স্থানীয় খবর

  • চড়ুইভাতি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিধাননগর পুর নিগমের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে মহাধুমধাম সহকারে আয়োজিত হয়ে গেল ২০২৪ সালের বিশাল চড়ুইভাতি। ২২শে মার্চ, রবিবার, সকাল ৮-৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জিডি ব্লক খেলার মাঠে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বিভিন্ন ব্লকের তিন হাজারের বেশি মানুষের উপস্থতিতে অনুষ্ঠিত হলো সারাদিনব্যাপী চড়ুইভাতি। গত বছরের মতো এবারেও ছিল বিভিন্ন বয়সের বালক-বালিকাদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, সঙ্গীতের আসর ও সারাদিনব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। সকালে ছিল চা, জলখাবার, দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা, বিকালে চা, সিঙ্গারা।

পৌরপিতা ও পাঁচ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান রঞ্জন পোদ্দারের মস্তিস্কপ্রসূত বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, সঙ্গীত, ক্রীড়া সহযোগে সারাদিনজুড়ে চড়ুইভাতি ছিল গতবারের চমক, এইবারে বহুমানুষের অংশগ্রহণে তা হয়েছে ব্যাপক। ইচ্ছা ও চেষ্টা থাকলে, সবাইকে নিয়ে চলার মানসিকতা থাকলে, বহুমানুষকে একটা সুন্দর দিন উপহার দেওয়া যায়, নির্মল আনন্দ পরিবেশন করা যায়, এটা বারবার প্রমান করেছে রঞ্জন পোদ্দার। সেটা জিডি, এইচবি, আইবি ব্লকের দুর্গাপূজা হোক, নববর্ষবরণ বা বসন্তবরণ হোক প্রতিটি ক্ষেত্রে তার সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমান রেখে চলেছে। প্রধান কান্ডারি কেশব পাত্র ও অসংখ্য গুণমুগ্ধদের সম্মিলিত প্রয়াসের ফসল চড়ুইভাতির মতো উৎকৃষ্ট মানের অনুষ্ঠানগুলি।

প্রতিযোগীরা ও পিকনিকে অংশগ্রহণকারী ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবাসিকেরা এত সুন্দর উচ্চমানের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য উদ্যোক্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।


  • বিধাননগর মেলা উৎসব ২০২৪

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিধাননগর পুর নিগমের উদ্যোগে ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪, মঙ্গলবার, দুপুর ৩টায় বিধাননগর বইমেলা প্রাঙ্গনে জাকজমকপূর্ণভাবে উদ্বোধন হয়ে গেল বিধাননগর মেলা উৎসব ২০২৪-২০২৫। এই উৎসব চলবে আগামী ৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ পর্যন্ত।

প্রতি বছরের মতো এবারও মেলা সেজে উঠবে দেশ-বিদেশের রকমারি পসরার বিপনীতে। ছোটদের জন্য থাকবে বিনোদনের নানান আয়োজন। রসনার তৃপ্তি মেটাতে হাজির থাকবে সুস্বাদু খাবারের স্টল। প্রতিদিন দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনের জন্য পরিবেশিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে, দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে পসরা নিয়ে হাজির থাকছে কারিগরেরা। এক অর্থে বিধাননগর মেলা আজ আন্তর্জাতিক মেলার রূপ নিয়েছে।

তারকাসমৃদ্ধ এই দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিধাননগর পুর নিগমের মহানাগরিক কৃষ্ণা চক্রবর্তী সুষ্ঠুভাবে সভা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। রাজ্য সরকারের যে সমস্ত মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের সকলকে প্রথমে সম্বর্ধিত করা হয়। তারপরে অভিনব পদ্ধতিতে মঞ্চে রাখা একটা গাছে সকলে মিলে জল দিয়ে বিধাননগর মেলা উৎসবের শুভসূচনা করা হয়।

