স্থানীয় খবর

  • বিশ্ব পরিচ্ছন্নতা দিবস পালন করলো 'সল্টলেক রেনেসাঁ'

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ গত ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪, শনিবার 'বিশ্ব পরিচ্ছন্নতা দিবস' পালন করলো 'সল্টলেক রেনেসাঁ'। সকাল ৬টায় এই পরিষ্কার অভিযান শুরু হয়। করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে শুরু করে মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকা জুড়ে, সিকে মার্কেট হয়ে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ডিএল ব্লক-এর রাস্তা ধরে ১০ নম্বর জলের ট্যাঙ্ক, সেখান থেকে ইই ব্লক হয়ে মাতৃসদন থেকে করুণাময়ীর আবাসনের ভিতরে ঢুকে সেখান থেকেই মিউনিসিপ্যাল স্কুলের কাছে শেষ হয় এই অনুষ্ঠান। প্রায় ৯০ জন ক্লাবের সদস্য ও Decathlon-এর মেম্বার এই অভিযানে যুক্ত ছিলো। মূলত প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য পদার্থ ও রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা পরিষ্কার করা হয়। 'সল্টলেক রেনেসাঁ'র সাধারণ সম্পাদক রামানুজ চ্যাটার্জি এদিন উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সামনের দিনে নিজের ঘরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার সাথে সমাজকেও সুস্থ রাখতে সাথে এই ধরনের কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করেন।


  • 'কৃষ্ণনগর পরিবেশ বন্ধু'র রাখিবন্ধন উৎসব পালন

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ১৯শে আগস্ট, ২০২৪, সোমবার 'কৃষ্ণনগর পরিবেশ বন্ধু' অন্যবারের মতো এবারও রাখিবন্ধন উৎসব পালন করে; তবে অন্যরকমভাবে । বিগত বেশ কয়েক বছর পোষ্ট অফিস মোড়, সদর হাসপাতাল মোড়ে পরিবেশ সচেতনতার ও প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বর্জনের বার্তা কৃষ্ণনাগরিকগণের উদ্দেশ্যে প্রচারের সঙ্গে পথচলতি মানুষের হাতে রাখী বেঁধে রাখী বন্ধন উৎসব পালন করে। ২০১৮ সালে 'পরিবেশ বন্ধু' সংগঠনটি গড়ে ওঠে এবং লকডাউনের আগে কৃষ্ণনগরকে 'প্লাস্টিক মুক্ত শহর' হিসেবে রাজ্যে সাড়া ফেলে দেয়। করোনা কালে পরিবেশ বন্ধুগণ আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর বৃক্ষরোপণে যেমন তৎপর; তেমনি বৃক্ষছেদনে বাঁধা দেওয়ার ব্যাপারে তৎপর। বিশিষ্ট পরিবেশ বন্ধুগণের পরামর্শ অনুসারে স্থির হয় এ'বছর গ্রামের মানুষের কাছে সুস্থ প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সামাজিক পরিবেশের সুস্থতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলার। ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্ যাপন করে কৃষ্ণনগর সরকারি মহাবিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ উৎসব পালনের মধ্যে দিয়ে। মহাবিদ্যালয়ে আরও দু'দফা গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করেছে পরিবেশ বন্ধুগণ। ১৯ শে আগস্ট পরিবেশ বন্ধুর সদস্য/সদস্যাগণ শহর ছাড়িয়ে কুলগাছির মাঠপাড়া ও আসাননগরের দুলে পাড়ার বাসিন্দাদের হাতে রাখি পরিয়ে, লাড্ডু দিয়ে মুখ মিষ্টি করে এবং দিনটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। চলার পথে কুলগাছি ঝাউতলার মধ্যবর্তী মাঠ পড়ে। এই মাঠে কৃষ্ণনগর - মাজদিয়া সড়কের দুই ধারে বৃক্ষরোপন, চারাগাছের পরিচর্যা ও বীজ বপনও করে। পরিবেশ বন্ধুগণ প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ হন। আসাননগরের দুলে পাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী- পুরুষ, শিশুদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা আগেই চলে এসেছিল। শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের দিদিমণি অন্নপূর্ণাদি গান গেয়ে শোনালেন। এই পাড়াতে ছিল নীলকুঠি। তার নিদর্শন এখনও বর্তমান। গাছের চারা পেয়ে সকলে ভীষণ খুশি। পরিবেশ বন্ধুগণ ছায়া সুনিবিড় গ্রাম্য পরিবেশে থেকে বুক ভরে অক্সিজেন নিয়ে ফিরে আসে নিজ আলয়ে।

সমস্ত কর্মসূচির উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন পরিবেশ বন্ধুর সদস্যা শিক্ষিকা মমতা বিশ্বাস, রূপায়নে সম্পাদক মহাশয় গোপীনাথ দে, অধ্যাপক ডঃ বলাইচন্দ্র দাশ মহাশয় ও অন্যান্য পরিবেশ বন্ধুর সদস্য/সদস্যাগণ।


