লেখক পরিচিতি

আবদুস সালাম

পিতাঃ হাজী আব্দুস সহিদ হোসেন
মাতাঃ হাজী হামিদা বিবি
জন্ম তারিখঃ ১৭/০১/১৯৫৭
জন্মস্থানঃ মাতুলালয়,খলিলপুর, বীরভূম।
বাসস্থানঃ পিতৃভূমি। ভুরকুন্ডা, থানা - সাগরদীঘি, মুর্শিদাবাদ। সংসার যাপনের ষাট বছর এখানে কেটেছে। এখানে বেড়ে ওঠা, আমার লেখাপড়া, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া সব এখানে।
বর্তমান বাসস্থানঃ প্রয়াস, শ্রীকান্তবাটি (মাদারল্যান্ড) ডাক - রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ।

মূলত ৯০ দশকের কবি। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'নিস্তব্ধতা এসে কথা কয়' (২০১৭) কৃষ্ণসীস প্রকাশনা, দূর্গাপুর এবং 'হলুদ পাতার মতো মৃত্যু ঝরে' (২০১৮) দৌড় প্রকাশনা, হৃদয়পুর, বারাসত, 'অলীক রঙের বিশ্বাস' (২০২০) চক্রবর্তী প্রকাশনা, কলকাতা, যৌথ কাব্যগ্রন্থ 'মেঘের রঙ শীত' (প্রথম খন্ড; ২০১৯, দ্বিতীয় খন্ড; ২০২০) মহুয়া প্রকাশনা, কলকাতা, 'শব্দ ঘুড়ির আকাশ' (২০২১) ডোমকল। নির্বাচিত প্রবন্ধ' (২০২৩) নোশন প্রেস, কেরল।

নেশাঃ বইপড়া আর যৎসামান্য লেখার চেষ্টা। একটু আধটু কাছেপিঠে ঘুরতে যাওয়া।

'পূষন' পত্রিকার তরফে 'নিস্তব্ধতা এসে কথা কয়' কাব্যগ্রন্থের জন্য পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন 'নূর স্মৃতি পুরস্কার', 'আম্বেদকর সাহিত্যরত্ন পুরস্কার', 'সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ সম্মাননা'। এছাড়াও আরও অনেক জায়গা থেকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা জড়ো হচ্ছে ঝুলিতে!

পশ্চিমবঙ্গের বাইরে ও দেশ-বিদেশের বহু পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হয়ে চলেছে।

নজমুল হেলাল

জন্মঃ ২২ কার্তিক, ১৩৬৬ (ইং. ৯ নভেম্বর, ১৯৫৯)

কাব্যচর্চা শুরুর বছরঃ ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ।

• বাংলাদেশে প্রথম কবিতা প্রকাশঃ ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ 'অনুসন্ধান' সাহিত্য পত্রিকায়।
• ভারতে প্রথম কবিতা প্রকাশ ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দ 'কাবেরী' সাহিত্য পত্রিকায়।
• প্রথম বই প্রকাশ (১৯৮৩) ইন্টারন্যাশনাল বাংলা টিচিং।
• দ্বিতীয় বই প্রকাশ সমাজতত্ত্বমূলক 'হেলালগীতি' (১৯৮৫) অ-সিরিজ।
• তৃতীয় বই প্রকাশ একক কাব্যগ্রন্থ 'ভালবাসলেই খোঁজ রাখতে হয়' (১৯৯৭ ও ২০২৩)।

সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকাঃ প্রেরণা, মুখোশ খোলার চাবি, এইসব দিনরাত্রি।

প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, জাতীয় প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র, ঢাকা, বাংলাদেশ।

সভাপতি, চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ, চুয়াডাঙ্গা, বাংলাদেশ।

কেতকীপ্রসাদ রায়

কেতকীপ্রসাদ রায় বিশিষ্ট কবি। অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর হলেও স্কুল-কলেজ থেকেই তাঁর কবিতার সঙ্গে জীবনযাপন। ন'য়ের দশকের শুরু থেকে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়ে আসছে। তিনি অসংখ্য কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা হলেও, ২০০০ সালের কলকাতা বইমেলায় তাঁর প্রথম প্রকাশিত 'দ্রৌপদীর জন্যে কত স্পনসর' বইটি তাঁকে যথেষ্ঠ স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি অসংখ্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন যার মধ্যে 'হৃষীবীণা', 'গান্ধর্ব রত্ন', 'রক্তকরবী সম্মান', 'কুসুমে ফেরা সাহিত্য সম্মান', 'কব্যপথিক সম্মান', 'আবৃত্তি শিল্পী সংস্থা' কর্তৃক বিশেষ সম্মান, ত্রিপুরার 'কৃষ্টিবান্ধন' কর্তৃক বিশেষ সম্মান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

অসংখ্য পুরস্কারে সম্মানিত হলেও, ২০১৯ সালে তদানীন্তন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল শ্রী কিশোরীনাথ ত্রিপাঠী মহাশয় কর্তৃক পেয়েছেন 'কবি সম্মাননা'। ২০১৯ সালে ভারত-বাংলাদেশ-প্রবাসী বাংলার সাহিত্য সংগঠন 'তিন বাংলা' কর্তৃক পেয়েছেন 'বিশেষ সম্মাননা'। ২০২০ সালে 'আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব' উপলক্ষে বাংলাদেশের 'টাঙ্গাইল বাংলা কবিতা উৎসব'-এ আমন্ত্রণ ও অংশগ্রহণ বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

তাঁর গবেষণামূলক সংকলন ও সম্পাদনা 'বাংলা ভাষা অন্দোলেনের গান' বইটি দুই বাংলার ভাষা অন্দোলনের দলিল হিসাবে স্বাক্ষর রেখেছে।

কবি অসংখ্য সাহিত্য সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, ২০১০ সালে তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যতিক্রমী সংগঠন 'শিল্পীমন' সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সঙ্গীত জগতে ব্যতিক্রমী কাজ করে চলেছে।

বর্তমানে কবি কেতকীপ্রসাদ রায় 'লিটল ম্যাগাজিন ফোরাম'-এর সাধারণ সম্পাদক।

চন্দন সরকার

মূলত গল্পকার, তবে সব বাঙালির মতোই কবিতা দিয়েই লেখালেখির শুরু। তবে কবিতায় নয়, গদ্যেই স্বচ্ছন্দ। স্মার্ট গদ্য যা বিষয়ের সঙ্গে, পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে পাল্টে যায়। পরিণত লেখালেখির শুরু ১৯৮৬-৮৭ সাল থেকে।

১৯৮৭-৮৯ সাল পর্যন্ত শ্রী দেবাশীষ চক্রবর্তীর সঙ্গে যৌথভাবে সম্পাদনা করেছেন 'অশ্বমেধ', ধানবাদ। পরবর্তীকালে ২০১৯ থেকে এখনও পর্যন্ত 'বর্ণমালা' (একটি অক্ষরভিত্তিক গদ্যের কাগজ), ধানবাদ।

প্রকাশিত বই - 'সমুখে সমূহ অস্থিরতা' (গল্প সংকলন) [অশ্বমেধ প্রকাশনী, ধানবাদ, ১৯৮৮], 'জয় দর্শন' (অণু উপন্যাস) [শহর প্রকাশনী, ধানবাদ, ১৯৯৯], 'চড়াই পাখি বারোটা' (বারোটি গল্পের সংকলন) [নিউক্লিয়াস পাবলিকেশন, কলকাতা, ২০১৪], 'যন্ত্রণার মুহূর্তগুলি' (নয়টি গল্পের সংকলন) [দুর্বাসা প্রকাশনী, কলকাতা, ২০১৮], 'পাঁচ নৌকার উথাল পাথাল' (পাঁচ কবির যৌথ কাব্য) [আমরা কজন, ২০২২]।

বিপ্লব ভট্টাচার্য

জন্মঃ ১৯৬০, কলকাতা। জন্ম ১৯৬০ সালে কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। পেশায় কেন্দ্রীয় সরকারী সংস্থার প্রাক্তন আধিকারিক। স্বদেশ ও প্রতিবেশী দেশের অনেক পত্র-পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। নব্বই-এর দশকে তাঁর সম্পাদিত পত্রিকা 'সংশপ্তক', 'উত্তরশব্দ' ও 'অনুক্ষণ'। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ তিনটি। প্রকাশিতব্য দুটি। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে অবসরের দরজাটা যেন খুলে দিয়েছিল নিজেকে নতুন করে খুঁজে বার করার এক অনাবিষ্কৃত আকাশ। সেই ষাটের তরুণের একশটি সনেট সমৃদ্ধ কবিতার বই 'পূর্ব উত্তর বিপ্লবের চতুর্দশপদমালা' সাড়া ফেলল, অব্যবহিত পরেই 'পূর্ব উত্তর মেলা অমেলা বিপ্লবের কবিতামেলা' পিঁড়ি পেতে কবিতা শোনাতে চলে এলো গোবর নিকোনো উঠোনে। ছবি আঁকা ও লেখালেখির মধ্য দিয়ে তাঁর অবসর সময় কাটে।