এরপর বাংলার জাতীয় সঙ্গীত "বাংলার মাটি, বাংলার জল" গানটি দিয়ে উদ্বোধন সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। মন্ত্রীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুজিত বোস, ব্রাত্য বসু, অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিধায়কদের মধ্যে ছিলেন তাপস চ্যাটার্জী, অদিতি মুন্সী, নির্মল মাজি। এছাড়া ছিলেন পৌরমাতা চামেলী নস্কর, আলো দত্ত, মহঃ সিরাজুল হক, প্রবীর সর্দ্দার, কাকলি সাহা, জয়দেব নস্কর, রত্না ভৌমিক, বোরো চেয়ারম্যান রঞ্জন পোদ্দার, মিনু দাস চক্রবর্তী, মেয়র পারিষদ সদস্য রহিমা বিবি মন্ডল, দেবরাজ চক্রবর্তী, বানীব্রত ব্যানার্জী, সুজিত মন্ডল, আরাত্রিকা ভট্টাচার্য ও মেলা কমিটির সম্পাদিকা তুলসী সিনহা রায়। আর ছিলেন ডেপুটি মেয়র অনিতা মন্ডল, পুর নিগমের কমিশনার সুজয় সরকার, আধিকারিক কাজল রায় ও জননেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাছাড়া সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট মানুষের উজ্জ্বল উপস্থিতিতে বিধাননগর মেলা উৎসব, ২০২৪-২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অন্য মাত্রায় পৌঁছে যায়।


  • বাৎসরিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র উদ্যোগে ১৫ই ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার, সকাল ৮টা থেকে করুণাময়ী আবাসনের খেলার মাঠে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে আয়োজিত হলো ২০২৪ সালের বাৎসরিক ক্রীড়ানুষ্ঠান।

সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ছিল পাঁচ বছরের নীচে বালক বালিকাদের ২৫ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতা। এরপর প্রথম, দ্বিতীয় শ্রেণীর বালক বালিকা বিভাগ থেকে শুরু করে সত্তরোর্ধ নারী পুরষদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন। এদিনের প্রতিযোগিতায় দু'শোর বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতা ছিল মহিলাদের হাঁড়ি ভাঙা ও মিউজিক্যাল চেয়ার। মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতায় ৫০ এর ওপর প্রতিযোগী ছিল। মোট ২৩ টি বিষয়ের ওপর দর্শক, অভিভাবক ও প্রতিযোগী মিলিয়ে তিন শতাধিক মানুষ খেলার মাঠে উপস্থিত হয়েছিল। সবচেয়ে মনকাড়া অনুষ্ঠান ছিল যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতা। জনা কুড়ি শিশুদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় নির্বাচন করা সত্যিই কঠিন। এই দুরূহ কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করেছেন ইন্দিরা ব্যানার্জী, পল্লবী মুখার্জী ও বর্ণালী বনিক।

এদিনের অনুষ্ঠানে প্রতিযোগী, দর্শক ও উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে দুপুরে মাঠে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন স্থানীয় পৌরমাতা কাকলী সাহা। শেষ বিকেলে উপস্থিত হয়েছিলেন খেলাধূলাপ্রেমী জনপ্রিয় স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী সুজিত বোস। তিনি এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এইমাঠে বরিষ্ঠ নাগরিকদের চড়ুইভাতি আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এই কাজের সাংগঠনিক দায়িত্ব করুণাময়ী সমন্বয় সমিতিকে নিতে বলেন।

যাদের সমুজ্জ্বল উপস্থিতি ও সক্রিয় সহযোগিতায় বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সাফল্যমন্ডিত হয়, তাদের অন্যতম মনোরঞ্জন দাস, অশ্বিনী মন্ডল, ইন্দিরা ব্যানার্জী, শিখা কুমার, জয়শ্রী বাসু, স্বাতী মুখার্জী, পল্লবী মুখার্জী, বর্ণালী বনিক, জয়ন্ত বসাক, বীণা ঠক্কর, সাধন পাল, বিপ্লব চন্দ, সাধন ঘোষ, সুশোভন মুখার্জী, রামানুজ চ্যাটার্জী, চিরদীপ গুপ্ত, সোমনাথ বোস, আকাশ পান্ডে, মৃদুল কান্তি দাস, অজয় চক্রবর্তী, মিত্রা ঘোষ, সুমিত ঘোষ, বাসুদেব কর্মকার, দীপেন রাজ, সঞ্জয় দাস, হৃষিকেশ জানা, শঙ্কর রায়, তপন দত্ত, মৃত্যুঞ্জয় মাইতি, প্রণব সাধন দাস, সিদ্ধার্থ দত্ত, প্রশান্ত বনিক, পার্থ বোস, কস্তুরী চ্যাটার্জী, বিভাস ব্যানার্জী প্রমুখ।