  • হেমন্তকুমার সরকার ও কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিফলক উন্মোচন

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ১৯২৬ সালে কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবার কৃষ্ণনগরে নিয়ে এসেছিলেন হেমন্তকুমার সরকার। কবির থাকা-খাওয়া চিকিৎসা - একপ্রকার সবরকম ব্যবস্থাই করেছিলেন তিনি। আশ্রয় হয়েছিল গোয়াড়ি বাজারের গোলাপট্টিতে হেমন্তকুমার সরকারের এজমালি পৈতৃক ভবন মদনমোহন কুটিরে, দাদা জ্ঞানেন্দ্র সরকারের বাড়ির এক অংশে। প্রায় আটমাস কবি বাস করেছেন এখানে। এই বাড়িতেই রচিত বিখ্যাত 'কাণ্ডারী হুঁশিয়ার' উদবোধন সঙ্গীত। 'চল চল চল' এর মতো রণসঙ্গীত, 'ওঠরে চাষী জগদবাসী'র মতো কিষাণের গান, 'ওরে ধ্বংসপথের যাত্রীদল' এর মতো সব জাগরণী গান। এই বাড়িতেই আসতেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র, মুজফফর আহমদের মতো ব্যক্তিত্বগণ।

একশো বছর কেটে গিয়েছে। সে ভবন তো নেই, ছয় ভাইয়ের শরিকি বিভিন্ন অংশ, ছোটো ছোটো ভাগে ঘরবাড়ি, ফ্ল্যাট হয়ে গিয়েছে। হাতবদলও হয়েছে। কিন্তু জ্ঞানেন্দ্র সরকারের কিছুটা অংশ এখনো পুরনো আছে। সেখানে তাঁর পুত্রবধূ চায়না সরকার বাস করেন। সেই স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থানে সুজন বাসর (গ্রেস কটেজ) এবং অগ্নিবীণা (কলকাতা) এর যৌথ উদ্যোগে আজ একটা স্মৃতিফলক বসানো হলো। আনুষ্ঠানিক ভাবে ফলকের উন্মোচন করলেন অগ্নিবীণার সম্পাদক রবীন মুখার্জি। সঙ্গে ছিলেন জ্ঞানেন্দ্র সরকারের পুত্রবধূ চায়না সরকার, সুজন বাসরের সভাপতি দীপংকর দাস।

উল্লেখ্য যে, কবির স্মৃতি বিজড়িত বাসভবন গ্রেস কটেজে এর আগের দিন একটি নজরুল সঙ্গীত প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। পরিচালনা করেন অগ্নিবীণা'র অন্যতম সঙ্গীত শিল্পী রেবা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুজন বাসরের সম্পাদক ইনাস উদ্দীন জানালেন - কাজী নজরুল ইসলামের গানের বাণী ও সুর উভয় ক্ষেত্রেই প্রচুর বিভ্রান্তিকর প্রয়োগ হয়ে চলেছে। সুর ও বাণীতে যথাসম্ভব প্রমিত একটা অবস্থান নির্দিষ্ট হওয়া দরকার, সেই কথা মাথায় রেখেই এরকম একটা কর্মশালার ভাবনা।


  • 'রূপংদেহী' থিম

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ এ এইচ ব্লক দুর্গোৎসব কমিটি, ২০২৪ আয়োজিত করতে চলেছে ধামাকা থিম পুজো "রূপংদেহী"।

শিল্পীর নিজস্ব ভাবনা-চিন্তার সার্থক এবং সুন্দর প্রকাশ থেকেই জন্ম নেয় একটি সর্বজনগ্রাহ্য শিল্প। সৃষ্টির আদিকাল থেকে কিছু মানুষের সৌন্দর্যপ্রীতি ও সৃজনের তাড়নায় সৃষ্ট শিল্প এই পৃথিবীকে করে তুলেছে সুন্দর থেকে সুন্দরতর। আর সেই শিল্প কীর্তি মানুষকে সমান আনন্দ দিয়ে চলেছে, চোখের তৃষ্ণা মিটিয়েছে। শিল্পের কত বিবর্তন ঘটেছে ইতিমধ্যে, আজ সেই বিবর্তনের পথ ধরে পুরাতন ও নতুনের সমন্বয় ঘটেছে। নতুন আঙ্গিক ও নতুন পরিবেশনায় বিধান নগরের এ এইচ ব্লক দুর্গোৎসব কমিটি এবারে ৪১ তম বর্ষে তুলে ধরেছেন তাদের নিবেদন 'রূপং দেহি', পরিকল্পনা ও রূপায়নে প্রখ্যাত শিল্পী মলয় দাস।

