স্থানীয় খবর
-
কলকাতা বইমেলায় দমকল দপ্তরের প্রদর্শনী স্টলের উদ্বোধন

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২৯শে ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ বুধবার, বিকেল ৪টায়, কলকাতা বইমেলায় সুষ্ঠুভাবে আয়োজিত হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ অগ্নিনির্বাপন দপ্তরের প্রদর্শনী স্টলের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অগ্নিনির্বাপন ও জরুরী পরিষেবা দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী সুজিত বোস। বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অগ্নিনির্বাপন দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় মুখার্জী, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ সাহেব, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চ্যাটার্জী, বিধাননগর পুরনিগমের মহানাগরিক কৃষ্ণা চক্রবর্তী। জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন অনিতা মন্ডল, তুলসী সিনহা রায়, রঞ্জন পোদ্দার, মিনু দাস চক্রবর্তী, রত্না ভৌমিক, প্রবীর সরদার, জয়দেব নস্কর প্রমুখ।
প্রথমে প্রধান অতিথিকে 'গার্ড অফ অনার' দেওয়া হয়। এরপর প্রধান অতিথি মঞ্চে এলে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়। প্রথমে বক্তব্য রাখেন দমকল ও জরুরী পরিষেবা দপ্তরের ডাইরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় মুখার্জী। তিনি কতকগুলি সহজ পদ্ধতির কথা বলেন, যার সাহায্যে সাধারণ মানুষেরা সহজেই ছোটখাটো আগুনের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে। এরপর বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার বলেন, বইমেলার ভিতরে এবং বাইরে পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা আছে যাতে যেকোনো সমস্যার দ্রুত মোকাবিলা করা যায়। মন্ত্রী সুজিত বোস বলেন, ২০১১ সালে যেখানে ১০৫টা দমকলের দপ্তর ছিল, সেখানে আজ ১৬৫টা দমকলের দপ্তর হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি জেলায় দমকলের একটি হেড কোয়ার্টার হয়েছে। নতুন আরো ৫/৬টি দপ্তর খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এর জন্য ইতিমধ্যে ৬০ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে। বর্তমানে তিন হাজারের মতো স্থায়ী কর্মী ও চার হাজারের মতো অস্থায়ী কর্মী আছে। আধুনিক ল্যাডার, রোবট ও ড্রোনের সাহায্যে অগ্নিনির্বাপনের কাজ এখন সহজ হয়েছে। অতি দ্রুততার সঙ্গে অগ্নিনির্বাপন দপ্তর সারা রাজ্য জুড়ে তাদের শাখা অফিস খুলে চলেছে। এই প্রচেষ্টা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনমুখী নীতির আরেকটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। সুন্দরভাবে সাজানো দমকলের প্রদর্শনী স্টলটিও একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এছাড়াও এদিন উপস্থিত দর্শকদের সামনে হাতে-কলমে আগুন নেভানোর বিভিন্ন কলাকৌশল দেখানো হয়।






-
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫, রবিবারের পুণ্য প্রভাতে করুণাময়ীর অভ্যন্তরে অবস্থিত 'জি' ব্লকে ভারতের গণপ্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে 'জি' ব্লক পরিচালন সমিতির প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উত্তোলন করেন 'জি' ব্লক পরিচালন সমিতির সভাপতি সুবীর বসু।