কাকলী দেব

লিখতে ভাল লাগাটাই তাঁর লেখক জীবনের মূল কথা। আর সেইসব লেখার বিষয়বস্তু হিসেবে মেয়েদের কথাই বেশী লিখতে চেয়েছেন। মেয়েদের সমস্ত বিষয়ে সমান অধিকারের ধারণা বা পুরুষের সমকক্ষ মনে করাটা আমাদের সমাজে এখনও অস্পষ্ট। লেখিকা তাঁর লেখার মধ্যে সেটিকে স্পষ্ট করতে চান।

অমিত হাসান সৃজন

জন্ম ও বেড়ে ওঠা কুষ্টিয়া জেলায়। তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে ল কলেজে আইনশাস্ত্রে অধ্যয়নরত আছেন। বিদ্যালয়ের নাট্যদল থেকেই তার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পদার্পণ। পড়াশোনার পাশাপাশি নাটক, গল্প, কবিতা লেখার চর্চা করেন এবং জেলার বেশ কয়েকটি সাহিত্য সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। তাছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেবামূলক সংগঠনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করেন।

আবু নাসিফ খলিল

জন্ম ২৫শে এপ্রিল, ১৯৮১। পিতা মোঃ মোজাম্মেল হক ও মাতা মোছাঃ জাহানারা খাতুন। থাকেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জাহাজপোতা গ্রামে। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতির ওপর অনার্স ও মাস্টার্স। বাংলাদেশের 'সোনালী ব্যাংক লিমিটেড'-এর কর্মী।

'চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ'-এর সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক। প্রকাশনাঃ কবি অমিতাভ মীর ও মৌলি বণিক সম্পাদিত 'কাঁটাতার এপার ওপার'। প্রকাশকালঃ মার্চ, ২০২০। কবি অমিতাভ মীর সম্পাদিত প্রথম যৌথ কাব্যগ্রন্থ 'লকডাউন'। প্রকাশকালঃ মার্চ, ২০২১। দ্বিতীয় যৌথ কাব্যগ্রন্থও ইতিমধ্যে প্রকাশিত। তাছাড়া সোনালী ব্যাংকের ঘরোয়া সাময়িকী 'সোনালী প্রয়াস' এবং স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।

রূপালী ঘোষ

কাব্যজগতে রূপালী ঘোষ একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। তিনি রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের বন্টন বিভাগের জুনিয়র ম্যানেজার ছিলেন। কলকাতার বনেদী পরিবারে জন্ম। বর্তমানে দমদম নাগেরবাজারে নিজ বাড়িতে থাকেন। পরিশীলিত শব্দচয়নে তাঁর লেখনীর মর্যাদায় সারা বাংলায় তিনি আত্মপ্রতিষ্ঠিত। কবির কবিতায় রয়েছে কাব্যিক নৈপুণ্য, রোমান্টিকতা, জীবনের নানা টানাপোড়েন ও মানবিক মূল্যবোধ যা কবির কবিতাকে দিয়েছে হিরন্ময় ঐশ্বর্য্য। তার লেখা প্রতিবাদী ও সোচ্চার। কাব্য সাধনায় তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন 'বলিষ্ট কলমকার সাহিত্য পুরস্কার', 'জীবনানন্দ সাহিত্য পুরস্কার' ও 'বিভূতিভূষণ স্মৃতি সম্মান পুরস্কার'-এ। তাঁর কবিতা ইতিমধ্যেই দূরদর্শনে, দুই বাংলার বিভিন্ন পত্রিকা ও সংবাদপত্রে, সংকলনে এবং বাচিক শিল্পীর কণ্ঠে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। বিভিন্ন শারদীয়া পত্রিকায় তাঁর জায়গা পোক্ত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'ভালোবাসার উড়ান' এবং 'সন্ধ্যার গায়ে সূর্যাস্তের দাহ' ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ইন্টারনেটে তাঁর নিজের কবিতা নিজের কণ্ঠে পাঠের ভিডিও অসংখ্য পছন্দপ্রাপ্তি (like) অর্জন করেছে। এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। 'অপরাজেয় শব্দতরঙ্গ' কবির তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। তিনি 'প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়'-এর সঙ্গে যুক্ত। কবির স্বামী ও একমাত্র আত্মজা বর্তমান। আমরা আশা করি তাঁর কাব্যগ্রন্থ 'অপরাজেয় শব্দতরঙ্গ' অতি সহজেই পাঠক সমাজে যোগ্যতামান অর্জন করতে সক্ষম হবে।

অমিতাভ বিশ্বাস

জন্ম ১১ই মে, ১৯৭২, নদিয়া জেলার বড়নলদহ গ্রামে। শখ - গান শোনা, বইপড়া, উদ্যানচর্চা ও ভ্রমণ। আকাদেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি কবিতাচর্চায় নিমগ্ন আছেন কৈশোর থেকে। প্রথম কবিতা প্রকাশ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের 'প্রাহ্ন' পত্রিকায়। কবিতা লেখার পাশাপাশি ছোটগল্প, অণুগল্প ও প্রবন্ধ রচনায় যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন। ১৯৯৮ সাল থেকে কবি অজিত বাইরী সম্পাদিত প্রাচীর পত্রিকা 'কৃষ্টি'র দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৭ সাল থেকে 'কৃষ্টি' সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব বহন করে চলেছেন। গ্রাম্য পরিবেশের মধ্যে বড় হওয়ায় তাঁর কবিতার চিত্রকল্পে গ্রাম্য প্রকৃতির খুব বেশি প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। পশ্চিমবাংলার প্রচুর নামী-অনামী পত্র-পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশ পেয়েছে। কবি ঘুরেছেন ভারতের নানা প্রান্তে। কখনওবা আবার আরণ্যক জীবনে প্রবেশ করেছেন। কখনও গভীরভাবে মগ্ন আছেন অন্বেষণে। শব্দের খনিগর্ভে প্রবেশই যেন তাঁর অন্বেষা।

এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা পাঁচ - 'একদিন প্রতিদিন' (২০০৬), 'পৃথিবীর পথ আমি হাঁটিতেছি' (২০০৮), 'শূন্যতার ভাস্কর্য' (২০১০), 'শিরোনামহীন শিশিরলিপি' (২০২০), 'অন্ধকারের রেখাচিত্র' (২০২০)। গল্পগ্রন্থ - 'অমলকান্তির মৃত্যুবৃত্তান্ত' (২০২০)।

সুনন্দা দাস

সুনন্দা দাসের জন্ম কলকাতার এক অভিজাত এবং উচ্চশিক্ষিত পরিবারে। তিনি গোখেল মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের ছাত্রী ছিলেন। শিশুকাল থেকেই তাঁর সাহিত্য-প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। মাত্র সাত বছর বয়সে তাঁর প্রথম কবিতা স্কুলের পত্রিকা 'সাধনা'-তে ছাপা হয়। এরপর মৌচাক, হিমাচল, সপ্তর্ষি, শিশুসাথী, বসুমতী, মহিলা, ভারতবর্ষ, কথাসাহিত্য ইত্যাদি বহু পত্রিকায় এবং জাগরী, অতিথি, আগন্তুক, সাহিত্য-মেলা, একক ইত্যাদি বহু লিটল ম্যাগাজিনে তাঁর অজস্র লেখা ছাপা হয়েছে। স্বামীর কর্মসূত্রে তিনি বহু বছর বাংলার বাইরে ছিলেন। সব সময় সাহিত্য জগতের সভায় না আসতে পারলেও, অন্তঃপুরে তাঁর সাহিত্যচর্চা ছিল নিরবিচ্ছিন্ন। অণুগল্প, ছোটগল্প, অণুকবিতা, প্রবন্ধ, ছড়া, রম্যরচনা, সর্বক্ষেত্রেই তাঁর স্বচ্ছন্দ বিচরণ। বহুব্যাপ্ত অধ্যয়ন আর বহু দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তাঁর বিভিন্ন লেখায় ফুটে উঠেছে। তাঁর লেখা সুখপাঠ্য ও হৃদয়স্পর্শী।

