইল টর্চ জ্বালিয়ে আর জি করের বিদেহী চিকিৎসকের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
তারপর শুরু হয় নাটক বিজয় মুখোপাধ্যায় নিবেদিত বালিগজ্ঞ ব্রাত্যজন পরিবেশিত দহনকাল। অভিনয়ে সমৃদ্ধ, সমসাময়িক কালের দৃপ্ত নাটক দর্শকের মন সহজেই জয় করে নেয়।
ঝুলন ও পূজা পর্যায়ের বেশ কিছু নৃত্য পরিবেশন করেন জলি সাহা পরিচালিত নৃত্যাঙ্গন সাংস্কৃতিক সংস্থা।
সভাপতি পার্থ প্রামাণিক ও সম্পাদক সাধন ঘোষ এবং দেবকুমার মিত্রের পরিচালনায় সমগ্র অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
রাখি পূর্ণিমার দিন সকালে পূর্ণিমা মিলনীর সভ্যা স্বপ্না মাহাতো, কাবেরী ভদ্র, চন্দ্রণা মুখার্জী, রত্না প্রামাণিক, রাখি খাঁ ও অন্য সব মেয়েরা প্রতিবারের ন্যায় এবারেও রাখিবন্ধন উৎসব যথাযথ উৎসাহ, উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করেন।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রাখি পূর্ণিমার পুণ্য প্রভাতে করুণাময়ী সমন্বয় সমিতির উদ্যোগে সোমবার, ১৯শে আগস্ট সকাল ৯টায় করুণাময়ী খেলার মাঠের সামনে থেকে শুরু হয় রাখিবন্ধন উৎসব।
শ্রীমতি ইন্দিরা বন্দোপাধ্যায়ের পরিচালনায় 'আনন্দম' সাংস্কৃতিক সংস্থা দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করেন। ইন্দিরা বন্দোপাধ্যায় রাখিবন্ধনের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে গানটি রচনা করেছিলেন, সেই গান অর্থাৎ বাংলার মাটি বাংলার জল গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। একই সঙ্গে করুণাময়ীর আবাসিকদের রাখি পরানো ও মিষ্টি বিতরণ কর্মসূচী চলতে থাকে। এরপরের গন্তব্যস্থল ছিল ইডি মার্কেট, সেখানেও সঙ্গীত পরিবেশন ও রাখিবন্ধন কর্মসূচী একাদিক্রমে চলতে থাকে।
তারপর 'জি' ব্লকের গেটে কিছুক্ষণ সঙ্গীত সহযোগে রাখিবন্ধন কর্মসূচী পালন করার পর, এদিনের শেষ গন্তব্যস্থল, ২ নম্বর গেটের কাছে বক্তব্য রাখেন সল্টলেক রেনেসাঁর সম্পাদক রামানুজ চ্যাটার্জী ও ইন্দিরা বন্দোপাধ্যায়। এখানেও সঙ্গীত সহকারে রাখি পরানো ও মিস্টি বিতরণ করা হয়। শেষ রাখিটি পরানো পর্যন্ত রাখিবন্ধন অনুষ্ঠান চলে। যে সমস্ত শিল্পীরা সঙ্গীতে অংশগ্রহণ করেন তাঁরা হলেন যথাক্রমে শ্বেতা ঘোষ, রীতা বসু, সীমা মুস্তাফি, সবিতা ব্যানার্জী, দেবরাজ সেনগুপ্ত ও ইন্দিরা বন্দোপাধ্যায়।
সল্টলেক রেনেসাঁ ও তার সম্পাদক রামানুজ চ্যাটার্জী এবং আনন্দমের পরিচালিকা ইন্দিরা বন্দোপাধ্যায়ের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য অকুন্ঠচিত্তে তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন করুণাময়ী সমন্বয় সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ ধর। আবহাওয়া সহযোগিতা করায় আজকের অনুষ্ঠানটি সর্বাঙ্গীণভাবে সুন্দর হয়ে ওঠে। সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এদিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদদাতা - কৌশিক দাসঃ বিধাননগরে আবারও গত বছরের মতো পথ শিশুদের নিয়ে ভিন্ন স্বাদের আয়োজন করলো সল্টলেক রেনেসাঁ। ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন ২২৩ জন শিশুদের মুখের স্বাদের স্বাধীনতা দিতে সল্টলেক রেনেসাঁ বিধাননগরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের করুণাময়ী অঞ্চলে আয়োজন করল বরণডালায় বিরিয়ানি।
