স্থানীয় খবর
-
রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস প্রয়াত
স্মরণ করেছেনঃ সুদীপ ধর, চেয়ারম্যান, করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি।
২৩ সেপ্টেম্বর, শনিবার, ভোর সাড়ে চারটায় রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস আমাদের ছেড়ে অমৃতলোকে পাড়ি দেন। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র আজীবন সদস্য ও পরিচালন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। দীর্ঘদিন এই সংগঠনের প্রতিটি অনুষ্ঠানে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত থাকতেন এবং তাকে সফল করতে কার্যকরী ভূমিকা নিতেন। সংগঠনের কলেবর বৃদ্ধিতেও তাঁর সক্রিয় ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্ত্রী অসুস্থ থাকায় ও শেষের দিকে নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওঁনার অনুপস্থিতি আমরা গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি।
উঃ ২৪ পরগনার, তেঁতুলিয়া থানার অধীন, গোকুলপুর গ্রামে ১৯৩৯ সালের ১২ জুলাই রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের জন্ম। বলতে গেলে জন্মের পর থেকেই দুর্ভাগ্য ওঁনাকে তাড়া করেছিল, মাত্র চার মাস বয়সে মা, বাবা উভয়েই কলেরায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। পিতৃ-মাতৃহীন এই শিশুকে পিতৃস্নেহে প্রতিপালন করেন সেজদা যতীন বিশ্বাস। পড়াশোনা টাকি রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এরপর বাণীপুর বেসিক ট্রেনিং কলেজে পড়াশোনা শেষে, ওই কলেজেই শিক্ষকতার কাজে যুক্ত হন। একই সঙ্গে পড়াশোনা চালিয়ে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মডার্ন হিষ্ট্রিতে এম.এ. এবং এ্যাডভান্স ট্রেনিং কোর্সে বি.এড. করেন। এরপর উনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরশিক্ষার শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং সেখান থেকেই অবসর নেন। এখানে থাকাকালীন তিনি 'গোয়ালিয়র ট্রেনিং সেন্টার' থেকে 'এ্যাথলেট কোচিং'-এ ডিগ্রি লাভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস দক্ষ বাস্কেটবল খেলোয়াড় এবং নামী এ্যাথলেট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আমাদের অনেকেরই জানা নেই, স্কুল সার্ভিস কমিশন স্তরে শারীরশিক্ষার বিষয়ে ওঁনার বহুল প্রচারিত বই আছে, যেখান থেকে উনি আমৃত্যু রয়ালটি পেয়েছেন। এছাড়া উনি সি.এ.বি. ও আই.এফ.এ.-র আজীবন সদস্য ও কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস রেখে গেছেন স্ত্রী ছবি বিশ্বাস, একমাত্র কন্যা ডাঃ সুমি সরকার বিশ্বাস, জামাতা শান্তনু সরকার, একমাত্র পুত্র ডাঃ শঙ্খ বিশ্বাস, পুত্রবধূ ডাঃ অনন্যা বিশ্বাস, পৌত্রদ্বয় সোমবুদ্ধ সরকার ও সপ্তর্ষি বিশ্বাস-কে।
রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের অকস্মাৎ চলে যাওয়ায় আমাদের সংগঠনের যে অপূরণীয় ক্ষতি হলো, তা সংগঠনের বুকে দীর্ঘ ক্ষত রেখে যাবে। 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি' বহুমুখী গুণের অধিকারী রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করছে, একই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে ও তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করছে।
-
'করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড হকার্স কমিটি' আয়োজিত শ্রীশ্রী গণেশ পূজা
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ 'করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড হকার্স কমিটি' দ্বারা আয়োজিত শ্রীশ্রী গণেশ পূজা এইবারে তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করে। হকার্স কমিটির সভাপতি তথা ৫ নং বোরোর চেয়ারম্যান ও ৩৪ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা রঞ্জন পোদ্দারের উদ্যোগে মহা ধুমধাম করে এই পূজা আয়োজিত হয়। সঙ্গে যোগ্য সহযোগিতা করেন সম্পাদক রাণা হালদার, কোষাধ্যক্ষ তপন রায় ও বিপুল কর্মীবাহিনী। এইবারে পূজামন্ডপ যেমন আকর্ষণীয় হয়েছে, প্রতিমাও ততোধিক সুন্দর হয়েছে। বাস স্ট্যান্ডের প্রচুর মানুষের সমাগমে পূজাপ্রাঙ্গন কলরবমুখর হয়ে ওঠে।
যে সমস্ত কর্মীরা দিনরাত এক করে বিগত ১৫ দিন ধরে কাজ করে চলেছে, তাদের অন্যতম গৌতম মাজি, সনাতন বেহারা, রফিক মিঞা, ইন্দ্র, সঞ্জয় দাস, বাদল বিশ্বাস, স্বপন পুস্তি, সুবীর জানা, অঞ্জন পোদ্দার, সাধন পাল, আশীষ ধর, ভাস্কর সেন প্রমুখ।
সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বিধায়ক এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় অগ্নি নির্বাপন ও জরুরী পরিষেবা মন্ত্রী সুজিত বোস ও সভাপতি রঞ্জন পোদ্দার প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে গণেশ পূজার শুভ সূচনা করেন। মন্ত্রী মহোদয় পূজার উদ্যোক্তাদের এত সুন্দর করে পূজা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। কথা প্রসঙ্গে জানান, তিনি ইতিমধ্যে পরিবহন মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন, করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডকে আন্তর্জাতিক মানের বাস স্ট্যান্ডে রূপান্তরিত করার জন্য। মাননীয় মন্ত্রী নিজে যেমন বড় মানের কাজ করতে পছন্দ করেন, অন্যকেও সেইভাবে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেন। উপস্থিত খালপাড়বাসীদের আশ্বস্ত করেন, খাল থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকলে, ওঁনার থেকে সবরকম সহযোগিতা পাবে।
'করুনাময়ী বাস স্ট্যান্ড হকার্স কমিটি' মন্ত্রী মহাশয়ের সারাদিনের পূজা উদ্বোধনের ধকল নিয়েও তাদের পুজোয় আসার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
পরের দিন মহা সাড়ম্বরে পূজা, পাঠ, ভোগ নিবেদনের পরে ২৫০ কেজি চাল-ডালের খিচুড়ি প্রসাদ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এতদঞ্চল সংলগ্ন বহু বাসিন্দাদের অভিব্যক্তিতে বাস স্ট্যান্ডের পুজো, সেরা পুজো হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায়।
-
বনিক বাড়ির শ্রীশ্রী গণেশ পূজা
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দীর্ঘদিন ধরে গণেশ পূজার আয়োজন করে চলেছেন জি-১২/৭-এর বাসিন্দা বর্ণালী বনিক ও প্রশান্ত বনিক। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী প্রভৃতি বহু মানুষের আগমনে সাড়ম্বরে পালিত হয় তাঁদের গণেশ পূজা।
পূত পবিত্র পরিবেশে, ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজা শুরুর পাঁচ/সাত দিন আগে থেকে জোর কদমে এর প্রস্তুতি চলে। নারকেলের নাড়ু, খেজুর, মালপোয়া, লুচি, হালুয়া, ছোলার ডাল, ভাজা, আলুর দম, খিচুড়ি, পোলাও, পনির, পাঁপড়, চাটনি, সিমুইয়ের পায়েস, সঙ্গে হরেক রকম মিষ্টি - যাকে বলে এলাহি আয়োজন।
বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে ছিলেন পল্লবী মুখার্জি, তৃণা দেব, টিনা সিনহা, উত্তম চক্রবর্তী, সুদীপ ধর, উজ্জ্বল চক্রবর্তী, ডঃ অমিত চক্রবর্তী, ডঃ সুদীপ চক্রবর্তী, অশোক চ্যাটার্জি, শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জি, জয়শ্রী বসু, পাপিয়া ব্যানার্জি, তমাল মুখার্জি ও ডঃ আলপনা ভট্টাচার্য প্রমুখ। এই অনুষ্ঠানের মুখ্য আকর্ষণ ছিল একজন মারাঠি মহিলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। ত্রুটিহীন এতবড়ো আয়োজনের জন্য সকলেই বনিক দম্পতির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে।
-
তুলসী সিনহা রায়ের উদ্যোগে আয়োজিত শ্রীশ্রী গণেশ পূজা
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিধাননগর পুর নিগমের মেয়র পারিষদ সদস্য তুলসী সিনহা রায়ের উদ্যোগে পালিত হয় শ্রীশ্রী গণেশ পূজা। সাংগঠনিক তত্ত্ববধানে ছিল 'বিধাননগর ঐক্য'।
৪০ নম্বর ওয়ার্ড ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বহু বিশিষ্ট মানুষের উপস্থিতিতে ভক্তিভরে পূজা-অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়। পূজামন্ডপের বাইরে বড় মঞ্চে ভক্তিমূলক গানের মাধ্যমে গণেশ বন্দনা করা হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ শুরু হয়, চলে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। এখানে বসে খাওয়ার সুব্যবস্থা থাকে। প্রায় সহস্রাধিক মানুষ এই আনন্দযজ্ঞে মিলিত হয় ও ভোগপ্রসাদ গ্রহণ করে।
প্রতিটি অনুষ্ঠানের মতো এই অনুষ্ঠানেও তুলসী সিনহা রায় তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ প্রতিবারের মতো এবারেও মহাসমারোহে শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ জিউর ঝুলনযাত্রা উৎসব পালিত হয়। স্থানঃ 'চোরবাগান হাউস', এবি-২৮, সল্টলেক সিটি, কোলকাতা-৭০০০৬৪।
গৃহকর্তা অঞ্জন কুমার মিত্র জানান, প্রতিবারের মতো এবারও চারদিনব্যাপী পূজা, ভোগ, আরতি অনুষ্ঠান ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান চলবে ২৭শে আগস্ট, রবিবার থেকে ৩০শে আগস্ট, বুধবার পর্যন্ত। বিধাননগর তাথৈ একাডেমির কর্ণধার সাগরিকা মিত্র এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মূল পরিচালনায় আছেন। প্রথম দিন শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ জিউর উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয় সঙ্গীত, ভরতনাট্যম, ওডিসি নৃত্য। দ্বিতীয় দিনে থাকে কত্থক, সৃজনশীল নৃত্য ও আবৃত্তি। তৃতীয় দিনে থাকে 'বিকেলে ভোরের ফুল'-এর অনুষ্ঠান, যোগ-ব্যায়াম, সিন্থেসাইজার, আবৃত্তি ও গীটার বাদন। চতুর্থ অর্থাৎ শেষ দিন বুধবারে ছিল জগদ্বন্ধু আচার্য এবং সম্প্রদায়ের উচ্চমানের কীর্ত্তন অনুষ্ঠান। ফুল, আলো দিয়ে সাজানো চোখ জুড়ানো অনুষ্ঠানস্থল এক পবিত্র ভাবগম্ভীর পরিবেশ সৃষ্টি করে। প্রতিদিন বহু মানুষের ও ভক্তের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থল সরগরম হয়ে থাকে।