শিপ্রা ঘোষ

পেশাঃ অধ্যাপনা। বেহালার 'কিশোর ভারতী ভগিনী নিবেদিতা কলেজ'-এ বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়-এর বাংলা বিভাগে। পিএইচ.ডি.-র জন্য গবেষণা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, শঙ্খ ঘোষের তত্ত্বাবধানে। বিষয় ছিল 'বাংলা ছন্দের নন্দনতত্ত্ব'। বইঃ 'ছন্দের নন্দনলোকে' (দে'জ পাবলিশার্স), 'বঙ্কিমচন্দ্র' (প্যাপিরাস) [এই কাজটিও শঙ্খ ঘোষের তত্ত্বাবধানেই], 'সাহিত্যের অন্তরঙ্গ বহিরঙ্গ' (সৃষ্টিসুখ প্রকাশনী) ইত্যাদি।

তাপস দেবনাথ

মূলত কবি। ১৯৮৭ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গীর জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ঈশ্বর আশুতোষ দেবনাথ, মাতা প্রনতী দেবনাথ। কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত করিমপুর পান্নাদেবী কলেজ থেকে ২০০৮ সালে বাংলা অনার্স নিয়ে বি.এ. পাশ করেন এবং ২০১১ সালে বেতাই ডঃ বি. আর. আম্বেদকর কলেজ থেকে এম.এ. পাশ করেন। বর্তমানে গৃহশিক্ষকের পেশা হিসেবে কবির দিনাতিপাত হয়। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কবিতা, গল্প প্রকাশিত হয়েছে। কবির প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'অঞ্জলী', 'নীড় নির্জনে' ইত্যাদি।

তাপস সরখেল

জন্ম ১৯৬৩ সালে বহরমপুর-এর কাশিমবাজার-এ। শিক্ষাঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। পেশাঃ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। 'উপসেক' পত্রিকা সম্পাদনা করেন। 'উপসেক প্রকাশনী'র সঙ্গেও যুক্ত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ 'এপিটাফ', 'দিনলিপি'।

অনিন্দিতা মুখার্জী সাহা

স্কুলজীবন থেকেই লেখার সাথে যুক্ত। সোশ্যাল নেটওয়ার্ক-এর হাত ধরে প্রকাশ্যে আসা। পাঠকের ভালোবাসায় সাহিত্য-ঘেরা সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে চলেছেন।

ইনাস উদ্দিন

জন্ম ১৯৬২ সালে মুর্শিদাবাদে। অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা। পেশায় সরকারি কর্মী - সমবায় বিভাগের আধিকারিক। নেশায় সাহিত্য ও সংস্কৃতিকর্মী। প্রকাশিত কবিতা পুস্তক দুটি - 'ইচ্ছেলেবু' এবং 'ড্রামওয়ালা'। এছাড়া আছে রেডিও এবং সংবাদপত্রে লেখা চিঠির সংকলন 'চিঠি-চাপাটি'। মুসলিম গ্রামীণ জীবনের যাপন নিয়ে প্রকাশিত কাহিনীধর্মী একটি পুস্তক 'সাইদাপুরের সাতকাহন'। বর্তমানে কৃষ্ণনগরের স্থায়ী বাসিন্দা। সেখানে কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত বাসভবন 'গ্রেস কটেজ'কে ঘিরে সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল 'সুজন বাসর'-এর অন্যতম পরিচালক।

গৌতম সাহা (করিমপুর, নদিয়া)

জন্ম ১৯৭০ সালের ১৩ই ডিসেম্বর পূর্ববঙ্গের রাজশাহী জেলার আড়ানী গ্ৰামে। বাল্যকাল থেকেই সাহিত্যের প্রতি অগাধ ভালবাসা। প্রথম ছোটগল্প 'বিসর্জন' প্রকাশিত হয় বগুড়া থেকে 'দৈনিক উত্তরবার্তা' পত্রিকায় নব্বই দশকের দিকে। পরবর্তীতে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'দহনবেলার নক্ষত্রগুলো' প্রকাশিত হয় ২০২২-এর আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নানাভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন।

গৌতম সাহা (কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান)

জন্ম ১৯৭২ সালের আগস্ট-এ নদিয়ার নবদ্বীপে। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ., বি.এড.। বৃত্তিঃ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা। কাব্যগ্রন্থঃ 'দুখজাগানিয়া', 'চিরহরিৎ অক্ষর', 'বিষ ও বৈভব', 'উন্মাদলিপি', 'আগুনের মুদ্রা'। গদ্যগ্রন্থঃ 'বৈরাগীর ধান', 'গদ্যসংগ্রহ-১', 'শব্দের নিজস্ব মুদ্রা', 'কবিতার কররেখা', 'কবিতার বিচিত্রপথে'। সম্পাদনা করেন 'ফিনিক্স' ও 'মাসে মাসে কবিতা' নামক পত্রিকা। সম্মাননাঃ বনামি সাহিত্য পুরস্কার, বুলবুল আব্দুল জব্বার সম্মান, কাটোয়া মহকুমা সাহিত্য সম্মান, সপ্তপর্ণ সাময়িক পত্রিকা সম্মান ও অন্যান্য।

অভিজিৎ রায়

জন্ম ১৯৭৩ সালে। মূলত কবি। তবে তাঁর ছোটগল্প, উপন্যাস, মুক্তগদ্য, উত্তর সম্পাদকীয় সমস্ত লেখাই বাণিজ্যিক বড় কাগজে প্রকাশ পেয়েছে। জীবিকাঃ মুদ্রণ ও প্রকাশনা। এ পর্যন্ত ২০টি কাব্যগ্রন্থ, তিনটি উপন্যাস, তিনটি গল্পগ্রন্থ আর পাঁচটি গদ্যের বই প্রকাশিত। 'দেশ', 'আনন্দবাজার', 'সানন্দা', 'একদিন', 'দৈনিক স্টেটসম্যান' প্রভৃতি পত্র-পত্রিকায় তাঁর সবধরনের লেখা প্রকাশিত হয়েছে।

চিরঞ্জীব হালদার

ব্যতিক্রমী কবি চিরঞ্জীব হালদার। জন্মঃ ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৬১। পেশাঃ টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার। প্রথম কাব্যগ্ৰন্থ 'দু'পায়ের মূর্খ তুমি হাঁটতে শেখো' (১৯৯৪)। সম্পাদিত কবিতাপত্রঃ 'কবিকল্প'। 'বাহান্নটা টেক্কা ফিরে ফিরে আসে' কাব্যগ্ৰন্থের জন্য ২০০৬-এ 'কলকাতা বুক সেলার্স ও পাবলিশার্স গিল্ড' কর্তৃক পুরস্কৃত। ২০২২-তে 'জিরো বাউন্ডারী' সন্মান প্রাপ্তি। নিভৃত গ্ৰন্থপাঠ, আড্ডা ও সর্বক্ষনের কবিতা ও সংসার কর্মী। 'আমি ঈশ্বরকে ডাউনলোড করেছি'র মতো উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্ৰন্থের পাশাপাশি এ পর্যন্ত প্রকাশিত মোট কাব্যগ্ৰন্থের সংখ্যা দশ।

মঙ্গলপ্রসাদ মাইতি

বঙ্গসংস্কৃতির একনিষ্ঠ সাধক, মানুষ গড়ার কারিগর মঙ্গলপ্রসাদ মাইতি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 'শিক্ষারত্ন' সহ তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যের সমগ্র শাখায় সমান সচ্ছন্দ বিচরণকারী প্রথিতযশা কবি, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ইনি। বাংলাদেশ থেকে 'পল্লীকবি জসীমউদ্দিন সাহিত্য পদক' সহ পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের ৩০টিরও বেশি মূল্যবান গ্রন্থ। 'দেশ', 'আনন্দবাজার' 'শুকতারা', 'প্রসাদ', 'নবকল্লোল', 'ভাণ্ডার', 'পশ্চিমবঙ্গ খাদি গ্রামীণ শিল্প বার্তা' এইসব বিখ্যাত পত্র-পত্রিকা ছাড়াও ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশের অজস্র লিটল ম্যাগাজিনে নিয়মিত লিখে চলেছেন।

আম-কাঁঠালের ছায়ায় ঘেরা শিলাবতী নদীর পাড়ের ভূমিপুত্র কবি ও গল্পকার মঙ্গলপ্রসাদ মাইতি। শিলাবতীকে সবাই আদর করে ডাকে শিলাই। সেই শিলাইয়ের পাড়ে বসেই মঙ্গলপ্রসাদ মাইতির সাহিত্য সাধনা। মঙ্গল মূলত কথা সাহিত্যিক। গল্পে-উপন্যাসে তাঁর অনায়াস বিচরণ। একই সঙ্গে কবিতা রচনাতেও সমানভাবে সাবলীল। এককথায় তিনি সাহিত্য নিবেদিত প্রাণ একজন মানুষ। সাহিত্যের সব শাখাতেই স্বচ্ছন্দ গতি। সমস্ত প্রতিকূলতাকে অগ্রাহ্য করে তিনি সরস্বতীর মন্দিরে সেবক হিসেবে ঠাঁই পেয়েছেন। অনর্গল লিখে যেতে পারেন এমনই এক আশ্চর্য প্রতিভা! বলা যেতে পারে ঐশ্বরিক ক্ষমতা লাভ করেছেন। সমস্ত বাধাকে সরিয়েই আজ মঙ্গলের অক্ষর বৃষ্টিতে করছে স্নান। বাংলাদেশ ও ভারতের বহু পত্র-পত্রিকায় নিরলসভাবে গল্প, কবিতা, নিবন্ধ, প্রবন্ধ লেখালেখি ছাড়াও আকাশবাণী কলকাতার জনপ্রিয় বহু অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং সেখানে লিখে থাকেন। আকাশবাণী 'মৈত্রী'তে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেছেন। আকাশবাণী 'গীতাঞ্জলি'তে একাধিক কথিকা পাঠ করেছেন। তাঁর লেখা নাটক অভিনীত হয়েছে।

সৌমিত বসু

সৌমিত বসুর জন্ম ২৬শে নভেম্বর, ১৯৬৩ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপে। পেশায় শিক্ষক সৌমিতের লেখার হাতেখড়ি শৈশবে বিদ্যালয়ের পত্রিকায়। পরবর্তীতে 'দেশ', 'আনন্দবাজার', 'সানন্দা', 'প্রতিক্ষণ', 'কৃত্তিবাস', 'শতভিষা', 'জিজ্ঞাসা', 'কবিপত্র' সহ বাংলাভাষার প্রথম শ্রেণির প্রতিটি কাগজে লেখেন। এখন পর্যন্ত প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ২৬। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য - 'বিষণ্ণতর শব্দের দিনগুলি', 'বোধিবিন্দু', 'আরশিমাছের চোখ', 'নারীগাছ', 'শ্রবণকথা', 'আমার সন্তান যেন থাকে রাইটার্সে', 'শৃঙ্গারের মায়াশব্দরূপ', 'ডানার আনন্দবন্ধ', 'কৃষ্ণকথা', 'আমার নিজস্ব কোনো ক্রোধ নেই', 'হুস বললেই কি উড়ে যাওয়া যায়', 'ভাঙামন পথঘাট তুতেনখামেন', 'মা ষ্টিফেন হকিং ও ভাই', 'মাছেরা আমার ভাইবোন' ইত্যাদি।

কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ইতিমধ্যে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত 'জেলা বইমেলা শ্রেষ্ঠ কবি সম্মাননা', 'বাংলারমুখ পুরস্কার', 'কবিপত্র সম্মাননা', 'ম্যাবসাসে পুরস্কার', 'বনানী পুরস্কার', 'দীনেশ দাশ স্মৃতি পুরস্কার', 'সোহরাব হোসেন স্মৃতি সম্মাননা' এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগার থেকে 'অরণি পুরস্কার' সহ অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা।

সম্পাদনা করেছেন 'নষ্টচাঁদ', 'কবিপত্র', 'অন্যকবিতা', 'বারোমাস' পত্রিকা এবং 'জলপাই দ্বীপের আলো ব্লগজিন'। ইংরেজী, হিন্দী ও ওড়িয়া ভাষায় অনূদিত হয়েছে এই বিশিষ্ট কবির কবিতা।

প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী

কবি প্রদীপকুমার চক্রবর্তী একজন কবি মাত্র নন। তিনি ছড়াকার, গ্রামগবেষক, সাহিত্য সংগঠক এবং 'উদ্দীপণ' নামক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদকও। স্কুলজীবন থেকেই তাঁর লেখালেখির হাতেখড়ি। বাংলা ও ইংরেজিতে বেশ কিছু লেখা সত্তরের দশকে প্রকাশিত হয়। দীর্ঘজীবন সরকারী চাকুরী থেকে উচ্চপদ সামলে তেমনভাবে আর সাহিত্যচর্চা হয়ে ওঠেনি। তাই অবসরগ্রহণের পর নিজেকে অবসরে না রেখে সাহিত্যসেবায় মননিবেশ করেন। দীর্ঘ সময়ের সাহিত্য থেকে বিরত থাকার মাশুল হিসাবে নিজেকে নিংড়ে সুদ আসল তুলে নিচ্ছেন এখনও।

এযাবৎ বেশ কিছু কাব্যগ্রন্থ, ছড়ার বই, গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশের পর এমন এক অভিনব প্রয়াস পাঠকের সামনে এনে উপস্থিত করেছেন যা সত্যিই অভাবনীয়। আমরা অনেকেই কোনও না কোনও সময়ে কারোর জন্মদিনে, অন্নপ্রাশনে, বিবাহবার্ষিকীতে দু'একটি কবিতার আকারে শুভেচ্ছাবার্তা লিখেছি তার বেশি নয়। কিন্তু কবি প্রদীপকুমার চক্রবর্তী ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে এখন (২০২৩ সাল) পর্যন্ত শতাধিক শুভেচ্ছাবার্তা লিখেছেন, তা থেকেই নির্বাচন করে সচিত্র একটি গ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে। যা সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মতো। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, কবি, সাহিত্যিক ইত্যাদি যাঁরা পরিচিত তাঁদের উপর কবির এই লেখালিখি। সর্বোপরি 'ফেসবুক-এ 'শুভেচ্ছাবার্তা' প্রকাশিত করে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন পরিচিত মহলে।

অমিত দাস

জন্মঃ করিমপুর, নদীয়া। পেশাঃ শিক্ষকতা। লেখালেখি ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে 'দর্পণ... মুখের খোঁজে' সাহিত্য পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'হাফ কিউসেক'। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ 'জ্বর'।



তাপসী দত্ত

লেখিকা তাপসী দত্ত জন্মগ্রহণ করেন নদীয়ার নবদ্বীপে ১৯৭৮ সালের ১৩ই ডিসেম্বর। বিদ্যালয় জীবনের পড়াশুনা সমাপ্ত করেন কৃষ্ণনগর শহরে। কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজ, এরপর কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাক্রমে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন বাংলা বিষয়ে। এরপর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল. ও পি.এইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন রবীন্দ্র প্রবন্ধ সাহিত্যের উপর। তিনি মূলত প্রাবন্ধিক। তাঁর লিখিত পুস্তকগুলি হল 'হে মহাজীবন', 'রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ সাহিত্যে সমাজভাবনা'। এছাড়া 'এবং পরব', 'উদ্বোধন', 'অথঃ ধরিত্রীকথা' সহ একাধিক পত্রিকায় তিনি প্রবন্ধ লেখেন। বতর্মানে তিনি শ্যামনগর ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যালয়ের সহশিক্ষিকা। প্রায় ১৭ বছরের তাঁর লেখিকা ও শিক্ষকতা জীবন।

তপতী চ্যাটার্জী

জন্মঃ ৩রা আগস্ট, ১৯৫৪। বাল্যকাল থেকেই সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে যোগ। সঙ্গীতেও আছেন। আবৃত্তি শুনতে ভালবাসেন। তুমুল ভ্রমণবিলাসী। কবিতার জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে তাঁর ছোটাছুটি অব্যাহত। খুবই বন্ধুবৎসল এবং সহজেই সকলের আপনজন হয়ে উঠতে পারেন। সামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত। স্পষ্টবক্তা, সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতে দ্বিধা করেন না। একটি মানবাধিকার সংগঠনের সাথে যুক্ত। এসব সত্ত্বেও সংসারী মানুষও বটে। প্রকাশিত বই 'বেলাশেষের ডায়েরী', 'দিনান্তের অভিমান', 'প্রেমে আছি প্রতিবাদেও'। পূর্বে 'প্রমা' পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে 'নব সাহিত্যকমল' পত্রিকার সহ সম্পাদনার কাজে যুক্ত। 'লিটল ম্যাগাজিন ফোরাম'-এর সদস্য। বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন। শখঃ গান, কবিতা আর নির্ভেজাল আড্ডা।

শর্মিষ্ঠা

কবি এবং গল্পকার শর্মিষ্ঠা। পুরো নাম শর্মিষ্ঠা সাহা। 'শর্মিষ্ঠা' লিখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। উত্তরবঙ্গের বালুরঘাট শহরে জন্ম। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং একাধিক স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা করেছেন। লেকচারার হিসেবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কলেজে গেছেন। অঙ্কন ও রবীন্দ্রসঙ্গীত তাঁর পছন্দের তালিকাভুক্ত। প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'শুক্তির ভেতর থেকে'। 'আশুতোষ গুড়িয়া স্মৃতি সম্মাননা ১৪২৯'-এ সম্মানিত হয়েছেন ইতিমধ্যেই। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ 'টাঙন জোড়া জল' বহুল পাঠক সমাদৃত। খুব সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ তথা তৃতীয় বই 'অধরা জলের দাগ'।

সজল রায়চৌধুরী

বিশিষ্ট লেখক ও 'মাতৃভাষা' পত্রিকার সম্পাদক।



দিপংকর চক্রবর্তী

দিপংকর চক্রবর্তীর ঘটনাচক্রে লেখালিখি শুরু। 'দীপ' ডাকনামে পাঠকমহলে পরিচিত। মানুষের প্রতি অসীম আগ্রহ নিয়ে ছুটে চলা মানুষটি বর্তমানে 'গ্রন্থাগারিক' (লাইব্রেরিয়ান) হিসেবে যুক্ত আছেন বাংলাদেশের 'বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র'র সাথে।



নাজমিন নাহার লাবনী

বাংলাদেশের ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া থেকে ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর করা কবি পেশায় একজন শিক্ষিকা আর নেশায় আবৃত্তিকার। লেখালেখির হাতেখড়ি সেই কলেজজীবন থেকে। কলেজের ম্যাগাজিন থেকে আজ দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। তাঁর লেখা নিয়মিত আবৃত্তি করেন প্রথিতযশা আবৃত্তিকারেরা। তিনি স্বপ্ন দেখেন এক সবুজ পৃথিবীর যেখানে গাছে-মানুষে সহবাস হবে।

নাহিদ সরদার

জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের খুলনা শহরে। খুলনা বি. এল. কলেজ থেকে করেছেন ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। বর্তমানে একটা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।



নেয়ামুল কবির রাজু

জন্ম বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলায় কিন্তু জীবনের অধিকাংশটাই কেটেছে কুষ্টিয়ায়। কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষা শেষে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন।



সুদীপ্তা

পুরো নাম সুদীপ্তা রায়চৌধুরি মুখোপাধ্যায়। 'সুদীপ্তা' লিখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। পেশায় কোম্পানি সেক্রেটারি, যাপনে রাজনৈতিক কর্মী, মিডিয়া প্যানেলিস্ট, কবিতা ভালোবাসেন।



অন্তরা রায়

বিশিষ্ট লেখিকা অন্তরা রায়ের মফঃস্বলে বেড়ে ওঠা। মা গানের শিক্ষিকা এবং বাবা প্রিন্টিং হাউসে থাকার জন্য গান, বই এবং নিজের নাচের প্রতি আগ্রহ ছিল বরাবর। স্কুলজীবনে পাড়ার 'রিফ্লেট'-এ প্রথম সম্পাদকীয় পাতায় হাতেখড়ি থেকে আজ 'চালচিত্র' পত্রিকার সম্পাদক। সিরিয়াসলি লেখালেখি শুরু ২০১৭ থেকে, ফেসবুকে। 'মনন', 'দক্ষিণের বারান্দা', 'কল্পকথা', 'বলাকা', 'শপিজেন', 'উদ্যান' প্রভৃতি পত্রিকায় গল্প, কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ওয়েব ম্যাগাজিন 'নীহারিকা', 'ক্রিয়েটিভস্‌', 'কলকাতা টাইমস'-এ নিয়মিত লেখা চলেছে কিছু বছর। লেখিকার নিজস্ব বই 'চৌকাঠ পেরিয়ে', 'চলো ফিরে যাই' প্রভৃতি।

যোগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস

যোগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বিশিষ্ট লেখক। পিতা যতীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, মাতা চন্দনা বিশ্বাস। জন্ম ১লা নভেম্বর, ১৯৬৭ সালে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে। ছোটবেলা থেকেই ছন্দের প্রতি ঝোঁক। পেশাঃ শিক্ষকতা। এপার-ওপার দুই বাংলায় নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। প্রচুর কবিতা সংকলন এবং একক কাব্যগ্রন্থ 'সুপ্ত মনের মুক্ত কথা' জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এছাড়া লেখেন রম্যরচনা, গল্প এবং বহুবিধ কবিতা। তাঁর লিখিত 'ফিরে এসো নজরুল' কবিতাটি বাংলাদেশের গণশিল্পী ও সুরকার যোগেন বিশ্বাসের সুরে বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এছাড়া ইতিহাসের প্রতি বিশেষ আগ্রহ থাকায়, ইতিহাস নিয়ে লেখালেখি করেন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। তাঁর লেখা 'ইতিহাসের অলিন্দ্যে' পত্রিকায় প্রায়ই প্রকাশিত হয়।

সঙ্ঘমিত্রা কুমার

সঙ্ঘমিত্রা কুমার বিশিষ্ট লেখিকা। কলেজের শুরু থেকে লেখাকে ভালোবাসা শুরু। কলেজ ম্যাগাজিনে কবিতা প্রকাশ দিয়ে লেখার যাত্রা শুরু। প্রায় বত্রিশ বছর ধরে লেখার সাথে আছেন। ছন্দ, ছড়া প্রথম পছন্দের তালিকায়। সমভাবেই লেখেন গদ্য-কবিতা, ছন্দ-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ও রম্যরচনা। বেশ কিছু কবিতা ও ছড়া বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে।

অমিত কাশ‍্যপ

বিশিষ্ট লেখক অমিত কাশ‍্যপ-এর জন্ম ১৯৫৫ সালের ৬ আগস্ট। এ পর্যন্ত ২৩টি কাব‍্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিক এই লেখকের পুরস্কারের তালিকাও দীর্ঘ। 'অনাময় দত্ত' নামাঙ্কিত পুরস্কার, 'শ্রীশ্রী ভক্তিবিনোদ স্মৃতি পুরস্কার', 'অমূল্যচন্দ্র দেবনাথ স্মৃতি পুরস্কার', 'পারানি পুরস্কার', 'আরাত্রিক সাহিত্য সম্মান', 'চোখ সম্মাননা', 'মিলনবীথি স্মারক পুরস্কার', 'মুর্শিদাবাদ জেলা কবিতা আকাদেমি সম্মান', 'ডলি মিদ‍্যা স্মৃতি পুরস্কার', 'সুবোধ কুমার রায় স্মৃতি পুরস্কার' ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

সুস্মিতা মুখার্জি

সুস্মিতা মুখার্জি বিশিষ্ট কবি। জন্মঃ পশ্চিম মেদিনীপুর। শিক্ষাঃ মেদিনীপুর মহাবিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে স্নাতক। সৃজনশীলতাঃ স্বরচিত একক কাব্যগ্রন্থ 'প্রেমের সুরভী', 'পঞ্চবান' কাব্যগ্রন্থ। এছাড়াও বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত বেশকিছু কবিতা। কবিতার আঙিনায় ওঁনার উজ্জ্বল উপস্থিতি কবিতাকে ভালোবেসে। নদীর মতো বয়ে চলা জীবনের মোহনায় আছড়ে পড়া প্রতিটি জোয়ার-ভাটার মুহূর্তগুলোকে কবিতার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করাই ওঁর উদ্দেশ্য। সাংসারিক জীবনের দৈনন্দিন নানান ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেও তাঁর কলমের ঝর্ণা সানন্দে ঢেলে দেয় অনিন্দ্য পরিতৃপ্তির একঝলক শীতল স্নিগ্ধ বাতাস। তাঁর মন মেলে মুক্ত চিন্তার ইচ্ছেডানা, কখনও দীক্ষিত হন বীরমন্ত্রে, কখনও মানবিকতার দৃঢ় সংকল্পে। কখনও প্রেমের সুরভী মেখে উড়ান ভরেন অচিনপুরে, আবার কখনও অভিমানী মনের ব্যাথা নিয়ে উপস্থিত হন প্রিয় পাঠকের দরবারে। পাঠকের মনে কবিতার একমুঠো ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়লেই তাঁর সৃজন সার্থক। সত্যি বলতে কবিতার সাথে তাঁর প্রেম জমজমাট। তাই সম্প্রতি 'পঞ্চসঙ্গম' নিয়ে হাজির হয়েছেন প্রিয় পাঠক-পাঠিকাদের মনের উন্মুক্ত বাতায়ণে। তাঁর এই প্রচেষ্টা মুগ্ধতার সাথে গৃহীত হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।

পম্পা বিশ্বাস

জন্ম-লেখাপড়া-চাকরি সবই এই শহর-কলকাতায়। পঠন-লিখন-অঙ্কন-আলোকচিত্রণের মধ্যে দিয়ে চলে অক্সিজেন সংগ্রহ। প্রথম বই 'রোরো ও অন্যান্য গল্প' দ্বিতীয় বই 'আতাবাবু ও অন্যান্য গল্প'।

অলোক দাশগুপ্ত

জন্মঃ কলকাতা। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কেমিস্ট্রি অনার্স বি.টেক. (পি.জি.), কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (সি.ইউ.), স্পেশাল বি.এ. (বাংলা, ইংরেজী), পোষ্ট গ্রাজুয়েট বাংলা। উল্লেখযোগ্য পুরস্কারঃ 'পি.ই.এন.' (ভারত), 'সার্ক কালচারাল ফোরাম' (ঢাকা), 'ওশান গ্রুপ' (ঢাকা), 'কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়' নামাঙ্কিত পুরস্কার, 'কবি কালিদাস' নামাঙ্কিত পুরস্কার, বীরভূম, 'দিগন্ত ধারা' (ঢাকা) পুরস্কার, 'বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসব' পুরস্কার, ফরিদপুর কবি জসীমুদ্দিন অছি পরিষদ কর্তৃক 'কবি জসীমুদ্দিন' নামাঙ্কিত 'স্বর্ণপদক'-এ সম্মানিত, 'ভাঙ্গর বইমেলা' ও 'পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাডেমী' দ্বারা সম্মানিত। এছাড়াও কলকাতা ও বাংলাদেশে বহু পুরস্কারে পুরস্কৃত ও সম্মানিত।

অচিন্ত্য সাহা

অচিন্ত্য সাহা মূলত কবি। জন্ম ১৯৭২ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর কৃষ্ণনগরে এক দরিদ্র পরিবারে। দারিদ্র্যের চরম নিষ্পেষণে তিনি ক্ষান্ত হননি। বরং এক কঠোর জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজের চেষ্টায় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম.এ. পাস করে বর্তমানে শিক্ষকতায় নিযুক্ত আছেন। কঠোর জীবনসংগ্রামী, বাস্তববাদী ও মানবতাবাদী লেখক স্বচক্ষে সমাজের হালহকিকত পর্যবেক্ষণ করেছেন। জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, দেখেছেন শত শত নিরন্ন ও বুভুক্ষু মানুষের মিছিল, কান পেতে শুনেছেন তাদের আর্তি। পাশাপাশি স্বার্থপর মানুষগুলোর হীন ও পাশবিক প্রবৃত্তি তাঁর হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করে তুলেছে।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাঁর কয়েকটি কবিতা ও ছড়া প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কিশোরদের উপযোগী গল্প লিখে থাকেন। সে ধরনের বেশ কয়েকটি গল্প ইতিমধ্যেই নানা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি তিনি একটি সাহিত্য পত্রিকা 'মাটির পুতুল'-এর সম্পাদনার কাজে নিয়োজিত আছেন। সম্প্রতি তিনি পাঠকদের উপহার দিয়েছেন তাঁর প্রথম উপন্যাস 'অনুতাপ'। পাঠক সমাজে এ গ্রন্থ গৃহীত হবে এই আশা রাখি। বিভিন্ন সেবামূলক সংস্থার সেবাকর্মের সাথেও তিনি যুক্ত।

দেবাশিস সেনগুপ্ত

বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক। এই লেখকের আজন্মলালিত ইচ্ছে ছিল লেখার, শুধুই লেখার। জীবন অন্য পথ দেখায়, অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েন। ১৯৭৮-এ, ২০ বছরেই ব্যাঙ্কের চাকরির মাঠে নেমে যাবার ফাঁকে লেখার অনুশীলন চালু ছিল বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে চিঠিপত্র লেখায়। অবচেতনে ধিকিধিকি জ্বলতে থাকা খেলা এবং লেখার তাড়না পরে পারিবারিক প্ররোচনার বাতাস পেয়ে দুর্বার গতিতে বাড়তে থাকে। ২০১৩-তে লেখকের 'ফেসবুক'-এ ঢোকা। লেখার ইচ্ছেগুলো ডানা পেয়ে উড়তে থাকে লেখকের 'ফেসবুক' দেওয়ালে। সেটা এখনও অব্যাহত, যার ফাঁকে ফাঁকে চারটি বইও লিখে ফেলেছেন তিনি। বইগুলির নাম 'দেওয়াল থেকে মলাটে', 'খেলার কলমকারি', 'অদ্বিতীয় মারাদোনা' এবং 'মাঠের কথা'।

মমতা বিশ্বাস

বিশিষ্ট গদ্যকার। পেশা শিক্ষকতা। 'দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা' সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ভ্রমণ, গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা প্রায়ই প্রকাশিত হয়। শখ বই পড়া ও ভ্রমণ। প্রকৃতির ছবি তোলায়ও কম আগ্রহী নন। প্রকাশিত প্রথম গল্পগ্রন্থ 'চোরাবালির স্রোত'। রেডিও অনুষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগে নিয়মিত চিঠিপত্র পাঠ করেন।



অমৃতাভ দে

বিশিষ্ট লেখক। জন্ম ১৯৮৩ সালে। শিক্ষকতা করেন একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে সম্পাদনা করছেন 'জীবনকুচি' পত্রিকা। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কবিতা ও প্রবন্ধ লেখেন। ছোটদের জন্য লিখতে ভালোবাসেন কবিতা। ভ্রমণমূলক গদ্য লিখতে খুব পছন্দ করেন। প্রকাশিত হয়েছে অনেকগুলি গ্রন্থ। বিভিন্ন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত। 'কৃষ্ণনগর পরিবেশ বন্ধু'র সক্রিয় সদস্য।

সমীরণ কুণ্ডু

বেলঘরিয়া নিবাসী। বাণিজ্যে স্নাতক। কাব্যগ্রন্থঃ 'আরো কিছু নক্ষত্রবীজ', 'সেতুবন্ধের উপকরণ', 'বনসাই বেলুন', 'পাতালঘরের সিংহাসন', 'নিষিদ্ধ প্যাঁচার ডাক', 'সুদেষ্ণার ভিটে', 'জলাভূমির নক্ষত্ররা' সংকলনে গুচ্ছ কবিতা, 'সপ্তরথীর সমুদ্রদর্শন' সংকলনে গুচ্ছ কবিতা, 'অমীমাংসিত', 'দৌড়' পত্রিকার সম্পাদক কবি মধুমঙ্গল বিশ্বাস সম্পাদিত ৩২ জন কবির সংকলনে গুচ্ছকবিতা, 'শূন্যমাথার রূপকথা' ইত্যাদি। 'পৃথিবীগ্রাম' পত্রিকার সম্পাদক।

সুজাতা দে

ষাটের দশকের শেষভাগে কলকাতায় জন্ম। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার কর্মী। কর্মস্থল কলকাতায়। আশির দশক থেকে লেখালেখির শুরু। গল্প লেখা দিয়ে শুরু, অনেক পরে কবিতায় আসা। নব্বই-এর দশকে পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ জেলার লিটল ম্যাগাজিনে ছোটগল্প এবং কবিতা প্রকাশিত। শ্রদ্ধেয় কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদক থাকাকালীন তাঁর 'কৃত্তিবাস' পত্রিকায় একাধিকবার লেখিকার কবিতা প্রকাশ পেয়েছে। 'হলদিয়া কবিতা উৎসব'-এ সুযোগ্য আমন্ত্রিত কবি হিসেবে একাধিকবার অংশগ্রহণ। গত ২০২৩-এর বইমেলায় 'কলকাতা বুক সেলার্স এণ্ড পাবলিশার্স গিল্ড'-এর পেজেও কবি সুজাতা দে- র স্বরচিত কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। কবির ষষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ 'জলকণা ভাঙে ঢেউ', প্রচুর পাঠকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এছাড়াও কবির ঝুলি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা থেকে প্রাপ্ত বহু পুরষ্কারে ভরে আছে।

সত্যবান রায়

রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির জলবিদ্যুৎ দপ্তর এবং পরিকল্পনা দপ্তরের প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার। যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অতিথি অধ্যাপক ছিলেন। জলবিদ্যুৎ এবং বৈদ্যুতিক প্রযুক্তির পরামর্শদাতা হিসেবে কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। পেশাগত কাজের বাইরে মুখ্যত লিটল ম্যাগাজিনে লেখা এবং সম্পাদনায় যুক্ত প্রায় চার দশক ধরে। নিবন্ধ লিখেছেন এবং লিখে থাকেন এমন কয়েকটি পত্রিকা - 'ফ্রন্টিয়ার', 'আনৃণ্য', 'বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানকর্মী', 'পর্বান্তর', 'অব্যয়', 'সাহিত্য সৃজনী', 'আলোবাতাস', 'বিবক্ষিত' ইত্যাদি। ৬০ বছর অতিক্রান্ত 'অব্যয়' পত্রিকার অধুনা সহ-সম্পাদক।

প্রসেনজিৎ দাস

১৯৮৮ সালের ১৫ই মার্চ, মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা থানার অন্তর্গত পাটিকাবাড়ি গ্রামে লেখকের জন্ম। বর্তমানে নদিয়া জেলার তেহট্ট থানার অন্তর্গত বেতাই-এর স্থায়ী বাসিন্দা। পিতা শৈলজানন্দ দাস ও মাতা মমতা দাস। বাংলা বিষয়ে স্নাতকোত্তর। পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি বিশেষভাবে অনুরাগী কবির কবিতা লেখালেখির সূত্রপাত ঘটে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তবে নিজেকে প্রাবন্ধিক হিসেবে ভাবতেই বেশি ভালোবাসেন। তাঁর প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ গ্রন্থ, 'প্রবন্ধ সংগ্রহ'। প্রকাশিতব্য দ্বিতীয় প্রবন্ধের বই 'শিশু শিক্ষার হাতেখড়ি' প্রকাশিত হতে চলেছে 'স্বপ্ন' প্রকাশন থেকে। 'বার্নিক' থেকে প্রকাশিত প্রেমের কবিতা সংকলন 'কাতিল অথবা ঈশ্বরের চোখ'-এ কবির ৭টি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। প্রথম কবিতার বই 'বেঁচে থাকার কবিতা', ২০২৩-এর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে 'আলো পৃথিবী' প্রকাশনা থেকে। স্থানীয় ইতিহাসের উপর কাজ করতে আগ্রহী। বেতাই থেকে প্রকাশিত 'স্বপ্নের ভেলা' সাহিত্য পত্রিকা গোষ্ঠীর সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত। তিনি 'বহ্নি' নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন।

রমেশ কর্মকার

স্কুল শিক্ষা প্রবাসে। গ্রাজুয়েশন 'কলকাতা ইউনিভার্সিটি' এবং 'একাডেমি অফ ফাইন আর্টস' থেকে বাণিজ্যিক চিত্রকলার বিভাগের ডিপ্লোমা। কর্মজীবন বিজ্ঞাপনের সাথে। মূলত শখের কলমচি। 'পিকু' ডাকনামে পাঠকমহলে পরিচিত।



তুষার ভট্টাচাৰ্য

জন্ম ১৯৬২ সালের ১৭ জুলাই মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের কাশিমবাজারে। দীর্ঘদিন ধরে কবিতাচর্চা করেন। 'দেশ', 'সানন্দা', 'কৃত্তিবাস', 'পরিচয়', 'অনুষ্টুপ', 'নন্দন', 'কবিসম্মেলন', 'বিভাব' সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। চারটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে - 'মেঘ পাখি', 'রৌদ্র চিঠি' (সিগনেট প্রেস, আনন্দ পাবলিশার্স), 'ঘুমের জন্মদিন' (উদার আকাশ প্রকাশনী) এবং 'ঘুমের শহরে' (রাঙামাটি প্রকাশনী, শান্তিনিকেতন, বোলপুর)।

সফিউল আলম

জন্ম ১৯৬১ সালে, মালদা জেলার চাঁচলের নৈকান্দা গ্রামে। মালদা কলেজ থেকে জীবন বিজ্ঞানে স্নাতক। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ছাত্রাবস্থায় সাহিত্যচর্চায় হাতেখড়ি। ১৯৮৬ সালে লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদনা শুরু। 'সুপ্রভাত', 'উদ্ভেদ' লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেছেন। চাঁচল শহরে তৎকালীন 'সেনাপতি সাহিত্য আড্ডা'র সক্রিয় সদস্য। বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনের তৎকালীন নিয়মিত লেখক। লেখা মূলত কবিতা, রম্যরচনা, গম্ভীরা, ছোটগল্প। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত কবিতাগুচ্ছের প্রথম সংকলন গ্রন্থ 'শিকল বাতাসে আকাশে' ২০০২ সালে। চাঁচল মহকুমা বইমেলায় 'শিকল বাতাসে আকাশে'র জন্য সম্বর্ধিত।

বিদ্যুৎ বিশ্বাস

পেশা স্কুল শিক্ষকতা। নেশা সাহিত্যপাঠ। অল্পস্বল্প লেখালেখির চর্চার মধ্যে আছেন। লেখেন মূলত ছোটগল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ। বিগত পনেরো বছর ধরে এপার ও ওপার বাংলার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাঁর একাধিক ছোটগল্প, কবিতা ও নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।



সুব্রত চক্রবর্তী

জন্মঃ ১৯৬৮ সালের ২ মার্চ। পিতা স্বর্গীয় দক্ষিণারঞ্জন চক্রবর্তী ও মাতা শ্রীমতী জ্যোতির্ময়ী চক্রবর্তী। বর্তমান স্থায়ী ঠিকানা চন্দননগর, হুগলি। অস্থায়ী আবাসন, ইছাপুর, উত্তর ২৪পরগনা। বর্তমানে একটি আধা সরকারি সংস্থায় কর্মরত। উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়া গ্রামে এক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম। অভাবের মধ্যেও এক সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের মধ্যে বড় হওয়া। ছোটবেলা থেকেই পিতার কাছেই আবৃত্তি শিক্ষা। নাটকে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। এর মাঝেই কিছু লেখালেখি চলতে থাকে। মধ্যবর্তী বেশ কয়েক বছর বিভিন্ন জটিলতায় লেখালেখি বন্ধ ছিল। আবারও পুনরায় কলম সচল হতে শুরু করেছে। পিতা-মাতা এবং শুভানুধ্যায়ীদের অনুপ্রেরণায় লেখনী আজও সচল। কখনও নিজেকে প্রকাশ করবার চেষ্ঠা করেননি। বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায় কবিতা প্রকাশ ও কবি সম্মাননা প্রাপ্তি। কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'লাল সূর্যের দেশে'।

সুস্মেলী দত্ত

মূলত নয়ের দশকের কবি, জন্ম ১৯৬৯ সালে। মোট বারোটি কাব্যগ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে। সর্বপ্রথম কাব্যগ্রন্থ 'স্বপ্নের রং নীল' (প্রমা)। দ্বাদশতম কাব্যগ্রন্থ 'চুপ' ( সিগনেট প্রেস)। কবিতা ছাড়াও ছোটগল্প, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, নাটক বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত সবশুদ্ধ পাঁচটি শ্রুতি নাটকের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৪ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে নবনীতা দেবসেনের গল্পের নাট্যরূপ নিয়ে নাটকের গ্রন্থ সহ আরও তিনটি নাটকের গ্রন্থ। 'মালিনী', 'নীল দিগন্ত' ও 'হৃৎপিণ্ড' তিনটি কাগজে সহসম্পাদনার কাজে যুক্ত।

'আমাদের উচ্চারণ' ও 'শ্রাবণ কথারা' নামক দুটি নাট্যদলের কর্ণধার। 'সুবর্ণ বণিক সম্প্রদায়' সম্পর্কিত 'সুবর্ণ ফাউন্ডেশন' দ্বারা প্রকাশিত 'সুবর্ণরেখা'র সম্পাদক। 'উৎসব' সম্মান, মেদিনীপুর থেকে 'কবি নিত্যানন্দ পুরস্কার', 'নিবেদিতা স্মারক সম্মান', 'স্রোতস্বিনী সম্মান', 'বিভূতিভূষণ স্মৃতি পুরস্কার', 'ডলি মিদ্যা স্মৃতি পুরস্কার' এবং বাংলা কবিতা আকাদেমির তরফ থেকে 'কবিতা সিংহ পুরস্কার'-এ সম্মানিত।

পিনাকী বসু

লেখক ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখার পাশাপাশি, পত্রিকা সম্পাদনার কাজেও যুক্ত। তাছাড়া ভারত, বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার ও সংগঠনের আলংকারিক পদগুলিতে তিনি মনোনীত। ছোট-বড় নানা সম্মাননা তাঁর ঝুলিতে স্থান করে নিয়েছে।



নূর সাহিম রেজা

নদীয়া জেলার ধোড়াদহ নিবাসী। মূলত কবিতা লেখালেখির সাথে জড়িত। ধারাবাহিকভাবে লেখা শুরু ২০১২ সাল থেকে। বর্তমানে করিমপুর থেকে প্রকাশিত 'দর্পণ মুখের খোঁজে' পত্রিকার সাথে যুক্ত।



শর্বাণী ঘোষ

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক। এরপর রবীন্দ্রভারতীতে রবীন্দ্র-সাহিত্য নিয়ে স্নাতকোত্তর ধারায় পড়তে পড়তেই 'আনন্দবাজার পত্রিকা'র 'সানন্দা' ও 'আনন্দমেলা' বিভাগে ৮ বছর মুক্ত সাংবাদিকতা। একইসঙ্গে 'প্রতিদিন' পত্রিকায় নাটক ও পুস্তক সমালোচনা করা এবং ওই সময়ই 'প্রমা' পত্রিকার সাথেও যুক্ত থাকা। কলেজ জীবনে কবিতা লেখায় হাতেখড়ি। বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে তখন থেকেই মাঝে মধ্যে কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। মাঝখানে দীর্ঘ বিরতি। গত ৪ বছর পুনরায় কবিতা লেখা শুরু করেছেন। দুটি কবিতার বই প্রকাশিত - 'অবয়বে সংকেত' ও 'অবয়বে সংকেত ২'। নিজেকে কোনদিনও গুরুত্ব না দেওয়া, খানিক অগোছালো, আদ্যন্ত প্রকৃতিপ্রেমী।

সুমিত ঘোষ

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি সেক্রেটারি। এখন তাঁর যাপন কলমে আর বিশ্বাসে। মতাদর্শে মানবিক সমাজের জন্য তাঁর নিবেদিত আত্মার অন্বেষণ সুর খোঁজে প্রকৃতি আর স্বর খোঁজে সমাজের জনাকীর্ণ লোকালয়ে। অবিচল বিশ্বাসের হাত ধরে তিনি পৌঁছে যান অবলীলায় মানুষের অন্তরে, না বলা কথারা তাঁর কলমে গল্প হয়ে ওঠে। কখনও সমাজ বিশ্লেষণে তিনি সুচারু প্রাবন্ধিক, পরমুহুর্তে তাঁর কলমে ফুটে ওঠে জীবনের নকশিকাঁথা। এ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ 'নির্বাচিত কবিতা সংকলন', 'প্রবন্ধ সংকলন', 'সময় সমাজ সাহিত্য', 'আলোকরঞ্জনী' আর একটি গল্প সংকলন 'আলো আঁধারের গল্প'।

ডঃ মীনাক্ষী সিংহ

ডঃ মীনাক্ষী সিংহ 'রবীন্দ্রনাথের প্রেমের কবিতার তত্ত্বের প্রয়োগ' নিয়ে গবেষণা করেছেন। 'বেথুন কলেজ' ও 'কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়'-এ বাংলা বিভাগের কৃতী ছাত্রী। 'হীরালাল মেমোরিয়াল কলেজ'-এর প্রাক্তন রীডার ও বাংলার বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। কলকাতা, রবীন্দ্রভারতী ও রাঁচী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের 'রিফ্রেশার কোর্স'-এর অভিজ্ঞ অধ্যাপিকা ছিলেন এবং ইউজিসি অনুমোদিত বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

বাংলাদেশের রবীন্দ্র একাডেমিতে 'গীতাঞ্জলি'র শতবর্ষে, ২০১০ সালে আমন্ত্রিত বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে অনেকবার ঢাকা ও লন্ডন গিয়েছেন। ঢাকার 'নাট্যগোষ্ঠী থিয়েটার' তাঁকে একক অভিনয়ের জন্য সম্বর্ধিত করে। নাট্যাভিনয়ের জন্য তাঁকে 'এবিপি সানন্দা নীহার সুচারু' সম্মান প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের 'ভারত মৈত্রী সমিতি', 'রবীন্দ্র আকাডেমি' ও 'উত্তরা সাহিত্য পরিষদ' শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে অবদানের জন্য তাঁকে সম্বর্ধিত করেছে। কলকাতার 'রিপোর্টার্স এন্ড ফটোগ্রাফার্স অ্যাসোসিয়েশন' রবীন্দ্রচর্চার জন্য তাঁকে ২০১২ সালে 'বঙ্গ গৌরব অনন্য সম্মান'-এ পুরস্কৃত করেছেন। রবীন্দ্র বিষয়ক ১২টি গ্রন্থ সহ মুদ্রিত পুস্তকের সংখ্যা ৩০। কিংবদন্তী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্রের ছাত্রী ডঃ মীনাক্ষী সিংহের প্রথম প্রণয় রবীন্দ্রচর্চা ও নাট্যাভিনয়।

অলোক মুখার্জি

মূলত কবি। ৩রা জানুয়ারি, ১৯৬৩ সালে অম্বিকা কালনায় মাতুলালয়ে জন্ম। পিতা পরিতোষ মুখার্জি ও মাতা পুষ্প মুখার্জি। ১৯৭৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বঙ্গবাসী কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক। বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বাগুইআটিতে বসবাস। ছোটবেলা থেকেই নতুন কিছু সৃষ্টির প্রতি মন আকৃষ্ট হলেও উপযুক্ত পরিস্থিতির জন্য তা বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু, সৃষ্টির মধ্যে নিজেকে তুলে ধরার এক তীব্র ইচ্ছা বারংবার মনে অনুভূত হয়। ফলে, স্বল্প সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ। প্রথাগতভাবে সাহিত্যিক না হলেও সাহিত্যচর্চার প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষায় সামান্য কবিতা লেখার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন আজও। পাঠকবর্গ ওঁনার কবিতাপাঠে খুশি হলে তাঁর এই ক্ষুদ্র প্রয়াস সফল হবে।

অরুণ ভট্টাচার্য

কবি ও প্রাবন্ধিক অরুণ ভট্টাচার্য বাংলা সাহিত্য জগতে পরিচিত নাম । জন্ম ১৯৬৯ সালের ২৫শে আগস্ট পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়-এ। পিতা হলেন বিখ্যাত সংস্কৃত পন্ডিত সুধীর চন্দ্র ভট্টাচার্য (স্মৃতিতীর্থ), মা ননীবালা দেবী। লেখালেখি শুরু স্কুলের এক দেওয়াল পত্রিকায়। তারপর এযাবৎ অসংখ্য পত্র-পত্রিকায় তাঁর কবিতা ও প্রবন্ধ নিজস্ব জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি বিদ্যালয় - 'বিবেকানন্দ আদর্শ বিদ্যাপীঠ'। যা আজ স্বমহিমায় বিরাজিত। সাহিত্য সৃষ্টির পাশাপাশি আঞ্চলিক ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করছেন। আঞ্চলিক ইতিহাস বিষয়ে তার গবেষণালব্ধ উল্লেখযোগ্য বই 'বৃহত্তর নারায়ণগড়ঃ হাজার বছরের ইতিহাস'। পেয়েছেন 'লাল-নীল-সবুজ সম্মাননা', 'গ্রামীণ সাহিত্য উৎসব শ্রদ্ধাঞ্জলি', 'সারা ভারত সমর সাহিত্য প্রতিষ্ঠান' প্রদত্ত 'সমর সাহিত্য' সম্মান, শিশু-কিশোর পত্রিকা 'দুষ্টু'র 'দুষ্টু সম্মান', 'নীল মেঘে বৃষ্টিরেখা' কাব্যগ্রন্থের জন্য 'মহাবঙ্গ সংস্কৃতি পুরস্কার', 'নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী স্মৃতি সম্মান' (যুথিকা সাহিত্য) ইত্যাদি। তাঁর সম্পাদিত পত্রিকা 'আঁধারে আলো'।

প্রকাশিত গ্ৰন্থ - 'নীল মেঘে বৃষ্টিরেখা' 'সংলাপহীন সময়', 'Beyond the Mirror', 'কুরুক্ষেত্রের বিজ্ঞাপন', 'হৃৎপিণ্ডের ভিতর চতুর্থ পেরেক' এবং 'বৃহত্তর নারায়ণগড়ঃ হাজার বছরের ইতিহাস'।

অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

জন্ম ১৯৫৯ সালে দক্ষিণ কলকাতার কসবায়। ছেলেবেলা কেটেছে নানা জায়গায় - ওড়িশা, পুরুলিয়া ছুঁয়ে ফের কলকাতা। বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য তিনটি শাখাতেই আগ্রহ ও পড়াশুনা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার পাশাপাশি বি.এড., আইন এবং ICWAI থেকে কস্টিং ও AIMA থেকে ম্যানেজমেন্ট। পেশাঃ পরিসংখ্যান দফতরে চাকুরি। নেশাঃ ছবি আঁকা, গিটার, অভিনয় এবং সর্বোপরি লেখালেখি। এছাড়াও দুটি তথ্যচিত্রের রূপকার - কবি রাম বসুর ওপর 'কথায় ও কবিতায় রাম বসু' এবং সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে 'আমার প্রতিবাদের ভাষা'। অস্থির সময়ে প্রকাশিত দুটি ছোট বই 'শ্লোগান পোঁতো জমিতে' ও 'কালের নিশান' উল্লেখযোগ্য। পাশাপাশি 'রবি ও ছবি' শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ। এরই সঙ্গে চলেছে ভাষা আন্দোলন ও 'শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মী-বুদ্ধিজীবী' মঞ্চের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ। জীবনের ও সৃষ্টির এই বিচিত্র ধারা নিজের নিজের রং-এ দাগ কেটেছে মনের ক্যানভাসে। তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ধারার লেখালেখি, সংকলন ও সম্পাদনা এবং ছবি।