এই অভিনব প্রয়াসের সাথে যুক্ত ছিলেন করুণাময়ী তথা বিধাননগর এর প্রচুর গুণী মানুষ ও নাগরিকরা। আয়োজনে ছিলো মটন বিরিয়ানি, চিকেন চাপ, চাটনি, পাপড় ও রসগোল্লা। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিশুদের কপালে রক্তচন্দনের টিপ পরিয়ে ওদের বরণ করার পর খাদ্য পরিবেশন করা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দমকল ও জরুরী পরিষেবা মন্ত্রী সুজিত বোস। তিনি বিধাননগরের বুকে এই ধরণের নজিরবিহীন কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি এও বলেন এরকম অনেক কাজ আছে যা সরকার সবসময় করতে পারে না, সল্টলেক রেনেসাঁ মতোই অন্যান্য সংগঠন গুলোকে এই ধরণের সামাজিক উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের হয়ে ময়দান কাঁপানো প্রাক্তন জনপ্রিয় ফুটবলার অমিতাভ চন্দ্র। উপস্থিত ছিলেন ওই অঞ্চলের পৌরমাতা কাকলি সাহা ও পাঁচ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান রঞ্জন পোদ্দার। সংগঠনের সম্পাদক রামানুজ চ্যাটার্জি সকল স্বেচ্ছাসেবক, সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, শিশুদের নিয়ে এই আয়োজন আরও বেশি বেশি করে করতে হবে। আমাদের এই প্রয়াস সার্থক হবে তখনই, যখন বিধাননগর কিংবা তার বাইরের প্রচুর ক্লাব বা সেবামূলক সংগঠন এরকম ভাবনার সাথে নিজেদেরকে যুক্ত করবেন। তিনি আরও বলেন, বেশি সংখ্যক শিশুদের নিয়ে আগামী দিনে এই ধরনের সামাজিক উদ্যোগ নিতে গেলে বিধাননগরের নাগরিকদের আরও বেশি সংখ্যায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে হবে।
-
'অশোকনাথ-গৌরীনাথ শাস্ত্রী স্মারক সমিতি'র সভায় সংস্কৃত দিবস ও রাখীবন্ধন অনুষ্ঠান উদযাপন
সংবাদদাতা - ভারতী পালঃ ১৯৬৯ সালে ভারত সরকারের শিক্ষামন্ত্রক 'শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথি'-কে 'বিশ্ব সংস্কৃত দিবস' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও 'অশোকনাথ-গৌরীনাথ শাস্ত্রী স্মারক সমিতি' মধূসূদন সভাগৃহে এই দিনটিকে পূর্ণ মর্যাদায় পালন করেছেন। উমা দে ও অঞ্জু মুখোপাধ্যায়ের দ্বৈত কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীতের (বরিষ ধরা মাঝে) মাধ্যমে সভার কাজ শুরু হয়।
সভার সূচনায় সকলের হাতে রাখী পরানো ও শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। সভাপতিত্ব করেন ডঃ শান্তিনাথ ঘোষ। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে তিনি সংস্কৃত দিবসের উদ্দেশ্য এবং বিভিন্ন উদ্ধৃতি সহযোগে এই ভাষার প্রয়োজনীয়তা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার ভট্টাচার্য এই সমিতির সংস্কৃত দিবস পালনের উদ্দেশ্য ও সূচনার কথা বলেন। পরে সংস্কৃত ভাষার প্রয়োগ ও এই ভাষার প্রতি অনুরাগের বিষয়টি তুলে ধরেন।
এরপর অধ্যাপক কৃপাসিন্ধু হাইত এই ভাষার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
অমলেন্দু হাইত সংস্কৃত দিবস ও রাখীবন্ধন অনুষ্ঠানের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন। পত্রিকা সম্পাদক জয়ন্ত চক্রবর্তী সংস্কৃত শব্দের উদ্ধৃতি দিয়ে সেগুলির ব্যবহারিক দিকগুলো তুলে ধরেন।
ইতিমধ্যে চা, বিস্কুট পরিবেশন করা হয়।
রাজ্যের বর্তমান জটিল পরিস্থিতিতে রাখীবন্ধন অনুষ্ঠানের ভূমিকা ও ইতিহাস নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন আশিস গিরি।
রাখীবন্ধন ও সংস্কৃত দিবসের মেলবন্ধনে সংস্কৃত ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা সুচারুভাবে ফুটিয়ে তুললেন কবি ভারতী পাল।
এরপর একে একে কৃষ্ণপদ ভট্টাচার্য, স্বপন চন্দ, দেবিকা ঘোষ, ইন্দ্রজিৎ সরকার তাঁদের বক্তব্য রাখেন। রূপা মন্ডলের আবৃত্তি, শুভ দাশগুপ্তের 'আমি সেই মেয়ে' অনুষ্ঠানটিকে অন্য মাত্রা দেয়।
সংগীত পরিবেশন করেন গোপাল দাস, চন্দ্রাণী কর্মকার, সন্ধ্যা হালদার। ইন্দ্রজিৎ সরকার সবাইকে মিষ্টিমুখ করান।
একাধিকবার সন্ধ্যাদির হাতের চা ও মিষ্টির বাক্সে আপ্যায়িত হয়ে সভাটি মনোজ্ঞ হয়ে ওঠে।
-
আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সাহিত্য সভা