গোটা বঙ্গসমাজ যে মৃন্ময়ী মাকে দেখতে ছুটবে, তাতে চিন্ময়ী মা কল্পনা করবে, সেই দেবীর আসল রূপকার শিল্পী, ভাস্কর, কারিগর। এখানে মা দুর্গা প্রায় বিভিন্নরূপে আবির্ভূত হবেন। গোটা মন্ডপ জুড়ে দেবী দশভূজার নানা রূপ শিল্পীর ক্যানভাসে ফুটে উঠবে। চাঁদোয়া ও নানা অঙ্কিত ঝালরে সুসজ্জিত থাকবে মণ্ডপটি। শিল্পীর তুলির ছোঁয়ায় দেবী মহামায়া বিভিন্ন রূপে প্রদর্শিত হবেন। প্রায় হাজারের ওপর মায়ের রূপ দেখা যাবে প্যান্ডেলটিতে। শিল্পীরা এখানে জল রঙ, এ্যাক্রেলিক ও মিশ্র মাধ্যমে তুলে ধরেছেন দেবীর রূপ।

নাট মন্দিরে জ্যোৎস্না রাত, কুলুঙ্গিতে প্রদীপ, আশ্চর্য মায়া জড়ানো পরিবেশ, ঢাকের বাদ্যি, মহামায়ার সন্ধ্যা আরতির মধ্য দিয়ে পূজা প্রাঙ্গনে নেমে আসবে মনোরম পরিবেশ। অশুভ শক্তির বিনাশ হয়ে শুভশক্তি উদিত হবে।

এ এইচ ব্লক দুর্গোৎসব কমিটির সুবিশাল কর্মকান্ডের মুখ্য দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের অন্যতম রত্না কর-সভাপতি, জ্যোতি শুভ্র সাহা-সম্পাদক, ভোলা দত্ত ও পল্লব মন্ডল-সহ সম্পাদক, প্রতিথযশা শিল্পী মলয় দাস ও স্বনামধন্য প্রতিমা শিল্পী কালাচাঁদ রুদ্রপাল।

শ্যামা দাস ও মলয় দাসের উদ্যোগে এই উপলক্ষ্যে বিগত ৮ই সেপ্টেম্বর, রবিবার, সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় সারাদিন ব্যাপী রূপংদেহী চিত্র কর্মশালা। শতাধিক শিল্পী মা দুর্গার বিভিন্ন রূপ বিভিন্ন মাধ্যমে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন। ওনাদের চিত্রকলা দিয়ে মন্ডপ সাজানো থাকবে। আগ্রহী চিত্ররসিকদের পরবর্তীকালে ওইসব চিত্রকলা উপযুক্ত দক্ষিনার বিনিময়ে নিজেদের সংগ্রহে রাখার সুযোগ থাকবে।

এটা স্বাভাবিকভাবে আশা করা যায়, এই পুজোকে উপলক্ষ্য করে যে ধরনের উৎসাহ, উদ্দীপনা, উন্মাদনা এতদঞ্চলের সাধারন মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে তাতে পুজোর দিনগুলোতে পূজা প্রাঙ্গনে নিরন্তর জনস্রোত বইতে থাকবে।


  • আন্তর্জাতিক 'জলঙ্গী' সাহিত্য পত্রিকা এবং 'সহজযোদ্ধা মঞ্চ'র মাসিক সভা

আবির মজুমদার, কলকাতাঃ ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, বিকাল ৫ টায়, বেলগাছিয়ার টেম্পল ভিউ অ্যাপার্টমেন্টে আন্তর্জাতিক জলঙ্গী সাহিত্য পত্রিকা এবং সহজযোদ্ধা মঞ্চের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয় যা পরিবেশন করেন আন্তর্জাতিক জলঙ্গী পত্রিকার সম্পাদিকা শ্রীমতি চিন্ময়ী বিশ্বাস। অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক জলঙ্গী পত্রিকার সভাপতি এবং অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার শ্রী রামপদ বিশ্বাস মহাশয়। এই মঞ্চে তিনি বক্তব্যও পেশ করেন। আবৃত্তি করে শোনান শ্রীমতী সুদীপা সাহা, সমীর বরণ দত্ত, কবি আশীষ গিরি, অ্যাডভোকেট ও কবি ধীরাজ কুমার দে এবং অধ্যাপক ডক্টর পরিমল ঘোষ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনের প্রতিষ্ঠিত গায়িকা শ্রীমতি শম্পা রায়। তাছাড়াও এই মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেন শ্রী ধ্রুবো হালদার ও শ্রীমতি অজন্তা আঢ্য। তবলাএ সঙ্গত করেন বিশিষ্ট তবলা বাদক শ্রী সজল রায় মহাশয়। মঞ্চে আন্তর্জাতিক জলঙগী সাহিত্য পত্রিকা র সম্পাদিকা শ্রীমতী চিন্ময়ী বিশ্বাস দুখানি প্রতিবাদী কবিতা পাঠ করে শোনান। সব মিলিয়ে সাহিত্য সভা অত্যন্ত সুন্দর ও আনন্দময় পরিবেশনার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।