পরিচালন সমিতির সদস্য অধ্যাপক অনীশ চ্যাটার্জী দেশের স্বাধীনতা অর্জনে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে প্রজাতন্ত্র দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। এইদিন থেকে ভারতবর্ষ পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত হয়। ভারতের সংবিধানের মূলমন্ত্র, জাতি, ধর্ম, কৃষ্টি নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার। সংবিধান নির্দেশিত গণতন্ত্রের অধিকার রক্ষার দায়িত্ব দেশের আপামর জনসাধারণের। এই অধিকারকে চোখের মণির মতো রক্ষা করতে হবে। দেশের প্রতিটি মানুষকে জাগ্রত প্রহরীর মতো এই পবিত্র সংবিধানকে রক্ষা করতে হবে। এর ওপর যে কোনো ধরণের আক্রমনকে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করতে হবে। স্বৈরাচারকে কোনো অবস্থায় মাথা তুলতে দেওয়া যাবে না। তবেই আমাদের গণতন্ত্র সুরক্ষিত থাকবে, এটাই আজকের দিনের শপথ।
পরিশেষে সমবেতভাবে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এরপর 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র চেয়ারম্যান তথা 'সমন্বয়' মাসিক ই-পত্রিকার সম্পাদক সুদীপ ধর 'ইই' ব্লকের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সেখান থেকে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা কাকলী সাহা জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেখানে প্রথমে রাজ্য সঙ্গীত ও পরে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সর্বত্রই মিষ্টিমুখ করার আয়োজন করা হয়েছিল।
করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডে ছিল 'সমন্বয়' মাসিক ই-পত্রিকার সম্পাদকের শেষ অনুষ্ঠান। সেখানে 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র সম্পাদক তথা ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা ও বোরো পাঁচের চেয়ারম্যান রঞ্জন পোদ্দার প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এখানেও জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। অবশ্য এখানে মিষ্টিমুখের এলাহি ব্যবস্থা থাকে, কারণ সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে নির্বাহ করার দায়িত্বে ছিলেন রাণা হালদার, তপন রায়, সঞ্জয় দাস, অঞ্জন পোদ্দার, হৃষীকেশ জানা প্রমুখ।





নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সম্প্রতি কলকাতা লেক ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল 'প্রিয়দর্শিনী মিস বেঙ্গল সিজন-২' এবং এই মঞ্চ থেকেই উঠল স্লোগান - আগামীদিনে নারীদের আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে হবে এবং তারা যাতে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে। বিশেষ করে কলকাতার বুকে এবং ভারতবর্ষের বুকে ভবিষ্যতে আর যেন কোনোরকম অভয়া কাণ্ডের মতো মর্মান্তিক ঘটনা না ঘটে।
'প্রিয়দর্শিনী' ম্যাগাজিনের কর্ণধার পুষ্পজিত ঘোষ 'আস্থা বাংলা' চ্যানেলকে জানান - এ বছর আমরা দ্বিতীয় বছরের 'প্রিয়দর্শিনী মিস বেঙ্গল' আয়োজন করেছি। সারা বাংলা থেকে মডেলরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। মূলত তিনটি জায়গায় অডিশন নেওয়া হয় - কলকাতা, শিলিগুড়ি এবং দুর্গাপুরে। সেই অডিশন থেকে ২০০ জন প্রতিযোগীদের মধ্যে থেকে ১০ জনকে সিলেক্ট করে ফাইনাল রাউন্ডে নিয়ে আসা হয়। এই দশ জনকে প্রপার ট্রেনিং, গ্রুমিং, প্রেজেন্টেশন, প্রিশ্যুট সব রকমের ব্যবস্থা করা হয় এবং এই ১০ জনের মধ্যে থেকে প্রথম তিন জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এই বছর প্রথম হয়েছেন মিস অনন্যা গুপ্তা, প্রথম রানার আপ মিস অঙ্কিতা ভট্টাচার্য এবং দ্বিতীয় রানার আপ হন মিস শ্রীলগ্না চ্যাটার্জি। এই বিউটি প্রেজেন্টে বিচারক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট মডেল মাধবীলতা মিত্র, বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার তেজস গান্ধী, বিশিষ্ট মডেল তৃপ্তি শর্মা, ব্যবসায়ী আজম মিয়ানূর। এছাড়াও বহু নামী বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রতিযোগিতা থেকে আরো কিছু সাবটাইটেলে ভূষিত করা হয় মডেলদের, যেমন মিস অদ্রিজা ঘোষকে বেস্ট স্মাইল, মিস অনুপমা পালকে বেস্ট