'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র বাৎসরিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানকে সাফল্যমন্ডিত করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি, সাইয়ের প্রশিক্ষকবৃন্দ ও বোরো পাঁচের চেয়ারম্যান রঞ্জন পোদ্দার।


  • 'কবিকল্প'-র সারাদিনের আড্ডা ও 'অক্ষরযাত্রা'র পুস্তক প্রকাশ অনুষ্ঠান

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ১৫ই ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার, সকাল ১০-৩০টা থেকে বিকেল ৫-৩০ পর্যন্ত সারাদিনব্যাপী 'কবিকল্প'-র আড্ডা ও 'অক্ষরযাত্রা'র পুস্তক প্রকাশ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জয়গাছি, হাবড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ পালের বাগানবাড়িতে।

কবিকল্পের সারাদিনের কবিতার আড্ডায় প্রধান আকর্ষণ ছিল চিরঞ্জীব হালদারের 'কবিতা সংগ্রহ ১' প্রকাশ। সেখানে ছিল ৯টি প্রকাশিত ও ২টি অপ্রকাশিত কাব্য গ্রন্থের সমাহার।

কবিতা পাঠের আসর মানেই তর্কপ্রিয় বাঙালি, আড্ডাপ্রিয় বাঙালি ও কবিতাপ্রিয় বাঙালির উপস্থিতি।

সময়সূচি ছিল -
১০-৩০টায় জলখাবার;
১০-৩০টা থেকে ১১-০০টা প্রারম্ভিক ভাষণ ও পরিচয় পর্ব;
১১টা থেকে ১২টা পুস্তক প্রকাশ ও আলোচনা।
১২টা থেকে দুপুর ২টো কবিতা পাঠ (৩০ জন কবি)
২টো থেকে ৩টে দ্বিপ্রাহরিক আহার
৩টে থেকে ৪টে কবিতাপাঠ (১৫ জন কবি)
৪টে থেকে ৪-২০ প্রাসঙ্গিক বক্তব্য
৪-২০ থেকে ৫-৩০ কবিতাপাঠ (১০ জন কবি)
৫-৩০ সমাপ্তি ভাষণ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন।

উদ্বোধন সঙ্গীতে ছিলেন শান্তিময় মুখোপাধ্যায়। স্বাগত ভাষণ দেন গোপাল মল্লিক। প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনায় ছিলেন বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী, অলোক বিশ্বাস ও দেবাশিস লাহা। প্রাণবন্ত এই আলোচনা উপস্থিত কবি, সাহিত্যকারদের চিন্তা ভাবনার পরিসরে গভীর রেখাপাত করে। কবিতা পাঠের আসরে যাদের আলোকিত উপস্থিতি ছিল, তারা হলেন যথাক্রমে বিশ্বজিত মাইতি, শীলা বিশ্বাস, জয়তি বন্দ্যোপাধ্যায়, বিমান মিত্র, সমীরণ কুন্ডু, নিহার জয়ধর, মানস মুখোপাধ্যায়, জি কে নাথ, অরুণ দত্ত, শান্তিময় মুখোপাধ্যায়, বিমল রায়, মধুমঙ্গল বিশ্বাস, গোপাল মল্লিক, দেবাশীষ লাহা, বিতান পুরকায়স্থ, বিক্রম প্রসাদ সিং, শান্তিময় মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

কবীরের দোহা ও চর্যা গীতির মাধ্যমে প্রাঙ্গন মুখরিত রাখেন বিতান পুরকায়স্থ ও বিক্রম প্রসাদ সিং।