স্থানীয় খবর

  • মহামিলন মন্দিরের বাৎসরিক অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা - সুশোভন মুখার্জিঃ ১৮ মার্চ, ২০২৩ রাজারহাট নিউটাউন এলাকার যাত্রাগাছিতে স্বামী প্রণবানন্দজীর ‘হিন্দু মহামিলন মন্দির’-এর বাৎসরিক অনুষ্ঠান পালিত হয়। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রভাতফেরি এবং কয়েকশো পুণ্যার্থীর গঙ্গাজল আনয়নের মাধ্যমে। স্বামী প্রণবানন্দজীকে স্মরণ, পূজো-পাঠ, হোম-যজ্ঞ, কীর্তন ছাড়াও ছিল মা অন্নপূর্ণার পুজোর আয়োজন। প্রধান উদ্যোক্তা জ্যোতির্ময় মন্ডল ও কৌশিক মন্ডল আট দিনব্যাপী এই পূজোর কর্মসূচি উপস্থিত ভক্তমন্ডলীদের জানান।

অনুষ্ঠানসূচিতে ছিল অষ্টপ্রহর নামসংকীর্তন, কালী ও শীতলা পুজো, শরীরচর্চা, প্রতিযোগিতামূলক লাঠি ও তরোয়াল খেলা, হিন্দুধর্ম ও সংস্কৃতি বিষয়ে আলোচনা, বৈদিক শান্তিযজ্ঞ, প্রণবানন্দজীর প্রাত্যহিক উপাসনা, সন্ধ্যারতি, প্রত্যহ অন্নকূট ও অন্নভোগ বিতরণের আয়োজন। আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের ও শহরের কয়েক হাজার মানুষ এই ক’দিন পূজোর প্রসাদ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানগুলি মনোজ্ঞ ও মন্দির প্রাঙ্গন প্রানবন্ত হয়ে ওঠে প্রায় দশ হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষের অংশগ্রহণে। ২৬ মার্চ এই বাৎসরিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।

  • ‘অনন্ত’ বাংলার তাঁতিদের আশা

সংবাদদাতা - পুপাই সরকারঃ আজকাল অনলাইন পরিষেবা হওয়ার ফলে, সাধারণ মানুষকে কষ্ট করে কোন কিছু কেনাকাটার জন্য কোথাও যেতে হয় না। বাড়িতে বসে ‘উইনডো শপিং’-এর মাধ্যমে জিনিস পছন্দ করে কেনা যায়, সে যেকোনো জিনিসই হোক না কেন। কোনো অসুবিধা ছাড়াই আজকাল বাড়ি বসে পরনের জামাকাপড়ও কেনা যায়। ফলে অনেক ব্যবসায়ীরা যারা দোকানে বসে জিনিসপত্র বিক্রি করেন, তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

এই অনলাইনে ক্রয়ের ক্ষেত্রে যেমন সুবিধা আছে, তেমন অসুবিধাও আছে। প্রত্যন্ত গ্রামে যে তাঁতি তাঁত চালিয়ে শাড়ি তৈরি করছেন, তিনি বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে বেশিরভাগ সময় পৌঁছোতে পারছেন না। মহিলা তাঁতিরা নিজেদের পায়ে আরো ভালোভাবে যাতে দাঁড়াতে পারেন, তার জন্য সম্প্রতি সল্টলেকের এক হোটেলে হয়ে গেল একদিনব্যাপী এক্সিবিশন।

এক্সিবিশনের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অনন্ত’। এই এক্সিবিশনে মূলত হ্যান্ডলুমের কারিগররা অংশগ্রহণ করেন, যারা শান্তিপুর থেকে এসেছিলেন। এই এক্সিবিশানের আয়োজন করেছিলেন রেখা ভুতুরিয়া এবং নিশি। ওঁনারা দুজনেই বাংলার হ্যান্ডলুম সেক্টর যাতে আরো উন্নতি করে, তার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজ করে থাকেন। এই মুহূর্তে হ্যান্ডলুম সেক্টর খুবই খারাপ অবস্থায় আছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনলাইনে ব্যবসার ফলে হ্যান্ডলুম ব্যবসার সাথে যারা যুক্ত তাদের অনেকেই ব্যবসায় যথোচিত সুফল পাচ্ছেন না। অনলাইনের মাধ্যমে মানুষ মেশিনমেড এবং হ্যান্ডমেড কাপড়ের কি ফারাক তা বুঝতে পারছেন না।

এই এক্সিবিশনে বিভিন্ন রকম হ্যান্ডলুমের শাড়ি ও ঘর সাজানোর জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মহিলা তাঁতিরা রানি জেদের তৈরি করা শাড়ি পরে ফ্যাশন শো করেন। রেখা ভুতুরিয়া ও নিশি জানান তাঁদের উদ্দেশ্য হল, হ্যান্ডলুম সেক্টরে যে সমস্ত মহিলারা আছেন তাদেরকে জনসমক্ষে নিয়ে আসা। তাদের তৈরি করা জিনিসপত্র বেচে তারা যেন নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারেন, তার চেষ্টা করা। এইবার প্রথম তাঁরা এই ধরনের এক দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেছেন, ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের উৎসাহ দেখে আরো কয়েকটি এক্সিবিশন করার চিন্তাভাবনা তাঁদের আছে বলে জানান।

  • কলকাতার স্বভূমিতে ‘আই হোপ স্টারস নাইট সিজন থ্রি’-তে নক্ষত্রের মেলা

নিজস্ব সংবাদদাতা - পুপাই সরকারঃ সম্প্রতি কলকাতার স্বভূমির রঙ্গমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘আই হোপ স্টারস নাইট সিজন থ্রি’। অনুষ্ঠান শেষে ‘আই হোপ স্টার গ্যালাক্সি অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করা হয় সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতি মানুষদের। পরপর তিন বছর ধরে এই অনুষ্ঠানটি হয়ে আসছে কলকাতায়। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা বলিউড-এর অভিনেতা এবং মডেল সৌরভ হরিয়ানভি জানান, এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য হচ্ছে, মানুষকে বোঝানো যে, ‘প্রত্যেক মানুষ নিজ নিজ ক্ষেত্রে একজন নক্ষত্র’। সবাই যেন স্টারের মতো থাকে। সবার যেন নিজেদের দেখা স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়। এই অনুষ্ঠানটি মূলত একটি ফ্যাশন শো, যেখানে প্রায় ১০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। টিন, মিস, মিস্টার, মিসেস, কিডস এবং কাপলস্‌ এইভাবে ১০০ জনকে ভাগ করা হয়। এই ফ্যাশন শোতে ৬০ ঊর্ধ্ব বয়স্করা অংশগ্রহণ করেছিলেন।



এই অনুষ্ঠানে মূল আকর্ষণ ছিলেন মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী, এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার গৌতম কুমার দাস, সংগীতশিল্পী লাজবন্তী রায়, প্রফেসর ডক্টর সুজয় বিশ্বাস, সাংবাদিক দেবোপম সরকার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে আরো যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা হলেন ইয়াসির হায়দার, পঙ্কজ কুমার, বন্দনা গুপ্তা, কে হাউস অফ জুয়েলারি প্রমুখ। এই সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী, অনুষ্ঠানের সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন সৌরভ হরিয়ানভির মা আশা আগরওয়াল, দিব্যা কেডিয়া সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। ভাগ্যশ্রী জানান ভারতবর্ষের ভেতরে কলকাতা ওঁনার কাছে অন্যতম ভালোলাগার শহর। তিনি কলকাতার মিষ্টি খেতে খুবই পছন্দ করেন, যদিও শরীরচর্চার জন্য খুব একটা বেশি মিষ্টি খান না। কিন্তু কলকাতার রসগোল্লা তার বিশেষ পছন্দের। আরো নতুন কিছু সিনেমা নিয়ে তিনি খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করবেন, ওঁনার ভক্তরা অচিরে তা জানতে পারবেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি ‘শো স্টপার’ হিসেবে রাম্পে হাঁটেন।

অন্যদিকে এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা অভিনেতা সৌরভ হরিয়ানভি জানান, কলকাতার বুকে আজকাল বহু ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রকৃত ফ্যাশন শো-এর বড্ড অভাব। সম্প্রতি কলকাতায় শুরু হয়েছে অ্যাওয়ার্ড সেরিমনি, কিন্তু প্রকৃত যশের মানুষ সবসময় তাঁদের নিজেদের কাজের স্বীকৃতি পান না।‌ তিনি মনে করেন, প্রত্যেক মানুষের ভেতর কিছু না কিছু প্রতিভা আছে এবং সেই প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ক্ষেত্রে তাঁরা পারদর্শী হন। এই সমস্ত কৃতি মানুষদেরকে চিহ্নিত করে তাঁদের সম্মানিত করতে পেরে তিনি গর্বিত। যাঁদের যাঁদের সম্মানিত করা হয় এই অনুষ্ঠানে, তাঁদের হাতে মেমেন্টো তুলে দেন অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী।

  • অভিনেত্রী সুচন্দ্রা ভানিয়ার অভিনব ‘ডায়েট বিরিয়ানি’

সংবাদদাতা - পুপাই সরকারঃ সুচন্দ্রা ভানিয়া পেশায় অভিনেত্রী হওয়ায় খুব স্বাভাবিকভাবেই উনি খাবারের সম্বন্ধে খুবই সচেতন। তবে সুচন্দ্রা যতই ডায়েট করুন না কেন, বিরিয়ানি দেখলে উনি সত্যিই নিজেকে সামলাতে পারেন না। হলুদ-সাদা ঝরঝরে বাসমতী রাইসের সাথে একটা নরম আলু আর একটু তুলতুলে মাংস যেন সারাদিনের শুটিং-এর সব ক্লান্তি এক নিমেষে দূর করে দেয়!

হঠাৎ সুচন্দ্রার সাথে ঘটল এক আশ্চর্য ঘটনা। অন্যান্য দিনের মতোই একদিন রাতে শ্যুট প্যাকআপের পর সুচন্দ্রার প্রচণ্ড বিরিয়ানির ক্রেভিং শুরু হল। কিন্তু অনেক খুঁজেও আশেপাশে এমন একটি দোকানও খুঁজে পেলেন না, যেখানে ওঁনার পছন্দমত গ্লুটেন-মুক্ত কম ক্যালোরির বিরিয়ানি পরিবেশন করা হয়। হতাশ হয়ে তিনি সেই রাতের মত বিরিয়ানির আশা ত্যাগ করতে বাধ্য হলেও, ব্যাপারটা ওঁনার মনের মধ্যে থেকে যায়।

এই ঘটনার ঠিক এক মাসের মাথায় সুচন্দ্রা শুরু করেন ‘জাস্ট বিরিয়ানি’। সুচন্দ্রা জানান আমার নিজস্ব এই বিরিয়ানির ব্রান্ড পরিবেশন করে লোভনীয় চিকেন, মাটন, চিংড়ি ও বিভিন্ন মাছের প্রিমিয়াম বিরিয়ানি। স্বাদ ও স্বাস্থ্যের সম্পূর্ণ খেয়াল রেখে তৈরি এই বিরিয়ানি, ৮ থেকে ৮০, খেতে পারেন সকলেই। নিয়মিত বিকল্পগুলি ছাড়াও, আমাদের গ্লুটেন ফ্রি লো-ক্যালোরি ব্রাউন রাইস বিরিয়ানির একটি এক্সক্লুসিভ রেঞ্জ আছে তাদের জন্য, যারা বিরিয়ানি খেতে ভালোবাসেন অথচ নিজেদের ওজন এবং স্বাস্থ্যের বিষয়েও সচেতন।



সুচন্দ্রাদেবী আরো জানান ‘জাস্ট বিরিয়ানি’ আমার একটি প্যাশন প্রোজেক্ট এবং সমাজকল্যাণের জন্য একটি নিবেদিত মিশন রয়েছে আমাদের এই ব্র্যান্ডের। জাস্ট বিরিয়ানি দ্বারা অর্জিত সমস্ত লাভের পঞ্চাশ শতাংশ সরাসরি আমার এনজিও ‘প্রয়াস’-এ পুনরায় বিনিয়োগ করা হয় এবং গ্রামীণ পুরুলিয়া, বিষ্ণুপুর এবং সুন্দরবনের শতশত দারিদ্র্যপীড়িত নাগরিকদের খাদ্যদ্রব্য দিয়ে সহায়তা করা হয়।

তাহলে আর দেরি কিসের যারা শরীর সচেতন অথচ খেতে ভালোবাসেন তাও আবার বিরিয়ানির মত রাজকীয় খাবার, দেরি না করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলুন এই বিরিয়ানি। ইতিমধ্যেই বহু অভিনেতারা এই বিরিয়ানি খেয়ে দেখেছেন এবং সকলেরই অসাধারণ লেগেছে সুচন্দ্রা ভানিয়ার বিরিয়ানি। ইতিমধ্যে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট মানুষেরা এর স্বাদ উপভোগ করেছেন।

আপনিই বা কেন বাদ থাকবেন? তাহলে সত্ত্বর 7439193331 এই নম্বরে যোগাযোগ করুন।

  • ‘তাণ্ডব’ ব্যান্ডের জন্মদিন উপলক্ষে গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান

নিজস্ব সংবাদদাতা - পুপাই সরকারঃ সম্প্রতি উত্তর কলকাতার স্টার থিয়েটার-এ ‘তান্ডব’ ব্যান্ড-এর পরিচালনায় ‘নটী বিনোদিনী মেমোরিয়াল অ্যাম্ফিথিয়েটার’-এর মুক্তমঞ্চে হয়ে গেল গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।

সান্ধ্যকালীন সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্মিতা বক্সী, সৌম্য বক্সী, শ্রেয়া পাণ্ডে, জয়ন্ত রায় সহ একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।



অনুষ্ঠানের পূর্বে ‘থার্ড আই ভিজ্যুয়াল’-এর পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাতা ইন্দ্রাণী গুপ্ত জানিয়েছেন, ‘‘রাজনীতিবিদ, থিয়েটার-চলচ্চিত্র-যাত্রা জগতের সাথে জড়িত ব্যক্তিত্ব, লেখক ও পুস্তক প্রকাশক, সঙ্গীতশিল্পী সহ অন্যান্য ব্যক্তি ও সংস্থা মিলিয়ে ২৫ জনকে আজ সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।’’

অন্যদিকে এই অনুষ্ঠানে ‘তাণ্ডব’ ব্যান্ড-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ইমন মুখার্জি জানিয়েছেন, ‘‘২০১৬ সালে ‌প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘তাণ্ডব’ ব্যান্ড। সংস্থার ৭ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আজ এই আনন্দানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।’’ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর বিভিন্ন সংগীত শিল্পীদের গানের অনুষ্ঠান, থার্ড আই ভিজ্যুয়ালসের নৃত্য অনুষ্ঠান এবং ‘তাণ্ডব’ ব্যান্ডের তরফ থেকে এক সুন্দর মনোরম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

  • দমদমের রবীন্দ্র ভবনে চতুর্থ বার্ষিক জ্যোতিষ সম্মেলন

‘নবতারা ইন্সিটিউট অফ্ অ্যাসট্রোলজি’ ও ‘নবতারা ফাউন্ডেশন’-এর যৌথ উদ্যোগে ১২ মার্চ দমদম রবীন্দ্র ভবনে অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ বার্ষিক জ্যোতিষ সম্মেলন। জ্যোতিষচর্চা ছাড়াও এই প্রতিষ্ঠান শুরু থেকে সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রমাণ দিয়ে আসছে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন কর্ণধার গৌরব ত্রিবেদী ও সহযোগী প্রিয়াঙ্কা সরকার ঘোষ।

ওইদিন অ্যাসট্রোলজি, নিউমেরোলজি, বাস্তু ও অকাল্ট সায়েন্স-এর উপর বিশেষ আলোচনায় অংশ নেন বিখ্যাত জ্যোতিষী, সংখ্যাতত্ত্ববিদ, বাস্তুবিদ ও তন্ত্রসাধক গৌরব ত্রিবেদী। তিনি জানান এই বিষয় নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গড়ার মূল লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে ‘নবতারা’। এদিন ‘নবতারা’র কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সম্মানিত করার ব্যবস্থা করা হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘নবতারা ফাউন্ডেশন’-এর সমাজসেবামূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হয়। ২০১৬ সাল থেকে তাদের সামাজিক কর্মকান্ড শুরু সুন্দরবনে। সুন্দরবন সংস্কার, অনাথ শিশুদের সহায়তা, বৃদ্ধাশ্রমের উন্নয়ন ইত্যাদি বহু কাজের সাথে যুক্ত তারা। ওইদিন দৃষ্টিহীন মানুষ, শারীরিক প্রতিবন্ধী, দুঃস্থ ছাত্রছাত্রী, বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়, অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র, গায়িকা লাজবন্তী রায়, সাংবাদিক স্বর্ণালী সরকার, মডেল নিকোলা গোমস, ডঃ বিদীশা নস্কর প্রমুখ। পরিশেষে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষণ ছিল, নৃত্যানুষ্ঠান ‘মহাভারত’, পরিচালনায় ছিলেন গৌরব ঘোষাল।

  • সল্টলেক ই-ই ব্লকে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি

বিশেষ সংবাদদাতা - সুশোভন মুখার্জিঃ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর অনুপ্রেরণায় ৫ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে বিধাননগর পৌরনিগমের সহযোগিতায় ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে এবছরের প্রথম ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি সল্টলেক ই-ই ব্লক রেসিডেন্টস্‌ অ্যাসোসিয়েশনের অফিস প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হলো।

উল্লেখ্য বিষয় ‘প্রকল্প ও পরিষেবা’-র মধ্যে মানুষের সরাসরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতি বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া গতানুগতিক ভাবেই খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী ও লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো কিছু সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতি বিশেষ করে জোর দেওয়া হয়। তবে অন্যান্য প্রকল্পগুলির দিকেও যথেষ্ট লক্ষ্য ছিল। বিনাব্যয়ে সামাজিক সুরক্ষা-যোজনা, শিক্ষাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, ঐক্যশ্রী বা বিধবা ভাতার মতো কিছু পরিষেবার প্রতি সেরকমভাবে জোর দেওয়া হয়নি। না বললেই নয়, পরিচালনায় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের আতিথেয়তা, তদারকি ও তৎপরতা ছিল বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। এই সমগ্র কর্মসূচিটি স্থানীয় ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা কাকলি সাহার তদারকিতে সম্পন্ন হয়।

৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সকল কর্মী এবং পৌরকর্মী যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি সাফল্যমণ্ডিত হলো তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

  • মুক্তি পেল স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘আনটোল্ড’

‘অরিজিৎ অফিসিয়াল’ ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেল পরিচালক অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বাঙলা নতুন বছরের প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘আনটোল্ড’। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো যে, এটি একটি‘হরর সাসপেন্স থ্রিলার’ গল্প, যা এক নারীর জীবনে অপ্রত্যাশিত ঘটনাবলী নিয়ে তৈরী। গল্পটি সার্বজনীন একটি বিষয়ে কেন্দ্রিত যা সমাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবনের শিক্ষাবহন করছে, যা হল, ‘জীবনে কোনও শর্টকাট নেই’। প্রত্যেক বারের মত এবারেও পরিচালক অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সাথে আলাপচারিতায় তিনি জানান, এই পুরো স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির শুটিং হয়েছে হংকং সিটিতে। মজার বিষয় হল, ছবিতে প্রদর্শিত সিনেমার ভাষায় ‘হিরো এবং হিরোইন’ আসল জীবনেও স্বামী-স্ত্রী। যা তাঁদের চরিত্রগুলিকে আরও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। ২ এপ্রিল, ২০২৩, বিকেল ৫:৩০ নাগাদ সল্টলেক যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের নিচে অবস্থিত হোটেল ‘দ্য স্টাডেল’-এ ছবিটির লঞ্চিং ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন আদিত্য গ্রুপের তরফ থেকে স্কুল এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের সম্মানীয় পরিচালক সবিতা সাহা। তিনি ইভেন্ট থেকে ছবির লিংকটি সকলের জন্য ওপেন করেন।

এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে মুখ্য ভুমিকায় অভিনয় করেছেন কলকাতার মেয়ে তথা বর্তমানে হংকং প্রবাসী অর্পিতা বসাক সহ সব্যসাচী দত্ত, রীতু দাস প্রমুখ। অপরদিকে ভিডিওগ্রাফারের ভুমিকা পালন করেছেন হংকং থেকে ডিসাচি, ভারত থেকে স্ক্রিনপ্লের দায়িত্ব সামলেছেন মৌসুমী মুখার্জী, ডিজিটাল মার্কেটিং করেছেন অরিজিৎ অফিসিয়াল এবং ডি. কে. এ্যাসোসিয়েটস্‌, প্রোডাকশন ম্যানেজার মুক্তিপদ মণ্ডল, প্রচার এবং সম্পাদনার দায়িত্ব সামলেছেন অনিকেত রায়চৌধুরী, সহকারী পরিচালক হিসেবে ছিলেন সুজিত সাউ, গল্প এবং পরিচালনা অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের। ছবিটি প্রোডিউস করেছে অরিজিৎ অফিসিয়াল।

  • বৈশাখী ব্লাস্ট

সংবাদদাতা - পুপাই সরকারঃ প্রত্যেক বছরের মত এবারও বাইপাসের ধারে মানি স্কোয়ার শপিং মলে ‘বৈশাখী ব্লাস্ট’ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এবছর তাদের থিম ‘ম্যাজিক অফ ৭১’ শপিং মলের ফুড কোর্টে, যা কিছু খাবার সব সেভেনটি ওয়ান-এ পাওয়া যাবে। এই মলে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি হবে ৭ই এপ্রিল থেকে ১৬ই এপ্রিল পর্যন্ত এবং ‘ম্যাজিক অফ ৭১’ চলবে ৭ই এপ্রিল থেকে ১৪ই এপ্রিল, খাবার-দাবারের পাশাপাশি তিন দিন, তিন ধরনের ব্যান্ডের গানের অনুষ্ঠান করবে চন্দ্রবিন্দু, গোসাই গ্যাং, ডিলিট ব্যান্ড। এছাড়া মলের ভেতর বিভিন্ন দোকানে যে রকম অফার থাকে, সেই অফারও চলবে। পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান এই মলে শুরু হয় ২০১২ সালে ‘ম্যাজিক অফ ২১’ দিয়ে। ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে ‘ম্যাজিক অফ ৭১’। বিভিন্ন রকম চাট থেকে শুরু করে বিরিয়ানি, ভোজন রসিক মানুষ যা খাবেন সব পাওয়া যাবে কেবলমাত্র ৭১-এ। করোনার সময় মল বন্ধ থাকায় সব রকম অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। স্বাভাবিক পরিস্থিতি হবার পরও কোভিডের জন্য অনেক দোকান বন্ধ হয়ে যায়। সেই জায়গা থেকে আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মানি স্কোয়ার। নতুন নতুন বেশ কিছু দোকান এসেছে, ম্যাকডোনাল্ড, কাফে কফি ডে, পি. সি. চন্দ্র, সেনকো গোল্ড-এর সাথে কথা চলছে। সবমিলিয়ে বলা যেতে পারে স্বাভাবিক ছন্দে মানি স্কোয়ার। এই পয়লা বৈশাখের প্রাক্কালে ‘ম্যাজিক অফ ৭১’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কলকাতার বিশিষ্ট মডেল মাধবীলতা মিত্র, ফ্যাশন ডিজাইনার জন সেনগুপ্ত এবং তেজস গান্ধী, অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহাঠাকুরদা, ইন্দ্রনীল মুখার্জী, লোপামুদ্রা মিত্র সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা, জানান মানি গ্রুপের ডিরেক্টর শ্রীমতি সুদর্শনা গাঙ্গুলী।

  • চলুন খেয়ে আসি পয়লা বৈশাখে

সংবাদদাতা - পুপাই সরকারঃ পয়লা বৈশাখের দিন আপনি কি ভাবছেন? বাড়িতে রান্না করবেন না? পরিবার নিয়ে কোথায় খেতে যাবেন, ভাবছেন কি? সব চিন্তার সমাধান করতে সপরিবারে পয়লা বৈশাখের দিন চলে আসুন, নিউ টাউনে হলিডে ইন হোটেলে।

ভাবছেন পয়লা বৈশাখের দিন কি মেনু থাকছে? আমরা খোঁজ দেবো আপনাদের এই বিষয়টির ওপর। পরিবার নিয়ে যখন ঢুকবেন, আপনাকে দেওয়া হবে গন্ধরাজ লেবু সহ দইয়ের ঘোল / আমপোড়া শরবত / রুহ আফজা / কিংবা ঠান্ডা জল। স্নাক্স - কাসুন্দি দিয়ে মাছের ফ্রাই / মুচমুচে মুরগি ভাজা / ভেজ চপ / চিনেপাড়া ট্যাংরার স্টাইলে চিলি পনির। ভাজাভুজিতে থাকছে, বেগুনি / আলুর চপ / ঝুরো আলু ভাজা / পটল ভাজা।

যারা ভেজ খাবেন ভাবছেন, তাদের জন্য আছে ছানার মহিমা / কাঁঠালের ভাজা মশলার তরকারি / ধোঁকার ডানলা / আলু ঝিঙে পেঁয়াজ পোস্ত / বড়ি দিয়ে নিরামিষ ঝাল চচ্চড়ি / নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল / বাসন্তী পোলাও / গরম ঘি-ভাত। এছাড়াও নিতে পারেন তিন কোনা পরোটা, লুচি, কড়াইশুঁটির কচুরি, স্বাদ বদলানোর জন্য ট্যাংরা স্টাইল নুডুল এক্সোটিক, এশিয়ান গ্রীন চিলি বেসিল সস।

যারা নন-ভেজ খাবেন তাদের জন্য আছে সরষে ভাপা পাবদা, কলকাতা মাটন বিরিয়ানি, জাকারিয়া চিকেন চাপ, নারকেল চিংড়ির মালাইকারি, ট্যাংরা চিলি চিকেন। সব শেষে মিষ্টিমুখের এলাহি ব্যবস্থা থাকছে, যেমন ছানার জিলিপি, মালাই চমচম, মিষ্টি দই, আম সন্দেশ, সীতাভোগ, নারকেল বড়া, পাটিসাপটা, লবঙ্গ লতিকা, ঠাকুরবাড়ির পায়েস, রসমালাই চিস কেক, গুড়ের আইসক্রিম। পয়লা বৈশাখের দিন হলিডে ইন-এ এলে সোশ্যাল কিচেনে ১২০০+ ট্যাক্স এবং দরবার বুফেতে খরচা হবে ১১০০+ ট্যাক্স।

গতকাল হলিডে ইন হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক দেবোপম সরকার, মডেল রুনা লাহা, শেফ সব্যসাচী নাগ, হোটেলের তরফে ছিলেন নিতু আশীষ আগারওয়াল, তনয় মুখার্জী, শর্মিলা চৌধুরী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। এই বিষয়ে আরো জানতে, আপনারা সত্ত্বর ফোন করুন এই নম্বরে - 9073970402 / 7044474510 ।

  • ‘স্ত্রীশক্তি’ উদযাপনে ‘শরণ্যা’

সংবাদদাতা - পুপাই সরকারঃ ‘শরণ্যা’ উদযাপন করল ‘স্ত্রীশক্তি’। কৃতী মহিলারা সংবর্ধিত হলেন। ১১ এপ্রিল, ২০২৩, কলকাতার এই অনুষ্ঠানে ছিলেন সমাজের নানা ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা, সমাজকর্মী এবং অন্যান্য মান্যগণ্য অভ্যাগতরা, তাঁদের উজ্জ্বল উপস্থিতি তারকাখচিত করে তুলল ‘শরণ্যা সিজন থ্রি’-র মঞ্চকে। অ্যানবি এন্টারটেইনমেন্ট-এর সিএসআর অর্থাৎ সামাজিক দায়িত্বপালনের তৃতীয় সংস্করণটির ঝলমলে অনুষ্ঠান আজ কলকাতায় অনুষ্ঠিত হল।

‘শরণ্যা থ্রি’-র মূল ভাবনা ‘শোভনতা, সামর্থ্য এবং মর্যাদার সঙ্গে যেসকল নারী নিজের জীবনের যাত্রাপথ ইউনিফর্ম পরিহিত হয়ে বা না হয়ে পাড়ি দিচ্ছেন তাঁদের সাফল্যের উদযাপন’।

প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা করলেন চিন গণপ্রজাতন্ত্রের কলকাতা দূতাবাসের মাননীয় কনসাল জেনারেল ঝা লিউ, সেইসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সম্মানীয় সুরেশ শেঠিয়া, ইমরান জাকি ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। প্রত্যেককে সাদর অভ্যর্থনা করা হয় আয়োজকদের তরফ থেকে। সামাজিক বিষয় ভাবনাকে সামনে রেখে একটি র‍্যাম্প শো, একটি নৃত্যনাট্য এবং ‘শরণ্যা সিজন থ্রি’-র সংবর্ধনা প্রাপকদের সম্মানজ্ঞাপন ছিল এদিনের অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ।

যেসকল কৃতী মহিলা সম্মানিত হলেন তাঁরা হলেন সোমা ঘোষ (অ্যাডভোকেট), শকুন্তলা (ফুটস্টেপ ফাউন্ডেশন-এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি), ডাঃ সায়ন্তনী সেনগুপ্ত (চিকিৎসক), প্রিয়াঙ্কা (মাস্টার শেফ), মণিকা পরাশরী লাহিড়ী (ব্রডকাস্টিং নেটওয়ার্কের সিইও), শান্তি দাস (পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অ্যাডিশনাল এসপি), ভামা গৌর (প্রাক্তন নেভি অফিসার), বি. এস. চ্যাটার্জি (একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক-এর ডিরেক্টর) এবং রুমকি মণ্ডল (উবের চালক)। পুরুষদের মধ্যে সংবর্ধিত হলে অহীন্দ্রভূষণ সাহা এবং ডাঃ গৌরব কোচার।

‘শরণ্যা’ সাম্যের সমর্থক, কলকাতা ভিত্তিক এই এনজিও চায় প্রত্যেক নারী নিজ সামর্থ্য, শ্রদ্ধা ও মর্যাদা অনুসারে স্বাধীনভাবে শুধু জীবন কাটাবেন তাই নয়, তাঁরা শিক্ষার ও কর্মের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ, সমানাধিকার ও মর্যাদাভোগ করতে পারবেন। আর সেই নিশ্চয়তা আদায়ের লড়াইয়ে শরণ্যার অনিতা দত্ত, সৌমী দত্ত এবং স্বাগতা পাল নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। ‘শরণ্যা’ চায় সমাজের সকল অংশ সমান সুবিচার পাক, আর সেই সচেতনতা ও নিশ্চয়তা দিতেই তাঁরা অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

তাঁর জনপ্রিয় স্পা চেন এবং হসপিটালিটি উদ্যোগ ‘অভেদা অ্যান্ড লাক্সারি হোটেলস’ এবং ‘অভিস ইন’-এর মতো, স্বপ্রতিষ্ঠ উদ্যোগপতি অনিতা দত্ত ‘শরণ্যা’রও মূল স্থপতি। স্বভাবতই সামাজিক কল্যাণমূলক কাজকর্মে অনিতার অবিরত জড়িয়ে থাকা থেকেই ‘শরণ্যা’র সৃজন, যে এনজিও নারীর ক্ষমতায়ন এবং অন্যান্য সমাজকল্যাণ কার্যে সদানিযুক্ত।

রয়েছেন সৌমী দত্ত, ‘অ্যানবি এন্টারটেইনমেন্ট’ এবং ‘শরণ্যা’ উভয়েরই যিনি ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর। ২০২১-এর কুইন অফ এশিয়া এবং ২০১৯-২০ মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স (কলকাতা চ্যাপ্টারের) তিনি বিজয়ী। সৌমী ‘আকার’ এবং ‘মার্সি অ্যান্ড ভিশন’ এনজিওর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর।

‘শরণ্যা’র স্কিল ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর এবং ‘অ্যানবি এন্টারটেইনমেন্ট’-এর শো কোরিওগ্রাফার হলেন স্বাগতা পাল। স্বাগতা মিস ইন্ডিয়া ইস্ট আইএবি ২০১৯-এর বিজয়ী, টিচ এনজিও-র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর এবং কর্পোরেট পেশাদারি জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্ব।

  • প্রয়াত অঞ্জন সেনগুপ্ত (১৯/১২/১৯৪৭ - ০৪/০৩/২০২৩)

অঞ্জন সেনগুপ্ত সল্টলেক করুণাময়ী আবাসনের জি-১৯/৫-এর বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৭১ সাল থেকে ইউবিআই ব্যাংকের কর্মচারী হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু। পরবর্তী সময়ে বন্ধুর সাথে পার্টনারশিপ ব্যবসায় হাতেখড়ি। যতদিন সুস্থ ছিলেন, বিভিন্ন ব্যবসায় যুক্ত হয়ে সফলতা অর্জন করেছিলেন।

শরীর সহযোগিতা না করায় ২০০০ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছা-অবসর নেন। এরপর পুরোপুরি ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন এবং স্ত্রীর শাড়ি, চামড়ার ব্যাগ ও ইমিটেশন গয়নার ব্যবসায় পাশে থাকেন। ২০১০ সালের পর গুরুতর শ্বাসকষ্টের জন্য প্রায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছিলেন। এই সময়ে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের বর্তমান অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দজীর কাছ থেকে, সস্ত্রী্ক দীক্ষা নেন।

সব রকমের সামাজিক কাজে এগিয়ে আসতেন। উনি জি-ব্লকের পরিচালন সমিতিতে যুক্ত ছিলেন এবং কো-অপারেটিভ সোসাইটির সম্পাদক ছিলেন। ব্লকের পুজোর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। নাটকের প্রতি ছিল ওঁনার গভীর আগ্রহ। অফিসের নাটকে এবং ব্লকের পুজোর সময়ে নাটকে অংশ নিতেন।

ফোটোগ্রাফিতে দক্ষ ছিলেন, সেখান থেকে রোজগারও করেছেন। ভালো রান্না করতে পারতেন, বিশেষ করে চাইনিজ। একসময় কেটারিং-এর ব্যবসা ছিল। বইপড়ার নেশাও ছিল। বহুগুণের অধিকারী এই মানুষটি ছিলেন সকলের প্রিয়। উনি চলে যাওয়াতে শুধু পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হলো না, জি ব্লকেরও ক্ষতি হলো।

উনি রেখে গেছেন স্ত্রী, একমাত্র পুত্র, পুত্রবধূ ও একমাত্র নাতনিকে।

‘করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি’ অঞ্জন সেনগুপ্তের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি ও রামকৃষ্ণলোকে চিরবিশ্রাম কামনা করে।।