ওয়াক, মিস অলিভিয়া ব্যানার্জিকে বেস্ট স্কিন, মিস অনন্যা গুপ্তাকে বেস্ট বডি, এবং প্রেরণা মিত্রকে বেস্ট ফটোজেনিক সম্মানে ভূষিত করা হয়। পুষ্পজিত ঘোষ আরো জানান, আমাদের এই মডেলিং শো-টি করার উদ্দেশ্য হল বাংলায় এরকম বহু প্রতিভাবান মেয়েরা আছেন, যারা নিজেদের মডেল হিসেবে তুলে ধরতে চান কিন্তু তারা সেরকম সঠিক প্লাটফর্ম পান না। আমরা তাদেরকে এই প্লাটফর্মটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের এখানে যারা জয়ী হন তাদের সাথে সারা বছর আমরা কন্টাক্টে কাজ দিয়ে থাকি বিভিন্ন রকমের। সারা বছর ধরে জেতার পর তারা যাতে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে সেই ধাপটির দিকে আমরা তাদের এগিয়ে দিই। এর পাশাপাশি পুষ্পজিতবাবু আরও জানান যে, খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আমরা এই শো-টি করতে বাধ্য হলাম। কলকাতা সহ দেশে কোথাও অভয়ার মতো যাতে আর কোনো মেয়েদের ওপরে নির্যাতন না হয় সেই জন্য আমরা চেষ্টা করে থাকি। আমরা চাই এই মডেলরা যাতে সম্মানের সাথে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারেন এবং সাবলম্বী হতে পারেন। এমনিতেই ফ্যাশন দুনিয়া নিয়ে বহু রকম কন্ট্রোভার্সি হয়ে থাকে, সেটা আদপে ঠিক নয় সেই বার্তাও আমরা দিতে চেয়েছি এই প্রেজেন্টের মাধ্যমে।
বিশিষ্ট মডেল মাধবীলতা মিত্র জানান, আমি যে সময় আমার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম মডেল হিসেবে সেই সময় থেকে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু সেই পরিবর্তনকে সাথে নিয়ে নতুন কাজ যাতে নতুন মডেলরা শিখতে পারে এবং পুরোনো ট্রাডিশনকে মাথায় রেখে সেইদিকে আমরা বিশেষ নজর রেখেছিলাম। মডেলিং-এর ক্ষেত্রে তিনবার একটা ফ্যাশন শো-এর অনেক কিছু খুঁটিনাটি দেখতে হয়। বিশিষ্ট ডিজাইনার তেজস গান্ধী জানান, আমি বিদেশে এবং ভারতবর্ষে বহু শো করেছি, বিচারক হিসেবে ছিলাম, কিন্তু 'প্রিয়দর্শিনী মিস বেঙ্গল' এই দু'বছরে যে জায়গায় পৌঁছেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি চাই, আরো নতুন নতুন মডেল এগিয়ে আসুক, শুধু সারা বাংলা বা ভারতবর্ষে নয়, বিদেশের মাটিতেও তারা নাম উজ্জ্বল করুক।
-
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে ভগবতী দেবী বালিকা বিদ্যালয়ের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে। এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অগ্নিনির্বাপন ও আপৎকালীন জরুরী পরিষেবা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মাননীয় সুজিত বোস। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দার। এছাড়া যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের অন্যতম বিশিষ্ট সমাজসেবী উত্তম কুন্ডু, শিক্ষানুরাগী সুপ্রিয় চক্রবর্তী, শ্যামা দাস, সুদীপ ধর প্রমুখ।
পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুভসূচনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রতিভা পোদ্দার। ব্যান্ডের তালে তালে কুচকাওয়াজ ও অতিথিদের সম্মানার্থে মার্চ পাস্ট হয়। এরপর নবম শ্রেণীর ছাত্রী অন্বেষা ভট্টাচাৰ্য শপথগ্রহণ বাক্য পাঠ করে। প্রজ্জ্বলিত মশাল নিয়ে ছাত্রীরা ক্রীড়াঙ্গন পরিক্রমা করে যা অলিম্পিকের মশাল নিয়ে পৃথিবী পরিক্রমার কথা মনে পড়িয়ে দেয়।
প্রধান অতিথি তাঁর ভাষণে এই বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন। বিদ্যালয়ের উন্নয়নে তাঁর নিজস্ব ভূমিকাকে স্মরণে রেখে বিদ্যালয়ের পাঠাগারের উন্নয়নে ২ লক্ষ টাকা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। বিশিষ্ট সমাজসেবী উত্তম কুন্ডু বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য গরম পোষাকের ব্যবস্থা করেন। মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দার সর্ববিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অতিথি বরণের পর প্রধান অতিথির হাত দিয়ে বিদ্যালয়ের মুখপত্র 'সংকলিতা'র মোড়ক উন্মোচিত হয়, যেখানে বিদ্যালয়ের সম্বৎসরের বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিস্তৃত বিবরণ আছে। এনিয়ে একাদিক্রমে তিন বছর এই পুস্তিকা প্রকাশিত হল।
সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন, বর্ণবহুল, আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান ছিল ছাত্রীদের জিপসী ড্যান্স। শরীরচর্চায় কুশলতা থাকলেই জিমন্যাস্ট হওয়া যায়। বিদ্যালয়ের দক্ষ জিমন্যাস্টরা পিরামিড জিমন্যাস্টের বিভিন্ন শৈলী প্রদর্শন করে। এটিও ছিল একটি মনকাড়া অনুষ্ঠান। স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণদানকারী বীর শহীদদের স্মরণে একটি নাটিকা প্রদর্শিত হয়। এরপর ছিল ক্যারাটে শিক্ষকের নির্দেশে ক্যারাটের বিভিন্ন কলা প্রদর্শনী। এখানে শিক্ষার্থীরা হাত ও কপাল দিয়ে টালি ভেঙে তাদের শক্তি প্রদর্শন করে। এরপর ক্যারাটে শিক্ষককে সম্বর্ধিত করা হয়।
উল্লেখযোগ্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলির অন্যতম ১০০ মিটার ফ্ল্যাট রেস, কমলালেবু রেস, অঙ্ক রেস, দ্রুত ফুল তোলা ও দ্রুত স্কুল ইউনিফর্ম পরে দৌড় প্রতিযোগিতা। লাফ-দড়ি দৌড়, চামচ-গুলি দৌড় ও রিলে রেসের ব্যবস্থা ছিল। ছাত্রীদের অভিভাবিকাদের জন্য ছিল চামচে-গুলি নিয়ে দৌড়। সবশেষে ছিল যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতা। প্রায় প্রতিটি ইভেন্টের শেষে ছিল সফল প্রতিযোগীদের হাতে পদক ও শংসাপত্র তুলে দেওয়ার পালা। একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, প্রায় ছয় শতাধিক ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবিকাদের উপস্থিতিতে ভগবতী দেবী বালিকা বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ একটি মনোরম ও উচ্চমানের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অত্যন্ত সুষ্ঠভাবে আয়োজন করেছেন, যা অন্যদের কাছে অবশ্য অনুসরণযোগ্য।










নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ১৯শে জানুয়ারি, রবিবার, সন্ধ্যে ৬টায় মহাবোধি সোসাইটি হলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়ে গেল 'চালচিত্র' পত্রিকার বইমেলা, ২০২৫ সংখ্যাটি। পত্রিকাটির সম্পাদক অন্তরা রায় ও কলমচি কৌশিক। প্রকাশনার দায়িত্বে ছিলেন 'শপিজেন বাংলা'র কর্ণধার সুপর্ণা মজুমদার।
পুস্তক প্রকাশ অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন স্নিগ্ধা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাসন্তী মুখার্জি ও শেখর মুখার্জি। সঙ্গতে ছিলেন নীলাদ্রি মুখার্জি। তারপর মঞ্চে একে একে ডেকে নেওয়া হয় সম্পাদক কলমচি কৌশিক সহ সম্পাদক শুভদীপ চক্রবর্তী, 'শপিজেন বাংলা'র কর্ণধার সুপর্ণা মজুমদার, প্রধান অতিথি ডঃ সমুদ্র বসু, শৌনক চক্রবর্তী, কৌশিক রায় ও অন্যতম সম্পাদক অন্তরা রায়কে। মঞ্চে রাখা প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এ'দিনের অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এরপর বিশিষ্ট অতিথিদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। স্বাগত ভাষণ দেন পত্রিকার তরফ থেকে অন্যতম সম্পাদক কলমচি কৌশিক। অতিথিদের স্বল্প বক্তব্যের শেষে বিশিষ্টজনের হাত দিয়ে পত্রিকার সদ্য প্রকাশিত সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অতিথিরা মঞ্চ থেকে নেমে এলে নৃত্য পরিবেশন করেন দিশানী দাশ। এরপর লেখকদের মঞ্চে ডেকে এনে বই ও স্মারক প্রদান করা হয়। স্মারক প্রদান করা হয় প্রচ্ছদশিল্পী চিন্ময় মুখার্জি ও সঞ্চালিকা স্নিগ্ধা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপর একে একে বক্তব্য রাখেন সহ সম্পাদক শুভদীপ চক্রবর্তী, সদস্য কৌশিক রায়, উপদেষ্টা শৌনক চক্রবর্তী, অন্যতম সম্পাদক অন্তরা রায়।
এছাড়া যাঁরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন, তাঁদের অন্যতম মৌসুমী মুখোপাধ্যায়, পৃষতী রায়চৌধুরী। নৃত্য পরিবেশন করেন দেবযানী পোদ্দার। এরপর জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে 'চালচিত্র' পত্রিকার প্রকাশনা অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।



-
ফিজিওম্যাক্স - এক নতুন ঠিকানা

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র প্রয়াত প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্রী কার্তিক চ্যাটার্জির সুযোগ্য নাতি আর্যমান চ্যাটার্জি, যিনি গর্গ চ্যাটার্জি নামে সবিশেষ পরিচিত এবং ক্যারাটে দুনিয়ায় সাফল্যের সঙ্গে কুশলতা দেখিয়ে চলেছেন, তিনি ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫, শনিবার ভিআইপি রোড, কৈখালির বুকে 'ফিজিওম্যাক্স' নামে প্রায় ২,২০০ স্কোয়ার ফুটের শরীরচর্চা কেন্দ্র (জিম) গড়ে তোলেন। এদিন ছিল তার শুভ উদ্বোধন।
নতুন ঘরানার শরীরচর্চা কেন্দ্রের শুভ সূচনায় আগ্রহী মানুষের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রায় তিন শতাধিক মানুষ এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এদের অধিকাংশ ছিল বর্দ্ধিষ্ণু পরিবারের শরীর সচেতন মানুষ।
ফিজিওম্যাক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় অগ্নিনির্বাপন ও আপৎকালীন জরুরী পরিষেবা মন্ত্রী সুজিত বোস। তিনি সমস্ত বিভাগ ঘুরে ঘুরে দেখেন। এই জিমের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ক্যারাটে শিক্ষাকেন্দ্র। মার্শাল আর্টের শিক্ষা গুরু শিবা প্রধান এখানে পরামর্শদাতা হিসাবে আছেন। মাননীয় মন্ত্রীর সামনে গুরু শিবা প্রধান ও আর্যমান চ্যাটার্জি নকল লড়াইয়ের একটা মহড়া দেন। মন্ত্রী মহোদয় খুশি হয়ে হাতে বক্সিং গ্লাভস পরেন।
ফিজিওম্যাক্সে যে সমস্ত বিভাগ রয়েছে, তাদের অন্যতম বক্সিং, কিক বক্সিং, ব্রাজিলিয়ান জিউ জিটসু, যোগা, জুমবা, ডান্স, জিম, ফিটনেস, বডি ট্রান্সফরমেশন, ফিজিওথেরাপি ইত্যাদি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিশেষে ছিল এলাহি খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা।
যোগাযোগঃ আর্যমান চ্যাটার্জি - +৯১ ৯৩৩০৭৬২৯১৭






নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আতিশয্য বাইরে বা মুখে নয়, অন্তরে এবং কাজে। এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় থানার অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রাম পোলোসিটায়। যা প্রত্যক্ষ করা গেল 'পোলোসিটা বিবেকানন্দ সংঘ'র সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে। আজকের দিনেও এই ক্লাব সংগঠনটি আশ্রয় করে আছে একটি ছোট্ট অ্যাসবেস্টারের কুটিরে। বাইরে কোনো আতিশয্য ও চাকচিক্য নেই। অথচ বিগত ৫০ বছর ধরে আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রামে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে এই সংগঠনটি। সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে স্বামী বিবেকানন্দ এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ৯ থেকে ১২ই জানুয়ারি বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা আয়োজিত হয়।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ১১ই জানুয়ারি বিকেলে তাদের নিজের মাটি অর্থাৎ নারায়ণগড়ের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা সভা। এই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক, আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক এবং সর্বোপরি 'বৃহত্তর নারায়ণগড়ের হাজার বছরের ইতিহাস' বইটির লেখক অরুণ ভট্টাচার্য, আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক সন্তু জানা, প্রাক্তন শিক্ষক মানগোবিন্দ দাস ও সমাজকর্মী খোকন খাটুয়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং সুন্দরভাবে তথ্য সমৃদ্ধ সঞ্চালনা করেন 'আনন্দবাজার পত্রিকা'র সাংবাদিক বিশ্বসিন্ধু দে।
ক্লাবের সভাপতি, সম্পাদক ও সদস্যরা জানালেন এ যাবৎ এই ক্লাব সমস্ত রাজনীতি, সমস্ত অসামাজিক কাজকর্মের ঊর্ধ্বে থেকে মাথা উঁচু করে বিগত ৫০ বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত আছে।
চার দিনের অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নারায়নগরের ইতিহাসের লেখক ও গবেষক অরুণ ভট্টাচার্য মহোদয় এবং গবেষক সন্তোষ জানাকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গুণীজন সম্বর্ধনার মাধ্যমে তারা পক্ষান্তরে নিজেদেরই সম্মানিত করছেন।





নিজস্ব সংবাদদাতাঃ 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র সম্পাদক রঞ্জন পোদ্দারের জন্মদিন অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনা সঙ্গে ৫ই জানুয়ারি, রাত ৯টায় করুণাময়ী বাস স্টান্ডে পালিত হয়। বাস মালিক, কর্মচারী, বিভিন্ন দোকানদার ও এতদঞ্চলের বহু মানুষের উপস্থিতিতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা ও পাঁচ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান রঞ্জন পোদ্দার দক্ষ সংগঠক হিসেবে বিধাননগরে সুবিদিত। যে কাজটাই করেন, তা থাকে আন্তরিকতায় ভরা। উচ্চমানের চিন্তা-ভাবনা প্রসূত পরিশীলিত মননের কাজ। তা সে শহীদ দিবস পালন হোক বা মাঠ রক্ষণাবেক্ষণ, কাউন্সিলরস্ গোল্ডকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন, ঢেলে মার্কেট সংস্কার বা দুর্গাপূজা পরিচালনা, সেখানে থাকবেই নতুনত্বের ছাপ এবং অবশ্যই ব্যাপক মাপের আয়োজন। তা নাহলে প্রথম বারেই 'আইবি' ব্লক 'পুজো কার্নিভাল'-এ স্থান করে নেয়! আসলে উনি যে কাজ করেন মন প্রাণ ঢেলে করেন। স্বাভাবিক এমন মানুষের জন্মদিনে অবশ্যই প্রচুর মানুষের সমাগম হবে। হয়েছিলও তাই।
'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র চেয়ারম্যান ও 'সমন্বয়' মাসিক ই-পত্রিকার সম্পাদক সুদীপ ধর অনুষ্ঠানের সূচনায় রঞ্জন পোদ্দারের বৃহৎ কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। তারপর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক দিয়ে তাঁকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন এবং তাঁর দীর্ঘ কর্মক্ষম সুস্থজীবন কামনা করেন। প্রত্যুত্তরে রঞ্জন পোদ্দার ভবিষ্যতে আরো বেশি করে মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেন, বিশেষ করে স্থানীয় অস্থায়ী দোকানদারদের সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামীদিনে স্থায়ী দোকানঘর করে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। পরিশেষে কেক কাটা, মিষ্টিমুখ ও নৈশভোজের আয়োজন থাকে।
উদ্যোক্তাদের মধ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের অন্যতম রাজীব চ্যাটার্জি, রাণা হালদার, তপন রায়, সঞ্জয় দাস, বাসুদেব কর্মকার, হৃষিকেশ জানা, অঞ্জন পোদ্দার, অর্জুন বৈঠা, বিষ্ণুগোপাল রায়, কেশব পাত্র, দেবোপম সরকার, তপন নায়েক, অজয় চক্রবর্তী, শুভঙ্কর ঘোষ, দেবদূত মন্ডল, দেবাশিস ঘোষ, শৌভিক চোঙদার, গৌতম কুন্ডু, আকাশ পান্ডে, কৃষ্ণ প্রসাদ ভূঁইয়া, রফিক মিঞা, সনাতন বেরা, শামসুল দা, তারাপদ, জয়ন্ত, শুভাশিস প্রমুখ।








নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মনোরঞ্জনের সেরা জাদুর ঝুলি নিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জাদুশিল্পী শ্যামল কুমার সম্প্রতি বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানে ম্যাজিক দেখালেন।
এর মধ্যে বছরের শেষে ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ কলকাতার সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহে তাঁর জাদু প্রদর্শন ছিল সবিশেষ উল্ল্যেখযোগ্য। 'Truebrand' আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তাঁর জাদু সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে।
এছাড়া সায়েন্স সিটির এই অনুষ্ঠানে জাদুকর শ্যামল কুমারকে 'আউটস্ট্যান্ডিং ট্যালেন্ট অফ দি ইয়ার ২০২৪' সম্মানে সম্মানিত করা হয়।
কলকাতা দূরদর্শনের পর্দায় (ডিডি বাংলা) একাধিকবার একক অনুষ্ঠানে জাদুকর শ্যামল কুমারের ম্যাজিক প্রদর্শিত হয়। প্রতিটি অনুষ্ঠানে তিনি জাদুকলা নৈপুন্য প্রদর্শনে তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।




সংবাদদাতা - সমীরণ ভৌমিকঃ বিগত ইংরেজির ২৫শে ডিসেম্বর থেকে ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত গঙ্গাদাসচক, 'উজান হরিপদ উচ্চবিদ্যালয়', আকনাগেড়িয়া, পিংলা, পশ্চিম মেদিনীপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৫৬তম 'অখিল ভারত বিবেকানন্দ যুব মহামন্ডল শিবির'।
এটি হলো 'অখিল ভারত বিবেকানন্দ যুব মহামন্ডল'-এর বার্ষিক যুব প্রশিক্ষণ শিবির। এই সংগঠন একটি সর্বভারতীয় যুব সংগঠন। সংগঠনের আদর্শ যুবকদের চরিত্র গঠন এবং প্রকৃত মানুষ হিসেবে তাদের নির্মাণ করা। ১৯৬৭ সালে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছিল দেহ, মন এবং হৃদয়ের ভারসাম্য পূর্ণ বিকাশের জন্য। একটি গৌরবময় জাতি গঠনের জন্য স্বামী বিবেকানন্দের ভাবধারায় সংস্থাটি এগিয়ে চলেছে। সঠিক মানুষ ছাড়া কোনো জাতি মহান হতে পারে না। এই যুব সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, ছত্রিশগড়, কর্ণাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, আসাম ইত্যাদির মতো বারোটি রাজ্য থেকে ১,২১৫ জনেরও বেশি যুব সদস্যরা ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিলেন।
২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বুধবার বিকেল ৪:৫০ মিনিটে উপস্থিত ছিলেন শ্রদ্ধেয় স্বামী হিতকামানন্দজি মহারাজ (সেক্রেটারি, শিলং রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন)। উনি মহামন্ডলের গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করেন। মহামন্ডল কোন ধর্মীয়, সাম্প্রদায়িক, রাজনৈতিক সংগঠন নয়। এই ছয়দিনের ক্যাম্প শুরু হয় ভোর ৪:৪৫ মিনিট থেকে রাত ১০:৩৫ মিনিট পর্যন্ত। সদস্যদের শেখানো হয় মানসিক একাগ্রতা, শারীরিক সুস্থতা, আধ্যাত্মিক জাগরণ। প্রতিদিন সন্ধ্যার অনুষ্ঠান শুরু হয় স্বামীজীর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে এবং বিশিষ্ট গুণীজনদের বক্তব্য এবং রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের বিশিষ্ট সন্ন্যাসীবৃন্দের বক্তৃতায় যুবকদের অনুপ্রাণিত করা হয়। একটি রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করা হয়েছিল। ২৬৬ জন রক্তদাতা রক্ত দিয়েছেন। ৩০শে ডিসেম্বর সমাপ্তির দিন সন্ধ্যায় বক্তৃতা রেখেছিলেন বেলুড় মঠ ও মিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি শ্রীমৎ স্বামী বলভদ্রানন্দজী মহারাজ। মহারাজের মুখনিঃসৃত অমৃতকথা ছিল, মানুষ গড়ার প্রণালী। একজন মানুষ কেমন হবে? তিনি বললেন - Truth, Honesty and Unselfishness. আবার একজন মানুষের আচরণ কেমন হবে? তিনি বললেন - Meditation and Service with dedication.
স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ ও ভাবাধারাকে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে 'অখিল ভারত বিবেকানন্দ যুব মহামন্ডল'-এর বার্ষিক যুব প্রশিক্ষণ শিবির অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ, একথা সর্বজনবিদিত এবং অনস্বীকার্য।