ভরতনাট্যম ও ওডিশি নৃত্যে যে সমস্ত শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন তাদের নাম যথাক্রমে - রূপকথা পাল, দেবশ্রী বনিক, আদৃতা বাগচী, এণাক্ষী হাজরা, অবন্তিকা মজুমদার, রুদ্রাংশী গাঙ্গুলি, কৌশিকী মজুমদার, প্রতিমা পাল, অদ্বিতীয়া চৌধুরী, সুনয়না মৌলিক, কৃত্তিকা রাউত, আলফিনা মেরিন, সোহানা মুখিয়া, অন্নজা ঘোষ, এলিজা খান, অতসী বিশ্বাস, অনুস্কা দাস, লাভলি সান্যাল, ঋদ্ধি দত্ত, স্নেহা ভট্টাচার্য, লিথিকা বেহারা, মাহি ঘোষ, শ্রীজীলা চক্রবর্তী ও উষশী সাহা।
কত্থক নৃত্যে যারা অংশ নেন, তারা হলেন যথাক্রমে - সুনয়না মৌলিক, সুহানা মুখিয়া, অন্নজা ঘোষ, দেবারতি, আরান, অন্বিতা, অবন্তিকা, আদৃতা, সাধিতি, অহনা, কাশভী, নীলাংশী রাই, দালিনা, সোনাক্ষী, অন্তরা, দীপশিখা, দেয়াশিনি, ভূভিকা, আয়ূস্কা, সংযুক্তা, সৃষ্টি, শান্তি, সহেলী, দেবযানী, সাহানা, চন্দ্রিমা, শ্রদ্ধাঞ্জলি, শ্রুতি, আরোহী, অদ্বিতীয়া, স্বাতী, সোমদীপ্তা, রাইকা, নীলাক্ষি, নম্রতা, রাজস্মিতা, স্বর্ণালী।
সৃজনশীল নৃত্যে যারা অংশ নেন, তারা হলেন যথাক্রমে - তৃপ্তি গাঙ্গুলি, মেঘা আগরওয়াল, মহুয়া দাশগুপ্ত, রিমিতা দাশ, শ্রীজা গুপ্ত ও সংঘমিত্রা।
গীটার ও সিন্থেসাইজারে ছিলেন সবিতা বসু ও স্বপন বিশ্বাস।
যোগা প্রর্দশনীতে ছিলেন মেঘা ধুধুরিয়া, দেবশ্রী পোদ্দার, আহেলী ঠাকুর, স্বাতী ভট্টাচার্য, কাজরী রায়, জয়শ্রী দাস।
সংগীতে অংশগ্রহণ করেন শাশ্বতী চ্যাটার্জি, কাশভী মজুমদার, শ্মারণ্য গাঙ্গুলি, রাজস্মিতা সাহা, সুনয়না মৌলিক, সময়িতা হাজরা, রুদ্রাংশী গাঙ্গুলি, ঋতজিত রায়, আদৃতা বাগচী, আদৃত সাহা, অবন্তিকা মজুমদার ও অনিন্দিতা।
আবৃত্তিতে যারা অংশগ্রহণ করেন তারা হলেন যথাক্রমে - দীপশিখা, আয়ূষ, অদিত্রী, সোমা ও মধুমিতা।
উপস্থিত দর্শকরা প্রতিটি অনুষ্ঠানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। বিশেষ করে প্রবীণাদের 'বিকেলে ভোরের ফুল'-এর অনুষ্ঠান একটা অন্য মাত্রা যোগ করে। প্রবীণা শিল্পীদের নাম যথাক্রমে - মঞ্জুশ্রী বোস, মিনতি সিনহা, সুজাতা গুপ্ত, কণিকা চক্রবর্তী, মধুমিতা ভদ্র, ডঃ জলি সেনগুপ্ত, পূর্ণা চ্যাটার্জি, শম্পা গাঙ্গুলি, অলোকা সাহা, লক্ষ্মী দত্ত, ডঃ মিনাক্ষী সিনহা, স্বাতী চৌধুরী, স্বাতী ভট্টাচার্য, সীমা চৌধুরী, রেবা পোদ্দার, শ্যামলী ঘোষ, সবিতা বসু, শিখা সেনগুপ্ত ও সাগরিকা মিত্র।
প্রতিদিন উপস্থিত দর্শনার্থীদের জন্য অতিথি আপ্যায়নের সুবন্দোবস্ত থাকে।
-
'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র উদ্যোগে রাখীবন্ধন উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ 'করুণাময়ী সমন্বয় সমিতি'র উদ্যোগে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে ৩১ আগস্ট, বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টায় করুণাময়ী খেলার মাঠের গেটের পাশে রাখীবন্ধন উৎসব পালিত হয়।
সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের উপস্থিতিতে পাঁচ শতাধিক মানুষের হাতে রাখী পরানো ও মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা করা হয়।
ইন্দিরা ব্যানার্জির নেতৃত্বে সমবেত সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। "বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল/ পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান" গানে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়।
এরপর সমন্বয় সমিতির সদস্যরা সমতা ব্যাংকে গিয়ে সমস্ত অফিসার, কর্মচারী ও গ্রাহকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ও সকলের হাতে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের রাখী পরানো হয়। মিষ্টিমুখের মাধ্যমে সম্প্রীতি আদান-প্রদান হয়। সেখানেও রাখীবন্ধনের উদ্দেশ্য ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকা ব্যক্ত করে সমবেত কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া হয়। তারপর ইডি মার্কেটে সমস্ত ক্রেতা ও বিক্রেতাদের রাখী পরানো ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। মার্কেট থেকে বেরিয়ে অসিতের চায়ের দোকানের কর্মচারী ও খরিদ্দারদের রাখী পরানো হয়। অবশেষে 'জি' ব্লকের কর্মচারী ও পথ চলতি মানুষদের রাখী পরিয়ে ও মিষ্টিমুখ করিয়ে এদিনের অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।
-
ভগবতী দেবী বালিকা বিদ্যালয়ে 'ব্রতচারী সার্টিফিকেট কোর্স'
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ৩০ আগষ্ট ২০২৩, বুধবার, দুপুর দু'টোয় পশ্চিমবঙ্গ ব্রতচারী সোসাইটি ও ভগবতী দেবী বালিকা বিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে 'ব্রতচারী সার্টিফিকেট কোর্স'-এর শুভ উদ্বোধন হয়। এই শুভ প্রচেষ্টায় সামিল হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ব্রতচারী সোসাইটির কর্মকর্তারা, ব্রতচারীরা, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রচুর সংখ্যক ছাত্রীরা। উদ্বোধনী সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রতিভা পোদ্দার স্বাগত ভাষণে পশ্চিমবঙ্গ ব্রতচারী সোসাইটির সার্টিফিকেট কোর্স চালু করার এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান ও এই উদ্যোগকে বিদ্যালয়ে দ্রুত ফলপ্রসূ করার জন্য পরিচালন সমিতির সভানেত্রী ডঃ মৈত্রী ঘোষের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অতিথিদের সম্বর্ধনার পরে ব্রতচারীরা লোকসংগীতের সঙ্গে কলাকুশলতা তথা শরীরচর্চা প্রদর্শন করেন।
সরকারি আমলা, লোকসাহিত্য গবেষক, লেখক ও কবি গুরুসদয় দত্ত দেশপ্রেম, জাতীয় চেতনা ও নাগরিকত্ববোধ তৈরি করার লক্ষ্যে ১৯৩২ সালে ব্রতচারী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা করেন। সত্যনিষ্ঠা, সংযম, অধ্যাবসায় ও আত্মনির্ভরতা ছিল এই আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য। ঐক্যবদ্ধভাবে লোকসংগীত ও লোকনৃত্যের মাধ্যমে মানসিক, শারীরিক, আত্মিক বিকাশলাভ ও সকলকে স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করাই ব্রতচারী আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। উনি লিখেছেন -
"ষোলো আনা বাঙালি হ'
বিশ্বমানব হবি যদি
শাশ্বত বাঙালি হ।"
বলতে চেয়েছেন বিশ্বমানব হতে গেলে, আগে শাশ্বত বাঙালি হও। বাংলাকে ভালবাসো, বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে ভালবাসো, বাংলার সেবা করো।
বাংলার ব্রতচারী আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল, "বাঙালি ব্রতচারীদের জ্ঞান, শ্রম, সত্য, ঐক্য ও আনন্দের সাথে জীবনযাপনের পথ প্রদর্শন করা।"
পরিশেষে বাংলার লোকগানের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী ব্রতচারীদের তালে তালে নৃত্যশৈলী বিদ্যালয় প্রাঙ্গনকে মুখরিত করে তোলে। উপস্থিত দর্শকরা মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে এই অনুষ্ঠানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।