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ 'বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ' আয়োজিত 'আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সাহিত্য সভা' অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিগত ৫ই মে, রবিবার, বিকেল ৪-৩০টায় কনফারেন্স হল, জাতীয় নাট্যশালা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে।
উদ্বোধক ছিলেন জনাব খলিল আহমদ, সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বিশেষ অতিথি কথা-সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সভাপতি, বাংলা একাডেমি ও সভাপতি, বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ এবং অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান, প্রাক্তন উপাচার্য, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়।
সেমিনারের বিষয় ছিল 'ডিজিটাল যুগে লোকনাট্য ধারার সংকটঃ কিছু প্রাসঙ্গিক ভাবনা' (Crisis of Folk Performance Traditions in the Digital Era: Some Reflections)।
মূলবক্তাঃ প্রফেসর ড. ইন্দ্রনীল আচার্য, ইংরেজি বিভাগ, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত।
সভাপ্রধানঃ প্রফেসর ড. মো. শাহিনুর রহমান, ইংরেজি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্মানিত স্কলারসঃ
শ্যামসুন্দর সিকদার, কবি, গবেষক, প্রাক্তন চেয়ারম্যান, বিটিআরসি।
প্রফেসর আহমেদ রেজা, ইংরেজি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রফেসর ড. অসীম সরকার, সংস্কৃত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
অধ্যাপক ড. ইউসুফ হাসান অর্ক, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
ড. আমিনুল রহমান সুলতান, ফোক গবেষক ও পরিচালক সোনারগাঁও চারু-কারু শিল্প জাদুঘর।
ড. জাহারাবী রিপন, অধ্যাপক, নাট্যকলা ও মিড়িয়া স্টাডিস বিভাগ, তেজগাঁও কলেজ।
ড. দিপু সিদ্দিকী, ডিন, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস এন্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস, রয়েল ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা।
ড. নীরু শামসুন্নাহার, লোকশিল্পবিদ, প্রাক্তন পরিচালক, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
ড. জহির বিশ্বাস, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগ ও ডীন, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ।
আল জাবির, সহযোগী অধ্যাপক, নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
ঐশ্বর্য ব্যানার্জি, রিসার্চ স্কলার, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত।
শ্রীমতী সর্বানী ঘড়াই, কবি ও সাহিত্যিক, ভারত।
সেমিনার সমন্বয়কঃ আবু সাঈদ তুলু, রিসার্চ স্কলার, জা. বি.।
সাহিত্য সভা সমন্বয়কঃ কবি আসাদুল্লাহ, প্রাক্তন সচিব, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
আমন্ত্রিত অতিথিঃ
কবি শেখ রবিউল হক
জনাব সিরাজুল হক খান, প্রাক্তন সচিব, বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হায়াত হেদায়েত
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম খান
কবি মানিক চন্দ্র দে
অনুষ্ঠানের সময়সূচি নির্দিষ্ট ছিলঃ
১. পরিচিতি পর্ব ও উন্মুক্ত মত বিনিময় (৪.৩০ থেকে ৫.৩০)
২. সেমিনার পর্ব (৫.৩৫ থেকে ৭.৩০)
৩. সাহিত্য সভা (৭.৩০ থেকে ৮.৩০)
৪. বিবিধ (বিশ্বসভার প্রস্তুতি, সদস্য অনুমোদন, আর্থিক, অনুষ্ঠান, পরিকল্পনা ইত্যাদি)
বঙ্গীয়'র সকল পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ ও আগ্রহীদেরকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রণ জানান 'বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ'-এর সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম।